শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৩

মুসলিম ঐতিহ্যের বিশ্বসেরা জাদুঘর

আবদুল কাদের
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মুসলিম ঐতিহ্যের বিশ্বসেরা জাদুঘর

ইসলামের ইতিহাসের সমৃদ্ধ অধ্যায়গুলো তুলে ধরতে বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইসলামী জাদুঘর। যেখানে প্রদর্শিত হয় ইসলামী জ্ঞানবিজ্ঞান, সভ্যতা-সংস্কৃতি ও ইতিহাস। সমকালে দাঁড়িয়ে ইসলামের সোনালি অতীত জানার সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম হলো এসব জাদুঘর। রইল বর্তমান বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ইসলামী জাদুঘরের বিস্তারিত...

 

কাতারের উপদ্বীপে নির্মিত সর্বাধুনিক ইসলামী সংগ্রহশালা

পানির মধ্যে অনন্য শিল্পকর্ম ‘দ্য মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট’। মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট দেশ কাতারের দোহায় অবস্থিত ইসলামী জাদুঘরটি ইসলামী শিল্প, সভ্যতা, সংস্কৃতি সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ইতিহাস ও মূল্যবান তৈজসপত্রে সমৃদ্ধ। ২০০৮ সালে কৃত্রিম উপদ্বীপে নির্মিত জাদুঘরটি বিশ্বব্যাপী পর্যটকের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। প্রতি বছর ৫ লাখ মানুষ জাদুঘরটি পরিদর্শন করেন। স্থাপনাটির নকশা করেছেন চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন স্থপতি আই এম পাই। স্থাপনাটি তার সৌন্দর্যের জন্য বেশ প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে। পাঁচ তলা জাদুঘরের ভিতরের অংশগুলো অদ্ভুতভাবে কাচ দিয়ে সাজানো। যার এক পাশ থেকে আরেক পাশে যেতে হয় কাচের তৈরি সিঁড়ি দিয়ে। মাঝখানে রয়েছে ১৬৪ ফুট উঁচু গম্বুজ। ৪৫ হাজার বর্গমিটারের বিশাল ভবনে আছে বহু মূল্যবান হাতে লেখা কাপড়, পাথর, দলিলপত্র, শিলালিপি, তৈজসপত্র, গয়না, অস্ত্র এবং চমৎকার সব পাণ্ডুলিপি। প্রাচীন সোনা-রুপা ও ব্রোঞ্জের তৈরি বিভিন্ন আমলের মুদ্রার সমাহার। প্রাক-ইসলামিক ও সাসানিদ যুগের বেশ কিছু শিল্পকর্মও সংরক্ষিত রয়েছে এখানে। জাদুঘরটিতে ৫ হাজার ৪০০টিরও বেশি ইসলামিক শিল্প সংরক্ষিত রয়েছে। যুগ অনুযায়ী ইসলামী শিল্প-সংস্কৃতিগুলো আলাদা গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হয়। ইসলামের প্রথম যুগের ইতিহাস, মধ্য এশিয়া ও ইরানের ইসলামী স্থাপত্যশিল্প এবং মিসর ও সিরিয়ার ইসলামী যুগের তথ্য-উপাত্ত-স্থাপত্যশিল্পের আলাদা গ্যালারি রয়েছে। জাদুঘর ভবনেই রয়েছে এক্সিবিশন হল, আরবি ও ইংরেজি ভাষাভাষীদের গবেষণা সেন্টার এবং সমৃদ্ধিশালী একটি গ্রন্থাগার। যেখানে আছে আরবি ও ইংরেজি ভাষার দেড় লাখের বেশি বই। প্রায় ২০০ বিরল বই রয়েছে যা আর কোথাও পাওয়া যাবে না।

 

দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইনে নির্মিত বাইত আল কোরআন

পৃথিবীর প্রসিদ্ধতম ইসলামী জাদুঘরগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘আল হায়াত মিউজিয়াম’। ‘বাইত আল কোরআন’ নামে জাদুঘরটি সর্বাধিক পরিচিত। বাহরাইনের হুরায় ১৯৯০ সালে স্থাপনাটি প্রতিষ্ঠা করেন কোরআন গবেষক ড. আবদুল লতিফ জাসিম। বলা যায়, এটা তাঁর ব্যক্তিগত জাদুঘর। দীর্ঘদিনের চেষ্টা ও সাধনায় তিনি পবিত্র কোরআনের বিরল ও মূল্যবান বহু রকমের কপি সংগ্রহ করেছেন। দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট জাদুঘরটিতে ১০টি হল রয়েছে। এসব হলে হিজরি প্রথম শতাব্দী থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগে লিখিত কোরআনের পাণ্ডুলিপি রক্ষিত রয়েছে। মক্কা, মদিনা, দামেস্ক, বাগদাদ থেকে সংগৃহীত কাগজের পাণ্ডুলিপি এখানে রক্ষিত রয়েছে। হাতে লেখা অনেক প্রাচীন পাণ্ডুলিপিও রয়েছে এখানে। হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.)-এর যুগে সংকলিত প্রথম কোরআনের মূল্যবান কপিটি এখানে সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া ইসলামী ক্যালিওগ্রাফি, ইসলামী বইয়ের প্রাচীন পাণ্ডুলিপি ও ইসলামিক আর্টের বিরল সংগ্রহ জাদুঘরটিকে সমৃদ্ধ করেছে। এর মাধ্যমে হিজরি প্রথম শতাব্দী থেকে ইসলামী স্বর্ণযুগসহ বর্তমান অবধি ক্যালিওগ্রাফি শৈলীর অগ্রগতি বোঝা যায়। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এটি প্রতিষ্ঠিত হলেও তাতে অংশগ্রহণ রয়েছে সাধারণ মানুষেরও। বাহরাইনের সর্বশ্রেণির মানুষ জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে। তাই জাদুঘর কর্তৃপক্ষও সেবার বিপরীতে মানুষের কাছ থেকে কোনো মূল্য গ্রহণ করে না। ১২ শতকের মসজিদের আদলে গড়ে তোলা ‘বাইত আল কোরআন’ স্থাপনাতে জাদুঘর ছাড়াও রয়েছে মসজিদ, ইসলামী স্কুল, পাঠাগার ও সভাকক্ষ। পাঠাগারে আরবি, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় রচিত প্রায় ৫০ হাজার বই রয়েছে।

 

বার্লিনে ইউরোপের বৃহত্তম ইসলামী জাদুঘর

‘মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট’, ইউরোপের অন্যতম সমৃদ্ধ জাদুঘর। বিশ্বের ইসলামী শিল্পকলা ও চিত্রকর্মের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বপ্রাচীন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘর এটি। অর্থাৎ কায়রো জাদুঘরের পর এটাই পৃথিবীর প্রাচীনতম জাদুঘর। জাদুঘরটি আইসল্যান্ডের পেরগামোন মিউজিয়ামে অবস্থিত। প্রায় ৯৩ হাজার স্মারক রয়েছে এখানে। এ জাদুঘরের ইসলাম ও মুসলিম-সংশ্লিষ্ট অংশকে পৃথক করে ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে নতুন জাদুঘর ‘দ্য মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট’। তবে সম্পূর্ণ পৃথক হয় ১৯৫০ সালে। যেখানে ইসলাম-পূর্ব সময় থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী নিদর্শন রয়েছে। যেমন উমাইয়া যুগে ব্যবহৃত তৈজসপত্র, যা আরব ও চীনের মিশ্র শৈলীতে নির্মাণ করা হয়েছে। রয়েছে প্রথম শতকের কোরআন, তরবারি, বর্ম ইত্যাদি। পাশাপাশি ইসলামের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিবরণীও লেখা আছে জাদুঘরের দেয়ালে। ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত সবকিছুই এখানে স্থান পেয়েছে। বার্লিনে অবস্থিত ইসলামী জাদুঘরে স্পেনের বিখ্যাত আল হামরা প্রাসাদসহ মুসলিম বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার প্রতিলিপি স্থান পেয়েছে। ইসলামী জাদুঘরে রয়েছে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার। যেখানে ইসলামী শিল্পকলা ও প্রত্নতত্ত্ববিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বই রয়েছে। মাঝেমধ্যে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ইসলামী চিত্রকলার প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ইসলামী ইতিহাসের ধারাক্রমানুসারে স্মারকগুলো সাজানো হয়েছে। যেন সহজেই দর্শনার্থীরা ধারণা পেতে পারেন। জাদুঘরটিতে ইসলামী শিল্পকর্ম ছাড়াও খ্রিস্টান ও ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেক কিছুই সংগৃহীত হয়েছে।

 

মালয়েশিয়ায় দৃষ্টিনন্দন দি ইসলামিক আর্টস মিউজিয়াম

‘দি ইসলামিক আর্টস মিউজিয়াম’, দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইসলামী জাদুঘর। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে সবুজের সমারোহ পারদানা বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘেঁষা, পাখির উদ্যান এবং জাতীয় মসজিদের ঠিক বিপরীতে সংগ্রহশালাটি অবস্থিত। ১৯৯৮ সালে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাদুঘরটি। অল্প দিনেই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে জাদুঘরটি। স্থাপনাটির ১২টি বিশাল প্রদর্শনকক্ষে প্রায় ৭ হাজার স্মারক ও নিদর্শন রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হাতে লেখা কোরআন, ইসলামী স্থাপত্যের প্রতিরূপ, গয়না, চীনামাটি, কাচের পাত্র, বস্ত্র, অস্ত্র, বর্ম ইত্যাদি। মুসলিম বিশ্বের অসংখ্য শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য এখানে রয়েছে আলাদা আলাদা গ্যালারি।

সময়কাল ও বিষয় হিসেবে গ্যালারিগুলো ভাগ করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে প্রদর্শনের জন্য উনবিংশ শতাব্দী পূর্ব রোমের ‘অটোমান সাম্রাজ্যে’র ধ্বংসাবশেষের অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে। জাদুঘরে চীন, ভারত ও মালয়ের মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন রয়েছে। এ ছাড়া জাদুঘর ভবনটিতে রয়েছে গবেষণা কেন্দ্র, আলোচনা কক্ষ, শিশু ও গবেষকদের জন্য পৃথক পাঠাগার, বিক্রয় কেন্দ্র ও রেস্টুরেন্ট। ৩০ হাজার স্কয়ার ফিটের সুবিশাল এই ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ ফ্লোরকে জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। তৃতীয় ফ্লোরে রয়েছে কোরআন ও পাণ্ডুলিপি, ইসলামী স্থাপত্য, ভারতীয়, চীনা ও মালয় গ্যালারি। চতুর্থ ফ্লোরে রয়েছে গয়না, অস্ত্র, বর্ম ও সিরামিকস গ্যালারি। প্রাচীনকালের কাচের জিনিসপত্র সংগ্রহের জন্যও জাদুঘরটি বেশ প্রসিদ্ধ। জাদুঘরের বাইরের অংশটি একবিংশ শতাব্দীর নির্মাণ কৌশলে নির্মিত, তবুও কিছু ঐতিহাসিক ইসলামী স্থাপত্যের বিবরণে স্থাপনাটির প্রাচীন ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে।

 

পবিত্র মক্কায় একাধিক ইসলামী জাদুঘর

‘দ্য সৌদি কমিশন ফর ট্যুরিজম অ্যান্ড ন্যাশনাল হেরিটেজ’-এর তালিকায় মক্কা নগরীর বেশ কয়েকটি জাদুঘরের নাম রয়েছে। প্রতি বছর হজ ও ওমরাহ পালন করতে আসা লাখ লাখ হাজি এসব জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসব জাদুঘরে সৌদি আরবের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের বেশি কিছু নেই বললেই চলে। যা আছে, তার সবই কাবাকেন্দ্রিক। তবে সৌদি আরবের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পোশাক-পরিচ্ছদ, আসবাব, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদির কিছু নমুনা এখানে আছে। মক্কায় অবস্থিত আল হারামাইন জাদুঘর রয়েছে দর্শনার্থীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। সাতটি হলরুমের বিশাল এই জাদুঘরে রয়েছে কাবার প্রাচীন দরজাগুলো, হাতে আঁকা কোরআন, দুষ্প্রাপ্য ছবি, ইসলামী স্থাপত্যের নমুনা ইত্যাদি। এ ছাড়া আছে প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট, প্রাচীন শিলালিপি, প্রাসাদ ও হজের যাত্রাপথের ছবি। মক্কা জাদুঘরে আঞ্চলিক ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, এই অঞ্চলে মানববসতি স্থাপনের ইতিহাস, আরবি ভাষা, সাহিত্য, হস্তলিপির বিকাশ সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়েছে দর্শনার্থীদের। মক্কা জাদুঘরের অদূরেই রয়েছে জেদ্দা জাদুঘর। ইসলামের ইতিহাসের প্রায় একই রকম স্মারক ও নিদের্শনাবলি এখানে প্রদর্শন করা হয়। মক্কা, তায়েফ ও জেদ্দায় বেশ কিছু পারিবারিক জাদুঘরও রয়েছে। যেগুলো মালিক তাঁর পছন্দ অনুযায়ী সাজিয়েছেন। যেমন- মুদ্রা জাদুঘর। যেখানে প্রাচীন ও আধুনিককালের দুর্লভ মুদ্রা সংরক্ষণ করা হয়েছে। একইভাবে গৃহস্থালি, কৃষি, খাবার, কাপড় ও ব্যবহার্য জিনিসপত্রের একাধিক পারিবারিক জাদুঘর রয়েছে এই অঞ্চলে। তবে জেদ্দার সবচেয়ে জনপ্রিয় ইসলামী জাদুঘর ‘আবদুর রউফ খলিল মিউজিয়াম’। জাদুঘর, প্রাসাদ ও মসজিদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা এই স্থাপনায় তুলে ধরা হয়েছে আরব জাতির হাজার বছরের ইতিহাস।

