লরেন ফিলারের লেগ স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি ফ্লিক করে মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিতে পৌঁছে গেলেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। হেলমেট খুলে চওড়া হাসিতে ড্রেসিং রুমের দিকে ব্যাট উঁচিয়ে সারলেন উদযাপন। ওই ওভারে মারলেন আরও দুটি চার, গড়লেন অনন্য এক কীর্তি।
চলমান উইমেন’স অ্যাশেজের একমাত্র টেস্টে অস্ট্রেলিয়া হয়ে আট নম্বরে নেমে চমৎকার এক সেঞ্চুরি উপহার দেন সাদারল্যান্ড। ১৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৮৪ বল ও ২৬২ মিনিট স্থায়ী ইনিংসে ১ ছক্কার সঙ্গে মারেন ১৬টি চার। মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই আট বা তার নিচে নেমে সাদারল্যান্ডের এই ইনিংস সর্বোচ্চ। টেস্ট ছাড়া ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আট থেকে এগারো নম্বরে সেঞ্চুরি নেই একটিও।
টেস্টে আট বা তার নিচে নেমে তিন অঙ্ক ছোঁয়া তৃতীয় ইনিংস এটি। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার চামানি সেনেভিরন্তে। সাদারল্যান্ডের স্বদেশি ক্যারেন প্রাইস অপরাজিত ১০৪ রান করেছিলেন ১৯৪৮ সালে, ভারতের বিপক্ষে।
মেয়েদের অ্যাশেজে আট বা তার নিচে নেমে সেঞ্চুরি এটিই প্রথম। ট্রেন্ট ব্রিজে ম্যাচের প্রথম দিন গত বৃহস্পতিবার ২৩৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর ক্রিজে যান সাদারল্যান্ড। দিন শেষে এই অলরাউন্ডার অপরাজিত থাকেন ৩৯ রানে। দ্বিতীয় দিন পঞ্চাশ পূরণ করেন ১০০ বল খেলে। সেখান থেকে সেঞ্চুরিতে পা রাখেন মাত্র ৪৮ বল।
সাদারল্যান্ডের ১৪৮ বলের সেঞ্চুরিটি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মেয়েদের টেস্টে দ্রুততম। ১৯৮৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই জিল কেনার তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন ১৫৬ বল খেলে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্টে ৯৯ রানে আউট হন অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার এলিস পেরি। মেয়েদের টেস্টে এক রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে না চতুর্থ ব্যাটার তিনি।
সর্বপ্রথম ১৯৩৭ সালে ইংল্যান্ডের বেটি স্নোবল ৯৯ রানে আউট হন। এরপর পেরির দুই স্বদেশি কেনার (১৯৮৪ সালে) ও জেস জোনাসেন (২০১৫ সালে) এই তেতো স্বাদ পান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