শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২

বিস্ময়কর আবিষ্কার

প্রিন্ট ভার্সন
বিস্ময়কর আবিষ্কার

মানব সভ্যতার বিকাশে যুগে যুগে মানুষ করেছে বিস্ময়কর সব আবিষ্কার।  এসব আবিষ্কার বদলে দিয়েছে আমাদের চিরচেনা দুনিয়াটাকেই। শুধু জীবনযাত্রা সহজ করতেই নয়, কিছু কিছু আবিষ্কার সম্ভাবনার অপার দ্বার খুলে দিয়েছে ভবিষ্যতের জন্য। বিভিন্ন আঙ্গিকে আবিষ্কারগুলো ছিল অনন্য।  বিশ্বের তেমনি কিছু বিস্ময়কর আবিষ্কার নিয়ে আজকের এই আয়োজন। লিখেছেন - তানভীর আহমেদ

 

সেরা আবিষ্কার বিদ্যুৎ

আধুনিক সভ্যতা বিদ্যুৎ ছাড়া কল্পনা করা যায় না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে সহজ হয়েছে মানুষের জীবনযাপন। আর এর অধিকাংশ নির্ভরশীল বিদ্যুতের ওপর। তাই শুধু শত সহস্র বছরেরই নয়, বিদ্যুৎ নিঃসন্দেহে ইতিহাসের সর্বকালের সেরা আবিষ্কার। বিদ্যুতের মাধ্যমে পরবর্তীতে যেসব যন্ত্র আবিষ্কৃত হয় তার সবকটিই ইতিহাস সেরা আবিষ্কার। বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাস পুরোপুরি স্পষ্ট না হলেও ব্রিটিশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম গিলবার্টকে বলা হয় বিদ্যুতের আবিষ্কারক। তিনি ১৫৭০ সালে প্রথম বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন। বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও বেশ কিছু বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীর নাম- আলেসান্দ্রো ভোল্টা, লইগি গ্যালভানি, মাইকেল ফ্যারাডে ও থমাস আলভা এডিসন। তারা প্রত্যেকেই বিদ্যুতের বিভিন্ন দিক উদ্ভাবন করেছেন। তবে বিদ্যুৎ আবিষ্কারে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন থমাস আলভা এডিসন। তার বৈদ্যুতিক বাতির আবিষ্কারের মধ্য দিয়েই পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় বিদ্যুতের আবিষ্কার। ১৮৮২ সালে এডিসনই প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্টেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তবে বিদ্যুতের ওপর গবেষণা শুরু হয় ১৬ শতকের দিকে। ১৮ শতকের মাঝামাঝি আমেরিকান বিজ্ঞানী বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন প্রথম বিদ্যুতের ওপর ব্যবহারিক গবেষণা শুরু করেন। কিন্তু এ সময় নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যেত না। শুধু সাময়িক সময়ের জন্যই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যেত। ১৮৪০ সালে আবিষ্কৃত টেলিগ্রাফও ব্যাটারির মাধ্যমে চালানো হতো। এরই মাঝে ফ্যারাডের একটি আবিষ্কারের সূত্র ধরেই ১৮৩১ সালে ডায়নামো আবিষ্কার করা হয়। বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পর সভ্যতা এগিয়ে যাওয়ার সব সরঞ্জাম হাতের নাগালে পায়। পৃথিবীর সব প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পেছনেই এক নম্বর অবস্থানে আছে বিদ্যুৎ। তাই বিদ্যুৎকে বলা হয় আধুনিক পৃথিবীর সেরা আবিষ্কার।

 

অবাক গণনাযন্ত্র

এক সময় মানুষ হাতের আঙুল গুনে হিসাবের কাজ চালাত। বণিকরা ছোট পাথরের টুকরা বা ফলের বীজ দিয়ে চালাত তাদের গণনার কাজ এবং হিসাব-নিকাশ। রাখাল তার পালের ভেড়ার হিসাব রাখত কাঠি বা হাড় দিয়ে কিংবা পাথরের গায়ে দাগ কেটে। প্রাচীন চীনের অধিবাসীরা রড নিউমেরালস (Rod Numerals) নামক পদ্ধতি ব্যবহার করত গণনার জন্য। ইতিহাস থেকে যা জানা গেছে তা হলো- প্রায় ৪ হাজার বছর আগে চীনারা গণনা করার জন্য একটি যন্ত্র তৈরি করে। যার নাম ছিল অ্যাবাকাস। এটিই হলো পৃথিবীর প্রথম গণনাকারী যন্ত্র। যদিও একে ঠিক যান্ত্রিক বলা চলে না, কিন্তু বহু বছর ধরে মানুষ এ যন্ত্র দ্বারা গণনার কাজ করে এসেছে। এর ব্যবহার বিস্তৃতি পেলেও মূলত গণনার কাজেই যন্ত্রটি ব্যবহৃত হতো। আর এটিই হলো বর্তমান কম্পিউটারের পূর্বপূরুষ। প্রাচীন জাপান, ইন্ডিয়া, চীন এবং এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এর ব্যাপক প্রচলন ছিল। ১৯৪০ সালে ক্লড শ্যানন প্রথম এ ডিজিটাল ইলেকট্রনিক কম্পিউটার আবিষ্কার করেন। প্রোগ্রামেবল ডিভাইসের জন্য এটি একটি সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত করে। ১৯৪১ সালে করনার্ড জিউস আবিষ্কার করেন পৃথিবীর প্রথম অপারেশনাল কম্পিউটার। আর পারসোনাল কম্পিউটারগুলো আস্তে আস্তে মার্কেটে আসতে থাকে ১৯৭৭ সালের দিকে। তবে মূলত বর্তমান কম্পিউটারের রূপরেখা তৈরি করেন ব্রিটিশ গণিতবিদ ‘চার্লস ব্যাবেজ’। ১৮২২ সালে তিনি লগারিদমসহ গাণিতিক হিসাব-নিকাশ অধিক সহজ করার লক্ষ্যে একটি যন্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে  নেন। এরও অনেক পরে ১৮৩৩ সালে তিনি আগের সব গণনাকারী যন্ত্রের স্মৃতিভান্ডারের প্রয়োজনীতা অনুভব করেন। এ জন্য তিনি একটি যন্ত্র তৈরি করেন, যার নাম দেন অ্যানালটিক্যাল মেশিন। এর কাজ তিনি শেষ করতে পারেননি। তার এ মেশিনের ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করেই আজকের এ কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে। এ জন্যই তাকে কম্পিউটারের আদিপিতা বা জনক বলা হয়। কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কারের ফলে। ব্যবহারের সুবিধা এবং কাজের ক্ষমতা বেড়ে যায়।

 

জীবন রক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক

অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর একটি। পেনিসিলিন আবিষ্কার ছিল চিকিৎসা জগতের জন্য এক নতুন দিগন্তের সন্ধান। ১৯২৮ সাল, আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে গবেষণা করছিলেন। আর সেখান থেকেই পেনিসিলিন আবিষ্কার করেছিলেন আকস্মিক এক ঘটনাক্রমে। স্ট্যাফাইলোকক্কাস নামক জীবাণু নিয়ে কাজ করতে গিয়েই তিনি এ ধরনের ছত্রাকের সন্ধান পান। ছত্রাকটির নাম ‘পেনিসিলিয়াম নোটেটাম’। ফ্লেমিং ছিলেন স্কটল্যান্ডনিবাসী চিকিৎসক ও জীবাণুতত্ত্ববিদ। তিনিই সর্বপ্রথম জীবাণুনাশক পেনিসিলিন আবিষ্কার করে খ্যাতিমান হয়ে আছেন। ১৯২৮ সালে তিনি আবিষ্কার করেন বিশেষ এক ধরনের ছত্রাকে জীবন রক্ষাকারী পেনিসিলিনের অস্তিত্ব। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার করেছিলেন আকস্মিক এক ঘটনাক্রমে। স্ট্যাফাইলোকক্কাস নামক জীবাণু নিয়ে কাজ করতে গিয়েই তিনি এমন এক ধরনের ছত্রাকের সন্ধান পান, যার জীবাণুনাশক ক্ষমতা রয়েছে। ছত্রাকটির নাম পেনিসিলিয়াম নোটেটাম। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং সর্বপ্রথম পেনিসিলিন আবিষ্কার করলেও একে মানবদেহে ব্যবহারের উপযোগী অবস্থায় নিয়ে আসেন দুজন বিজ্ঞানী- হাওয়ার্ড ফ্লোরি (১৮৯৮-১৯৬৮) ও আর্নস্ট চেইন (১৯০৬-১৯৭৯)। ১৯৩৮ সালে এরা পেনিসিলিনের নিষ্কাশন ও বিশুদ্ধকরণের কাজ সম্পন্ন করেন।

 

সভ্যতার আশীর্বাদ চাকা

চাকাকে বলা হয় সভ্যতার গতি। অনেকে আবার চাকাকে সভ্যতার আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচনা করেন। চাকা আবিষ্কার হওয়ার আগে মানুষ নিজেই বহন করত তার যাবতীয় ভারের বোঝা। এক সময় বনের পশুকে পোষ মানাতে শেখে আদিম মানুষ। এসব প্রাণীর পিঠে বোঝা চাপিয়ে শুরু হয় পণ্য বহন। সভ্যতার ক্রমবিকাশ হতে থাকে এভাবে। মানুষ যে সব সময়ই গতি পছন্দ করত, তা প্রকাশ পেতে থাকে ধীরে ধীরে। এক পর্যায়ে গাছের গুঁড়ির চাকতি কেটে তার মাঝ বরাবর ছিদ্র করা হয়। এটাই ছিল সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম চাকা। চাকার আবিষ্কার হয় খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ বছর আগে। মানব ইতিহাসে চাকার আবিষ্কার একটি যুগান্তকারী ঘটনা। ইতিহাস বলে ৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায় চাকা আবিষ্কার হয়। ককেশাসের উত্তর দিকে বেশ কিছু কবর পাওয়া গেছে, যাতে ৩৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ হতে ঠেলাগাড়িতে করে মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কাছাকাছি সময়ে  তৈরি করা একটি মাটির পাত্র দক্ষিণ পোল্যান্ডে পাওয়া গেছে, যাতে চার চাকার একটি গাড়ির ছবি আছে। এটিই এ পর্যন্ত প্রাপ্ত চাকাযুক্ত গাড়ির ছবির সবচেয়ে পুরনো নিদর্শন। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দ নাগাদ চাকার ব্যবহার ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ভারতীয় উপমহাদেশের সিন্ধু সভ্যতায় চাকার ব্যবহার শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দের দিকে। চীনে চাকার ব্যবহার দেখা যায় ১২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, যখন চাকাযুক্ত গাড়ির প্রচলন হয়। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন সভ্যতায় চাকার ব্যবহার দেখা যায় না। তবে অলমেক ও অন্যান্য কিছু আমেরিকার সভ্যতার নিদর্শনের মধ্যে শিশুদের খেলনা হিসেবে চাকাযুক্ত গাড়ি পাওয়া গেছে। প্রাচীন নুবিয়াতে চাকা ব্যবহার করা হতো মাটির হাঁড়ি ও পাত্র তৈরিতে এবং পানি উত্তোলনে। নুবিয়ার পানি উত্তোলনে ব্যবহƒত চাকাগুলো ঘুরানো হতো গবাদিপশু দিয়ে। চাকা ব্যবহার করে জলচক্র পানি তোলার এবং পানি হতে শক্তি আহরণের, গিয়ার চাকা, চরকা ইত্যাদি তৈরি করা হয়। সাম্প্রতিককালের প্রপেলার, জেট ইঞ্জিন এবং টারবাইন এর সবই চাকার পরিবর্তিত রূপ।

 

প্রাচীন শীতলীকরণ পদ্ধতি

খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ অব্দের দিকে প্রাচীন পারস্যে হিমায়ক কক্ষ তৈরি করা হতো। যাকে ‘ইয়াখছাল’ বলা হতো। একে বর্তমানের বরফঘরের সঙ্গে তুলনা দেওয়া যেতে পারে। মূলত বরফঘরের প্রয়োজন মেটানোর জন্যই তৈরি করা হতো। এই স্থাপত্যের উপরিভাগ ছিল গম্বুজাকৃতির এবং এর ভিতরের দিকে ছিল কতক ফাঁপা জায়গা। নিরেট, তাপরোধী কিছু গাঠনিক উপাদান দিয়ে ভিতরের দিকের ফাঁপা জায়গা মুড়িয়ে দেওয়া হতো। অন্তভৌমের ফাঁপা জায়গার আয়তন হতো প্রায় ৫,০০০ ঘন মিটারের মতো। হাজার বছর আগের প্রাচীন এই স্থাপনাগুলো এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কাঠামোটিতে শীতল বাতাস প্রবেশ করত এর ভিত্তি এবং অন্তভৌমের ফাঁপা অংশ দিয়ে। এর মোচাকৃতির গঠন দিয়ে গরম তাপ বেরিয়ে যেত। ফলে ভিতরের অংশের তাপমাত্রা হতো বাইরের অংশ থেকে কম। এগুলো তৈরি করা হতো সারোজ নামে পানিরোধী হামানদিস্তা দিয়ে। বালি, কাদা, ডিম, ছাগলের পশম এবং ছাই সঠিক অনুপাতে মিশিয়ে তৈরি করা হতো সেই বিশেষ হামানদিস্তা। এর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো, এটি তাপ ও পানিরোধের উপযোগী। এর আসল কাজ ছিল বরফ সংরক্ষণ করে রাখা। বরফের পাশাপাশি এতে খাবারও সংরক্ষণ করা হতো।

 

প্রাচীন ব্যাটারি

১৮৬৬ সালে জর্জেস লেকল্যান্স একটি ব্যাটারি আবিষ্কার করেন। কিন্তু এর অনেক আগেই নাকি ব্যাটারি আবিষ্কার করা হয়েছিল। সময়টা ছিল ১৯৩৮ সাল; প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা বাগদাদের খুজুত রাবু নামক স্থানে এক বিস্ময়কর পাত্রের সন্ধান পান। যা ছিল ৫ সেন্টিমিটার। বলা হয়, পাত্রটি ছিল সিরামিক নির্মিত। এর ভিতরে একটি ধাতব নল এবং ভিন্ন ধাতুর তৈরি লৌহদন্ডের অস্তিত্ব মেলে। বিশ্লেষকরা একে প্রাচীন ব্যাটারি আখ্যায়িত করেন। ইতিহাসে এটি ‘বাগদাদ ব্যাটারি’ নামে জায়গা করে নেয়। লোহার দন্ডটি ছিল তামা দিয়ে আবৃত। ধারণানুযায়ী, তামার নলের ভিতর অম্লীয় দ্রবণ ব্যবহার করে ব্যাটারিটি সচল করা হতো। খ্রিস্টপূর্ব ২৫০ অব্দের দিকে প্রাচীন পারস্যে এমন ব্যাটারি তৈরি করা হতো। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী উইলার্ড গ্রেও ঝটপট বাগদাদ ব্যাটারির রেপ্লিকা তৈরি করে ফেলেন। এতে ভিনেগার ঢেলে সফলতা পান। তখন ব্যাটারিটি সচল হয়ে প্রায় ১.৫ থেকে ২.০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে সক্ষম হয়। ১৯৩০ সালে উইলহেম কনিগ একটি পেপারে উল্লেখ করেন, প্রাচীন পারস্যে বাগদাদ ব্যাটারিকে হয়তো গ্যালভানিক কোষ হিসেবে ব্যবহার করে ইলেকট্রোপ্লেটিং করা হতো। কিন্তু এই হাইপোথিসিসকে নাকচ করে দেন বিজ্ঞানীরা। অনেকে সরাসরি দ্বিমতও পোষণ করেন এই মতবাদে। ফলে বাগদাদ ব্যাটারির মূল রহস্য থেকে যায় ধোঁয়াশার আড়ালে। পারস্যে এটি ব্যাটারি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকলে বদলে যাবে চিরাচরিত ইতিহাস। তখন বলতে হবে, প্রায় দেড় হাজার বছর আগেই নির্মিত হয়েছিল বিশ্বের প্রথম ব্যাটারি।

 

প্রথম অ্যানিমেশন

আধুনিক বিশ্বে মেক্স ফ্লেইসার (Max Fleischer) আবিষ্কার করেছিলেন রটোস্কোপ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ‘জীবন্ত ছবি’র (live action) ফ্রেমকে পরিবর্ধিত করে সেই ছবির ওপরে বুলিয়ে বুলিয়ে অ্যানিমেশন ছবির ফ্রেম আঁকা হতো। কিন্তু শুনতে অবাক লাগলেও অ্যানিমেশনের চল নাকি ছিল প্রাচীনকাল থেকেই। তবে তা আজকের ডিজিটাল অ্যানিমেশন নয়। এটি মূলত স্থিরচিত্রের একটি ক্রম, যেগুলোকে বিশেষ প্রক্রিয়া লক্ষ্য করলে জীবন্ত ও সচল বলে মনে হয়। এমন অ্যানিমেশনের প্রমাণ পাওয়া গেছে পারস্য সভ্যতার ব্রোঞ্জ যুগে। ইরানের ‘শহর-ই-সোখতাত’ অঞ্চলে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ৫,২০০ বছর পূর্বের এক পেয়ালা খুঁজে পেয়েছেন। ওই পাত্রে কতগুলো ছবির ক্রমধারা অঙ্কন করা আছে, যা দেখে বোঝা যায় একটি ছাগল গাছে চড়ে পাতা খাচ্ছে। প্রথমে ইতালিয়ান প্রত্নতত্ত্ববিদরা কবর থেকে এই পেয়ালা উদ্ধার করলেও, ওই চিত্রের প্রতি কেউ বিশেষ নজর দেননি। জিনিসটিতে কয়েক বছর পর নজর আটকে যায় ইরানি প্রত্নতত্ত্ববিদ ডক্টর মানসুর সাদজাদির। ধারণা করা হয়, ছবিগুলো অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্যকালের। আর ছাগলটি যে গাছ থেকে পাতা খাচ্ছিল, গাছটির নাম হলো ‘Assyrian Tree of Life’ বা ‘অ্যাসিরিয়ান জীবন-বৃক্ষ’।

 

প্যাপিরাস থেকে কাগজ

জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই আমরা কাগজের ব্যবহার দেখতে পাই। লেখা ছাড়াও কাগজের ওপর লেখা ছাপানো হয় এবং কোনো দ্রব্যের মোড়ক হিসেবেও কাগজ ব্যবহত হয়। যদিও কাগজের ইংরেজি শব্দটি প্যাপিরাস শব্দ থেকে এসেছে। এদের উৎপাদন পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং বর্তমান কাগজে উন্নয়ন ও প্যাপিরাসের উন্নয়ন থেকে পৃথক। প্রধানত কাঠ, বাঁশ, ছেঁড়া কাপড়, ঘাস, পুরনো কাগজ ইত্যাদি কাগজ তৈরির প্রধান উপাদান। মনে করা হয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে চীনে আধুনিক কাগজের প্রচলন শুরু হয়। যদিও এর আগে কাগজ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কাগজের উদ্ভাবনকে প্রাচীন চীনের চারটি বিশাল উদ্ভাবনের অন্যতম একটি বিবেচনা করা হয়। প্রাচীন চীনে মন্ড দ্বারা তৈরি কাগজ দ্বিতীয় শতাব্দীর গোড়ার দিকে হান জাতির চাই লুন নামের একজন আবিষ্কার করেন। চীনে সিল্কের সাশ্রয়ী ও কার্যকর বিকল্প হিসেবে কাগজ ব্যবহার শুরু হয়। কাগজের প্রচলন চীন থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে মুসলিম বিশ্বের মাধ্যমে এবং ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মধ্যযুগের ইউরোপে কাগজের উৎপাদন শুরু হয়। যেখানে সর্বপ্রথম পানিচালিত কাগজ উৎপাদনের কাগজকল ও কলকবজা বা মেশিন আবিষ্কার ও নির্মাণ করা হয়। চিঠি, সংবাদপত্র ও বইয়ের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন আসে এবং এর সাশ্রয়ী উপাদান হিসেবে কাগজ তৈরি করা ঊনবিংশ শতাব্দীতে নতুন শিল্প রূপে আবির্ভূত হয়।

 

তারবিহীন যোগাযোগ

এখন যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন। কিন্তু এর সূচনা হয়েছে তারবিহীন যোগাযোগব্যবস্থার ধারণার মাধ্যমে। বর্তমানে বিজ্ঞান অনেকাংশই ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন বা তারহীন  যোগাযোগব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। ইন্টারনেট, মোবাইল, জিপিএস, ওয়াইফাই, ব্লুুটুথ, ওয়াইম্যাক্স এসবই তারহীন যোগাযোগব্যবস্থার একেকটি রূপ, যা ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তিতে কল্পনাও করা যায় না। ওয়্যারলেস বা তারহীন যোগাযোগ বলতে বোঝায় কোনো তার, ক্যাবল বা অন্য কোনো ইলেকট্রিক কনডাকটর ছাড়াই নির্দিষ্ট দূরত্বে তথ্যের আদান-প্রদান। বর্তমানে যে কোনো ডিভাইসে তথ্য-উপাত্ত প্রেরণের জন্য ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন হলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। আর এসবের শুরুটা হয়েছিল রেডিও ওয়েভের মাধ্যমে। রেডিও ওয়েভ হলো আলোকরশ্মি, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রশ্মি, অতিবেগুনি রশ্মি, ইনফ্রারেড রশ্মি এবং এক্স-রে রশ্মিরই আরেকটি রূপ। ১৮৮৮ সালে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী হেনরিক হার্টজ  প্রথম রেডিও ওয়েভ আবিষ্কার করেন এবং প্রমাণ করেন, এই ওয়েভ আলোর গতিতে চলে। পরবর্তীতে ইতালিয়ান ইঞ্জিনিয়ার মার্কোনি হার্টজের গবেষণাকে তারহীন যোগাযোগব্যবস্থায় রূপান্তরিত করেন। ১৮৯৪ সালে হার্টজের গবেষণা সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা লাভ করে মার্কোনি এই প্রযুক্তির কার্যকারিতা ও সম্ভাবনা উপলব্ধি করেন। ১৮৯৫ সালের শেষ দিকে মার্কোনি একটি ট্রান্সমিটার ও রিসিভার আবিষ্কার করেন, যা ২.৫ কিলোমিটার বা ১.৫ মাইল পর্যন্ত রেডিও সিগন্যাল পাঠাতে সক্ষম। এরপর ১৯০১ সালে তিনি এর একটি উন্নত সংস্করণ তৈরি করেন। এই রেডিও সিগন্যালের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই ১৯২৮ সালে টেলিভিশন রিসিভার আবিষ্কার করা হয়।

 

বীজগণিত ও মানুষের চোখ

বিজ্ঞান দাঁড়িয়ে আছে গণিতের ভিতের ওপর। আর গণিত দাঁড়িয়ে আছে বীজগণিতের ওপর। এই ‘আলজেবরা’ গাণিতিক হিসাব পদ্ধতিকে বৈপ্লবিকভাবে সহজ করে দিয়েছে। তাই আজ সর্বাধিক যুগেও এই শাস্ত্রটির ব্যবহার ও শিক্ষা সর্বত্র লক্ষ্য করা যায়। সেই পৃথিবীর প্রথম বীজগণিত নিয়ে প্রথম গ্রন্থটি রচনা করেছেন পার্সিয়ার বিখ্যাত মুসলিম গণিতবিদ আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল-খোয়ারিজম। এরপর সপ্তম শতকে তিনি রচনা করেন দ্বিতীয় গ্রন্থ ‘আল-জাবর ওয়াল মুকাবলা’। তার রচিত বইটি থেকেই মূলত আলজেবরা। আল-খোয়ারিজম রচিত বীজগণিতের ওপর ভিত্তি করেই আধুনিক গণিতের যাত্রা ও পথচলা শুরু হয়। আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম এই শাখাটির সূচনা শুরু হয় কজন মুসলমানের হাতে। বিষয়টি ভাবতে চমকপ্রদ অবশ্যই। এদিকে তৎকালীন আরব বিশ্ব শুধু গণিতেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেনি, বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রেও সমানভাবে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। তারা বিবর্ধক কাচ বা চশমার ক্ষেত্রেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন। বসরা নগরীর বিখ্যাত মুসলিম পন্ডিত আলহাজেন সর্বপ্রথম বর্ণনা করেন চোখের গঠন প্রণালি এবং চোখ কীভাবে কাজ করে। তিনিই প্রথম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রমাণ করেন, চোখের দৃষ্টি রশ্মির সঙ্গে পারিপার্শ্বিক অনুভূতি নেই। এ ছাড়া তিনিই প্রথম চশমার ধারণা দিয়ে বলেন, বাঁকানো কাচের পৃষ্ঠতল চোখের দৃষ্টি সহায়ক হিসেবে বিবর্ধনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
সর্বশেষ খবর
স্ট্রাইকার হয়ে ম্যাচ জেতালেন বার্সার ডিফেন্ডার
স্ট্রাইকার হয়ে ম্যাচ জেতালেন বার্সার ডিফেন্ডার

৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ে নীতিমালা প্রণয়ন সময়ের দাবি
স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ে নীতিমালা প্রণয়ন সময়ের দাবি

৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৫০
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৫০

১৫ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

রঙিন স্বপ্ন ফিরল সাদা কফিনে
রঙিন স্বপ্ন ফিরল সাদা কফিনে

১৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান আনসার মহাপরিচালকের
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান আনসার মহাপরিচালকের

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

কোয়াব থেকে পদত্যাগ করলেন খালেদ মাসুদ পাইলট
কোয়াব থেকে পদত্যাগ করলেন খালেদ মাসুদ পাইলট

৩৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে ১২ কোটি টাকার পণ্য জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে ১২ কোটি টাকার পণ্য জব্দ

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রোহিত-কোহলির ফেরার ম্যাচে ভারতকে সহজেই হারাল অস্ট্রেলিয়া
রোহিত-কোহলির ফেরার ম্যাচে ভারতকে সহজেই হারাল অস্ট্রেলিয়া

৫২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘বিগো লাইভে’ পরিচয়-প্রেম-বিয়ে: কিনে দেন জমি, পরে প্রবাসী জানলেন প্রেমিকা বিবাহিত
‘বিগো লাইভে’ পরিচয়-প্রেম-বিয়ে: কিনে দেন জমি, পরে প্রবাসী জানলেন প্রেমিকা বিবাহিত

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে সড়কে উচ্ছেদ অভিযান
বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে সড়কে উচ্ছেদ অভিযান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মা হলেন পরিণীতি চোপড়া
মা হলেন পরিণীতি চোপড়া

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপেয় পানির ফিল্টার বিতরণ
নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপেয় পানির ফিল্টার বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্টার্কের ১৭৬.৫ কিমি গতির ডেলিভারি: বিশ্বরেকর্ড না কি প্রযুক্তিগত ত্রুটি?
স্টার্কের ১৭৬.৫ কিমি গতির ডেলিভারি: বিশ্বরেকর্ড না কি প্রযুক্তিগত ত্রুটি?

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পিচ নিয়ে মুশফিকের রহস্যময় পোস্ট
পিচ নিয়ে মুশফিকের রহস্যময় পোস্ট

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাষ্ট্র ও সংবিধান থেকে নজর সরাতে পিআর আন্দোলন: নাহিদ ইসলাম
রাষ্ট্র ও সংবিধান থেকে নজর সরাতে পিআর আন্দোলন: নাহিদ ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কাউকে খুশী করতে কমিশন শাপলা প্রতীক দিচ্ছে না: সারজিস
কাউকে খুশী করতে কমিশন শাপলা প্রতীক দিচ্ছে না: সারজিস

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আইসিসিবিতে বাংলাদেশ-চীন গ্রিন টেক্সটাইল এক্সপো
আইসিসিবিতে বাংলাদেশ-চীন গ্রিন টেক্সটাইল এক্সপো

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইবান্ধায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাড়ে ২৬ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিভল কার্গো ভিলেজের আগুন
সাড়ে ২৬ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিভল কার্গো ভিলেজের আগুন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জমি নিয়ে বিরোধে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ
জমি নিয়ে বিরোধে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নারীরা চাকরি হারানোর বেশি ঝুঁকিতে: জাতিসংঘ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নারীরা চাকরি হারানোর বেশি ঝুঁকিতে: জাতিসংঘ

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিশ্বখ্যাত ল্যুভর জাদুঘরে চুরি
বিশ্বখ্যাত ল্যুভর জাদুঘরে চুরি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হতে পারে, এটি খতিয়ে দেখা জরুরি’
‘অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হতে পারে, এটি খতিয়ে দেখা জরুরি’

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাপানের সম্মানজনক এনইএফ বৃত্তি পেল গাকৃবির ২০ শিক্ষার্থী
জাপানের সম্মানজনক এনইএফ বৃত্তি পেল গাকৃবির ২০ শিক্ষার্থী

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

থালা-বাসন নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভুখা মিছিল, আটকে দিল পুলিশ
থালা-বাসন নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভুখা মিছিল, আটকে দিল পুলিশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাতীর বিরুদ্ধে নানীকে খুনের অভিযোগ
নাতীর বিরুদ্ধে নানীকে খুনের অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

কর্তৃত্ব নয় ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে জনগণকে আপন করে নিতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
কর্তৃত্ব নয় ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে জনগণকে আপন করে নিতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে নাসুমকে দলে নিলো বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে নাসুমকে দলে নিলো বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাদারীপুরে বাস-মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
মাদারীপুরে বাস-মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা নির্ধারণ
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা নির্ধারণ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি বলছেন ব্যবসায়ীরা
বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি বলছেন ব্যবসায়ীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা
দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট
গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি
২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন পদক্ষেপ, লাহোরে নাটকীয়ভাবে কমল ৭০ শতাংশ বায়ুদূষণ
নতুন পদক্ষেপ, লাহোরে নাটকীয়ভাবে কমল ৭০ শতাংশ বায়ুদূষণ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি
চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতকে আবারও পরমাণু বোমার হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান
ভারতকে আবারও পরমাণু বোমার হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ বিয়ে করে চমকে দিলেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত জায়রা ওয়াসিম
হঠাৎ বিয়ে করে চমকে দিলেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত জায়রা ওয়াসিম

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় : ইসি আনোয়ারুল
শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় : ইসি আনোয়ারুল

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরপুরের ধীরগতির পিচে জয় বাংলাদেশের
মিরপুরের ধীরগতির পিচে জয় বাংলাদেশের

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে বক্তব্য এনসিপি আংশিক কাট করেছে : সালাহউদ্দিন
জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে বক্তব্য এনসিপি আংশিক কাট করেছে : সালাহউদ্দিন

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের
আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে ২৪ ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির গণ-আত্মহত্যার চেষ্টা, নেপথ্যে যা...
ভারতে ২৪ ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির গণ-আত্মহত্যার চেষ্টা, নেপথ্যে যা...

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার ৪ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ঢাকার ৪ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ আন্দোলনে জনতার ঢল, উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র
ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ আন্দোলনে জনতার ঢল, উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কানাডা কি সত্যিই হারিয়ে যাচ্ছে?
কানাডা কি সত্যিই হারিয়ে যাচ্ছে?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ম্যাচসেরা হয়ে যা বললেন রিশাদ
ম্যাচসেরা হয়ে যা বললেন রিশাদ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনবে: তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনবে: তারেক রহমান

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সৌদিতে হামলা মানেই যুক্তরাষ্ট্রে হামলা: নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির পথে রিয়াদ
সৌদিতে হামলা মানেই যুক্তরাষ্ট্রে হামলা: নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির পথে রিয়াদ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রতিদিন একটি শসা খেলে মিলবে যে উপকার
প্রতিদিন একটি শসা খেলে মিলবে যে উপকার

১২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

‘হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসের স্থপতি’ ইসরায়েলের ১৭ বিজ্ঞানীর তথ্য ফাঁস
‘হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসের স্থপতি’ ইসরায়েলের ১৭ বিজ্ঞানীর তথ্য ফাঁস

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা গোয়েন্দাপ্রধান
৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা গোয়েন্দাপ্রধান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের তিন দিন অতিরিক্ত ফ্লাইটের চার্জ মওকুফ
আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের তিন দিন অতিরিক্ত ফ্লাইটের চার্জ মওকুফ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'‌সন্ধ্যা কাটে না, অথচ দিব্যি বছর ঘুরে বছর আসে'‌
'‌সন্ধ্যা কাটে না, অথচ দিব্যি বছর ঘুরে বছর আসে'‌

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছে গণফোরাম
জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছে গণফোরাম

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বেতন ৮০ হাজার, সম্পদ হাজার কোটি টাকার
বেতন ৮০ হাজার, সম্পদ হাজার কোটি টাকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির নওশাদ, জামায়াতের ইকবাল, এনসিপির সারজিস
বিএনপির নওশাদ, জামায়াতের ইকবাল, এনসিপির সারজিস

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অমিতাভকে কেন চোখে চোখে রাখতেন জয়া বচ্চন
অমিতাভকে কেন চোখে চোখে রাখতেন জয়া বচ্চন

শোবিজ

এখনো সিঙ্গেল ইধিকা
এখনো সিঙ্গেল ইধিকা

শোবিজ

বাংলাদেশকে একাই জেতালেন রিশাদ
বাংলাদেশকে একাই জেতালেন রিশাদ

মাঠে ময়দানে

অভিনয় নিয়ে আফজাল
অভিনয় নিয়ে আফজাল

শোবিজ

মোশাররফ করিমের গল্প
মোশাররফ করিমের গল্প

শোবিজ

প্রচারে বিএনপি জামায়াত এনসিপি ইসলামি দল
প্রচারে বিএনপি জামায়াত এনসিপি ইসলামি দল

নগর জীবন

প্রদর্শকরা কেন প্রযোজনায় নেই
প্রদর্শকরা কেন প্রযোজনায় নেই

শোবিজ

কবরস্থান সংকট দিল্লিতে!
কবরস্থান সংকট দিল্লিতে!

পূর্ব-পশ্চিম

নৌকাই ভরসা লাখো মানুষের
নৌকাই ভরসা লাখো মানুষের

দেশগ্রাম

ট্রেন চালু, যাত্রাবিরতির দাবি
ট্রেন চালু, যাত্রাবিরতির দাবি

দেশগ্রাম

বিমানবন্দরে ভয়াবহ আগুন
বিমানবন্দরে ভয়াবহ আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমিকের নানাবাড়িতে কিশোরীর লাশ
প্রেমিকের নানাবাড়িতে কিশোরীর লাশ

দেশগ্রাম

পরমাণু কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান
পরমাণু কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান

পূর্ব-পশ্চিম

সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে
সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ঘাটতি স্পষ্ট
বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ঘাটতি স্পষ্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাশলেস সোসাইটি গড়া এখন সময়ের দাবি
ক্যাশলেস সোসাইটি গড়া এখন সময়ের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে দিনে গরম রাতে ঠান্ডা
উত্তরাঞ্চলে দিনে গরম রাতে ঠান্ডা

দেশগ্রাম

আইনি ভিত্তি না হলে প্রহসন হবে
আইনি ভিত্তি না হলে প্রহসন হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মাছ ধরা উৎসব, হতাশ শিকারিরা
মাছ ধরা উৎসব, হতাশ শিকারিরা

দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে বেড়েছে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার
চট্টগ্রামে বেড়েছে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার

নগর জীবন

ভক্তের পদচারণে মুখর সাঁইজির আখড়া
ভক্তের পদচারণে মুখর সাঁইজির আখড়া

পেছনের পৃষ্ঠা

ধান খেতে গৃহবধূর, ঘরে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ
ধান খেতে গৃহবধূর, ঘরে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ

দেশগ্রাম

কাজের লোকের কোদালের আঘাতে মৃত্যু, লাশ ফেলা হয় নলকূপে
কাজের লোকের কোদালের আঘাতে মৃত্যু, লাশ ফেলা হয় নলকূপে

দেশগ্রাম

চীনে শীর্ষ ৯ জেনারেল বহিষ্কার
চীনে শীর্ষ ৯ জেনারেল বহিষ্কার

পূর্ব-পশ্চিম

আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং
আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং

দেশগ্রাম

সড়কে প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর
সড়কে প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর

দেশগ্রাম

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

পূর্ব-পশ্চিম