 

যৌথ উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ইসলামী জাদুঘর

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থিত ইসলামী জাদুঘর ‘দ্য ইসলামিক মিউজিয়াম অব অস্ট্রেলিয়া’। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরটি অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইসলামী সংগ্রহশালা। দেশটিতে আগত দর্শনার্থীদের কাছে ইসলামের ইতিহাস, জীবনযাত্রা ও মুসলিম সভ্যতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরার জন্য জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইসলামিক জাদুঘরটি সরকারের অনুমতিক্রমে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মূল উদ্যোক্তা ফাহুর পরিবার। জাদুঘর নির্মাণে অর্থ সরবরাহ করেছে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়ান সরকার ও অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম ব্যবসায়ী মুস্তাফা ফাহুর। ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ইসলামী জাদুঘরের ডিজাইন করেছে বিখ্যাত ডিজাইন হাউস ডসাইফার। ফাহুর পরিবার জাদুঘর নির্মাণে চার মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের কাছে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, মুসলিম সভ্যতা ও পরিচয় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। স্থানীয় মুসলিম সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মুসলিম শিল্পীদের সহযোগিতা করা জাদুঘরের অন্যতম লক্ষ্য। মুসলিম শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য জাদুঘরে স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী গ্যালারি। জাদুঘরের স্থায়ী গ্যালারিতে রয়েছে মূল্যবান ও চমৎকার সব শিল্পকর্ম। এ গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে মালয়-ফিলিপাইন জেলে ও ভারতীয়দের কথা, যাদের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় ইসলামের আগমন ও প্রচার-প্রসার হয়েছিল। স্থাপনাটিতে আরবি ক্যালিওগ্রাফি, শিল্প, চিত্রকলা ও হস্তশিল্পসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় সন্নিবেশিত হয়েছে। ৫০ হাজার লোক একসঙ্গে এখানে পরিদর্শন করতে পারেন।

 

প্রাচীন মিসরের সর্ববৃহৎ ইসলামী জাদুঘর

প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিসর। এই মিসরেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন, বৃহত্তম ইসলামী জাদুঘর। প্রাচীন জাদুঘরটি রাজধানী কায়রোর প্রসিদ্ধ এলাকা আল খালক স্কয়ারে অবস্থিত। ১৮৮০ সালে মুইজ স্ট্রিটে অবস্থিত আল হাকিম মসজিদের পাশে অল্প কিছু সংগ্রহ কয়েকটি মসজিদের মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রদর্শন করা হয়। ১৯০৩ সালে মিসরের রাজধানী কায়রোতে জাদুঘরের নিজস্ব ভবন তৈরি করা হয়। ২০১৪ সালে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৬ সালে নতুন করে কিছু অংশ পুনর্র্নির্মাণ করে আবার চালু করা হয়। এখানে অন্তত ১ লাখের ওপরে গত প্রায় ১২ শতাব্দী প্রাচীন ইসলামের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দু®প্রাপ্য মহামূল্যবান জিনিসপত্র সংরক্ষিত আছে। মিসর ও আরব ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র, শিলালিপি, ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং বিচিত্র সব নিদর্শনে সমৃদ্ধ জাদুঘরটি। জাদুঘর ভবনটির বেজমেন্টে রয়েছে স্টোর এরিয়া। দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলায় রয়েছে প্রদর্শনী কক্ষ। প্রদর্শিত স্মারকের মধ্যে ধাতব বস্তু, কারুশিল্প সামগ্রী, কার্পেট, পাথর, সিরামিক পণ্য, কোরআনের দুর্লভ পাণ্ডুলিপি, মুদ্রা, জুয়েলারি, অস্ত্র, মসজিদের মেহরাব প্রভৃতি অন্যতম। এ ছাড়া রয়েছে দুর্লভ পাণ্ডুলিপি, বইয়ের কপি, চিত্রকলা, ধাতু ও চীনামাটির তৈজসপত্র, গয়না, অস্ত্র, হাতির দাঁতের জিনিস। বর্তমানে জাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে প্রায় দেড় লাখ মূল্যবান সম্পদ। রয়েছে ২৫টি জাদুঘরের হল। বিশাল জাদুঘরটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রবেশদ্বার পেরোলেই চোখে পড়বে ইসলামী খেলাফতের প্রতিটি যুগের গল্প। অপর ভাগে রয়েছে ইসলামী বিশ্বের ব্যবহৃত উপকরণ যেমন- বস্ত্র, কার্পেট, জানালা-দরজার ফ্রেম, সিরামিকের টুকরা, অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম।

 

জেরুজালেমের শতবর্ষী ইসলামী জাদুঘর

জেরুজালেমের প্রথম জাদুঘর ‘জেরুজালেম ইসলামী জাদুঘর’। স্থাপনাটি ঐতিহাসিক আল-আকসা মসজিদের সন্নিকটে অবস্থিত। ১৯২২ সালে জেরুজালেমের হায়ার ইসলামিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পবিত্র আল-আকসা মসজিদে সংরক্ষিত প্রাচীন নিদর্শনাবলি নিয়েই যাত্রা শুরু হয়েছিল সংগ্রহশালাটির। পরবর্তীকালে জেরুজালেম ও ফিলিস্তিনের ইতিহাস, শিল্প-সংস্কৃতিসহ অসংখ্য নিদর্শন ও স্মারক উপহার হিসেবে পায় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। যার মধ্যে রয়েছে পবিত্র কোরআনের প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, আকসায় ব্যবহৃত আসবাব, অত্র অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তির স্মৃতিচিহ্ন, প্রাচীন মুদ্রা ও তৈজসপত্র। জাদুঘরের প্রধান কক্ষ দুটি, যার একটি মামলুক শাসনামলে মালেকি মাজহাবের অনুসারীদের জন্য মসজিদ হিসেবে নির্মাণ করা হয়। ৫৪ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ মিটার প্রস্থ ভবনটি ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন শেখ ওমর ইবনে আবদুন নবী আল মাগরিবি আল মাসউদি। তবে এর প্রবেশপথটি উসমানীয় শাসনামলে ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে সংস্কার করা হয়। দ্বিতীয় কক্ষটির দৈর্ঘ্য ১৭ মিটার এবং প্রস্থ ৩৫ মিটার। এটি ফাতেমীয় শাসনামলে মহিলাদের নামাজের জন্য নির্মাণ করা হয়। ইসলামী স্বর্ণযুগের দুর্লভ ও হাজার বছরের প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে এখানে। উত্তর আফ্রিকা, মিসর, সিরিয়া, তুরস্ক, ইরান, পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ থেকে এসব নিদর্শন ও স্মারক সংগ্রহ করা হয়েছে। এখানে রয়েছে উমাইয়া আমলের কাঠের সেট, ১৯৬৯ সালে ইসরায়েলের দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া নুর আলদিন মিম্বরের ধ্বংসাবশেষ, মামলুক আমলের মূল্যবান নথিপত্র, ধাতব, মার্বেল ও টাইলস। এ ছাড়া রয়েছে কুফি, নকশি ও থোলথ আরবি লিপির একাধিক ক্যালিওগ্রাফি।

এই বিভাগের আরও খবর
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
মূল্যবান যা কিছু...
মূল্যবান যা কিছু...
রহস্যময় গোপন স্থান
রহস্যময় গোপন স্থান
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
ক্যালরিক তত্ত্ব : তাপ যখন ছিল কেবল এক অদৃশ্য তরল!
ক্যালরিক তত্ত্ব : তাপ যখন ছিল কেবল এক অদৃশ্য তরল!
লুমিফেরাস ইথার : যে পদার্থের আসলে কোনো অস্তিত্বই ছিল না
লুমিফেরাস ইথার : যে পদার্থের আসলে কোনো অস্তিত্বই ছিল না
সম্প্রসারণশীল পৃথিবী : যখন মহাদেশের রহস্য ভুল পথে হেঁটেছিল
সম্প্রসারণশীল পৃথিবী : যখন মহাদেশের রহস্য ভুল পথে হেঁটেছিল
ফ্লজিস্টন তত্ত্ব : বৈজ্ঞানিক কল্পনা থেকে বাস্তবতার পথে
ফ্লজিস্টন তত্ত্ব : বৈজ্ঞানিক কল্পনা থেকে বাস্তবতার পথে
কোল্ড ফিউশন : উনবিংশ শতাব্দীর যে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল
কোল্ড ফিউশন : উনবিংশ শতাব্দীর যে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল
স্টেডি-স্টেট ইউনিভার্স : মহাবিশ্বের এক চিরন্তন রহস্যের সমাপ্তি
স্টেডি-স্টেট ইউনিভার্স : মহাবিশ্বের এক চিরন্তন রহস্যের সমাপ্তি
বৈজ্ঞানিক বিভ্রান্তি : এন-রে এবং ফ্রান্সের একটি কাল্পনিক বিকিরণ
বৈজ্ঞানিক বিভ্রান্তি : এন-রে এবং ফ্রান্সের একটি কাল্পনিক বিকিরণ
নতুন বরফ যুগের সূচনা : যে ধারণা শুধুই রহস্যের জন্ম দিয়েছিল
নতুন বরফ যুগের সূচনা : যে ধারণা শুধুই রহস্যের জন্ম দিয়েছিল
সর্বশেষ খবর
আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন জাম্পা
আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন জাম্পা

২৪ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

রাতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী
রাতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী

১ মিনিট আগে | জাতীয়

মধ্যপ্রাচ্যে আটকে না থেকে ইউরোপ-জাপানে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোয় জোর
মধ্যপ্রাচ্যে আটকে না থেকে ইউরোপ-জাপানে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোয় জোর

২ মিনিট আগে | জাতীয়

শিশুর রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকরী এই ৫ কৌশল
শিশুর রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকরী এই ৫ কৌশল

৬ মিনিট আগে | জীবন ধারা

যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি কাজে লিপ্তরা গ্রিনকার্ড পাবে না, নতুন নির্দেশনা
যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি কাজে লিপ্তরা গ্রিনকার্ড পাবে না, নতুন নির্দেশনা

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩০ দিন কারাগারে থাকলে পদ হারাবেন প্রধানমন্ত্রী, ভারতে নতুন বিল
৩০ দিন কারাগারে থাকলে পদ হারাবেন প্রধানমন্ত্রী, ভারতে নতুন বিল

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবার বিভক্তি বাগছাসে, স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থীর ঘোষণা কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমিদের
আবার বিভক্তি বাগছাসে, স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থীর ঘোষণা কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমিদের

৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি অব্যাহত রাখার দাবি হিলির আমদানিকারকদের
পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি অব্যাহত রাখার দাবি হিলির আমদানিকারকদের

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হাওর ও জলাভূমি অধিদফতরে নতুন ডিজি
হাওর ও জলাভূমি অধিদফতরে নতুন ডিজি

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

৫০ মিনিট আগে | নগর জীবন

ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

৫৫ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছে স্বেচ্ছাসেবক দল’
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছে স্বেচ্ছাসেবক দল’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন মাহমুদ হাসান
ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন মাহমুদ হাসান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুধু মানুষের জন্য নয়, পশু খাদ্যের জন্যও চালের চাহিদা বাড়ছে: খাদ্য উপদেষ্টা
শুধু মানুষের জন্য নয়, পশু খাদ্যের জন্যও চালের চাহিদা বাড়ছে: খাদ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরের তালা ভেঙে ফুটবলার সাগরিকার সোয়া দুই লাখ টাকা ‘চুরি’
ঘরের তালা ভেঙে ফুটবলার সাগরিকার সোয়া দুই লাখ টাকা ‘চুরি’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানি করা হচ্ছে : খাদ্য উপদেষ্টা
বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানি করা হচ্ছে : খাদ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেত্রকোনায় শিশু ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
নেত্রকোনায় শিশু ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, ভোলার ১০ রুটে নৌ চলাচল বন্ধ
সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, ভোলার ১০ রুটে নৌ চলাচল বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় শিশুকে পুড়িয়ে হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড আরেকজনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় শিশুকে পুড়িয়ে হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড আরেকজনের যাবজ্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছুটিতেই থাকবেন বিএফআইইউ প্রধান: ডেপুটি গভর্নর
ছুটিতেই থাকবেন বিএফআইইউ প্রধান: ডেপুটি গভর্নর

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাংলাদেশ সিরিজের জন্য দল ঘোষণা নেদারল্যান্ডসের
বাংলাদেশ সিরিজের জন্য দল ঘোষণা নেদারল্যান্ডসের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশকে ষড়যন্ত্রের অন্ধগলিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে : রিজভী
দেশকে ষড়যন্ত্রের অন্ধগলিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে : রিজভী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লালমনিরহাটে নদী থেকে ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার
লালমনিরহাটে নদী থেকে ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বেনাপোলে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে লাখ টাকা জরিমানা
বেনাপোলে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে লাখ টাকা জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৩৫৬
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৩৫৬

