অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা। ভারতের দেয়া ১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ডার্ক লুইস পদ্ধতিতে ৪৬ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৪২.১ ওভারে ১৭০ রান করে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় টাইগার যুবারা।
সুইং, গতি, বাউন্সে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের নাজেহাল করার পাশাপাশি শারীরিক ভাষাতেও তাদের শাসান টাইগার বোলাররা। গতকাল রবিবার পচেফস্ট্রোমে অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তোলা টাইগার বোলাররা চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছেন।
ফাইনালে এবারের আসরের সবচেয়ে সফল দলটির বিপক্ষে গতকাল বাংলাদেশের যুবা বোলাররা ছিলেন দুরন্ত। সুইং, গতি, বাউন্স, টার্নে বিপর্যস্ত করেছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। প্রতিপক্ষ ইনিংসের ১০ উইকেটের দুটি রান আউট, একটি স্পিনে এবং বাকি ৭ উইকেট নিয়েছেন পেসাররা। ৩ উইকেট নিয়ে সফল বোলার ডান হাতি পেসার অভিষেক দাস। ২টি করে উইকেট নেন তানজিম সাকিব ও শরীফুল ইসলাম।
ম্যাচের প্রথম বলে আসরের সেরা ব্যাটসম্যান জয়সয়ালকে সুইংয়ে পরাস্থ করে বাঁ হাতি পেসার শরীফুল চোখ রাঙানো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। সেই চ্যালেঞ্জে জয়সয়াল জিতলেও হারেননি শরীফুল। ম্যাচের উত্তেজনা গগনচুম্বী হয়ে ওঠে দ্বিতীয় ওভারে, সেই সময় তানজিম হাসানের ছোঁড়া বল অল্পের জন্য মাথায় লাগে না দিব্যাংশ সাক্সেনার ।
বোলারের দিকে রক্ষণাত্মকভাবে ব্যাট চালান দিব্যাংশ, সেই সময় বল নিয়ে উইকেটের দিকে ছুঁড়লে তা ব্যাটসম্যান দিব্যাংশের মাথায় লাগে। তারপরেই মাঠেই বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন দুই খেলোয়াড়। এই ম্যাচে খুব দ্রুতই ভারতের ওপেনিং জুটি ভেঙে দিতে সফল হয় বাংলাদেশ। মাত্র ২ রান প্যাভিলিয়নে ফেরেন দিব্যাংশ সাক্সেনা, তখন সাত ওভারে ভারতের স্কোর এক উইকেটে ৯ রান। দিব্যাংশকে সাজঘরে ফেরান অভিষেক দাস। এ ম্যাচে ৯ ওভার বল করে ৪০ রানে তিনটি উইকেট পান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