ট্যাটু যেন তাদের কাছে শুধু শখ মেটানো নয়। বরং অটুট বন্ধনের বার্তা দিয়ে রাখা। পরস্পরের প্রতি নিবিড় প্রেমের প্রতীকী হয়ে উঠেছে তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও তার বান্ধবী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর ডানহাতে ট্যাটু করা রাজা ও রানির মুকুট। ‘হিজ অ্যান্ড হার্স’ মুকুট ট্যাটু করিয়ে হয়তো নিজেদের সম্পর্ককে অমর করে রাখতে চাইছেন দু’জনে।
চারবারের ব্যালন ডি’ওর জয়ী মেসির ট্যাটু-প্রেম নতুন নয়। বেশ কয়েকবছর ধরেই শরীরে একটির পর একটি ট্যাটু করিয়েছেন আর্জেটিনার মহাতারকা। তার মধ্যে ‘স্পেশ্যাল’ বলা হচ্ছে তার ডানহাতে আঁকা রাজার মুকুটকে। সেই ট্যাটুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজের ডানহাতে রানির মুকুট আঁকিয়েছেন আন্তোনেল্লা।
মেসির শরীরে প্রথম ট্যাটু হচ্ছে তার পিঠে খোদাই করা মায়ের মুখ। মাঠে তার বাঁ-পায়ের ম্যাজিক ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা আকর্ষণ। ২০১২ সালে প্রথম সন্তান থিয়াগো’র জন্মের পর সেই বাঁ-পায়েরই কাফ মাসলে সন্তানের দু’টো হাতের ছবি ট্যাটু করিয়েছিলেন। পরে পায়ে থিয়াগো’র নাম ট্যাটু করান আর্জেটিনার অধিনায়ক।
ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসাকে ফুটিয়ে তুলতে ফের ট্যাটুর দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেসি। বাঁ-পায়ে ফুটবলের ছবি আঁকিয়েছিলেন। এরপর ডান বাহুতে যিশু খ্রীস্টের মুখ ট্যাটু করিয়েছিলেন। গত বছর মেসির ডানহাতে কব্জি পর্যন্ত গোলাপ ফুল ও লতাপাতার ট্যাটু তাক লাগিয়ে দিয়েছিল।
এবার ট্যাটু-প্রেমে মেসির সঙ্গী হলেন দীর্ঘদিনের বান্ধবী আন্তোনেল্লা-ও। ডান হাতে রানির মুকুট খোদাই করে যেন দেখিয়ে দিলেন, ‘এক দুজে কে লিয়ে’।
বিডি প্রতিদিন/ ২৮ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-১৪