শীতের শুরু থেকে গ্যাস সংকটে নগরীর অধিকাংশ বাসায় চুলা জ্বলছে না। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ। খাবার রান্না, পানি গরমসহ বিভিন্ন কারখানার উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে। অনেকে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনছেন। কেউ কেউ শুকনো পাউরুটি দিয়ে সকালের নাশতা করছেন।
কুমিল্লা বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের একটি সূত্রে জানা যায়, জাতীয় গ্রিড থেকে কুমিল্লা নগরীর নন্দনপুর বিশ্বরোড হয়ে কুমিল্লা নগরীতে গ্যাস সাপ্লাই দেওয়া হয়। চারটি ভাগে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। একটি ইপিজেডে, আরেকটি বাখরাবাদ গ্যাস অফিস ক্যাম্পাসে, তৃতীয়টি চর্থার মুরগির খামার এলাকায় ও চতুর্থটি জেলখানা রোড এলাকায় প্রবেশ করেছে। উক্ত এলাকায় রয়েছে ডিস্ট্রিক রেগুলেটরি স্টেশন। স্টেশনের নিকটবর্তী এলাকায় গ্যাস পাওয়া গেলেও দূরের এলাকায় দুর্ভোগ গ্রাহকের নিকটবর্তী হয়।
নগরীর কালিয়াজুরি, কাপ্তানবাজার, সাহাপাড়া, সংরাইশ, হাউজিং এস্টেট, শহরতলির বিবিরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রয়োজনে গ্যাস মিলছে না। বর্তমানে নগরী ও আশপাশ এলাকায় চাহিদা ৫৫-৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুটের কম গ্যাস।
নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা মোসলেহ উদ্দিন সেলিম বলেন, ভোর রাতে গ্যাস যায়। আসে রাত ১০টায়। তাই ফজরের আগে রান্না করতে হয়। সারা দিনের রান্না একবারেই করতে হয়। দিনে খাবার গরম করে খাওয়ার সুযোগ নেই। বিবিরবাজার এলাকার অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ বলেন, শীতকালে এ এলাকায় গ্যাসশূন্য হয়ে যায়। বিল দিই কিন্তু গ্যাস পাই না।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের জি এম (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) মর্তুজা রহমান খান বলেন, শীতে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যায়। এদিকে আমরা প্রয়োজনের তুলনায় গ্যাস পাচ্ছি না। তাই সংকট দেখা দিয়েছে। সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি।