২৭ জুলাই, ২০২১ ১২:০১

দেশে ই-কমার্সের অগ্রযাত্রায় অন্যতম সহযোগী দারাজ

অনলাইন ডেস্ক

দেশে ই-কমার্সের অগ্রযাত্রায় অন্যতম সহযোগী দারাজ

ই-কমার্স বর্তমান সময়ের সবচেয়ে পরিচিত ও বহুল আলোচিত একটি শব্দ। এটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্রপটে নিয়ে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। দেশে ই-কমার্সের যাত্রা খুব বেশিদিনের না হলেও আমরা ইতোমধ্যে এর ইতিবাচক দিক উপভোগ করা শুরু করেছি। ই-কমার্সের কল্যাণে, সুনামগঞ্জে বসে খুলনায় সুন্দরবনের খাঁটি মধু কিংবা কুষ্টিয়ায় নকশিকাঁথা অর্ডার করে কম সময়ের ব্যবধানেই হাতে পেয়ে যাচ্ছেন ক্রেতা। এছাড়া ই-কমার্স দেশের তরুণদের মাঝে উদ্যোক্তা হবার স্পৃহা জাগিয়ে তুলতেও সক্ষম হয়েছে। 

অন্য সময়ের তুলনায় করোনাকালে ই-কমার্স খাতের ব্যাপক প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে এবং এর গুরুত্ব আমরা সকলে উপলব্ধি করতে পেরেছি। এ সময় ঘরবন্দি মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ই-কমার্স। এছাড়া করোনা বৈশ্বিক মহামারির ফলে অনেক ব্যবসায়ী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং বেশিরভাগ সময় দোকানপাট বন্ধ থাকায় তাদের দিনের পর দিন লোকসান গুনতে হয়েছে।

বর্তমানে মানুষ সকল প্রকার কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ায়, ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ব্যবসায়ীদের তাদের কার্যক্রমে পরিবর্তন আনা জরুরি। ইতোমধ্যে অনেক বিক্রেতাই এই পরিস্থিতি উত্তরণে অনলাইনে পণ্য বিক্রির ব্যাপারে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। ই-কমার্সের শতভাগ সম্ভাবনা বিকাশে সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দারাজ। দারাজ এসব বিক্রেতাদের ব্যবসার প্রসারে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের টেকসই উন্নয়ন সাধনে ও তাদের সর্বোচ্চ বিকাশ নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে দারাজ।  

দারাজ এর সেলার মৈত্রী প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিক্রেতাদের সহজে দারাজ প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়ে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে সাহায্য করছে। এই প্রোগ্রামের আওতায়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদানের পর মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ভেরিফিকেশনের কাজ সম্পন্ন হয় এবং বিক্রেতাদের বিনামূল্যে প্যাকেজিংয়ের জিনিসপত্র প্রদান করা হয়।

এসব বিক্রেতাদের দারাজ প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়ার প্রথম ত্রিশ দিন কোন কমিশন দেয়ারও প্রয়োজন হয়না। এছাড়া, কীভাবে অনলাইনে ও দারাজের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয় সে ব্যাপারে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়, যা ঝামেলাহীনভাবে ই-কমার্সের হাত ধরে ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতে তাদের সাহায্য করছে। 

দারাজের সেলার ফাইন্যান্স প্রোগ্রামে বিক্রেতারা সহজে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর সময়মতও ঋণ গ্রহণের নিশ্চয়তা পাচ্ছে। এই প্রোগ্রামটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিক্রেতাদের মধ্যকার দূরত্বের অবসান ঘটাচ্ছে। এছাড়া, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে পারস্পারিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রমকে উৎসাহ প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘সেলার রেফারেল প্রোগ্রাম’ নামের এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগের সূচনা করেছে দারাজ। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই দারাজ প্ল্যাটফর্মে নতুন বিক্রেতাদের রেফার করতে পারবে, এর ফলে, দারাজ এবং বিক্রেতা উভয়েরই ব্যবসা উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ হবে। 

দেশের ই-কমার্স খাতের বিকাশে পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া সহজীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন পণ্য অনলাইনে অর্ডারের পর ক্রেতারা আশা করেন কম সময়ের মধ্যে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই তারা পণ্য হাতে পেয়ে যাবেন। বিনিয়োগ ও দক্ষ মানবসম্পদ লজিস্টিকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

দারাজ সবসময়ই উদ্ভাবনী পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেরা অভিজ্ঞতা প্রদান করতে আগ্রহী। দেশের ই-কমার্সের ভিত্তিকে মজবুত করে তুলতে ও এই খাতে প্রবৃদ্ধির সূচক উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে দারাজ। 

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর