ইতালির জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও গোলকিপার জানলুইজি বুফ্ফনের সঙ্গে পেশাদার ফুটবল শুরু করা প্রায় সবাই হয়তো বেশ আগেই তুলে রেখেছেন বুট জোড়া। তবে দেশটির বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক থেকে গেছেন মাঠেই। তিনি জানিয়েছেন, এভাবেই চালিয়ে যেতে চান আরও অনেক দিন। খেলতে চান অন্তত ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত।
সব সময়ের সেরা গোলরক্ষকদের একজন বলে বিবেচিত বুফ্ফনের পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৯৫ সালের নভেম্বরে। ১৭ বছর বয়সে পার্মার মাঠে নামেন তিনি। এরপর থেকে তার ছুটে চলা চলছেই। ২০০১ সালে জুভেন্টাসে যোগ দেন বুফফন। তিন কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফির সৌজন্যে ওই সময়ে তিনিই ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক। তুরিনের ক্লাবটিতেই কাটান ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সময়টা। মাঝে ২০১৮-১৯ মৌসুম পিএসজিতে কাটিয়ে আবার ফেরেন জুভেন্টাসে। এরপর গত বছরের জুনে ফেরেন পার্মাতে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সেরি ‘বি’র দলটির সঙ্গে চুক্তি নবায়নে করেন বুফ্ফন। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্লাবটিতে থাকবেন তিনি, তখন তার বয়স হবে ৪৬ বছর। তবে পার্মার হয়ে চুক্তির মেয়াদের শেষ পর্যন্ত খেলাই একমাত্র লক্ষ্য নয় বুফ্ফনের। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কমপক্ষে আরও ১১ বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারেন তিনি। অবসরের পর অবশ্য ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত থাকার তেমন একটা ইচ্ছে নেই তার।
তিনি বলেন, ৫৫ বছর বয়সে আমি অবসরে যেতে পারি! অনেক বছর ধরেই আমি ভাবছি যে, কখন খেলা থামাব। আমার চিন্তাভাবনা বিভ্রান্ত হয়ে গেছে, আমি গত ১০ বছর ধরে অবসর নিয়ে চিন্তা করছি, কিন্তু এরপর সবসময় খেলা চালিয়ে গেছি। আমি মনে করি, আমার গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা হয়েছে যা ফুটবল জগত সম্পর্কে জানতে আমাকে সাহায্য করে। তবে আমি শতভাগ নিশ্চিত নই যে অবসরের পর এই জগতে আমি থাকব কি না। হয়তো আমি অন্য কোনো কিছু করব, আমি ফুটবল জানি, আমি কৌতূহলী এবং আমি (ফুটবলের বাইরে) অন্য জগতগুলো জানতে চাই।
ইতালির শীর্ষ লিগ সেরি আয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড বুফ্ফনের। পেশাদার ক্যারিয়ারে ৯টি সেরি আ, ৫টি ইতালিয়ান কাপ, ৬টি ইতালিয়ান সুপার কাপ, একটি উয়েফা কাপ ও ২০০৬ বিশ্বকাপসহ জিতেছেন মোট ২৭টি শিরোপা। সর্বোচ্চ পর্যায়ে একমাত্র চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাটাই কেবল জেতা হয়নি বুফ্ফনের। ইউভেন্তুসের হয়ে তিনবার ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে খেলে তাকে ফিরতে হয় শূন্য হাতে। ইতালির হয়ে ২০০৬ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন বুফ্ফন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