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

জুলাই মাসে রাজস্ব আদায় ২৭,২৪৭ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধি ২৪.৩২ শতাংশ
জুলাই মাসে রাজস্ব আদায় ২৭,২৪৭ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধি ২৪.৩২ শতাংশ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্রিতে এসডিসিটিআর প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ব্রিতে এসডিসিটিআর প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গুজরাটে বোরকা পরা ছাত্রীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে দেখানো নিয়ে বিতর্ক
গুজরাটে বোরকা পরা ছাত্রীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে দেখানো নিয়ে বিতর্ক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের ফ্যাসিলিটিজ দেখে বাকিদের লজ্জা লাগা উচিত: মুশফিক
বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের ফ্যাসিলিটিজ দেখে বাকিদের লজ্জা লাগা উচিত: মুশফিক

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাসপোর্ট না থাকলেও প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার সুযোগ দিল ইসি
পাসপোর্ট না থাকলেও প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার সুযোগ দিল ইসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, আবেদন করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, আবেদন করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

২১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ
স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই আন্দোলনে আহত তন্বীর সম্মানে যে পদ খালি রাখলো ছাত্রদল
জুলাই আন্দোলনে আহত তন্বীর সম্মানে যে পদ খালি রাখলো ছাত্রদল

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড, মালয়েশিয়ার রাজ্যে নতুন আইন
জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড, মালয়েশিয়ার রাজ্যে নতুন আইন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল : ভিপি আবিদুল, জিএস হামিম-এজিএস মায়েদ
ডাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল : ভিপি আবিদুল, জিএস হামিম-এজিএস মায়েদ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অতিরিক্ত এসপি হাফিজ আল ফারুক বরখাস্ত
অতিরিক্ত এসপি হাফিজ আল ফারুক বরখাস্ত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জনশুনানিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তকে চড়, যুবক আটক
জনশুনানিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তকে চড়, যুবক আটক

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০৩৩ সালের মধ্যে ভোলা ও চাঁদপুরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করবে ৩৩ হাজার কোটি টাকার সেতু
২০৩৩ সালের মধ্যে ভোলা ও চাঁদপুরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করবে ৩৩ হাজার কোটি টাকার সেতু

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, শর্ত দিচ্ছে ইসরায়েল
নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, শর্ত দিচ্ছে ইসরায়েল

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ দিন ভারি বৃষ্টির সতর্কতা, ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা
৫ দিন ভারি বৃষ্টির সতর্কতা, ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাইজেরিয়ায় ফজরের সময় মসজিদে হামলা, নিহত ২৭
নাইজেরিয়ায় ফজরের সময় মসজিদে হামলা, নিহত ২৭

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে বিতাড়িত হয়ে ফিরছিলেন, পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৭১ আফগানির
ইরান থেকে বিতাড়িত হয়ে ফিরছিলেন, পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৭১ আফগানির

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে অসুস্থ ফখরুল, ভর্তি হাসপাতালে
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে অসুস্থ ফখরুল, ভর্তি হাসপাতালে

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনকে আরও এক হাজার সৈন্যের মরদেহ ফেরত দিল রাশিয়া
ইউক্রেনকে আরও এক হাজার সৈন্যের মরদেহ ফেরত দিল রাশিয়া

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে স্বর্গে যেতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প!
ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে স্বর্গে যেতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা
আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্পেনে তাপপ্রবাহে ১৬ দিনে সাড়ে ১১শ’ মানুষের মৃত্যু
স্পেনে তাপপ্রবাহে ১৬ দিনে সাড়ে ১১শ’ মানুষের মৃত্যু

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্ষুদ্র আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের ভাবনা
ক্ষুদ্র আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের ভাবনা

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে ইরান, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে ইরান, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ আজ
একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ আজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘কিছু নাবালক অবুঝ শিশুরা বলে বেড়াচ্ছে নির্বাচন হবে না’
‘কিছু নাবালক অবুঝ শিশুরা বলে বেড়াচ্ছে নির্বাচন হবে না’

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়ল সরকারি কর্মচারীদের অনুদানের পরিমাণ
বাড়ল সরকারি কর্মচারীদের অনুদানের পরিমাণ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ আগস্ট)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ আগস্ট)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষককে ছুরি মেরে টিসি দেওয়ার প্রতিশোধ নিল ছাত্রী!
শিক্ষককে ছুরি মেরে টিসি দেওয়ার প্রতিশোধ নিল ছাত্রী!

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে অন্তত ২৫ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা: তারেক রহমান
ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে অন্তত ২৫ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা: তারেক রহমান

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েল–অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের উত্তেজনা, মুখোমুখি নেতানিয়াহু–আলবানিজ
ইসরায়েল–অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের উত্তেজনা, মুখোমুখি নেতানিয়াহু–আলবানিজ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতিতে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না: মির্জা ফখরুল
পিআর পদ্ধতিতে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না: মির্জা ফখরুল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হত্যা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিক গ্রেফতার
হত্যা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিক গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ রাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ
আজ রাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
৬২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প
৬২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে ইউরোপে
ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে ইউরোপে

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশের টাকা লুট করে বিদেশে শীর্ষ ধনী
দেশের টাকা লুট করে বিদেশে শীর্ষ ধনী

প্রথম পৃষ্ঠা

গ্যাসচোরেরা কাজ করছে মিলেমিশে
গ্যাসচোরেরা কাজ করছে মিলেমিশে

পেছনের পৃষ্ঠা

মালিকদের চাপে সংশোধন হচ্ছে আইন
মালিকদের চাপে সংশোধন হচ্ছে আইন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভাঙা রেললাইনে ‘বস্তা গুঁজে’ চালানো হচ্ছে ট্রেন
ভাঙা রেললাইনে ‘বস্তা গুঁজে’ চালানো হচ্ছে ট্রেন

নগর জীবন

পারিশ্রমিক বিতর্কে সাদিয়া আয়মান
পারিশ্রমিক বিতর্কে সাদিয়া আয়মান

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির মনোনয়ন চান তিনজন প্রার্থী চূড়ান্ত জামায়াতের
বিএনপির মনোনয়ন চান তিনজন প্রার্থী চূড়ান্ত জামায়াতের

নগর জীবন

মুজিব হত্যাকাণ্ড ও জাসদ
মুজিব হত্যাকাণ্ড ও জাসদ

সম্পাদকীয়

মনোনয়নের লড়াইয়ে বিএনপির দুই আছেন জামায়াতের প্রার্থীও
মনোনয়নের লড়াইয়ে বিএনপির দুই আছেন জামায়াতের প্রার্থীও

নগর জীবন

পিপিপির সিইও হলেন আশিক চৌধুরী
পিপিপির সিইও হলেন আশিক চৌধুরী

নগর জীবন

বাস্তবায়নের পথ পাচ্ছে না কমিশন
বাস্তবায়নের পথ পাচ্ছে না কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

বাফুফে আসলে কী চায়
বাফুফে আসলে কী চায়

মাঠে ময়দানে

সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী
সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামি দলগুলোকে এক হতে হবে
ইসলামি দলগুলোকে এক হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফার্স্ট-সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেরা সচিব-ডিসিদের পাশে বসে তদবিরে ব্যস্ত
ফার্স্ট-সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেরা সচিব-ডিসিদের পাশে বসে তদবিরে ব্যস্ত

নগর জীবন

বাংলাদেশিসহ ৬ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল
বাংলাদেশিসহ ৬ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল

প্রথম পৃষ্ঠা

বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত দিলেন ইউপি সদস্য
বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত দিলেন ইউপি সদস্য

নগর জীবন

জুলাই সনদের তিনটি দফা নিয়ে আপত্তি আছে
জুলাই সনদের তিনটি দফা নিয়ে আপত্তি আছে

প্রথম পৃষ্ঠা

স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির খবর অসত্য
স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির খবর অসত্য

নগর জীবন

আন্তর্জাতিক মানের ভোট করতে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ
আন্তর্জাতিক মানের ভোট করতে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তিপণ না দেওয়ায় শিশু হত্যা
মুক্তিপণ না দেওয়ায় শিশু হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুবকের সাত বছর কারাদণ্ড
যুবকের সাত বছর কারাদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল প্রবাসীদের
অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল প্রবাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আটক
চট্টগ্রামে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আটক

নগর জীবন

সিলেট এমসি কলেজ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে আমেরিকা প্রবাসীরা
সিলেট এমসি কলেজ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে আমেরিকা প্রবাসীরা

নগর জীবন

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ৪১ হাজার ৬২৭ জন
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ৪১ হাজার ৬২৭ জন

নগর জীবন

চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন মির্জা আব্বাস
চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন মির্জা আব্বাস

নগর জীবন