মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

কারখানার বিষে দূষিত পরিবেশ

আফজাল, টঙ্গী

কারখানার বিষে দূষিত পরিবেশ

কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়েছে টঙ্গীর পরিবেশ। নগরীতে অবস্থিত ওয়াশিং, ডাইং, কেমিক্যাল কারখানা, হাসপাতাল ও ওষুধ কারখানার প্লাস্টিক বর্জ্য ও বিষাক্ত তরল বর্জ্যরে কারণে বিষাক্ত হচ্ছে পরিবেশ। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। এই বিষাক্ত তরল বর্জ্য সাপ্লাই পানির সঙ্গে মিশে রোগ ছড়াচ্ছে। বিষমিশ্রিত পানি পান করে অনেক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতর এদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযানের নামে চোর পুলিশ খেলছেন বলে মন্তব্য করছেন পরিবেশবিদরা। ফলে দূষণের ভয়াবহতা বেড়েই চলছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াশিং, ডাইং, কেমিক্যাল, হাসপাতাল ও ওষুধ কারখানার প্লাস্টিক বর্জ্য ও বিষাক্ত তরল বর্জ্যে বিষাক্ত হচ্ছে পরিবেশ। অনেক কারখানার মালিক আন্ডারপাস লাইনে সরাসরি বিষাক্ত পানি জমিতে ও তুরাগ নদে ফেলছেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ওয়াশিং ও ডাইং কারখানার অসাধু মালিকরা পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই কারখানা পরিচালনা করে আসছেন। আবার কিছু কারখানা মালিক ইটিপি নির্মাণের নামে বছরের পর বছর কালক্ষেপণ করছেন। তবে এসব কারখানার মালিক পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড শিলমুন এলাকায় পদ্মা ওয়াশিং, ইউরো ওয়াশিং, আদি করপোরেশন, এবিএস ওয়াশিং, ক্লাসিক ডেনিম, এমআরটেক্স ডাইং, ডিসকোভারি, লাম মীম ওয়াশিং, মার্স ফ্যাশন, কে এস ফ্যাশন, হোয়াইট ফ্যাশন ডিজাইন, আরিচপুর নদীবন্দর এলাকায় মোহাম্মদীয়া ইয়ার্ন ডাইং রয়েছে। টঙ্গীর মরকুন, শিল্পনগরী বিসিক, আউচপাড়া, গোপালপুর, মিরেরবাজার, পুবাইল, বড়বাড়ী, বোর্ডবাজার, জয়দেবপুর, কোনাবাড়ী বিসিক, কাশিমপুর, সালনাসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াশিং ও ডাইং কারখানার বিষাক্ত তরল বর্জ্য সড়কে প্রবাহিত এবং পরিবেশ দূষণ করছে।

এদিকে শিলমুন স্পেশালাইজড হাসপাতালের অ্যাডমিন ম্যানেজার মো. মামুন বলেন, টঙ্গীসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। এর মধ্যে শিলমুন স্পেশালাইজড হাসপাতালে বর্জ্য শোধনে ইটিপি রয়েছে; যা অন্য কোনো হাসপাতালে নেই। এ বিষয়ে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকের বর্জ্য থেকে বিভিন্ন রোগজীবাণু ছড়ায়। তাই এসব শোধনে ইটিপি থাকা জরুরি। আর বিষাক্ত তরল বর্জ্যরে কারণে একদিকে পরিবেশ দূষণ অন্যদিকে মানব দেহের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, বিষাক্ত তরল ও প্লাস্টিক বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর