নরওয়ে বেশ কয়েকবারই সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে। এর কারণ একটি দেশকে সুখী দেশ বা নিরাপদ আবাসস্থল বলতে গেলে নরওয়ের বিকল্প নেই-ই বলা চলে। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পর্যাপ্ত খাদ্য আর প্রয়োজন মতো অর্থের জোগান সব মিলিয়ে নরওয়ে হয়ে ওঠেছে সুখী দেশের বিকল্প নাম। অনেকের কাছেই সুখের পরিমাপ হয় একটি সুন্দর বাড়ি, পছন্দের পোশাক, নিজেদের একটি অথবা দুটি গাড়ি, স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করা। নরওয়ের ক্ষেত্রে শান্তির সবটা ছোঁয়া যেন রাষ্ট্রজুড়ে। আর এটা অন্যসব দেশ থেকে নরওয়েকে আলাদা করেছে। ঘরের বাইরে নিশ্চিন্তে চেলাফেরা করার অপার আনন্দ নরওয়ের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। এসব ছাড়াও শিক্ষা, সরকার এবং অর্থনীতি এই তিনটি আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে নরওয়ের তুলনা নরওয়ে নিজেই। এ জন্যই নির্দেশকের ভিত্তিতে নরওয়ে সবচেয়ে সুখী রাষ্ট্রের মুকুট জয় করেছে বারবার। বিভিন্ন গবেষণায় বিশ্বে লুঙ্মেবার্গকে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর জায়গা আর আইসল্যান্ডকে নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়। নরওয়ে কেন সেরা দেশের তালিকার নাম লেখায় তার পেছনে রয়েছে দেশটিতে মাথাপিছু প্রবৃদ্ধি ৫৭ হাজার ডলার। অনেক গবেষণাতেই দেখা গেছে দেশটির জনগণ জীবনযাত্রার মান নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি পেয়ে থাকে। ৯৫ শতাংশ মানুষ তাদের স্বাধীনতা এবং জীবনপ্রবাহ নিয়ে সন্তুষ্টির কথা বলে থাকেন। আর ৭৪ শতাংশ মানুষ একে অপরকে বিশ্বাস করে থাকে। নিজেদের ভেতরে এই বিশ্বাস করার শক্তি এসেছে দীর্ঘদিনের পারস্পরিক শ্রদ্ধা আর সহমর্মিতা থেকে। সহযোগিতা এবং অন্যের মতামতের গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে নরওয়ে। তবে সুখকে যদি আনন্দ আর প্রাচুর্যের মোট হিসেবে টেনে আনা হয় তবু নরওয়ের নাম প্রথমদিকেই থাকবে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী এদেশের জনগণের চাওয়া-পাওয়া হিসাবটাও মিলে যায় সুন্দরভাবে। জীবন নিয়ে এদেশের বেশিরভাগ মানুষই সন্তুষ্ট এমন তথ্যও মিলে গবেষণায়।