শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৩

মুসলিম ঐতিহ্যের বিশ্বসেরা জাদুঘর

আবদুল কাদের
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মুসলিম ঐতিহ্যের বিশ্বসেরা জাদুঘর

ইসলামের ইতিহাসের সমৃদ্ধ অধ্যায়গুলো তুলে ধরতে বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইসলামী জাদুঘর। যেখানে প্রদর্শিত হয় ইসলামী জ্ঞানবিজ্ঞান, সভ্যতা-সংস্কৃতি ও ইতিহাস। সমকালে দাঁড়িয়ে ইসলামের সোনালি অতীত জানার সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম হলো এসব জাদুঘর। রইল বর্তমান বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ইসলামী জাদুঘরের বিস্তারিত...

 

কাতারের উপদ্বীপে নির্মিত সর্বাধুনিক ইসলামী সংগ্রহশালা

পানির মধ্যে অনন্য শিল্পকর্ম ‘দ্য মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট’। মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট দেশ কাতারের দোহায় অবস্থিত ইসলামী জাদুঘরটি ইসলামী শিল্প, সভ্যতা, সংস্কৃতি সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ইতিহাস ও মূল্যবান তৈজসপত্রে সমৃদ্ধ। ২০০৮ সালে কৃত্রিম উপদ্বীপে নির্মিত জাদুঘরটি বিশ্বব্যাপী পর্যটকের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। প্রতি বছর ৫ লাখ মানুষ জাদুঘরটি পরিদর্শন করেন। স্থাপনাটির নকশা করেছেন চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন স্থপতি আই এম পাই। স্থাপনাটি তার সৌন্দর্যের জন্য বেশ প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে। পাঁচ তলা জাদুঘরের ভিতরের অংশগুলো অদ্ভুতভাবে কাচ দিয়ে সাজানো। যার এক পাশ থেকে আরেক পাশে যেতে হয় কাচের তৈরি সিঁড়ি দিয়ে। মাঝখানে রয়েছে ১৬৪ ফুট উঁচু গম্বুজ। ৪৫ হাজার বর্গমিটারের বিশাল ভবনে আছে বহু মূল্যবান হাতে লেখা কাপড়, পাথর, দলিলপত্র, শিলালিপি, তৈজসপত্র, গয়না, অস্ত্র এবং চমৎকার সব পাণ্ডুলিপি। প্রাচীন সোনা-রুপা ও ব্রোঞ্জের তৈরি বিভিন্ন আমলের মুদ্রার সমাহার। প্রাক-ইসলামিক ও সাসানিদ যুগের বেশ কিছু শিল্পকর্মও সংরক্ষিত রয়েছে এখানে। জাদুঘরটিতে ৫ হাজার ৪০০টিরও বেশি ইসলামিক শিল্প সংরক্ষিত রয়েছে। যুগ অনুযায়ী ইসলামী শিল্প-সংস্কৃতিগুলো আলাদা গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হয়। ইসলামের প্রথম যুগের ইতিহাস, মধ্য এশিয়া ও ইরানের ইসলামী স্থাপত্যশিল্প এবং মিসর ও সিরিয়ার ইসলামী যুগের তথ্য-উপাত্ত-স্থাপত্যশিল্পের আলাদা গ্যালারি রয়েছে। জাদুঘর ভবনেই রয়েছে এক্সিবিশন হল, আরবি ও ইংরেজি ভাষাভাষীদের গবেষণা সেন্টার এবং সমৃদ্ধিশালী একটি গ্রন্থাগার। যেখানে আছে আরবি ও ইংরেজি ভাষার দেড় লাখের বেশি বই। প্রায় ২০০ বিরল বই রয়েছে যা আর কোথাও পাওয়া যাবে না।

 

দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইনে নির্মিত বাইত আল কোরআন

পৃথিবীর প্রসিদ্ধতম ইসলামী জাদুঘরগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘আল হায়াত মিউজিয়াম’। ‘বাইত আল কোরআন’ নামে জাদুঘরটি সর্বাধিক পরিচিত। বাহরাইনের হুরায় ১৯৯০ সালে স্থাপনাটি প্রতিষ্ঠা করেন কোরআন গবেষক ড. আবদুল লতিফ জাসিম। বলা যায়, এটা তাঁর ব্যক্তিগত জাদুঘর। দীর্ঘদিনের চেষ্টা ও সাধনায় তিনি পবিত্র কোরআনের বিরল ও মূল্যবান বহু রকমের কপি সংগ্রহ করেছেন। দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট জাদুঘরটিতে ১০টি হল রয়েছে। এসব হলে হিজরি প্রথম শতাব্দী থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগে লিখিত কোরআনের পাণ্ডুলিপি রক্ষিত রয়েছে। মক্কা, মদিনা, দামেস্ক, বাগদাদ থেকে সংগৃহীত কাগজের পাণ্ডুলিপি এখানে রক্ষিত রয়েছে। হাতে লেখা অনেক প্রাচীন পাণ্ডুলিপিও রয়েছে এখানে। হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.)-এর যুগে সংকলিত প্রথম কোরআনের মূল্যবান কপিটি এখানে সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া ইসলামী ক্যালিওগ্রাফি, ইসলামী বইয়ের প্রাচীন পাণ্ডুলিপি ও ইসলামিক আর্টের বিরল সংগ্রহ জাদুঘরটিকে সমৃদ্ধ করেছে। এর মাধ্যমে হিজরি প্রথম শতাব্দী থেকে ইসলামী স্বর্ণযুগসহ বর্তমান অবধি ক্যালিওগ্রাফি শৈলীর অগ্রগতি বোঝা যায়। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এটি প্রতিষ্ঠিত হলেও তাতে অংশগ্রহণ রয়েছে সাধারণ মানুষেরও। বাহরাইনের সর্বশ্রেণির মানুষ জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে। তাই জাদুঘর কর্তৃপক্ষও সেবার বিপরীতে মানুষের কাছ থেকে কোনো মূল্য গ্রহণ করে না। ১২ শতকের মসজিদের আদলে গড়ে তোলা ‘বাইত আল কোরআন’ স্থাপনাতে জাদুঘর ছাড়াও রয়েছে মসজিদ, ইসলামী স্কুল, পাঠাগার ও সভাকক্ষ। পাঠাগারে আরবি, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় রচিত প্রায় ৫০ হাজার বই রয়েছে।

 

বার্লিনে ইউরোপের বৃহত্তম ইসলামী জাদুঘর

‘মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট’, ইউরোপের অন্যতম সমৃদ্ধ জাদুঘর। বিশ্বের ইসলামী শিল্পকলা ও চিত্রকর্মের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বপ্রাচীন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘর এটি। অর্থাৎ কায়রো জাদুঘরের পর এটাই পৃথিবীর প্রাচীনতম জাদুঘর। জাদুঘরটি আইসল্যান্ডের পেরগামোন মিউজিয়ামে অবস্থিত। প্রায় ৯৩ হাজার স্মারক রয়েছে এখানে। এ জাদুঘরের ইসলাম ও মুসলিম-সংশ্লিষ্ট অংশকে পৃথক করে ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে নতুন জাদুঘর ‘দ্য মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট’। তবে সম্পূর্ণ পৃথক হয় ১৯৫০ সালে। যেখানে ইসলাম-পূর্ব সময় থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী নিদর্শন রয়েছে। যেমন উমাইয়া যুগে ব্যবহৃত তৈজসপত্র, যা আরব ও চীনের মিশ্র শৈলীতে নির্মাণ করা হয়েছে। রয়েছে প্রথম শতকের কোরআন, তরবারি, বর্ম ইত্যাদি। পাশাপাশি ইসলামের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিবরণীও লেখা আছে জাদুঘরের দেয়ালে। ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত সবকিছুই এখানে স্থান পেয়েছে। বার্লিনে অবস্থিত ইসলামী জাদুঘরে স্পেনের বিখ্যাত আল হামরা প্রাসাদসহ মুসলিম বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার প্রতিলিপি স্থান পেয়েছে। ইসলামী জাদুঘরে রয়েছে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার। যেখানে ইসলামী শিল্পকলা ও প্রত্নতত্ত্ববিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বই রয়েছে। মাঝেমধ্যে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ইসলামী চিত্রকলার প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ইসলামী ইতিহাসের ধারাক্রমানুসারে স্মারকগুলো সাজানো হয়েছে। যেন সহজেই দর্শনার্থীরা ধারণা পেতে পারেন। জাদুঘরটিতে ইসলামী শিল্পকর্ম ছাড়াও খ্রিস্টান ও ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেক কিছুই সংগৃহীত হয়েছে।

 

মালয়েশিয়ায় দৃষ্টিনন্দন দি ইসলামিক আর্টস মিউজিয়াম

‘দি ইসলামিক আর্টস মিউজিয়াম’, দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইসলামী জাদুঘর। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে সবুজের সমারোহ পারদানা বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘেঁষা, পাখির উদ্যান এবং জাতীয় মসজিদের ঠিক বিপরীতে সংগ্রহশালাটি অবস্থিত। ১৯৯৮ সালে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাদুঘরটি। অল্প দিনেই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে জাদুঘরটি। স্থাপনাটির ১২টি বিশাল প্রদর্শনকক্ষে প্রায় ৭ হাজার স্মারক ও নিদর্শন রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হাতে লেখা কোরআন, ইসলামী স্থাপত্যের প্রতিরূপ, গয়না, চীনামাটি, কাচের পাত্র, বস্ত্র, অস্ত্র, বর্ম ইত্যাদি। মুসলিম বিশ্বের অসংখ্য শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য এখানে রয়েছে আলাদা আলাদা গ্যালারি।

সময়কাল ও বিষয় হিসেবে গ্যালারিগুলো ভাগ করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে প্রদর্শনের জন্য উনবিংশ শতাব্দী পূর্ব রোমের ‘অটোমান সাম্রাজ্যে’র ধ্বংসাবশেষের অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে। জাদুঘরে চীন, ভারত ও মালয়ের মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন রয়েছে। এ ছাড়া জাদুঘর ভবনটিতে রয়েছে গবেষণা কেন্দ্র, আলোচনা কক্ষ, শিশু ও গবেষকদের জন্য পৃথক পাঠাগার, বিক্রয় কেন্দ্র ও রেস্টুরেন্ট। ৩০ হাজার স্কয়ার ফিটের সুবিশাল এই ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ ফ্লোরকে জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। তৃতীয় ফ্লোরে রয়েছে কোরআন ও পাণ্ডুলিপি, ইসলামী স্থাপত্য, ভারতীয়, চীনা ও মালয় গ্যালারি। চতুর্থ ফ্লোরে রয়েছে গয়না, অস্ত্র, বর্ম ও সিরামিকস গ্যালারি। প্রাচীনকালের কাচের জিনিসপত্র সংগ্রহের জন্যও জাদুঘরটি বেশ প্রসিদ্ধ। জাদুঘরের বাইরের অংশটি একবিংশ শতাব্দীর নির্মাণ কৌশলে নির্মিত, তবুও কিছু ঐতিহাসিক ইসলামী স্থাপত্যের বিবরণে স্থাপনাটির প্রাচীন ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে।

 

পবিত্র মক্কায় একাধিক ইসলামী জাদুঘর

‘দ্য সৌদি কমিশন ফর ট্যুরিজম অ্যান্ড ন্যাশনাল হেরিটেজ’-এর তালিকায় মক্কা নগরীর বেশ কয়েকটি জাদুঘরের নাম রয়েছে। প্রতি বছর হজ ও ওমরাহ পালন করতে আসা লাখ লাখ হাজি এসব জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসব জাদুঘরে সৌদি আরবের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের বেশি কিছু নেই বললেই চলে। যা আছে, তার সবই কাবাকেন্দ্রিক। তবে সৌদি আরবের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পোশাক-পরিচ্ছদ, আসবাব, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদির কিছু নমুনা এখানে আছে। মক্কায় অবস্থিত আল হারামাইন জাদুঘর রয়েছে দর্শনার্থীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। সাতটি হলরুমের বিশাল এই জাদুঘরে রয়েছে কাবার প্রাচীন দরজাগুলো, হাতে আঁকা কোরআন, দুষ্প্রাপ্য ছবি, ইসলামী স্থাপত্যের নমুনা ইত্যাদি। এ ছাড়া আছে প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট, প্রাচীন শিলালিপি, প্রাসাদ ও হজের যাত্রাপথের ছবি। মক্কা জাদুঘরে আঞ্চলিক ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, এই অঞ্চলে মানববসতি স্থাপনের ইতিহাস, আরবি ভাষা, সাহিত্য, হস্তলিপির বিকাশ সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়েছে দর্শনার্থীদের। মক্কা জাদুঘরের অদূরেই রয়েছে জেদ্দা জাদুঘর। ইসলামের ইতিহাসের প্রায় একই রকম স্মারক ও নিদের্শনাবলি এখানে প্রদর্শন করা হয়। মক্কা, তায়েফ ও জেদ্দায় বেশ কিছু পারিবারিক জাদুঘরও রয়েছে। যেগুলো মালিক তাঁর পছন্দ অনুযায়ী সাজিয়েছেন। যেমন- মুদ্রা জাদুঘর। যেখানে প্রাচীন ও আধুনিককালের দুর্লভ মুদ্রা সংরক্ষণ করা হয়েছে। একইভাবে গৃহস্থালি, কৃষি, খাবার, কাপড় ও ব্যবহার্য জিনিসপত্রের একাধিক পারিবারিক জাদুঘর রয়েছে এই অঞ্চলে। তবে জেদ্দার সবচেয়ে জনপ্রিয় ইসলামী জাদুঘর ‘আবদুর রউফ খলিল মিউজিয়াম’। জাদুঘর, প্রাসাদ ও মসজিদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা এই স্থাপনায় তুলে ধরা হয়েছে আরব জাতির হাজার বছরের ইতিহাস।

