১৪ তম এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ধ্বংস্তূপে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৪৪ রানে ঝড়ো ইনিংস। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ইনিংসেরই যেন পুনরাবৃত্তি করলেন মুশফিকুর রহিম। তবে মাত্র ১ রানের জন্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি করতে পারলেন না তিনি। এদিন ৯৯ রানে শাহিন আফ্রিদির বলে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু নিজেদের ইনিংসের শুরুতেই ৪.২ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেখান থেকেই মোহম্মদ মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেলে তুলেন মুশফিক। তার ৯৯ রানের উপর ভর করেই ২৩৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা। আর ম্যাচ শেষে ৩৭ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
তাই ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার উঠলো মুশফিকুর রহিমের হাতে। কেননা, সেই ইনিংসটি খেলে যে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ লড়াইয়ে রেখেছিলেন তিনি। বল হাতে মুস্তাফিজ দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবুও ব্যাট হাতে দলের বিপর্যয়ে যে ৯৯ রানের ইনিংস খেলেছেন মুশফিক, তাই ম্যাচ শেষে তিনি হলেন বিচারকদের দৃষ্টিতে ম্যাচ সেরা। তার হাতেই তুলে দেয়া হলো ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর