মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

৩০০ মিটার রাস্তার অপেক্ষায়

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

৩০০ মিটার রাস্তার অপেক্ষায়

কুমিল্লা নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে ৩০০ মিটার রাস্তা নির্মাণ হলে ফল-ফসলে ভরে উঠবে শত একর জমি। হাসি ফুটবে শতাধিক কৃষকের মুখে। কুমিল্লা কোটবাড়ী রূপবান মুড়ার পাশে এই জমির অবস্থান।

স্থানীয় সূত্র মতে, এখানে পাহাড় ও ঢালুতে হাসছে মাল্টা, কলা, পেঁপে, লেবু, কাজুবাদাম, কফিসহ নানা ফল-ফসল। তবে এসব ফসল তুলে বাজারে নেওয়ার রাস্তা নেই। এই ফসলের মাঠের পূর্বে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বার্ড, উত্তরে প্রত্নতত্ত্ব অধিফতরের রূপবান মুড়া। দক্ষিণে ফসলের জমি, পাহাড় ও বাড়ির মধ্য দিয়ে একটি পায়ে হাঁটা পথ আছে। তবে এই পথে ফসল মাথায় ও কাঁধে নিয়ে কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, কৃষক আবুল কালাম আজাদ তার জমির লেবু তুলেছেন। সেই লেবু বার্ডের সীমানা প্রাচীরের নিচ দিয়ে অন্য পাশে ফেলছেন। সেখান থেকে আরেকজন তা বস্তায় নিচ্ছেন। এ ছাড়া কলা কেটে তার সহযোগীরা কাঁধে নিয়ে হাঁটছেন। রূপবান মুড়ার গেট বন্ধ থাকায় তারা থমকে গেছেন। পরে প্রাচীরের ওপর দিয়ে কলা পার করেন।

কৃষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাস্তা না থাকায় শ্রমিক খরচ বেশি লাগে। পরিশ্রমের কাজ বলে শ্রমিকরাও আসতে চায় না। রূপবান মুড়ার গেটও সব সময় খোলা থাকে না। এতে আমাদের ফসল বাজারে নিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। রূপবান মুড়ার পাশ দিয়ে ৩০০ মিটারের মতো একটি চলাচলের জায়গা পেলে আমরা সহজে কৃষিপণ্য নিতে পারব। কৃষক মোহর আলী বলেন, এখানে দুই শতাধিক কৃষক রয়েছেন। পারাপারে আমাদের খরচ বেশি লেগে যায়। এতে আমাদের লাভ কম হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান ও উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, আমরা লালমাই পাহাড়ের এই অংশের জমিগুলো পরিদর্শন করেছি। এখানে অনেক ফল-ফসল উৎপাদন হয়। চলাচলের রাস্তা পেলে এই পাহাড়ে আরও উৎপাদন বাড়বে।

সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরাও কৃষকদের রাস্তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখব। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।

সর্বশেষ খবর