বিশ্বকাপ জ্বরে ভুগছে সারা বিশ্ব। এই জ্বর থেকে মুক্ত নয় বাংলাদেশ-ভারত কিংবা এ উপমহাদেশের দেশগুলোও। তবে এই উপমহাদেশের দেশগুলোর ফিফা বিশ্বকাপ বলতে কেবল বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোই। এরপরও ফিফা বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে আছে পাকিস্তান! অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এই মুহূর্তে ২০১ নম্বরে আছে পাকিস্তান। তাই তাদের বিশ্বকাপে খেলার কথা নয়! তারপরও ১৯৯০ সাল থেকে প্রায় প্রতিটি বিশ্বকাপে মাঠে ছিল পাকিস্তান! ম্যারাডোনা থেকে রোমারিও, জিদান থেকে মেসি- কেউই পাকিস্তানের সঙ্গ এড়াতে পারেননি! আসল ব্যাপার হচ্ছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের উত্তরের একটি শহর শিয়ালকোট। আর এই শহরেই তৈরি হয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যবহার করা সব ফুটবল। শিয়ালকোটে তৈরি ফুটবল নিয়েই যুদ্ধে মেতেছিলেন মেসি-রোনালদো-নেইমাররা। শুধু রাশিয়া বিশ্বকাপ নয়, শিয়ালকোট বরাবরই পৃথিবীর ফুটবল তৈরির কারখানা। ১৯৯০ সাল থেকে প্রায় প্রতিটি বিশ্বকাপেই ফুটবল গেছে শিয়ালকোট থেকে। শুধু ফুটবল বিশ্বকাপ নয়, এই মুহূর্তে শিয়ালকোটে বানানো ফুটবলেই খেলা হয় চ্যাম্পিয়নস লিগ, জার্মান বুন্দেসলিগা ও ফরাসি লিগ। সারা পৃথিবীর ৪০ শতাংশ ফুটবলই তৈরি হয় শিয়ালকোটে।
অ্যাডিডাসের কাছ থেকেই এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপের ফুটবল ‘টেলস্টার ১৮’ তৈরির স্বত্ব পেয়েছে পাকিস্তানের ফরওয়ার্ড স্পোর্টস। প্রতি মাসে এই কোম্পানি বানায় ৭ লাখ ফুটবল। ২০১০ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলা হতো হাতে সেলাই করা ফুটবলে। তখনো ফুটবল যেত পাকিস্তান থেকেই।