১৪ তম এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ২৪০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। তবুও দলের বাঁহাতি ওপেনার ইমাম-উল-হকের ব্যাটে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল তারা। কিন্তু সেই ইমামকে ফেরালেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
ইনিংসের ৪১ তম ওভারে মাহমুদুল্লাহ বলে ইমামকে স্ট্যাম্পিং করেন লিটন দাস। তার আগে ১০৫ বলে ৮৩ রান করেন তিনি। দলীয় ১৬৭ রানে সাজঘরে ফেরেন ইমাম। তার আগে দলীয় ১৬৫ রানে ফেলেন আসিফ আলি। তিনি ৪৭ বলে ৩১ রান করেন। তাকেও স্ট্যাম্পিং করেন লিটন দাস। এবার বোলারের নাম মেহেদি মিরাজ।
এর আগে পাকিস্তান শুরুতেই ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। এরপর ইমাম-উল-হক ও শোয়েব মালিকের ব্যাটে ভর করে সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে শুরু করে তারা। ঠিক তখনই পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন রুবেল হোসেন।
পাকিস্তানের অন্যতম ভরসা শোয়েব মালিককে ফেরান রুবেল। ইনিংসের ২১ তম ওভারে মাশরাফির হাতে তালুবন্দি হন শোয়েব। তিনি ৫১ বলে ৩০ রান করেন। আউট হবার আগে ইমাম-উল-হকের সঙ্গে ৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি।
পাকিস্তানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফখর জামান মিরাজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই রুবেল হোসেনের হাতে তালুবন্দি হন। স্কোরবোর্ডে পাকিস্তানের রান তখন মাত্র ৩। মিড অনে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৪ বলে মাত্র ১ রান সংগ্রহ করেন ফখর জামান। মুস্তাফিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ'র ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন বাবর আজম। আউট হওয়ার আগে ৩ বলে ১ রান করেন বাবর।
বাবর আজমের পর মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ (৭ বলে ১০ রান)। নিজের দ্বিতীয় ওভারে সরফরাজকে আউট করেন মুস্তাফিজ। উইকেটের পেছনে পাক অধিনায়কের অসাধারণ ক্যাচটি ধরেন মুশফিকুর রহিম।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর