বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
ফোর্বসের চোখে

করোনায় শীর্ষ ধনী যাঁরা

আবদুল কাদের

করোনায় শীর্ষ ধনী যাঁরা

করোনাভাইরাস মহামারীতে দিশাহারা বিশ্ববাসী। কাজ হারিয়ে বেকারত্ববরণ করে নিয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও বিশ্বজুড়ে বেড়েছে ধনকুবেরের (বিলিয়নিয়ার) সংখ্যা। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে, বিশ্বজুড়ে ধনকুবেরের সংখ্যা ২ হাজার ৭৫৫ জন।  বিশ্বে শীর্ষ ধনকুবেরদের কী পরিমাণ সম্পদ বেড়েছে,  সেসব তথ্য নিয়েই আজকের রকমারি...

 

বিশ্বজুড়ে প্রতি ১৭ ঘণ্টায় একজন ব্যক্তি বিলিয়নিয়ার হয়েছেন

করোনাকালেও থেমে থাকেনি বিলিয়নিয়ারের (ধনকুবের) পদচারণা। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারী হানা দেওয়ার পর বিস্ময়কর হারে বেড়েছে বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ। বিশ্বজুড়ে ২ হাজার ৭৫৫ জন বিলিয়নিয়ার রয়েছেন। তাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩ লাখ ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। আগের বছরের তুলনায় এই সম্পদ বেড়েছে ৮ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। ফোর্বসের ৩৫তম বার্ষিক বিলিয়নিয়ারের তালিকা অনুযায়ী, করোনা মহামারীর মধ্যেই বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় ২০২১ সালে বিশ্বে বিলিয়নিয়ার বেড়েছে ৬৬০ জন। এক বছরে এতজন শত কোটি ডলারের ক্লাবে এর আগে কখনো ঢুকতে পারেননি। এবার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হওয়াদের মধ্যে ৪৯৩ জনই প্রথমবারের মতো বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ১৭ ঘণ্টায় বিশ্বের একজন নতুন বিলিয়নিয়ার জন্ম নিয়েছেন। আগের সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ছিল ২০১৫ সালের, সে বছর নতুন ধনকুবেরের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন ২৯০ জন। দেশভিত্তিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার যুক্তরাষ্ট্রে, ৭২৪ জন। তালিকায় এরপরই রয়েছে চীন। দেশটিতে শত কোটি ডলারের মালিক ৬৯৮ জন। ভারতে এ সংখ্যা ১৪০ জন। জার্মানিতে ১৩৬ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ৩৬টি দেশে অন্তত একজন হলেও নতুন বিলিয়নিয়ার তৈরি হয়েছে। নতুন বিলিয়নিয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার। তাদের গড় বয়স ৫৪ বছর। এদের মধ্যে ৮৮ শতাংশ হলেন স্বপ্রতিষ্ঠিত বিলিয়নিয়ার। যারা উত্তরাধিকার সূত্রে নয়, নিজস্ব প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। নব্য বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে চীনের ৪৫ বছর বয়সী চেন জিপিং (১৫.৯ বিলিয়ন ডলার) রয়েছেন। চেন জিপিং বাষ্পীয়করণ ডিভাইস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্মুর ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী। তালিকায় চীনের ৩৯ বছর বয়সী তরুণী কেট ওয়াং (৫ বিলিয়ন ডলার) রয়েছেন। চাইনিজ ভ্যাপিং সংস্থা আরএলএক্স টেকনোলজির প্রধান নির্বাহী কেট ওয়াং। এই তরুণী বিলিয়নিয়ারের পাশাপাশি বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ স্ব-প্রতিষ্ঠিত নারী বিলিয়নিয়ারের খেতাবও জেতেন। মার্কিন রিয়েলিটি শো তারকা কিম কারডাশিয়ান ওয়েস্টের সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। দেশটির বিলিয়নিয়ারের তালিকায় যুক্ত হলেন জনপ্রিয় সেলিব্রেটি কিম কারদিশিয়ান (১ বিলিয়ন ডলার)। যার সৌন্দর্য ১০ অঙ্কের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। তালিকায় আরও যুক্ত হয়েছেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক (১.৩ বিলিয়ন ডলার)। সদ্য বিলিয়নিয়ারের খেতাব পাওয়াদের মধ্যে আছেন মার্কিন নাগরিক মরিয়ম অ্যাডেলসন (৩৮.২ বিলিয়ন ডলার), যিনি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রয়াত স্বামী শেল্ডন অ্যাডেলসনের ক্যাসিনো ব্যবসায়ের মালিক হন এবং বিলিয়নিয়ার বনে যান। তালিকার সবচেয়ে কনিষ্ঠ মুখ কেভিন ডেভিড লেহম্যান (৩.৩ বিলিয়ন ডলার), মাত্র ১৮ বছর বয়সী তরুণ জার্মানির শীর্ষস্থানীয় ড্রাগ স্টোর চেইন- ডিএম ড্রোজারি মার্ক্টের উত্তরাধিকারী সূত্রে বিলিয়নিয়ার হন। স্ব-প্রচেষ্টায় বিলিয়নিয়ার হন ২৬ বছর বয়সী আরেক তরুণ অস্টিন রাসেল (২.৪ বিলিয়ন), যিনি লেজার লিডার স্টার্টআপ লুমিনারের প্রতিষ্ঠাতা। এটি সেন্সরভিত্তিক ডিভাইস, যা স্ব-ড্রাইভিং গাড়িগুলোকে থ্রিডি-তে দেখতে সহায়তা করে। মূলত শেয়ারবাজারের চাঙা অবস্থান ও ক্রিপ্টোকারেন্সির উচ্চমূল্য বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে  বলে জানিয়েছে ফোর্বস।

 

১৫১ বিলিয়ন ডলার

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক

রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। টেসলা, পেপ্যালসহ আরও বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম। ২০১৯ সালের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ছিলেন ৪৬ নম্বরে। গেল বছর অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোসকে পেছনে ফেলে তালিকার শীর্ষ স্থানটি দখল করে নিয়েছিলেন ইলন মাস্ক (২০২০ সালে ব্লুমবার্গের সূচক অনুযায়ী)। বর্তমানে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তবে করোনাকালেও ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে, টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ১৫১ বিলিয়ন ডলার। জানা গেছে, টেসলার বদৌলতে বছরজুড়েই ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। মার্কিন গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান টেসলার ২০ শতাংশ শেয়ারের মালিক তিনি। চলতি বছর ইলন মাস্কের বিদ্যুৎচালিত গাড়ির প্রতিষ্ঠান টেসলার মূল্যমান বেড়েছে। প্রায় ৭০ হাজার কোটি ডলার বাজার মূল্যমানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। হিসাবে টয়োটা, ফোকসভাগেন, হিউন্দাই, জিএম এবং ফোর্ডের সম্মিলিত সম্পদও এখন টেসলার তুলনায় কম। টেসলা ছাড়াও রকেটনির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সে ও  অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে মালিকানা রয়েছে তাঁর।

 

১৫০ বিলিয়ন ডলার

ফ্রান্সের ব্যবসায়ী বার্নার্ড আর্নল্ড

মোট সম্পদের হিসাবে এক দিনের জন্য বিল গেটসকে হটিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হয়েছিলেন ফ্রান্সের ব্যবসায়ী বার্নার্ড আর্নল্ড। সময়টি ছিল ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর। ওই বছরের মার্চ মাসে প্রকাশিত ফোর্বসের শীর্ষ ধনীর তালিকায় আর্নল্টের আকাশছোঁয়া সম্পদের পরিমাণের তথ্য প্রকাশের পর তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বাড়তে থাকে। সে সময় প্যারিসভিত্তিক বিলাসবহুল সামগ্রীর সমাহার এলভিএমএইচের শেয়ারের দাম ৩৩ শতাংশ বেড়েছিল। তবে সেবারের পর আর দ্বিতীয় স্থানটি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। তবে ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে, মাত্র ১ বিলিয়ন ডলার কম নিয়ে ২০২১ সালের শীর্ষ ধনকুবেরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছেন ফ্রান্সের ব্যবসায়ী বার্নার্ড আর্নল্ড ও পরিবার। বার্নার্ড আর্নল্ট ও পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫০ বিলিয়ন ডলার। বার্নার্ড আর্নল্ড ফ্রান্সের এলভিএমএইচ (লুইস ভুটন) প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী। প্যারিসভিত্তিক বিলাসবহুল সামগ্রীর বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচ (লুইস ভুটন)। প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ শেয়ারের মালিক এই শীর্ষ  ধনকুবের বার্নার্ড আর্নল্ড ও তাঁর পরিবার।

 

১৭৭ বিলিয়ন ডলার

অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোস

অনলাইনে কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। শীর্ষ এই ধনকুবেরের ব্যক্তিগত সম্পদের বেশির ভাগই অ্যামাজন শেয়ার। ২০১৭ সাল থেকে জেফ বেজোস বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাবটি ধরে রেখেছিলেন। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারমূল্য বাড়তে থাকায় তালিকার শীর্ষে উঠে আসেন ইলন মাস্ক। ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, অ্যামাজনের মালিক আবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব পান টানা চতুর্থবারের মতো। সম্প্রতি রকেটগতিতে বেড়েছে অ্যামাজনের শেয়ারের মূল্য। করোনাভাইরাস মহামারীতে অ্যামাজন আরও দৃঢ়ভাবে অনলাইন স্টোর ও ক্লাউড কম্পিউটিং খাত থেকে লাভবান হয়েছে। পাশাপাশি সম্পদের দিক থেকে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেন জেফ বেজোস। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭৭ বিলিয়ন ডলার। এক বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৬৪ বিলিয়ন ডলার।  তবে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘটনার প্রভাব পড়ে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদে।

 

১২৪ বিলিয়ন ডলার

মাইক্রোসফট প্রধান বিল গেটস

মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। পালন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব। ১৯৭৫ সালে বিল গেটস বন্ধু পল অ্যালেনকে নিয়ে মাইক্রোসফট গড়ে তোলেন। ১৯৮০ সালে জনপ্রিয় অপারেটিং সফটওয়্যার এমএস-ডস তৈরি করেন তাঁরা। তাঁদের অপারেটিং সিস্টেম বাজারে ব্যবহারকারীর মধ্যে আস্থা তৈরি করে। অল্প সময়ের ব্যবধানে অপারেটিং সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বাজারে ছাড়েন তাঁরা। অবিশ্বাস্য সাড়া ফেলে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ। ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে জায়গা করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৯০ সালের দিকে প্রতিষ্ঠানটি অপারেটিং সফটওয়্যারের পাশাপাশি নিজেদের বাণিজ্য প্রসারের জন্য একের পর এক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ শুরু করে। ২০০০ সালে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তত দিনে সাফল্যের আকাশ ছুঁয়েছে মাইক্রোসফট। বিল গেটস হয়ে ওঠেন বিশ্বসেরা ধনী। টানা প্রায় দেড় দশক বিশ্বের শীর্ষ ধনীর আসনে ছিলেন। বর্তমানে এই শীর্ষ ধনী ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় আছেন চতুর্থ অবস্থানে। তাঁর মোট সম্পদ ১২৪ বিলিয়ন ডলার। করোনাকালেও তাঁর সম্পদের পরিমাণ খুব একটা না বাড়লেও তালিকার  শীর্ষস্থানটি ঠিকই ধরে রেখেছেন বিল গেটস।

 

৮৪. বিলিয়ন ডলার

ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি

এশিয়া মহাদেশের শীর্ষ ধনী ভারতের মুকেশ আম্বানি। তবে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় আছেন দশম স্থানে। ভারতীয় এ ধনকুবেরের মোট সম্পদ ৮৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। গত এক বছরে (করোনাকালে) তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। এশিয়ার এই শীর্ষ ধনকুবের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী। করোনাকালেও তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম প্রায় অপরিবর্তিত থাকায় বেড়ে গেছে তাঁর সম্পদের পরিমাণ। এমনকি করোনা পরিস্থিতির পর থেকে তেলের চাহিদা বাড়তে থাকায় তাঁর প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বাড়তে থাকে। ভারতের শীর্ষ ধনী জ্বালানি খাত থেকে সরে এসে তাঁর বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য প্রযুক্তি ও ই-কমার্সের দিকে ঝোঁকেন। গত বছর মুকেশ আম্বানি রিলায়েন্স ডিজিটাল এবং রিটেইল ইউনিটের ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার গুগল ও ফেসবুকসহ কয়েকটি বড় কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করেন। ফলে করোনাকালেও তাঁর প্রতিষ্ঠানে ফেসবুক, গুগলসহ বিভিন্ন সংস্থার বিনিয়োগও দ্রুত বাড়তে থাকে। আর সম্পদও বাড়তে থাকে। ২০২১ সালের শুরুতে ভারতীয় এই ব্যবসায়ী চীনের জোং শ্যানশেনকে পেছনে  ফেলে এশিয়ার শীর্ষ ধনী হন।

 

৯৭ বিলিয়ন ডলার

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণ ৯৭ বিলিয়ন ডলার। ফোর্বসের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। চীনা ভিডিও শেয়ারিং সাইট টিকটকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফেসবুকের পক্ষ থেকে ইনস্টাগ্রাম রিলস নামের একটি সেবা চালু করা হলে ফেসবুকের শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। ফেসবুকে তাঁর মোট শেয়ারের পরিমাণ ১৩ শতাংশ। করোনাকালে জুকারবার্গের সম্পদ বাড়ার বিষয়টি ইতিমধ্যে আলোচিত হয়েছে। ইনস্টাগ্রাম রিলস চালুর পাশাপাশি সম্প্রতি কংগ্রেসে অ্যান্টি ট্রাস্ট শুনানি নিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি।  করোনাকালে অফিসের কর্মীদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

৯৬ বিলিয়ন ডলার

মার্কিন শীর্ষ ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট

সর্বকালের সেরা বিনিয়োগকারী মানা হয় মার্কিন শীর্ষ ধনী ওয়ারেন বাফেটকে। বলা যায়, বিনিয়োগকারীদের তিনি শিক্ষাগুরু। তাঁর বাবা হাওয়ার্ড বাফেটও ছিলেন শেয়ারবাজারের একজন বিনিয়োগকারী। তাই তো ওয়ারেন বাফেটও হয়ে ওঠেন বিশ্বের সেরা বিনিয়োগকারী। তিনি বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে, বীমা কোম্পানি জিকো, ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডুরসেল ও ডেইরি কুইনের মতো ৬০টিরও বেশি সংস্থার মালিক। বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী। ফোর্বসের তথ্য অনুসারে বিশ্বে শীর্ষ ধনীর তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন মার্কিন এই বিনিয়োগকারী। করোনাকালেও তাঁর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৯৬ বিলিয়ন ডলার।

 

৯৩ বিলিয়ন ডলার

মার্কিন বিনিয়োগকারী ল্যারি এলিসন

সত্তরের দশকে ল্যারি এলিসন মার্কিন এমডাল করপোরেশন প্রতিষ্ঠানে ডাটাবেজ তৈরি করতেন। সেখান থেকেই উৎসাহ পেয়ে ১৯৭৭ সালে গড়ে তোলেন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরি। পরে ১৯৭৯ সালে এরই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ওরাকল। ল্যারি এলিসন ওরাকল করপোরেশনের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী, যিনি ২০১৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। ফোর্বস ম্যাগাজিনের সূচক অনুযায়ী, চলতি বছরের শীর্ষ ধনীর তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছেন মার্কিন এই বিনিয়োগকারী। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৯৩ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন এই উদ্যোক্তা এর আগেও ফোর্বসের শীর্ষ তালিকায় ছিলেন।

 

৯১. বিলিয়ন ডলার

গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ

গুগল আমাদের যতটা কাছে থাকে, এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ততটাই থাকেন পর্দার আড়ালে। ল্যারি পেজ, মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী। ইন্টারনেট কোম্পানি গুগল ও অ্যালফাবেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। স্ট্যানফোর্ডে পড়াশোনার সময় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে সার্গেই ব্রিনের সঙ্গে। দুজন একসঙ্গে ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করেন। পরে পড়াশোনা বাদ দিয়ে তাঁরা গুগল তৈরিতে কাজ শুরু করেন। সেই গুগল আজ কোটি মানুষের সেবা দিয়ে আসছে। আর ল্যারি পেজ ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী। মার্কিন ধনকুবের ল্যারি পেজ ফোর্বসের শীর্ষ ধনীর তালিকায় রয়েছেন অষ্টম অবস্থানে। সূচক অনুযায়ী তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৯১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।

৮৯ বিলিয়ন ডলার

গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা  সের্গেই ব্রিন

গুগলের আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন। যাকে গুগলের হিরো বলেই চেনেন অনেকে। রুশ বংশোদ্ভূত আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজ তাঁদের এক বন্ধুর গ্যারেজে গুগল শুরু করেন। বন্ধু, পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন বিনিয়োগকারী এতে প্রাথমিক বিনিয়োগ করেন। ১৯৯৮ সালে গুগল প্রতিষ্ঠা ও আকাশছোঁয়া সাফল্যের পর তাঁরা অ্যালফাবেট প্রতিষ্ঠা করেন ২০১৫ সালে। ২০০৪ সালে ফোর্বসের করা বিশ্বের শীর্ষ ৪০০ ধনী ব্যক্তির তালিকায় তরুণ কোটিপতি হিসেবে জায়গা করে নেন সের্গেই ব্রিন। সেই থেকে ধারাবাহিক সফলতায় চলতি বছরের তালিকায় নবম অবস্থান অর্জন করেন তিনি। সের্গেই ব্রিনের মোট সম্পদ ৮৯ বিলিয়ন ডলার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর