শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২০

কম্পিউটারের যত গল্প

তানিয়া তুষ্টি
প্রিন্ট ভার্সন
কম্পিউটারের যত গল্প

অবাক তথ্য

- ১৯৪৫ সালে তৈরি হওয়া প্রথম ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটারের ওজন ছিল ২৭ টন। এটি ১৮০০ স্কয়ার ফিট জায়গাজুড়ে থাকত।

 

- ১৯৬৪ সালে প্রথম কম্পিউটার মাউস ডগ এঞ্জেলবার্ট কাঠ দিয়ে বানানো হয়।

 

- প্রতি মাসে ৫ হাজারের ওপরে ভাইরাস তৈরি হয়।

 

- ১৯৭৯ সালে প্রথম হার্ড ডিস্ক তৈরি হয়, যার ধারণ ক্ষমতা ছিল মাত্র ৫ এমবি।

 

- ১৯৮০ সালে তৈরি হয় ১ জিবি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হার্ড ডিস্ক যার মূল্য ছিল ৪০ হাজার ডলার এবং ওজন ছিল ৫৫০ পাউন্ড।

 

- বিশ্বের প্রথম ওয়েব সাইটের নাম ছিল   http://www.symbolics.com

 

- প্রথম জনপ্রিয় ব্রাউজারের নাম মোজাইক।

 

- বিশ্বের মোট মুদ্রার মাত্র ৮ শতাংশ ফিজিক্যাল, বাকি টাকা ভার্চুয়াল।

 

- ১৯৩৬ সালে রাশিয়া প্রথম কম্পিউটার তৈরি করে যেটা চলত পানিতে।

 

- যদি মানুষের মস্তিষ্কের মতো শক্তিশালী কম্পিউটার থাকে তবে এটি প্রতি সেকেন্ডে ৩৮ হাজার ট্রিলিয়ন অপারেশন করতে সক্ষম হবে এবং ৩ হাজার ৫৮০ টেরাবাইটেরও বেশি মেমরি ধারণ করতে সক্ষম হবে।

 

- টানা ৮ বছর ধরে ০০০০০০০০ ছিল মার্কিন নিওক্লিয়ার মিসাইল কন্ট্রোলার কম্পিটারের পাসওয়ার্ড।

 

- ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বরের আগ পর্যন্ত ডোমেইন রেজিট্রেশন ফ্রি ছিল।

 

- ক্রিপার ভাইরাস ছিল প্রথম ভাইরাস যেটি ১৯৭১ সালে বব থমাস দ্বারা তৈরি হয়।

 

অনুপ্রেরণার সেই অ্যাবাকাস

আজকের দিনে সব সমস্যার সমাধান যে কম্পিউটারের কাছে তার সৃষ্টিতে অনুপ্রেরণা হয়েছিল অ্যাবাকাস। অ্যাবাকাস ছিল পাটিগাণিতিক গণনা সম্পাদনের একটি প্রাচীন যন্ত্র, যাতে একটি কাঠের ফ্রেমে বসানো তারে লাগানো গুটি ওপরে নিচে সরিয়ে গণনা করা হয়। ফ্রেমে বসানো একটি তারের ওপর গুটিগুলো বসানো থাকে। তারগুলোর সঙ্গে লম্বভাবে একটি আড়াআড়ি দ- থাকে যা গুটিগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করে। প্রতিটি তার দশমিক ব্যবস্থার একটি ঘর নির্দেশ করে। সবচেয়ে ডানদিকের তারটি হলো এককের ঘর। তার বাম পাশেরটি হলো দশকের ঘর, ইত্যাদি। অনেক প্রাচীন সভ্যতা অ্যাবাকাস ব্যবহার করত। রোমানদের অ্যাবাকাস ছিল  ব্রোঞ্জ নির্মিত লিপিফলক। লিপিফলকটি খাঁজকাটা ছিল। গোলাকৃতির গুটিগুলো গড়িয়ে যেতে পারত। রোমানদের অ্যাবাকাস পরবর্তীকালে মধ্যপ্রাচ্যে এবং দূরপ্রাচ্যে ব্যবহৃত হয়েছে। মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডে অ্যাবাকাসের একটি সরলীকৃত রূপ ব্যবহার করা হতো। দ্বিতীয় শতকে চীন দেশের সাহিত্যে অ্যাবাকাস ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়। কিন্তু ত্রয়োদশ শতাব্দীর আগে চীন দেশে অ্যাবাকাস তেমন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়নি। রোমান অ্যাবাকাস এবং চৈনিক অ্যাবাকাসের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য ছিল। পঞ্চদশ শতাব্দীতে জাপানে অ্যাবাকাসের ব্যবহার শুরু হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে এর একটি উন্নত সংস্করণ প্রচলন হয়। চীন ও জাপানের কিছু কিছু অঞ্চলে এখনো অ্যাবাকাসের প্রচলন আছে।

 

ইতিহাসে প্রথম

প্রথম কম্পিউটার এনিয়াক হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক নিউমেরিক্যাল ইন্টিগ্রেটর অ্যান্ড কম্পিউটারের শর্ট ফর্ম। এর পর থেকেই আকৃতির পরিবর্তন ঘটিয়ে কম্পিউটার প্রজন্মকে এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী একটি পুরোপুরি ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটার নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়। এ উদ্দেশ্যে আধুনিক কম্পিউটারের জনক ভন নিউম্যান, প্রেসপার জুনিয়র এবং হারম্যান গোল্ডস্টেইনের মতো কম্পিউটার মহারথী মুর স্কুল অব ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেন। ৫ লাখ ডলার ব্যয়ে তৈরি করেন এনিয়াক। এর প্রাথমিক নকশা করা হয়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্যালাস্টিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির আর্টিলারি ফায়ারিং টেবিল গণনা করার জন্য। প্রথম গবেষণা ছিল তাপবিদ্যুৎ অস্ত্র নিয়ে। নির্মাণে সময় লাগে ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত। সে বছরের ১০ ডিসেম্বর ব্যবহার শুরু হয়। তারপর এই ৫০ ফুট বাই ৩০ ফুটের ভূ-গর্ভস্থ কক্ষে চল্লিশজন বিজ্ঞানী তিন দেয়ালজুড়ে থাকা এই কম্পিউটার চালাতেন। ১৯৪৬ সালে পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে উৎসর্গ করা হয়। এনিয়াক হয়ে ওঠে অন্যান্য মেকানিক্যাল মেশিনের চেয়ে এক হাজার গুণ দ্রুত গতির। একজন মানুষের ২০ ঘণ্টার কাজকে এনিয়াক ১ ঘণ্টায় করতে পারত। আর সেজন্য এনিয়াকে আরও নতুনত্ব সংযোজনে সমসাময়িক বিজ্ঞানী ও শিল্পপতিদের আগ্রহ ছিল অনেক বেশি। ১৯৮৬ সালের ৬ নভেম্বর স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণে চলে যায়।

 

এখনো বিস্মিত করে শুরুর কথা

কম্পিউটার আবিষ্কারের অনুপ্রেরণা আসে অনেক আগে থেকে। তবে স্ট্রাকচারাল কম্পিউটারের ইতিহাস খুব বেশি পুরনো নয়। এমনকি ১০০ বছরও হয়নি। এরই মধ্যে ঘটেছে আমূল পরিবর্তন। কিন্তু শুরুর কথা এখনো সবার মাঝে বিস্ময় জাগায়। মজার বিষয় হলো, আজকের একটি স্মার্ট ফোন নাসার চন্দ্র অভিযানের অ্যাপোলো-১১ এ ব্যবহৃত কম্পিউটারের চেয়েও ৩ থেকে ৪ হাজার গুণ বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন। আর মেমরি ধারণক্ষমতা বেড়েছে ৪০ লাখ গুণ বেশি! মেমরি হিসেবে ব্যবহার করা হতো বড় বড় টিউব। আর ডাটা স্টোর করা হতো বিশাল সব টেপ ড্রাইভে। তখনকার কম্পিউটারগুলো ছিল বিশাল আকারের। এখন ভাবার বিষয়, ১০০ বছর পরে এই কম্পিউটার প্রযুক্তি যন্ত্রনির্ভর মানব সভ্যতাকে কোথায় নিয়ে যাবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিভিন্ন মিলিটারি কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। ফলে ১৯৪৫ সালের পরে এসে কম্পিউটার গবেষণায় মনোযোগী হয়ে ওঠে দেশগুলো। সেই প্রথম মানুষ বুঝতে পারে তথ্য বা ইনফরমেশন একটি শক্তি।

 

বিবর্তনের ধারা...

উৎকর্ষতার শীর্ষে থাকা প্রযুক্তির অন্যতম ধারক হলো কম্পিউটার। আজকের সুপারফাস্ট মডেলের একটি কম্পিউটার দিয়ে কিনা সম্ভব, জটিল-কঠিন ও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সব বিষয়ের সমাধান হচ্ছে খুব সহজে আর অল্প সময়ে। বলতে গেলে দৈনন্দিন জীবন যাপনের সিংহভাগই নির্ভর করছে কম্পিউটারের ওপর। একদিনেই কম্পিউটার এমন নির্ভরযোগ্য হয়ে ওঠেনি। এই পর্যায়ে আসতে যাত্রা শুরু করেছে প্রাগৈতিহাসিক যুগে। তখন গণনার যন্ত্র হিসেবে উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে কম্পিউটারের ইতিহাস হিসেবে ধরা হয়। প্রাচীন কালে মানুষ একসময় সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি পাথর, দড়ির গিঁট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তীতে গণনার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাসকে কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিস্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যবিলনে। সূচনা পর্বে অ্যাবাকাস ছিল শুধু একটি গণনা যন্ত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০ অথবা ৫০০ অব্দে মিসরে বা চীনে গণনা যন্ত্র অ্যাবাকাস তৈরি হয়। ১৬৪২ সালে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করত সেই ক্যালকুলেটর। ১৬৭১ সালের জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিজ প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে চাকা ও দ- ব্যবহার করে গুণ ও ভাগের ক্ষমতাসম্পন্ন আরও উন্নত রিকোনিং নামের যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তৈরি করেন। পরে ১৮২০ সালে টমাস ডি কোমার রিকোনিং যন্ত্রের পরিমার্জন করে লিবনিজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এরপর ১৯৪৫ সালে পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার এনিয়াক আসে। এটিই প্রথম প্রোগ্রাম ঢুকানোর মতো ডিজিটাল কম্পিউটার। তবে এনিয়াকের ধারণা আসে ১৮৩৩ সালে চার্লস ব্যাবেজের আবিষ্কৃত ডিফারেন্স ইঞ্জিন থেকে।

কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিংয়ের প্রথমে তাত্ত্বিক ও পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে। বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবনের ফলে মাইক্রোকম্পিউটারের দ্রুত বিকাশ ঘটতে থাকে। বাজারে প্রচলিত হয় বিভিন্ন প্রকৃতি ও আকারের কম মূল্যের অনেক রকম পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি।

 

সর্বক্ষেত্রে সবার আগে

মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে কম্পিউটার। সেজন্য কম্পিউটার কী কাজে ব্যবহার হয় তার উত্তর না খুঁজে কোথায় ব্যবহার হয় না তার উত্তর খোঁজা হয়তো সহজ। বর্তমানে কম্পিউটার ছাড়া উন্নত ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন, গবেষণা, টেলিযোগাযোগ, প্রকাশনা কল্পনা করা যায় না। মূলত মানুষ তার কাজের উন্নয়নের জন্য কম্পিউটারকে কাজে লাগায়। যেমন অফিস ব্যবস্থাপনা, শিল্প ক্ষেত্রে, মুদ্রণ শিল্পে, যোগাযোগ ব্যবস্থায়, চিকিৎসা ক্ষেত্রে, গবেষণায়, ব্যাংকিং খাতে, আদালত, সামরিক ক্ষেত্রে, অর্থবাজারে, কৃষি ক্ষেত্রে, সংস্কৃতি ও বিনোদনে, তথ্য পরিসংখ্যানে, ডিজাইনে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এক কথায় কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় সর্বত্র। পড়ার টেবিল থেকে ভিডিও লাইব্রেরি, অফিস, ডিপার্টমেন্ট সেন্টার ও হোটেল থেকে শুরু করে সর্ব ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার দিনকে দিন অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়ে চলেছে।

 

দামি কম্পিউটার এমজে

বিশ্বের সবচেয়ে দামি কম্পিউটার এমজের সরোভস্কি এবং ডায়মন্ড স্টুডেড নোটবুক। ইউক্রেনীয় আর্ট স্টুডিও এমজে বিলাসবহুল গেজেট পাগলদের জন্য অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত একটি ল্যাপটপ এনেছে বাজারে। এটিকে তারা সাজিয়েছে হীরার টুকরো আর স্বর্ণ দিয়ে। এর দাম হাঁকানো হয়েছে ৩.৫ মিলিয়ন ডলার। এই পর্যন্ত বাজারে আসা সবচেয়ে দামি কম্পিউটার এটি। বাজারে থাকা অন্যান্য দামি ব্র্যান্ড আসুস, ল্যাম্বারগিনি প্লাটিনাম ক্রোকোডাইল, এসিয়ার ফেরারি গোল্ড পাইথন, সনি ভাইয়ো ব্ল্যাক উড, আসুস এপেক ভিআইপি সরোভস্কি শ্রেণির ধরা হয়। বিলাসবহুল ল্যাপটপের কিছু অংশে যুক্ত হয়েছে সাপ আর কুমিরের চামড়া, সোনার মাউসসহ আরও অনেককিছু।

 

প্রথম ইন্টারনেট সংযোগ

১৯৬৮ সালে শুরু হয় প্রথম ইন্টারনেট প্রজেক্ট। এই প্রজেক্টের প্রাথমিক পর্যায়ে নাম ছিল Arpanet, এটি শুরু হয় আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্য ছিল সামরিক বাহিনী ও সরকারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদান করা। Arpanet network সিস্টেম পরবর্তীতে Internet নাম ধারণ করে বিশ্বের একমাত্র আধিপত্য স্থাপন করে চলেছে। ১৯৬৯ সালে ২১ নভেম্বর (Interface message processor) IMP এর সহায়তায় দূরবর্তী ২টি কম্পিউটারের মধ্যে প্রথম যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। IPM # ১ কম্পিউটারটির অবস্থান ছিল লস এঞ্জেলসে এবং IPM # ২ কম্পিউটারটির অবস্থান ছিল ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কের Stanford Research Institute-G।

 

প্রজন্মে প্রজন্মে অনেক তফাত

১৯৪২ থেকে ১৯৫৫ সালের মধ্যে যেসব কম্পিউটার তৈরি হয়েছে, সেগুলোকে বলা হয় প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার। এগুলোর মূল যন্ত্রাংশ ছিল ভ্যাকুয়াম টিউব। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে এসব কম্পিউটারের নানা সুবিধা থাকলেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এগুলোর কিছু অসুবিধাও ছিল। ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে যেসব কম্পিউটার পাওয়া যেত সেগুলোকে বলা হতো দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার। এগুলো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ভ্যাকুয়াম টিউবের বদলে ট্রানজিস্টর লাগানো হয়। এই কম্পিউটারগুলোর যন্ত্রাংশ ছিল আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট। এরপর এলো তৃতীয় প্রজন্ম। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৫ সালে এগুলো বাজারে এলো। বিবর্তনের পথ ধরেই নিরন্তর গবেষণার মধ্য দিয়ে আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাল তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে। তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে জায়গা নিল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি), যা সাধারণত সিলিকনের একটি মাত্র টুকরোর ওপরে তৈরি অতি ক্ষুদ্র স্থানে সীমাবদ্ধ বিদ্যুৎ সঞ্চালন চক্র। যে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আইসির এই ব্যবহার, তার নাম দেওয়া হয় লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশন (এলএসআই) টেকনোলজি। ১৯৭৫ ও তার পরবর্তী সময় তৃতীয় প্রজন্মের এলএসআই প্রযুক্তির বদলে চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহার করা হলো ভেরি লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশন টেকনোলজি বা ভিএসএলআই প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির ভিত্তিতে কম্পিউটারে বসানো হলো মাইক্রো প্রসেসর। স্বভাবতই এর ব্যবহারিক সুবিধা বেড়ে গেল অনেক গুণ। উৎপাদন ব্যয় অনেকটা কমে এলো। তথ্য বিন্যাস সহজ হলো, স্মৃতিশক্তি খুব জোরালো হলো এবং এগুলো আকারে বেশ ছোট করা হলো। বিদ্যুৎ খরচ কমে এলো অনেক। এখন পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার তৈরির কাজে ব্যস্ত, চলছে আরও উন্নত ও পরিমার্জিত প্রযুক্তি উদ্ভাবনের গবেষণা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে অপটিক ফাইবার প্রযুক্তির প্রয়োগ।

 

রকমফের

গঠন ও প্রচলন নীতির ভিত্তিতে কম্পিউটারকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। অ্যানালগ, ডিজিটাল ও হাইব্রিড কম্পিউটার। আকার, সামর্থ্য, দাম ও ব্যবহারের গুরুত্বের ভেদে ডিজিটাল কম্পিউটারকে আবার ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। ১. মাইক্রো, ২. মিনি, ৩. মেইনফ্রেম ও ৪. সুপার কম্পিউটার। মাইক্রো কম্পিউটারগুলোরও আছে ২টি ভাগ। যেমন-ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ। এনালগ কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে। এটি উষ্ণতা বা অন্যান্য পরিমাপ যা নিয়মিত পরিবর্তিত হয় তা রেকর্ড করতে পারে। অপরদিকে ডিজিটাল কম্পিউটার দুই ধরনের বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ দ্বারা সব কিছু প্রকাশ করা হয়। এটি যে কোনো গণিতের যোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। এদিকে হাইব্রিড কম্পিউটার এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলেও অভিহিত করা হয়। এতে ইন্টারফেস চিপ, একটি মাইক্রোপ্রসেসর, সিপিইউ, র‌্যাম, রম, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি থাকে। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে এ কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়। অপরদিকে মিনি কম্পিউটার টার্মিনালে লাগিয়ে প্রায় এক সঙ্গে অর্ধ শতাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে। মেইনফ্রেম কম্পিউটারগুলো গুরুত্বপূর্ণ ও বড় অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহার করে, যেমন জনসংখ্যা, শিল্প এবং ভোক্তা পরিসংখ্যান, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স পরিকল্পনা এবং লেনদেন প্রক্রিয়াজাতকরণ। অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে। এটির গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর। কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্থাপনায় এটি ব্যবহার হয়। বর্তমানে এক ধরনের মাইক্রো কম্পিউটার হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ট্যাবলেট কম্পিউটার। এটি টাচস্ক্রিন সংবলিত প্রযুক্তি। এটি এনড্রয়েড এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলে।

 

বৈপ্লবিক পরিবর্তন

আজ কম্পিউটার বলতে যে যন্ত্রটির চেহারা চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তা প্রযুক্তিগত বিবর্তনের দীর্ঘ পথ অতিক্রমের ফসল। এই বিবর্তনে একের পর এক যোগ হয়েছে- অ্যাবাকাস, প্যাসকালের যান্ত্রিক গণক,  চার্লস ব্যাবেজের ডিফারেন্সিয়াল ইঞ্জিন,  বৈদ্যুতিক সংখ্যা গণক বা ইলেক্ট্রনিক নিউমেরিক ইন্টিগ্রেটর অ্যান্ড ক্যালকুলেটর, সর্বজনীন স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার বা ইউনির্ভাসাল অটোমেটিক কম্পিউটার। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সাল থেকে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে নানা ধাপ পেরিয়ে কম্পিউটার ও তার প্রযুক্তি অগ্রগতি অব্যাহত। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেল করপোরেশন ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবন করার পর বাজারে আসতে শুরু করে মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক কম্পিউটার। তখন থেকে কম্পিউটারের আকৃতি ও কার্যক্ষমতায় এক বিরাট বিপ্লব সাধিত হয়। ১৯৮১ সালে বাজারে আসে আই বি এম কোম্পানির পারসোনাল কম্পিউটার বা পিসি। এর পর একের পর এক উদ্ভাবিত হতে থাকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোপ্রসেসর এবং তৈরি হতে থাকে শক্তিশালী পিসি।

 

সুবিধা-অসুবিধার হিসাব-নিকাশ

দ্রুত গতিতে বিশাল পরিমাণ তথ্য প্রস্তুত করতে কম্পিউটারের জুড়ি নেই। মানুষের বিভিন্ন কাজে নির্ভুলভাবে সাফল্য এনে দিয়েছে কম্পিউটার। সুতরাং বলাই যায় কম্পিউটার আমাদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। কম্পিউটারের মাধ্যমে আপনি যে কোনো তথ্য মুহূর্তেই খুঁজে পেতে পারেন। কম্পিউটারের সুবিধা-অসুবিধা আলোচনার ক্ষেত্রে সুবিধার একটি বড় অংশ হলো ইন্টারনেট। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি স্থানের সঙ্গে যোগসূত্রে আবদ্ধ হতে পারবেন। কম্পিউটারের আরেকটি সুবিধা মাল্টিমিডিয়া ডিভাইস। এতে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারি যেমন- গান শোনা, গেমস খেলা ইত্যাদি। কম্পিউটারে প্রচুর পরিমাণ তথ্য জমা রাখা যায়। বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষ অনলাইন বাণিজ্যের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। বিশ্বে ৫০ শতাংশ মানুষ এখন ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষাগত জ্ঞান অর্জন করে। তবে কম্পিউটার ব্যবহারে সমাজে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যেমন- দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহার করলে চোখের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কম্পিউটারের নষ্ট পার্টগুলো থেকে বিষাক্ত উপাদান পরিবেশে ছড়াতে পারে। অনেক মানুষ গেম খেলতে ও সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘসময় চ্যাট করার জন্য সময় ও শক্তি অপচয় করে থাকেন। অনেকে আছেন, যারা নেতিবাচক কাজকর্মের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন। তারা জনগণের ক্রেডিট কার্ডের নম্বরগুলো হ্যাক করে নেয়। আবার অনেক সময় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য চুরি করে তাদের বিপাকে ফেলে দেয়। কম্পিউটারের অন্যতম আবিষ্কার রোবটের ব্যবহারে সমাজে বেকারত্ব বাড়ছে।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
ইরানের সেকাল-একাল
ইরানের সেকাল-একাল
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
সর্বশেষ খবর
এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু
এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

সিরাজদীখানে জমির বিরোধে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
সিরাজদীখানে জমির বিরোধে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টানা বৃষ্টির প্রভাব রাজধানীর বাজারে
টানা বৃষ্টির প্রভাব রাজধানীর বাজারে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়ায় গেন্ডারিয়ায় শিক্ষার্থীর 'আত্মহত্যা'
এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়ায় গেন্ডারিয়ায় শিক্ষার্থীর 'আত্মহত্যা'

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেরাটনে কোস্টাল কার্নিভাল
শেরাটনে কোস্টাল কার্নিভাল

৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের
ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাকে মারধর করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল স্বজনরা
মাকে মারধর করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল স্বজনরা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক শিক্ষার্থীদের দুই দফা দাবি
চমেক শিক্ষার্থীদের দুই দফা দাবি

