শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৮ জুলাই, ২০২০ আপডেট:

ভারতের মুসলিম রাষ্ট্রপতি

তানভীর আহমেদ
প্রিন্ট ভার্সন
ভারতের মুসলিম রাষ্ট্রপতি

জাকির হোসেন

তার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে রেখেছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি জাকির হোসেন। তাঁর জন্ম ১৮৯৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। সে সময়ের হায়দরাবাদ রাজ্যের এক পশতু পরিবারে তিনি বেড়ে উঠেছেন। তার বাবা ফিদা হোসেন খান ও মা নাজনীন বেগম। জাকির হোসেনের জন্মের পর তার পরিবার হায়দরাবাদ ছেড়ে উত্তর প্রদেশের ফারুখাবাদ জেলার কায়েমগঞ্জ এলাকায় বসবাস শুরু করেন। পারিবারিকভাবে বেশ সুখ্যাতি ছিল। জাকির হোসেনের বড়ভাই ইউসুফ  হোসেন ছিলেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ। তার নাতি সালমান খুরশিদ একজন প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা। তার ভাইপো আনোয়ার হোসেন পাকিস্তান টেলিভিশনের পরিচালক হয়েছিলেন। ১০ বছর বয়সে বাবা ও ১৪ বছর বয়সে তাঁর মা মারা যান। ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত ইতাওয়া ইসলামিয়ায় মওলানা বাশিরউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে আরবি, ফার্সি, উর্দু, ইংরেজি ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ১৫ বছর বয়সে আলিগড় মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল (এমএকিউ) কলেজে ভর্তি হন। প্রথমে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও পরে ইংরেজি, দর্শন ও অর্থশাস্ত্র বিষয়ে স্নাতক হন। ভালো বৃত্তি নিয়ে আইনশাস্ত্রে এমএ করার সময় আলিগড়ে খন্ডকালীন প্রভাষকের চাকরি পেয়ে যান। ১৯২৬ সালে তিনি জার্মানি যান এবং ইউনিভার্সিটি অব বার্লিন থেকে ইকোনমিক্সে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। জাকির হোসেন মাত্র ২৩ বছর বয়সে কয়েকজন ছাত্র ও শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে ১৯২০ সালের ২৩ অক্টোবর  আলিগড়ে ন্যাশনাল মুসলিম ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে সেটি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে। তিনি জার্মানির ফ্রেডারিক উইলিয়ামস বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে থাকেন। সেখান থেকে ইকোনমিক্সে পিএইচডি লাভ করেন। ১৯২৭ সালে জাকির হোসেন জার্মানি থেকে ভারতে ফিরে আসেন। পরবর্তী ২১ বছর তিনি শিক্ষাগত ও প্রশাসনিক দুদিক থেকেই তাঁর প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন। এটি ভারতীয় স্বাধীনতা-সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মুসলিম অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজই পরে আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হলে ওই সালেই তাঁকে ভারতের রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ১৯৫৭ সালে বিহার রাজ্যের রাজ্যপাল নিযুক্ত হলে তাঁর এই পদ খালি হয়। এরপর তিনি বিহার রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন ১৯৫৭ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য। ভারতের দ্বিতীয় উপ-রাষ্ট্রপতি পদে নিযুক্ত হন ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ সাল- এই পাঁচ বছরের জন্য। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১৯৬৭ সালের ১৩ মে তিনি ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদও ছিল পাঁচ বছর। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত। সে সময়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বরাহগিরি ভেঙ্কট গিরি। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, পুরো ভারতবর্ষই তাঁর নিজের দেশ ও প্রতিটি ভারতবাসীই তাঁর পরিবার। ড. জাকির  হেসেনের মৃত্যু হয় ১৯৬৯ সালের ৩ মে। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি ভারতীয় প্রেসিডেন্ট কর্মরত অবস্থায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মারা যান। তাকে এবং আরও কয়েক বছর পরে তাঁর স্ত্রীকে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ক্যাম্পাসে কবর দেওয়া হয়।

