বিশ্বে লাল সবুজের পতাকার সম্মান এনে দেয়ায় জন্য বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা। একইসঙ্গে বাংলাদেশের তরুণদের বিশ্বকাপ বিজয়ের জন্য তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবর্ধনা দেয়ার আহ্বান জানান সংসদ সদস্যরা।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে সোমবার পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে দাবিগুলো তুলে ধরেন সংসদ সদস্যরা। এসময় অধিবেশনে উপস্থিত সংসদ সদস্যরা তাদের বক্তব্যকে টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান। পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ অধিকাংশই যুব ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানান।
অনির্ধারিত আলোচনার সূত্রপাত করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। এরপর তার সঙ্গে একমত পোষণ করে গণফোরামের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সারা দেশের মানুষ আনন্দিত। যুব বিশ্বকাপের আমাদের ছেলেগুলো পরিশ্রম করে যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন তাতে দুনিয়ার মানুষ আমাদের চিনতে পেরেছে। বাঙালি জাতি বাংলাদেশের মানুষ সকলেই এই ছেলেদের প্রকাশ্যে ঢাকা আসার পর গণসংবর্ধনা দেয়ার পক্ষে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তাদের সম্মানী দিয়ে তাদের যেন সম্মানিত করা হয়, সেটাও সকলে চায়।
সুলতান মনসুর বলেন, যুব বিশ্বকাপে আকবর বাহিনীর বিজয়ের মাধ্যমে ৪৯ বছরের আগের সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে পরিচিত ছিলাম সেইভাবে পরিচিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাঙালিরা মাথা উচু করে দাঁড়াবে, বাঙালিরা এগিয়ে যাবে, বাঙালিরা কখনো মাথা নত করবে না।
তিনি বলেন, আমরা প্রমাণ করেছি এই উপমহাদেশে বাংলাদেশ হচ্ছে অগ্রগামী দেশ। বাংলাদেশে যেমন ভাবে এবার বিশ্বকাপ জয় করেছি, তেমনি ১৯৯৭ সালে আইসিসিতে জয়লাভ করেছিলাম। তাই আকবর বাহিনীকে সংবর্ধণা জানানো হোক।
তিনি আরও বলেন, আকবর বাহিনী, অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের খেলোয়াররা যেভাবে সম্মান বয়ে এনেছে, তাই তাদের শিক্ষা-জীবনের যাবতীয় খরচ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নির্বাহ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। তাছাড়া তাদের সুন্দর জীবনযাপনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্লটসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত