সেমিফাইনাল, ফাইনাল ম্যাচে বরাবরই ব্যর্থ হন রোহিত। তার দল যতই ৪ বার আইপিএল জিতুক, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রোহিত শর্মার ব্যাটে রান থাকে না। চলতি আসরের দিল্লির বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ারে ব্যর্থ হতেই চারিদিকে এভাবেই সমালোচনা শুরু হয়েছিল হিটম্যানের বিরুদ্ধে।
কিন্তু দুবাইয়ে আইপিএলের ফাইনালে এ যেন এক অন্য রোহিত শর্মা। চোট, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রথমদিকে দলে নাম না থাকা- সকল কিছুর জবাব যেন এদিনই দিয়ে দিলেন। নিজের ২০০ তম আইপিএল ম্যাচে খেললেন অধিনায়কোচিত ইনিংস। ইশান কিষান, ডি' কক, সূর্যকুমাররাও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন। আর ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে পাঁচ উইকেটে দিল্লিকে হারিয়ে পঞ্চমবার আইপিএল খেতাব জিতে নিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) টস জেতেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। কিন্তু প্রথমে ব্যাটিংয়ের তার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়। কারণ এদিন প্রথম বলেই আবার আউট হন মার্কাস স্টোইনিস। দু’ওভার পর ২ রান করে আউট হন আজিঙ্ক রাহানেও। আর দু’জনেই আউট করেন বোল্ট। অন্যদিকে, ১৫ রান করে বোল্ড হন ধাওয়ানও।
এরপর অবশ্য পালটা লড়াই শুরু করেন শ্রেয়াস আয়ার এবং ঋষভ পন্থ। দু’জনে মিলে ইনিংসের হাল ধরেন। ঋষভ ৩৮ বলে ৫৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। মারেন ৪টি চার ও ২টি ছয়। শ্রেয়াস করেন ৫০ বলে অপরাজিত ৬৫ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে দিল্লি করে ১৫৬ রান। মুম্বাইয়ের হয়ে চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন বোল্ট। তবে বুমরাহ কোনও উইকেট পাননি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন রোহিত-ডি' কক। ডি' কক ২০ রান করে আউট হলেও নিজস্ব স্বমহিমায় ব্যাট করতে থাকেন রোহিত। তবে তার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতেই ১৯ রানে রানআউট হন সূর্যকুমার। এরপর ইশান কিশানকে সঙ্গে নিয়ে রান তাড়া করতে থাকেন রোহিত। শেষে ৬৮ রানে যখন আউট হন ম্যাচ তখন মুম্বাইয়ের পকেটে। ৫১ বলে এই রান করেন হিটম্যান। মারেন ৫টি চার ও ৪টি ছয়। শেষ পর্যন্ত ইশান এবং হার্দিক, পোলার্ড, ক্রুনালরা মিলে মুম্বাইকে ৮ বল বাকি থাকতেই জয় এনে দেয়।
দিল্লি ক্যাপিটালস: ২০ ওভারে ১৫৬/৭ (শ্রেয়স ৬৫*, বোল্ট ৩/৩০)
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ১৮.৪ ওভারে ১৫৭/৫ (রোহিত ৬৮, নর্ৎজে ২/২৫)
ফলাফল: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স পাঁচ উইকেটে জয়ী।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