তাঁর সম্মানার্থে ১৯৭০ সালে ইলিয়ানগুড়িতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নামকরণও ড. জাকির হোসেনের নামে হয়। জীবিতকালে ১৯৫৪ সালে জাকির  হোসেনকে ভারতের সম্মানজনক উপাধি ‘পদ্মবিভূষণ’ দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এরপর ১৯৬৩ সালে তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মাননা ‘ভারতরতœ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

 

বিচারপতি মোহাম্মাদ হিদায়াতুল্লাহ

ভারতের প্রধান বিচারপতি, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন

মোহাম্মাদ হিদায়াতুল্লাহ ছিলেন ভারতের ১১তম প্রধান বিচারপতি। এরপর তিনি দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৩১ আগস্ট ১৯৭৯ থেকে ৩০ আগস্ট ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই থেকে ১৯৬৯ সালের ২৪ আগস্ট ও ৬ অক্টোবর ১৯৮২ থেকে ৩১ অক্টোবর ১৯৮২ পর্যন্ত তিনি ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একজন খ্যাতনামা ও বিজ্ঞ বিচারক হিসেবে তিনি এই উপমহাদেশে শ্রদ্ধেয়। শিক্ষাবিদ ও লেখক হিসেবেও তিনি সমান খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর জন্ম ১৯০৫ সালে। সম্ভ্রান্ত খান বাহাদুর হাফিজ মোহাম্মদ ইল্লায়াতুল্লাহ পরিবারের সন্তান তিনি। তাঁর দাদা ছিলেন বারানসির বিখ্যাত আইনজীবী মুন্সি কুদরাতুল্লাহ।  মোহাম্মাদ হিদায়াতুল্লাহর বাবা বিখ্যাত কবি হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। তিনি উর্দুতে কবিতা লিখে গোটা ভারতবর্ষে খ্যাতি লাভ করেন। বাবার সূত্র ধরেই কবিতা, উর্দু সাহিত্যে আগ্রহী হয়ে উঠেন মোহাম্মদ হিদায়াতুল্লাহ। তার দাদা আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেছিলেন। তার বড় ভাই মোহাম্মদ ইকরামুল্লাহ ও আহমেদুল্লাহ দুজনই ছিলেন মেধাবী শিক্ষাবিদ। ১৯২২ সালে মোহাম্মদ হিদায়াতুল্লাহ রায়পুর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন সম্পন্ন করেন। ১৯২৬ সালে তিনি গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। সে সময় তিনি মেধাগুণে মালেক গোল্ড মেডেল পেয়েছিলেন। ব্রিটিশ আইন নিয়ে পড়াশোনায় তখন দেশের সেরা মেধাবীরা সুযোগ পেতেন। মোহাম্মদ হিদায়াতুল্লাহ সে পথেই হাঁটেন। ট্রিনিটি কলেজ ও ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ থেকে যথাক্রমে বিএ ও এমএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। উচ্চশিক্ষায় তিনি ছিলেন অনুকরণীয় একজন। মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন তিনি। এই অসামান্য অর্জনে যোগ হয় আরও একটি স্বর্ণ পদক। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই তিনি লিংকন্স ইন বারে ডাক পান। এরপর এলএলডি, ডি.লিট ছাড়াও বেশ কয়েকটি সর্বোচ্চ শিক্ষা সম্মাননায় ভূষিত হন। ১৯৩০ সালে তিনি ব্যারিস্টার-ইন-ল সম্পন্ন করেন। গ্রাজুয়েশন শেষ করে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৩০ সালে নাগপুরে কেন্দ্রীয় হাই কোর্টে অ্যাডভোকেট হিসাবে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়। আইন ও ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবেও তিনি খ্যাতি কুড়ান। দুর্দান্ত ও বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি ১৯৪৬ সালে অ্যাডিশনাল জজ হিসেবে হাই কোর্টে নিয়োগ পান। ভারতের মধ্যপ্রদেশের সবচেয়ে তরুণ অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে তিনি সবার নজর কাড়েন। পরবর্তীতে তিনি হাই কোর্টের সবচেয়ে তরুণ প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। দুই বছর পর তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। প্রায় ১০ বছর নিষ্ঠা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পর ১৯৬৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম মুসলিম প্রধান বিচারপতি। ১৯৭০ সালে তিনি এ সর্বোচ্চ পদ থেকে অবসরে যান। ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাকির হুসেইন মৃত্যুবরণ করেন। সে সময় ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন ভি ভি গিরি। গিরি প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট দুই পদ থেকেই সরে যাওয়ার আবেদন করলে মোহাম্মদ হিদায়াতুল্লাহ ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরে গেলে ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ হিদায়াতুল্লাহ ১৯৮২ সালের ৬ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর সময়কালেও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সে সময় দেশটির রাষ্ট্রপতি  চিকিৎসার প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে গেলে মোহাম্মদ হিদায়াতুল্লাহ দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে গুরুভার পালন করেন। ভারতের ইতিহাসে তিনি একমাত্র ব্যক্তিত্ব যিনি ভারতের প্রধান বিচারপতি, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন। মোহাম্মদ হিদায়াতুল্লাহ একাধিক ভাষায় দক্ষ ছিলেন। হিন্দি, ইংরেজি, উর্দু, ফার্সি, বাংলা ও সংস্কৃত সব ভাষাতেই তার গভীর আগ্রহ ও জ্ঞান ছিল। তিনি ভারতের একাধিক সাংবিধানিক শীর্ষপদে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। তার লেখা বহু গ্রন্থ দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও জ্ঞানভান্ডার বলে স্বীকৃতি লাভ করে। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সম্মাননা লাভ করেন তিনি। ১৯৯২ সালে তিনি ভারতের বর্তমান মুম্বাই শহরে মৃত্যুবরণ করেন।

 

ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ

ব্রিটিশবিরোধী ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে গ্রেফতার হন, জেল খাটেন সাড়ে তিন বছর

১৯৭৫ সালে যুগোস্লাভিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফরকালে তাঁকে কসোভোর প্রিস্টিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট উপাধি দেওয়া হয়। আসামের বারপেতা এলাকায় ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ মেডিকেল কলেজ নামে একটি মেডিকেল কলেজের নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৭৭ সালে ভারত সরকার তাঁর স্মরণে স্মারক ডাকটিকিটের প্রবর্তন করে।

 

ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত আইনজ্ঞ ও রাজনীতিবিদ। তিনি ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই সাংবিধানিক পদের গুরুভার পালন করেন। পুরনো দিল্লির কাজী পাড়ায় ১৯০৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা কর্নেল জালনুর আলি আহমেদ দিল্লিতে বসবাস করলেও তিনি আসাম রাজ্যের লোক ছিলেন। তিনিই প্রথম আসামের অধিবাসী যিনি, সারা উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্য থেকে প্রথম ডাক্তারি ডিগ্রি (এমডি) অর্জন করেছিলেন। ফখরুদ্দিনের মা সাহিবজাদী রুকাইয়া সুলতান লোহারুর নবাবের কন্যা ছিলেন। তার দাদা খলিলুদ্দিন আলি আহমেদ আসামের গোলাঘাট পার্শ্ববর্তী কাছারিঘাটের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সদস্য ছিলেন। পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিলেন তিনি। দিল্লির বোন্দা হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। দিল্লির সরকারি হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে ও পরে কেমব্রিজের সেন্ট ক্যাথরিন কলেজে পড়াশোনা করেন। এরপর তাকে লন্ডনের ইনার টেম্পল থেকে ‘বার’-এর জন্য ডাকা হয়। তিনি ব্যারিস্টার হন। তার ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯২৮ সালে। দেশে ফিরে তিনি অবিভক্ত ভারতের লাহোর হাই কোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন। লন্ডনে থাকাকালে তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯২৫ সালে কংগ্রেসে নেতা জওহরলাল নেহরুর তাঁর সঙ্গে পরিচয় ও পরে বন্ধুত্ব হয়। নেহরুর চিন্তা-ভাবনায় উৎসাহিত হয়ে তিনি রাজনীতির সঙ্গে যোগ দেন। এরপর তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯৪২ সালে ব্রিটিশবিরোধী ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। প্রায় সাড়ে তিন বছরের কারাজীবন কাটে তার। ১৯৩৬ সালে তিনি আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য নিযুক্ত হন। ১৯৩৮ সালের গোপীনাথ বড়দলুই মন্ত্রিসভায় তিনি অর্থ, রাজস্ব ও শ্রমমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত সর্বভারতীয় কংগ্রেস দলের সদস্য ছিলেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫২-৫৩ সালের মধ্যে ফখরুদ্দিন রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি আসাম প্রদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা পদে নিযুক্ত হন। তিনি কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী এলাকা থেকে ১৯৫৭ থেকে ১৯৬২ এবং ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ সালে নির্বাচন করে এই দুই মেয়াদে আসামের বিধান সভার সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর আসামের বারপেতা নির্বাচনী এলাকা থেকে ১৯৬৭ সাল ও ১৯৭২ সাল এই দুবারেই তিনি পার্লামেন্টে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালের ২০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাকে রাষ্ট্রপতি পদে নিযুক্ত করেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে তিনিই হলেন দ্বিতীয় মুসলমান ব্যক্তি, যিনি পঞ্চম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকার ও আলোচনার পর তিনি ভারতবর্ষে জরুরি অবস্থা ঘোষণা সংক্রান্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন। ১৯৭৫ সালের সেই জরুরি অবস্থা ঘোষণার মাধ্যমে তিনি সারা দেশে রাষ্ট্রপতির শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৭৭ সালের ১১  ফেব্রুয়ারি নামাজ পড়তে যাওয়ার আয়োজন করার সময় হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। তিনি ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি যিনি তাঁর অফিসের কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মারা যান। ১৯৭৫ সালে যুগোস্লাভিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফরকালে তাকে কসোভোর প্রিস্টিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট উপাধি দেওয়া হয়। আসামের বারপেতা এলাকায় ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ মেডিকেল কলেজ নামে একটি মেডিকেল কলেজের নামকরণ করা হয়েছে।

 

এ পি জে আবদুল কালাম

ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ চালিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন ভারতের মিসাইল ম্যান

১৯৯৮ সালে পোখরান পরমাণু বিস্ফোরণ পরীক্ষার অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। পড়াশোনার জন্য একবারই শুধু গিয়েছিলেন বিদেশে, ১৯৬৩-৬৪ সালে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসায়। বঙ্গোপসাগরে দুই দশক ধরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ পরীক্ষা চালিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন ভারতের মিসাইল-ম্যান

 

ভারতের মিসাইল-ম্যান খ্যাত বিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালাম। ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০০২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দেশের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানীদের একজন বিবেচিত হতেন তিনি। পরমাণু গবেষণায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা ছিল। তামিলনাড়–র রামেশ্বরমে এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আবুল পকির জয়নুল আবদিন আবদুল কালাম। বাবা জয়নুল আবদিন ছিলেন এক সাধারণ মৎস্যজীবী। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই রোজগারের তাগিদে খবরের কাগজ বিক্রি করতে হতো আবদুল কালামকে। স্কুল পাশ করে কলেজে পড়ার জন্য একটা বৃত্তি পান তিনি। ভর্তি হন তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ কলেজে। ১৯৫৪ সালে সেখান থেকেই পদার্থবিদ্যায় স্নাতক করেন। তারপর ফের স্কলারশিপ নিয়ে  চেন্নাইয়ে পড়তে শুরু করেন এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং। তাঁর স্বপ্ন ছিল ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাইলট হবেন। তাঁর ক্লাসের প্রথম আটজনকে বিমানবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল। আবদুল কালাম হয়েছিলেন নবম। তাই তাঁর যুদ্ধবিমানের পাইলট হয়ে ওঠা হয়নি। ১৯৯৮ সালে পোখরান পরমাণু বিস্ফোরণ পরীক্ষার অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। পড়াশোনার জন্য একবারই শুধু গিয়েছিলেন বিদেশে, ১৯৬৩-৬৪ সালে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসায়। বঙ্গোপসাগরে দু’দশক ধরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ পরীক্ষা চালিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন ভারতের মিসাইল ম্যান। রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে ছিলেন ডিআরডিও, ইসরোয়। ২০০২ সালে ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি। রাষ্ট্রপতি ভবনে ছিলেন ২০০৭ সাল পর্যন্ত। তাঁর সময়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের দরজা সর্বসাধারণ, বিশেষ করে শিশুদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার ফিরে যান পড়াশোনার জগতে।