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুর কারাগার থেকে পালিয়ে আসা হাজতি নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার
শেরপুর কারাগার থেকে পালিয়ে আসা হাজতি নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুকসুদপুরে দাখিল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় আত্মহত্যা
মুকসুদপুরে দাখিল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় আত্মহত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুশইনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে : বিজিবি মহাপরিচালক
পুশইনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে : বিজিবি মহাপরিচালক

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ শিক্ষকের ৫ পরীক্ষার্থী, পাস করেছে মাত্র একজন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ শিক্ষকের ৫ পরীক্ষার্থী, পাস করেছে মাত্র একজন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পটুয়াখালীর চারটি স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় পাস শূন্য
পটুয়াখালীর চারটি স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় পাস শূন্য

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপির সাবেক সেক্রেটারিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী খালাস
বিএনপির সাবেক সেক্রেটারিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী খালাস

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২
মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেনাপোল দিয়ে উপহারের আম গেল ভারতে
বেনাপোল দিয়ে উপহারের আম গেল ভারতে

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫
একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলা বন্দরে গত অর্থবছরে সকল লক্ষমাত্রায়ই সাফল্য
মোংলা বন্দরে গত অর্থবছরে সকল লক্ষমাত্রায়ই সাফল্য

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কুলাউড়ায় বর্জ্য অপসারণে পৌরসভা-ব্যবসায়ীদের সভা
কুলাউড়ায় বর্জ্য অপসারণে পৌরসভা-ব্যবসায়ীদের সভা

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

খুবিতে ‘ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চ’ 
বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
খুবিতে ‘ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চ’  বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ: পাসের হার ৬৮.৪৫, যেভাবে জানবেন ফলাফল
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ: পাসের হার ৬৮.৪৫, যেভাবে জানবেন ফলাফল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথি
আরও একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন
জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই সপ্তাহ তেল ছাড়া খাবার খেলেই শরীরে দেখা দেবে যেসব পরিবর্তন
দুই সপ্তাহ তেল ছাড়া খাবার খেলেই শরীরে দেখা দেবে যেসব পরিবর্তন

১৮ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বন্যায় তিন বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
বন্যায় তিন বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়
পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সেপটিক ট্যাংক থেকে ৪ তরুণের মরদেহ উদ্ধার
সেপটিক ট্যাংক থেকে ৪ তরুণের মরদেহ উদ্ধার

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি সামরিক বহরে কাসাম বিগ্রেডের হামলা
ইসরায়েলি সামরিক বহরে কাসাম বিগ্রেডের হামলা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!
ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসরায়েলবিরোধী মন্তব্যে জাতিসংঘ দূতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইসরায়েলবিরোধী মন্তব্যে জাতিসংঘ দূতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপকে টক্কর দিতে আসছে বিটচ্যাট, চলবে ইন্টারনেট ছাড়াই
হোয়াটসঅ্যাপকে টক্কর দিতে আসছে বিটচ্যাট, চলবে ইন্টারনেট ছাড়াই

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল
পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যে সাত অঞ্চলে
দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যে সাত অঞ্চলে

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস
ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর
ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় আধুনিক ‘বন্দিশিবির’ গড়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের
গাজায় আধুনিক ‘বন্দিশিবির’ গড়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেসির রেকর্ড গড়া রাতে জয় পেল ইন্টার মায়ামি
মেসির রেকর্ড গড়া রাতে জয় পেল ইন্টার মায়ামি

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন
পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মতিঝিল আইডিয়ালে পাসের হার ৯৭.৯৫ শতাংশ
মতিঝিল আইডিয়ালে পাসের হার ৯৭.৯৫ শতাংশ

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

শুল্ক প্রত্যাহারে এখনো আশাবাদী বাংলাদেশ
শুল্ক প্রত্যাহারে এখনো আশাবাদী বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন

সম্পাদকীয়

নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি

সম্পাদকীয়

পালিয়ে গেছে দস্যি ছেলে
পালিয়ে গেছে দস্যি ছেলে

ডাংগুলি