মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বর্জ্যে বেসামাল চট্টগ্রামের সড়ক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বর্জ্যে বেসামাল চট্টগ্রামের সড়ক

চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার হাই-লেভেল সড়ক। এ সড়কের মাঝামাঝি অংশে, সড়কের ওপরই খোলা ডাস্টবিন। এখানে এলোমেলোভাবে ফেলা হয় নানা ধরনের আবর্জনা। পরে এসব বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে সড়কে। পশু-পাখি ও কুকুর বর্জ্যগুলো পুরো সড়কে ছড়িয়ে দেয়। বের হয় গন্ধ। নষ্ট হয় পরিবেশ। দূষিত হয় বাতাস। এভাবে নগরের বিভিন্ন এলাকার সড়ক, ফুটপাথে পড়ে থাকে আবর্জনা। এসব আবর্জনায় ভোগান্তিতে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। চলাফেরা করতে হয় নাক ধরে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্য সংগ্রহ করলেও পড়েই থাকে আবর্জনা। 

নগরবাসীর অভিযোগ, নগরীর অনেক এলাকা থেকে নিয়মিত ময়লা পরিষ্কার ও রাস্তা ঝাড়ু দেওয়া হয় না। অনেক এলাকায় দিনের পর দিন ময়লা থেকেই যায়। ওয়ার্ডভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরিচ্ছন্নতাকর্মী থাকলেও তারা নিয়ম মতো কাজ করে না বলেও অভিযোগ দীর্ঘদিনের। নগরের বিভিন্ন এলাকা এবং নালা-নর্দমা, ড্রেনগুলো বর্জ্যে ঠাসা থাকে।

লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল বলেন, ওয়ার্ডের আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় নতুন একটা পরিকল্পনা হয়েছে। ময়লা প্রতিটি বাসার পার্কিং প্লেসে একটি বাক্স রাখা হবে। সেটি সরাসরি পরিচ্ছন্নতাকর্মী সংগ্রহ করবে। গত কোরবানির সময় পশুর বর্জ্য সংগ্রহে আমরা পদ্ধতিটির সুফল হয়েছি। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন হলে দৃশ্যমান কোনো ডাস্টবিন থাকবে না।

চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নগরের ৪১ ওয়ার্ডে দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ হয়। চসিকে প্রতিটি ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কারের জন্য ১ হাজার ৬৬৯ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী আছে। তাছাড়া চার বছর আগে ‘ডোর টু ডোর’ কার্যক্রম শুরু করার সময় এ প্রকল্পের জন্য নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয় আরও ১ হাজার ৯৭৮ জন। সব মিলে বর্তমানে ৩ হাজার ৬৪৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন। এ হিসেবে প্রতি ওয়ার্ডে কর্মরত আছে ৮৯ জন। তাছাড়া এসব কর্মীর তদারকি করার জন্য নিয়োজিত আছেন ৯২ জন সুপারভাইজার। এসব কর্মী প্রতিটি ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা এবং ড্রেন পরিষ্কার করার কথা। তবুও নগরের নালা-নর্দমা এবং ড্রেন বর্জ্যে ভরপুর থাকে বলে অভিযোগ। এসব নালায় প্রজনন হচ্ছে মশা।

সর্বশেষ খবর