 

যৌথ উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ইসলামী জাদুঘর

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থিত ইসলামী জাদুঘর ‘দ্য ইসলামিক মিউজিয়াম অব অস্ট্রেলিয়া’। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরটি অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইসলামী সংগ্রহশালা। দেশটিতে আগত দর্শনার্থীদের কাছে ইসলামের ইতিহাস, জীবনযাত্রা ও মুসলিম সভ্যতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরার জন্য জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইসলামিক জাদুঘরটি সরকারের অনুমতিক্রমে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মূল উদ্যোক্তা ফাহুর পরিবার। জাদুঘর নির্মাণে অর্থ সরবরাহ করেছে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়ান সরকার ও অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম ব্যবসায়ী মুস্তাফা ফাহুর। ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ইসলামী জাদুঘরের ডিজাইন করেছে বিখ্যাত ডিজাইন হাউস ডসাইফার। ফাহুর পরিবার জাদুঘর নির্মাণে চার মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের কাছে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, মুসলিম সভ্যতা ও পরিচয় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। স্থানীয় মুসলিম সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মুসলিম শিল্পীদের সহযোগিতা করা জাদুঘরের অন্যতম লক্ষ্য। মুসলিম শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য জাদুঘরে স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী গ্যালারি। জাদুঘরের স্থায়ী গ্যালারিতে রয়েছে মূল্যবান ও চমৎকার সব শিল্পকর্ম। এ গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে মালয়-ফিলিপাইন জেলে ও ভারতীয়দের কথা, যাদের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় ইসলামের আগমন ও প্রচার-প্রসার হয়েছিল। স্থাপনাটিতে আরবি ক্যালিওগ্রাফি, শিল্প, চিত্রকলা ও হস্তশিল্পসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় সন্নিবেশিত হয়েছে। ৫০ হাজার লোক একসঙ্গে এখানে পরিদর্শন করতে পারেন।

 

প্রাচীন মিসরের সর্ববৃহৎ ইসলামী জাদুঘর

প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিসর। এই মিসরেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন, বৃহত্তম ইসলামী জাদুঘর। প্রাচীন জাদুঘরটি রাজধানী কায়রোর প্রসিদ্ধ এলাকা আল খালক স্কয়ারে অবস্থিত। ১৮৮০ সালে মুইজ স্ট্রিটে অবস্থিত আল হাকিম মসজিদের পাশে অল্প কিছু সংগ্রহ কয়েকটি মসজিদের মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রদর্শন করা হয়। ১৯০৩ সালে মিসরের রাজধানী কায়রোতে জাদুঘরের নিজস্ব ভবন তৈরি করা হয়। ২০১৪ সালে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৬ সালে নতুন করে কিছু অংশ পুনর্র্নির্মাণ করে আবার চালু করা হয়। এখানে অন্তত ১ লাখের ওপরে গত প্রায় ১২ শতাব্দী প্রাচীন ইসলামের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দু®প্রাপ্য মহামূল্যবান জিনিসপত্র সংরক্ষিত আছে। মিসর ও আরব ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র, শিলালিপি, ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং বিচিত্র সব নিদর্শনে সমৃদ্ধ জাদুঘরটি। জাদুঘর ভবনটির বেজমেন্টে রয়েছে স্টোর এরিয়া। দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলায় রয়েছে প্রদর্শনী কক্ষ। প্রদর্শিত স্মারকের মধ্যে ধাতব বস্তু, কারুশিল্প সামগ্রী, কার্পেট, পাথর, সিরামিক পণ্য, কোরআনের দুর্লভ পাণ্ডুলিপি, মুদ্রা, জুয়েলারি, অস্ত্র, মসজিদের মেহরাব প্রভৃতি অন্যতম। এ ছাড়া রয়েছে দুর্লভ পাণ্ডুলিপি, বইয়ের কপি, চিত্রকলা, ধাতু ও চীনামাটির তৈজসপত্র, গয়না, অস্ত্র, হাতির দাঁতের জিনিস। বর্তমানে জাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে প্রায় দেড় লাখ মূল্যবান সম্পদ। রয়েছে ২৫টি জাদুঘরের হল। বিশাল জাদুঘরটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রবেশদ্বার পেরোলেই চোখে পড়বে ইসলামী খেলাফতের প্রতিটি যুগের গল্প। অপর ভাগে রয়েছে ইসলামী বিশ্বের ব্যবহৃত উপকরণ যেমন- বস্ত্র, কার্পেট, জানালা-দরজার ফ্রেম, সিরামিকের টুকরা, অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম।

 

জেরুজালেমের শতবর্ষী ইসলামী জাদুঘর

জেরুজালেমের প্রথম জাদুঘর ‘জেরুজালেম ইসলামী জাদুঘর’। স্থাপনাটি ঐতিহাসিক আল-আকসা মসজিদের সন্নিকটে অবস্থিত। ১৯২২ সালে জেরুজালেমের হায়ার ইসলামিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পবিত্র আল-আকসা মসজিদে সংরক্ষিত প্রাচীন নিদর্শনাবলি নিয়েই যাত্রা শুরু হয়েছিল সংগ্রহশালাটির। পরবর্তীকালে জেরুজালেম ও ফিলিস্তিনের ইতিহাস, শিল্প-সংস্কৃতিসহ অসংখ্য নিদর্শন ও স্মারক উপহার হিসেবে পায় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। যার মধ্যে রয়েছে পবিত্র কোরআনের প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, আকসায় ব্যবহৃত আসবাব, অত্র অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তির স্মৃতিচিহ্ন, প্রাচীন মুদ্রা ও তৈজসপত্র। জাদুঘরের প্রধান কক্ষ দুটি, যার একটি মামলুক শাসনামলে মালেকি মাজহাবের অনুসারীদের জন্য মসজিদ হিসেবে নির্মাণ করা হয়। ৫৪ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ মিটার প্রস্থ ভবনটি ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন শেখ ওমর ইবনে আবদুন নবী আল মাগরিবি আল মাসউদি। তবে এর প্রবেশপথটি উসমানীয় শাসনামলে ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে সংস্কার করা হয়। দ্বিতীয় কক্ষটির দৈর্ঘ্য ১৭ মিটার এবং প্রস্থ ৩৫ মিটার। এটি ফাতেমীয় শাসনামলে মহিলাদের নামাজের জন্য নির্মাণ করা হয়। ইসলামী স্বর্ণযুগের দুর্লভ ও হাজার বছরের প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে এখানে। উত্তর আফ্রিকা, মিসর, সিরিয়া, তুরস্ক, ইরান, পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ থেকে এসব নিদর্শন ও স্মারক সংগ্রহ করা হয়েছে। এখানে রয়েছে উমাইয়া আমলের কাঠের সেট, ১৯৬৯ সালে ইসরায়েলের দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া নুর আলদিন মিম্বরের ধ্বংসাবশেষ, মামলুক আমলের মূল্যবান নথিপত্র, ধাতব, মার্বেল ও টাইলস। এ ছাড়া রয়েছে কুফি, নকশি ও থোলথ আরবি লিপির একাধিক ক্যালিওগ্রাফি।

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
সর্বশেষ খবর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়কের পদত্যাগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়কের পদত্যাগ

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাকচাপায় নিহত ১
ট্রাকচাপায় নিহত ১

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা নেই পাকিস্তানের
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা নেই পাকিস্তানের

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা এক থাকলে আমাদের সামনে কিছুই টিকতে পারবে না : ফারুকী
আমরা এক থাকলে আমাদের সামনে কিছুই টিকতে পারবে না : ফারুকী

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

কু‌ষ্টিয়ায় জ‌মির হত্যার ঘটনায় আটক ৩
কু‌ষ্টিয়ায় জ‌মির হত্যার ঘটনায় আটক ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনার নতুন ঢেউ দেশে, জুনে ২২ জনের মৃত্যু
করোনার নতুন ঢেউ দেশে, জুনে ২২ জনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

ঝড়ের মতো গুলির মধ্যেও দাঁড়িয়ে থাকার দৃঢ়তা শিখিয়েছে জুলাই : প্রেস সচিব
ঝড়ের মতো গুলির মধ্যেও দাঁড়িয়ে থাকার দৃঢ়তা শিখিয়েছে জুলাই : প্রেস সচিব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ম্যানসিটিকে কাঁদিয়ে শেষ আটে আল হিলাল
ম্যানসিটিকে কাঁদিয়ে শেষ আটে আল হিলাল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঠাকুরগাঁওয়ে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালিত হবে ১৮ জুলাই
‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালিত হবে ১৮ জুলাই

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর
যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা
চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাতৃত্বকালীন কার্ডিওমায়োপ্যাথি
মাতৃত্বকালীন কার্ডিওমায়োপ্যাথি

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

পলাশবাড়ীতে পরিচ্ছতা অভিযানের মধ্য দিয়ে যাত্রাশুরু বসুন্ধরা শুভসংঘের
পলাশবাড়ীতে পরিচ্ছতা অভিযানের মধ্য দিয়ে যাত্রাশুরু বসুন্ধরা শুভসংঘের

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুপুরের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস ৮ জেলায়
দুপুরের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস ৮ জেলায়

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা
মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

শার্শায় বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
শার্শায় বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিনেটে ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে ভোট শুরু
সিনেটে ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে ভোট শুরু

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার
কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?
সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাহরাইনের বিপক্ষে গোল প্রয়াত ভাইকে উৎসর্গ করে যা বললেন ঋতুপর্ণা
বাহরাইনের বিপক্ষে গোল প্রয়াত ভাইকে উৎসর্গ করে যা বললেন ঋতুপর্ণা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ জুলাই)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইতালির উপকূলে নৌকাডুবি, ৮৭ জনকে জীবিত উদ্ধার
ইতালির উপকূলে নৌকাডুবি, ৮৭ জনকে জীবিত উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হজ শেষে ফিরেছেন ৬২ হাজার ২৭২ হাজি
হজ শেষে ফিরেছেন ৬২ হাজার ২৭২ হাজি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির আভাস
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির আভাস

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজ দেশের সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে
আজ দেশের সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজরের পুষ্টিগুণ
গাজরের পুষ্টিগুণ

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সর্বাধিক পঠিত
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!
নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি
প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?
সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ
আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব
সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ
বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান
পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

১৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা
অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হামলায় গাজার মতো ধ্বংসস্তুপ হয়েছে ইসরায়েলের যে শহর
ইরানের হামলায় গাজার মতো ধ্বংসস্তুপ হয়েছে ইসরায়েলের যে শহর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা
মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ব্যাংক হলিডে মঙ্গলবার, বন্ধ থাকবে লেনদেন ও শেয়ারবাজার কার্যক্রম
ব্যাংক হলিডে মঙ্গলবার, বন্ধ থাকবে লেনদেন ও শেয়ারবাজার কার্যক্রম

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান
রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ
ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে

শিল্প বাণিজ্য

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ
সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পী ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ, রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা কামনা
শিল্পী ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ, রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা কামনা

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকার সব ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের নির্দেশ
ঢাকার সব ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফুল চাষে ভাগ্য বদল
ফুল চাষে ভাগ্য বদল

পেছনের পৃষ্ঠা

আগের গভর্নররা এজেন্টের কাজ করেছেন
আগের গভর্নররা এজেন্টের কাজ করেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন