বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

এখনো রহস্যময় ইস্টার দ্বীপ

এখনো রহস্যময় ইস্টার দ্বীপ

আধুনিক সময়েও ইস্টার দ্বীপের অদ্ভুত ভাস্কর্যের রহস্য ভেদ করা সম্ভব হয়নি। প্রশান্ত মহাসাগরের নির্জন এ দ্বীপটিতে রয়েছে অনেকগুলো ভাস্কর্য। জনবিরল এই দ্বীপে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য পাথরে তৈরি ভাস্কর্য। দ্বীপের চারদিকেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য দানবাকৃতির মূর্তি। কে তৈরি করল মূর্তিগুলো? কেউ জানে না। এই জনবিরল দ্বীপে কেনইবা এসব ভাস্কর্য তৈরি করা হলো, সেটাও অজানা। ইস্টার দ্বীপের মূর্তিগুলো সবই তৈরি হয়েছে বিশাল পাথর কেটে। কিন্তু গবেষকদের প্রশ্ন- এই দ্বীপবাসীরা সেই কৌশল শিখল কিভাবে? পাথরগুলোই তারা বয়ে আনল কিভাবে এবং কোথা থেকে? এসবের উত্তর এখনো খুঁজছে বিশ্লেষকরা।

দ্বীপের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ- সাতটি বৃহদাকার ভাস্কর্য। যাদের আসলে 'নেভল অব দ্য ওয়ার্ল্ড' বলা হয়। দ্বীপটিতে সব মিলিয়ে প্রায় হাজারখানেক ভাস্কর্য রয়েছে। স্থানীয়দের ভাষায় এই ভাস্কর্যগুলোকে বলা হয় মোয়াই। দ্বীপজুড়ে মোয়াই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। একেকটি ভাস্কর্য ১২ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট। কম করে হলেও এসব একেকটি ভাস্কর্যের ওজন ২০ টনেরও বেশি। দ্বীপের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৩২ ফুট। ওজন প্রায় ৯০ টন। আছে পাথরে তৈরি ৮০০টি মূর্তির মাথা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় মাথাটির উচ্চতা ৩২ ফুট এবং ওজন ৯০টন। এ ছাড়া ইস্টার দ্বীপে আছে 'আহু' বলে পরিচিত পাথরের বিশাল বিশাল প্ল্যাটফর্ম। আছে পাথরের তৈরি বিস্ময়কর দেয়াল, পাথরের ঘর ও গুহাচিত্র। পরস্পর সঙ্গতিহীন এসব সৃষ্টি বিস্ময়কে যেন আরও বাড়িয়ে দেয়। ১৭৭২ সালে কোনো এক ইস্টার সানডে উৎসবে অ্যাডমিরাল জ্যাকব রগেউইন দ্বীপটি আবিষ্কার করেন। ডাচ এই অভিযাত্রীই দ্বীপটির নাম দেন 'ইস্টার আইল্যান্ড'। বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিত্ব থর হেয়ারডাল প্রচুর গবেষণা ও খনন কার্যের পর তথ্য দিলেন ৩৮০ খ্রিস্টাব্দে পেরু থেকে কিছু মানুষ এসে এই দ্বীপে বসবাস শুরু করেন। তারা তৈরি করেছিল রাস্তা, মন্দির, মানমন্দির ও সুরঙ্গ পথ। আবার অনেকে মনে করেন, দ্বীপটিতে বাইরের জগৎ থেকে অভিবাসীরা বাস করে গেছে।

ভিন্ন গ্রহের সেই প্রাণীরাই তৈরি করেছে মূর্তিগুলো। অনেকে বলেন, দ্বীপের বাসিন্দারা ছিল প্রাচীন মিসরীয়। ইস্টার আইল্যান্ড বিখ্যাত 'হেরিটেজ সাইট' হিসেবে স্বীকৃত।

 

 

সর্বশেষ খবর