মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

মাটির নিচে যাবে তারের জঞ্জাল

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

মাটির নিচে যাবে তারের জঞ্জাল

সিলেটে একই রাস্তার নিচে ও ওপর দিয়ে টানা হয়েছে বিদ্যুতের লাইন। তারের জঞ্জালমুক্ত করতে রাস্তার দুই পাশের বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও টেলিফোনের খুঁটি তুলে ফেলা হয়েছে। নতুন করে রাস্তার মাঝখানে বসানো হচ্ছে বিদ্যুতের খুঁটি। তবে এই খুঁটিতে থাকবে না টেলিফোন ও ইন্টারনেটের লাইন, শুধু থাকবে বিদ্যুতের বিকল্প লাইন। ভূগর্ভস্থ লাইন ঠিকমতো চললে মাস ছয়েক পর তুলে ফেলা হবে এই খুঁটিগুলোÑ এমনটি জানিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন।

২০১৭ সালে দেশে প্রথম সিলেট নগরীতে শুরু হয় ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজ। প্রথম ধাপে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর ৭ কিলোমিটার এলাকার বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগা গেট এলাকায় সফলভাবে ভূগর্ভস্থ সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে ওই রাস্তার উভয় পাশে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চলছে। দরগা গেট এলাকায় সফলভাবে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ হওয়ার পর শুরু হয় চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার হয়ে সার্কিট হাউস পর্যন্ত এলাকায় বিদ্যুতের লাইন টানার কাজ। ইতিমধ্যে লাইন বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর আগে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ওভারহেড লাইনও রাখতে চাচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি করপোরেশন। ফলে সড়কের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি বসিয়ে টানানো হয়েছে নতুন সঞ্চালন লাইন।

সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার হয়ে সার্কিট হাউস পর্যন্ত রাস্তা ও আশপাশের এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই এলাকায়ই সিলেটের বড় সব মার্কেট। এ এলাকায় রয়েছে নগরভবন, আদালত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা পরিষদ, পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান। তাই এই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে বিশেষ সতর্কতা রয়েছে। ভূগর্ভস্থ লাইনের পাশাপাশি খুঁটির ওপর দিয়েও লাইন টানানো হয়েছে। আগামী ছয় মাস ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইনে কোনো ত্রুটি দেখা না গেলে রাস্তার মাঝখানে বসানো খুঁটিগুলো তুলে ফেলা হবে।

এদিকে চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার সড়কটিকে শুধু তারের জঞ্জালমুক্তই নয়, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে সিটি করপোরেশন। ব্যস্ততম এই রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডার বসিয়ে সেখানে বাগান করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাস্তার উভয় পাশের ফুটপাথেও ফুলের টব বসিয়ে সৌন্দর্য বাড়াতে চায় সিটি করপোরেশন। সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আরও জানান, সড়ক বিভাজন ও গার্ডেনিংয়ের কাজ শেষ হলে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হবে। রাস্তা সম্প্রসারিত হওয়ায় ওয়ানওয়ের এই রাস্তাকে ডাবল লেন করা হবে। রাস্তা দিয়ে রিকশা চলতে দেওয়া হবে না। এতে যানজট কমবে। পাশাপাশি তারমুক্ত এই রাস্তা নগরীর সৌন্দর্য বাড়াবে। সিলেটে আসা পর্যটকরা এই রাস্তার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবেন।

সর্বশেষ খবর