গরমে চুলের সমস্যা বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে বহুগুণ বেড়ে যায়। রোদে বেশিক্ষণ থাকার জন্য চুলে সানবার্নের সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়াও রোদের তাপ, ময়লা, অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া- এরকম নানা কারণে চুল সহজেই খারাপ হয়ে যায়। চুল নিস্তেজ ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। চকচকে, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল নিষ্প্রভ হয়ে যায়। গরমে অতিরিক্ত ঘাম হয়। ফলে চুলের গোড়া ঘেমে যায়। অনেকের আবার চুলের গোড়ায় ঘাম জমে গন্ধ হয়। চুলে ঘাম জমার ফলে চুলে সহজেই ময়লা বসে যায়। ঘামও ময়লা মিশে চুল চ্যাটচেটে হয়ে যায়। এর থেকে অনেক সময় স্ক্যাল্পেও ইনফেকশন বা র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। চুল পড়া শুরু হয়। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজন একটু বেশি যত্নের। গরমে কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন, আজকের ফিচারে সেসব জেনে নিন...
হট অয়েল ট্রিটমেন্ট
সপ্তাহে একদিন হট অয়েল ম্যাসাজ করুন। শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে আমন্ড অয়েল বা তিলের তেল সামান্য গরম করে নিন। বাড়িতে এগুলো না থাকলেও চিন্তার কিছু নেই। নারকেল তেলেই হবে। আঙুলের ডগা দিয়ে তেল হালকাভাবে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। ব্লাড সার্কুলেশন ভালো হবে। তারপর তোয়ালে কুসুম গরম জলে ভিজিয়ে নিংড়ে মাথায় পাঁচ মিনিট জড়িয়ে রাখুন। এ পদ্ধতিটা একইভাবে তিন-চারবার ট্রাই করুন। এতে সহজে চুলের গোড়ায় তেল ঢুকবে ও পুষ্টি জোগাবে। চুল নরম ও চকচকে হবে। সব শেষে শ্যাম্পু করে নিন।
শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার
সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শ্যাম্পু করুন। তবে যারা রোজ বাইরে বের হন তারা প্রয়োজনে রোজই শ্যাম্পু করতে পারেন। শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে বলব, মাইল্ড হার্বাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার সময় প্রথমে চুল ভালো করে ভিজিয়ে নিন। তারপর আঙুলের ডগা দিয়ে শ্যাম্পু স্ক্যাল্পে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। শ্যাম্পু করার সময় বেশি করে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নেবেন। গরম পানি নয়, ঠান্ডা পানি দিয়ে সবসময় চুল ধোবেন। আর প্রতিবার শ্যাম্পু করার কন্ডিশনিং কিন্তু মাস্ট। শ্যাম্পু করার পর চুলের মাঝখান থেকে ডগা পর্যন্ত পুরো চুলে ভালো করে কন্ডিশনার লাগাবেন। হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। এক্ষেত্রে কেরাটিন জোজেবা অয়েল, প্রোটিন সমৃদ্ধ বা ইউভি প্রটেকটিভ কন্ডিশনার বেছে নিন। গরম চুলের জন্য আদর্শ। চুল পুষ্টি পাবে। নরম ও মজবুত হবে। কন্ডিশনার লাগানোর দুই মিনিট পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
লেখা : নূরজাহান জেবিন