মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

শত কোটি টাকায় বাস টার্মিনাল আধুনিকায়ন

দিদার আলম নবেল, সিলেট

শত কোটি টাকায় বাস টার্মিনাল আধুনিকায়ন

সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। শত কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয়েছে আধুনিকায়নের কাজ

সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় বাস টার্মিনাল হচ্ছে কদমতলী বাস টার্মিনাল। এ টার্মিনালের মাধ্যমেই সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের বাস যোগাযোগ। সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকায় এ টার্মিনাল অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, আবর্জনাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। তবে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) এ টার্মিনালকে আধুনিকায়ন করতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১১৭ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সিসিক সূত্র জানায়, প্রায় সাড়ে ৭ একর জমিতে নির্মিত কদমতলী বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ দূরাপাল্লার বাস এবং অভ্যন্তরীণ সড়কে প্রায় এক হাজার বাস চলাচল করে। দিনভর যাত্রীদের পদচারণায় মুখর থাকে এ টার্মিনাল। গুরুত্বপূর্ণ এ টার্মিনালে নেই ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা। টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সিলেটের কেন্দ্রীয় এ বাস টার্মিনালটিতে যাত্রীদের বসার কোনো জায়গা কিংবা টয়লেটেরও সুব্যবস্থা নেই। রোদ হোক কিংবা বৃষ্টি, যাত্রীদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে পোহাতে হয় ভোগান্তি। কয়েকটি পরিবহন সংস্থা নিজেদের উদ্যোগে যাত্রীদের বসার জায়গা করে দিলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। টার্মিনাল থেকে দূরে একটি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। কিন্তু নোংরা, স্যাঁতসেতে পরিবেশের কারণে সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী। বাস টার্মিনালের এখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। এগুলোর দুর্গন্ধের সঙ্গে যাত্রীদের জন্য বাড়তি দুর্ভোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে টার্মিনালের ধুলো। দীর্ঘদিন ধরে টার্মিনালটি আধুনিকায়নের দাবি জানিয়ে আসছিলেন যাত্রীরা।  গত বছরের জুনে কদমতলী বাস টার্মিনাল আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রকল্পের জন্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যায় কয়েক মাস। এরপর বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তারা অর্থের জোগান দিতে রাজি হয়। গত অক্টোবরে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল কদমতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করে দ্রুত কাজ শুরুর পরামর্শ দেয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে টার্মিনাল আধুনিকায়নের কাজ। 

সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান জানান, দুটি প্রক্রিয়ায় বাস টার্মিনালটি আধুনিকায়ন হবে। এর একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড নির্মাণ,

অপরটি অবকাঠামোগত উন্নয়ন। ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ৫৬ কোটি টাকা এবং অবকাঠামোগত খাতে ৬১ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এর মাধ্যমে যাত্রীদের বিশ্রামাগার, টয়লেট, বিশুদ্ধ পানি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কক্ষ নির্মাণ করা হবে। সব ময়লা-আবর্জনা যাবে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে। সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন বাস টার্মিনাল গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। বাসের প্রবেশ পথ, বহির্গমন পথ, প্রত্যেক রুটের বাসের জন্য আলাদা পার্কিং জোন থাকবে এখানে। প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থাও থাকবে।

সর্বশেষ খবর