কুম্বলে-কোহলি মনোমালিন্যের মধ্যে ভারতীয় দলের নতুন কোচ খোঁজা শুরু হয়েছে। সেই পদের জন্য যে আবেদনপত্র পাঠালেন বীরেন্দ্র শেবাগ, তাতে চোখ কপালে উঠল কর্তাদের।
ব্যাট হাতে বীরুর নীতিই ছিল, ‘বল দেখো, আর বল মারো!’ বেশি কথায় তিনি বিশ্বাসী নন। তবে তিনি যে সেই নীতি নিয়েই ভারতীয় দলের কোচের পদে আবেদন করবেন, তা কেউ ভাবতেও পারেননি।
একটি ভারতীয় টিভি চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, বীরেন্দ্র শেবাগ নাকি ভারতীয় দলের কোচ হতে চেয়ে দু’লাইনের ‘সিভি’ পাঠিয়েছেন। তাতে বীরু লিখেছেন, তিনি আইপিএল-এ কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের মেন্টর ছিলেন আর তিনি বর্তমান ভারতীয় খেলোয়াড়দের সম্বন্ধে পরিচিত।
বীরুর এই আবেদনপত্র দেখে নাকি চোখ কপালে উঠেছে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত বিসিসিআই-এর প্রশাসক কমিটির। এই টিভি চ্যানেলকেই প্রশাসক কমিটির এক সূত্র জানিয়েছেন, এটি খুবই অদ্ভুত। তবে এর বাইরে আর কিছু বলার নেই আমার। বাকিটা সিইও রাহুল জোহরি বলতে পারবেন।
প্রথমে প্রশাসকরা এটিকেই বীরুর ‘সিভি’ ভেবেছিলেন। একটি সর্বভারতীয় দৈনিকের খবর, পরে তাঁরা বুঝতে পারেন শেবাগ দুই লাইনে আবেদনপত্র পাঠিয়ে কাজ সেরেছেন। তার সঙ্গে নাকি কোনও সিভি পাঠাননি। তখন বোর্ডের পক্ষ থেকে শেবাগকে সিভি পাঠাতে বলা হয়। কারণ, এই প্রথম তিনি বোর্ডের ইন্টারভিউ দিচ্ছেন।
তবে, বর্তমান কোচ অনিল কুম্বলে ও ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির মধ্যে ঝামেলা মিটিয়ে নিলেই আর নতুন কোচ খুঁজতে হয় না ভারতীয় দলকে। কিন্তু কুম্বলের এক বছরের চুক্তি শেষ হতে চলেছে। তার আগেই বোর্ড কোচ খুঁজতে চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
শেবাগ ও কুম্বলে ছাড়াও, সানরাইজারস হায়দরাবাদ-এর কোচ টম মুডি, ব্রিটিশ কোচ রিচার্ড পাইবাস, আফগানিস্তানের কোচ লালচাঁদ রাজপুত ও ডোড্ডা গণেশও ভারতীয় কোচ হওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।
প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় পেসার ক্রেগ ম্যাকডারমটও আবেদন করেছিলেন, কিন্তু তিনি সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরে আবেদন করায় তাঁকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হচ্ছে না।
সূত্র: এবেলা
বিডি প্রতিদিন/ ৭জুন, ২০১৭/ ই জাহান