অ্যাশেজের সিরিজের হেডিংলি টেস্টে বেন স্টোকসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে এক অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। নিশ্চিত হার থেকে ১ উইকেটের অবিশ্বাস্য ও শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় ইংল্যান্ড। ম্যাচে ১৩৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন বেন স্টোকস।
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চতুর্থ ইনিংসে সাড়ে তিনশ রানের বেশি তাড়া করে জিতল তারা। অ্যাশেজ ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার এবং টেস্ট ইতিহাসে ১১তম বারের মতো সাড়ে তিনশ রানের বেশি তাড়া করে জেতার নজির দেখল ক্রিকেট বিশ্ব।
৩৫৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৮৬ রানে ৯ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে জিতিয়ে ইতিহাস রচনা করলেন স্টোকস। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালেও তার ব্যাটে ভর করে শিরোপা ঘরে তোলে ইংল্যান্ড। সেই স্টোকসই আবারও হলেন দলের ত্রাতা। ১-০ তে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে এনে দিলেন অ্যাশেজে সমতায়।
চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য ২০৩ রান প্রয়োজন ছিল স্বাগতিকদের। হাতে সাত উইকেট। দিনের শুরুর দিকেই ফিরে যান জো রুট। বড় স্কোরের আশা দেখিয়েও ৭৭ রানে আউট হন তিনি। অন্যদিকে ৩৬ রানে ফিরেন জনি বেয়ারস্টো।
জস বাটলার ও ক্রিস ওকস দুজনই মাত্র এক রান করে ফিরে যান। জোফরা আর্চার ১৫ রান করলেও ব্রড রানের খাতা না খুলেই ফিরে যান। বিপর্যয়ের মুখে এক প্রান্ত আগলে রেখে কীভাবে দলকে জেতাতে হয় তা দেখালেন স্টোকস।
তবে এতো কিছুর পরেও হেরে যেতে পারত ইংল্যান্ড। নাথান লিয়ন যখন ১২৫তম ওভারটি করতে আসেন তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আরও ৮ রান। তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ আরও জমিয়ে তুলেন স্টোকস। জয়ের জন্য আর প্রয়োজন মাত্র ২ রান। কিন্তু এমন সময়ে পঞ্চম বলেই ভুল বোঝাবুঝির কারণে রানআউটের ফাঁদে ধরা পড়েও বেঁচে যান লিচ। নন স্ট্রাইক প্রান্তে বলটি স্টাম্প ভাঙলেই এক রানের ব্যবধানে হেরে যেত ইংল্যান্ড।
পরে স্টোকস সহায়তা পান ভাগ্যেরও। লিয়নের সে ওভারের শেষ বলে স্টোকসের বিপক্ষে লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার জো উইলসন। অথচ পরে রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে সেটি সোজা আঘাত হানতো লেগস্টাম্পে। কোনো রিভিউ না থাকায় কপাল পুড়ে অস্ট্রেলিয়ার।
অজিদের হয়ে ৪ উইকেট নেন হ্যাজেলউড। দুইটি উইকেট নেন লিয়ন আর একটি করে নেন কামিন্স ও প্যাটিনসন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন