মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

উচ্ছেদ নিয়ে ‘ইঁদুর-বিড়াল’ খেলা

অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক প্রভাব, স্থানীয় প্রভাবশালীদের আধিপত্য, প্রশাসনের যোগসাজশে চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে উচ্ছেদ অভিযানের পরও তা আবার বেদখল হয়ে যায়

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম 

উচ্ছেদ নিয়ে ‘ইঁদুর-বিড়াল’ খেলা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের টেরি বাজারের মূল সড়কের ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কিছু দোকান অভিযান চালিয়ে ভেঙে দেয়। কিন্তু উচ্ছেদের পর দুই দিন না যেতেই আবারও সেখানে তৈরি করা হয় দোকান। আগে ছিল বাঁশ-কাঠের অবকাঠামো। নতুন করে নির্মাণ করা হয় লোহার এঙ্গেল দিয়ে।

এভাবে চসিক নগরের সড়ক-ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করে। কিন্তু পরে তা আবার নানাভাবে নানা কৌশলে তা নির্মাণ করা হয়। ফলে নগরজুড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে চলছে ইঁদুর বিড়াল খেলা। সকালে উচ্ছেদ করা হলে বিকালে তা আবারও বেদখল হয়ে যায়। 

অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক প্রভাব, স্থানীয় প্রভাবশালীদের আধিপত্য, প্রশাসনের যোগসাজশে চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে উচ্ছেদ অভিযানের পরও তা আবার বেদখল হয়ে যায়। একই সঙ্গে সরকারি জায়গা দখলের অপরাধের বিপরীতে লঘু শাস্তি প্রয়োগের বিষয়টিও মুখ্য। ফলে নগরীর ফুটপাত ও সড়ক দখলে বেপরোয়া দখলদাররা।  

চসিক নগরীতে নিয়মিত অভিযান চালায়। তাছাড়া গত বছরের ১৪ আগস্ট থেকে পরিচ্ছন্ন বিভাগের তত্ত্বাবধানে মাঠে নামানো হয় ২০ সদস্যের বিশেষ পোশাকের স্ট্রাইকিং ফোর্স। শহরে নিয়মিত টহল দেওয়া, সড়ক ও ফুটপাত এবং খাল-নালা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে উদ্ধারকৃত ভূমি রক্ষা, সেগুলো মনিটরিং করা, পুনর্দখল হতে দেখলে অথবা অবৈধ স্থাপনা নিশ্চিত হলে টিমের পক্ষ থেকে বিষয়টি চসিককে অবহিত করে স্ট্রাইকিং ফোর্স। কিন্তু এত কিছুর পরও অবৈধ দখল ঠেকানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে, গত ২ অক্টোবর চসিকের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে উচ্ছেদের পর পুনর্দখল ঠেকাতে স্থানীয় থানার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিয়মিত নজরদারির অনুরোধ করা হয়।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, চসিক গত বছরের আগস্ট থেকে নগরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও সড়ক-ফুটপাত উদ্ধারে জোরালো অভিযান চালায়। কার্যক্রম মনিটরিংয়ে নামানো হয় ২০ সদস্যের বিশেষ স্ট্রাইকিং ফোর্স।  কিন্তু নানা কারণে এর আশানুরূপ সুফল মিলছে না।

সর্বশেষ খবর