শিলং, ইন্দোর ও আমদাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, তিরুঅনন্তপুরমের ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা  কেন্দ্র, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে পড়াতেন। এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মঞ্চেই বক্তৃতা দিতে দিতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এ পি জে আবদুল কালামকে ‘মিসাইল ম্যান’ বলে ডাকা হয়। ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণসহ পেয়েছেন অসংখ্য সম্মান। লিখেছেন অসংখ্য বই। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- উইংস অফ ফায়ার, ইগনাইটেড মাইন্ড, টার্নিং পয়েন্ট প্রভৃতি।

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
সর্বশেষ খবর
পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময় দিবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময় দিবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

১ সেকেন্ড আগে | ক্যাম্পাস

মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে নতুন যে তথ্য দিল র‌্যাব
মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে নতুন যে তথ্য দিল র‌্যাব

১২ মিনিট আগে | নগর জীবন

সিরিয়ায় জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭
সিরিয়ায় জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, ৭ নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, ৭ নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

রংপুরে জামায়াতের জনসভা আজ
রংপুরে জামায়াতের জনসভা আজ

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

ফিনল্যান্ডে ছুরিকাঘাতে আহত ৪, গ্রেফতার ১
ফিনল্যান্ডে ছুরিকাঘাতে আহত ৪, গ্রেফতার ১

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি
কুমিল্লায় বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি

৪৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

প্রতিদিন ৪০ আত্মহত্যা: চামড়া ও চেহারার যুদ্ধ দক্ষিণ কোরিয়ায়
প্রতিদিন ৪০ আত্মহত্যা: চামড়া ও চেহারার যুদ্ধ দক্ষিণ কোরিয়ায়

৫৩ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

রাজধানীতে ক্রমাগত বাড়ছে সবজির দাম
রাজধানীতে ক্রমাগত বাড়ছে সবজির দাম

৫৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

ডেঙ্গুর পাশাপাশি বাড়ছে করোনা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ
ডেঙ্গুর পাশাপাশি বাড়ছে করোনা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

ফ্লোরিডায় ২শ’ মার্কিন মেরিন সেনা মোতায়েন
ফ্লোরিডায় ২শ’ মার্কিন মেরিন সেনা মোতায়েন

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ
ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন নয়, আমিরাতও নয়- তালেবানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া!
চীন নয়, আমিরাতও নয়- তালেবানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় গণহত্যায় ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল
গাজায় গণহত্যায় ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিউইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নিউইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোপালগঞ্জে বাসের ধাক্কায় ট্রাক হেলপারের মৃত্যু, আহত ট্রাক চালক
গোপালগঞ্জে বাসের ধাক্কায় ট্রাক হেলপারের মৃত্যু, আহত ট্রাক চালক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের ওয়েবস্টার-ক্যারের লড়াই, তবু প্রথম দিনে অলআউট অস্ট্রেলিয়া
ফের ওয়েবস্টার-ক্যারের লড়াই, তবু প্রথম দিনে অলআউট অস্ট্রেলিয়া

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৮ অস্কারজয়ী স্টুডিও এক ছবিতে,  বাজেট শুনে প্রোডিউসাররাও অবাক
৮ অস্কারজয়ী স্টুডিও এক ছবিতে,  বাজেট শুনে প্রোডিউসাররাও অবাক

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার
৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আকাশসীমা খুলে দিল ইরান
আকাশসীমা খুলে দিল ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ক্ষমা চাইলেন পরেশ’
‘ক্ষমা চাইলেন পরেশ’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্বর্ণ-নগদ টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও
স্বর্ণ-নগদ টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসপাতালে স্বস্তিকা
হাসপাতালে স্বস্তিকা

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প
গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেনীতে ১৫ কেজি গাঁজা ফেলে পালাল মাদক কারবারী
ফেনীতে ১৫ কেজি গাঁজা ফেলে পালাল মাদক কারবারী

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার
মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ
ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস
বিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপপ্রধান নিহত
ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপপ্রধান নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!
স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী
পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত
রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!
এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি
প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!
থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?
ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?

২৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?
পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত ইরানের
পারমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত ইরানের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের
ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের
ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান
গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ
ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ
রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সব ধরনের সমরাস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা রাশিয়ার
সব ধরনের সমরাস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা রাশিয়ার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনকে সামনে রেখে টেলিকম নীতিমালা প্রণয়ন সমীচীন নয় : ফখরুল
নির্বাচনকে সামনে রেখে টেলিকম নীতিমালা প্রণয়ন সমীচীন নয় : ফখরুল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাজ্যে ভিন্ন নামে অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন নেতানিয়াহুর ছেলে
যুক্তরাজ্যে ভিন্ন নামে অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন নেতানিয়াহুর ছেলে

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
দেশের প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কঙ্গনার দাবি: ‘অশ্লীল ছবি চাইতেন হৃতিক, পাঠাতেন নিজেরটাও’
কঙ্গনার দাবি: ‘অশ্লীল ছবি চাইতেন হৃতিক, পাঠাতেন নিজেরটাও’

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া
তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ইয়েমেনে হামলার হুমকি দিলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
এবার ইয়েমেনে হামলার হুমকি দিলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সড়ক দুর্ঘটনায় পর্তুগিজ ফুটবলার দিয়োগো জোতার মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় পর্তুগিজ ফুটবলার দিয়োগো জোতার মৃত্যু

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত

প্রথম পৃষ্ঠা

গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি
জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা
চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা

শোবিজ

বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এবার বিশ্বকাপের হাতছানি
এবার বিশ্বকাপের হাতছানি

মাঠে ময়দানে

প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে
প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা
আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে
পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

থানায় হামলা ভাঙচুর
থানায় হামলা ভাঙচুর

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন
দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

সম্পাদকীয়

কবরের মতো বন্দিশালা
কবরের মতো বন্দিশালা

প্রথম পৃষ্ঠা

সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি
সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

প্রথম পৃষ্ঠা

আপিল বিভাগের রায়ে ফুঁসে ওঠে ছাত্রসমাজ
আপিল বিভাগের রায়ে ফুঁসে ওঠে ছাত্রসমাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

কলেজের সামনেই মাথায় ঘাড়ে কোপ পরীক্ষার্থীর
কলেজের সামনেই মাথায় ঘাড়ে কোপ পরীক্ষার্থীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য
বগুড়ায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

নগর জীবন

এবার পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা মুরাদনগরে
এবার পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা মুরাদনগরে

প্রথম পৃষ্ঠা

ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা
ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা

দেশগ্রাম

ব্যয়বহুল তৌসিফ
ব্যয়বহুল তৌসিফ

শোবিজ

স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম বাদ
স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম বাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২
সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২

প্রথম পৃষ্ঠা

‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান
‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান

শোবিজ

বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু
বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু

দেশগ্রাম

জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে
জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে

দেশগ্রাম

স্কুলের বন্ধু
স্কুলের বন্ধু

সাহিত্য

গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার
গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম