সেই ১৯৯২ সালে নিজেদের একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। এরপর কেটে গেছে লম্বা সময়, কিন্তু এই সংস্করণে শিরোপা জেতাই হচ্ছে না দলটির। উপমহাদেশে হবে আসছে বৈশ্বিক আসর, সঙ্গে দারুণ সব ক্রিকেটারে ঠাসা দল, তাই এবার আশার আলো দেখছেন ওয়াসিম আকরাম। উত্তরসূরিদের নিয়ে বড় স্বপ্ন পাকিস্তানের এই পেস বোলিং গ্রেটের।
তিন দশক আগে পাকিস্তানের শিরোপা জয়ী দলের সদস্য ছিলেন ওয়াসিম। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডকে ২২ রানে হারানো ফাইনালে সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার উঠেছিল তারই হাতে। এরপর ১৯৯৯ সালে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। লর্ডসের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরেছিল তারা। একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ের পর আরও ৭টি আসর চলে গেলেও শিরোপার স্বাদ আর পাওয়া হয়নি দলটির। এবার তাদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হবে বলে মনে করছেন ওয়াসিম।
আগামী ৫ অক্টোবর ভারতে শুরু হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসর। পাকিস্তান ও ভারতের কন্ডিশন প্রায় একই। এখানে তাই ভালো করার দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ওয়াসিম। পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপে আছেন আইসিসির ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান বাবর আজম। সঙ্গে আছেন র্যাঙ্কিংয়ে তিন ও চার নম্বরে থাকা ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক। দারুণ ছন্দে থাকা কিপার-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানও এই দলে।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বরে থাকা শাহিন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে পাকিস্তানের পেস বোলিং সামাল দিতে আছেন নাসিম শাহ, হারিস রউফরা। লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার শাদাব খান দলটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সব বিভাগেই প্রায় সমান শক্তিশালী পাকিস্তানের বর্তমান দলটির ওপর অনেক আস্থা ওয়াসিমের। আইসিসিতে সাবেক এই পেসার বললেন, বিশ্বকাপ জেতার সব রসদ আছে এই দলে।
ওয়াসিম আকরাম বলেন, আমাদের ভালো একটি দল আছে। খুবই ভালো ওয়ানডে দল এবং আধুনিক ক্রিকেটের গ্রেটদের একজন বাবর আজম এই দলের নেতৃত্বে আছে। যতক্ষণ তারা ফিট থাকবে এবং যতক্ষণ পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলবে, বিশ্বকাপে তাদের ভালো করার সুযোগ থাকবে। কারণ উপমহাদেশের ভারতে আমাদের মতো কন্ডিশনে টুর্নামেন্টটি খেলা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