শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬ আপডেট:

বিচার হবেই হবে

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিচার হবেই হবে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের জাসদ সম্পর্কে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় সতর্ক বাণীর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয়েছে ব্যাপক। সৈয়দ আশরাফকে ধন্যবাদ দিয়ে সাধুবাদ পেয়েছি বেশি, নিন্দা খুবই কম। তারও কারণ আছে। আমি যে কোনো মতেই নিরপেক্ষ নই— কট্টর বঙ্গবন্ধু পক্ষ এ ব্যাপারে এখন আর কারও কোনো সন্দেহ নেই। তাই অন্য পক্ষ খুব একটা যোগাযোগ করে না বা করতে চায় না। তবুও বেশ কিছু ফোন, চিঠিপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে দুকথা লিখছি।

নানা কারণে যাকে অনেকটা প্রকৃত রাজনৈতিক হিসেবে বিবেচনা করি, তিনি প্রিয় ওবায়দুল কাদের। লেখাটি ছিল মঙ্গলবার। তিনি আমায় ফোন করেছিলেন বুধবার বিকালের দিকে। আমি জানতাম ওবায়দুল কাদের যা কিছু পড়েন মন দিয়ে পড়েন। কিন্তু সেদিন হঠাৎই মনে হলো লেখাটি না পড়েই হয়তো অন্যের মুখে শুনে ফোন করেছেন। তার তেমন কিছু বলার ছিল না, বলেনওনি। আমায় অসম্ভব শ্রদ্ধা ভক্তি সম্মান করেন। যা হাজারো উথাল-পাথালের মধ্যেও কখনো নষ্ট হয়নি, সেদিনও না। এটাই একজন প্রকৃত রাজনীতিকের গুণ। তিনি ফোন করেই বলেছিলেন, ‘কাদের ভাই, শেষ পর্যন্ত আপনিও আমাকে জাসদ বানিয়ে দিলেন? আমি জাসদে যাব কেন? আমি তো মনিরুল হক চৌধুরীর কমিটিতে ছিলাম।’ আমি বলেছিলাম লেখাটা হয়তো আপনি পড়েননি। আমি আপনাকে মোটেও জাসদ বানাইনি, আর আপনাকে গুরুত্বহীনও করিনি। আপনাকে পছন্দ করি ভালোবাসি। আর আমার ভালোবাসা সম্পর্কে আপনি তো জানেন। তিনি বলেছিলেন তাহলে কীভাবে চোখ এড়িয়ে গেল?

বিশ্বব্যাংকের এত তোলপাড়ের পরও সেতুমন্ত্রী যেভাবে পদ্মা সেতু নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অপাত্রে দায়িত্ব দেননি এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়। পদ্মা সেতু এক দিন আমাদের আত্মমর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেখানে ওবায়দুল কাদেরের নামও কোথাও কোথাও স্থান পাবে।

তাহের পরিবার নিয়ে কিছু কথা ছিল। ঘুম থেকে উঠেই ওয়ারেসাত হাসান বেলালের মেসেজ পেয়েছিলাম। কীভাবে কীভাবে দিন কেটে যাওয়ায় তাকে আর রিং করা হয়নি। করার ইচ্ছেও ছিল না। কি কারণে আর কেন করব? কারও কথা শুনতে কাউকে ব্যাখ্যা দিতে লিখিনি। যা ঘটেছে তাই লিখেছি। বরং কাগজ কলম সময়ের অভাবে কম লিখেছি। ভারতীয় হাইকমিশন আক্রমণে ৩-৪ জন রক্ষী নিহত হয়েছিল। আক্রমণকারীরা কয়েক জন ধরা পড়ে জেলে ছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর তাদের ছেড়ে দেয়। তখন অধ্যাপক আনোয়ার ঢাকা মহানগর গণবাহিনীর প্রধান কমান্ডার ছিলেন। তিনিই আক্রমণের মূল নেতা। এটা আমার কথা নয়, এটা গণবাহিনীর কমিটির কথা। পরে জনাব আনোয়ার আওয়ামী লীগের আনুকূল্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হয়েছিলেন। এখন হাসানুল হক ইনুর জাসদে যোগ দিয়েছেন। যে কারণে কর্নেল তাহের বীরউত্তমের স্ত্রী লুত্ফা তাহের মঈন উদ্দীন খান বাদলদের জাসদে গেছেন। এই অতি সত্য কথাটা লিখতে কষ্ট হবে কেন?

জাসদের গণবাহিনী তার মুখ্য কাজই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরকারকে উত্খাত করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েম করা। সে জন্য যা করা দরকার তা তারা করতে পিছপা হননি। বাড়িঘরে, পাটের গুদামে, পোস্ট অফিসে, থানায় আগুন দেওয়া, সরকারি অস্ত্র লুট করা, প্রকাশ্য ঈদের জামায়াতে এমপি হত্যা কোনো কিছু বাদ যায়নি। মুক্তিযুদ্ধে কাদেরীয়া বাহিনী এক বিস্ময়কর ভূমিকা পালন করেছে। ’৭২-এর ২৪ জানুয়ারি বিন্দুবাসিনী স্কুলমাঠে বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে আমরা আমাদের অস্ত্র বিছিয়ে দিয়েছিলাম তারপর শুরু হয় অঘটন। পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর রাজাকার আলবদররা স্বাধীনতার পর ক’জন মুক্তিযোদ্ধাকেও হত্যা বা বিপদে ফেলেছে বলতে পারব না। কিন্তু জাসদ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিহত হতে থাকে। দেওপাড়ার রিয়াজ কমান্ডার মুক্তিযুদ্ধে যার ভূমিকা যত বলা যাবে কম হবে। স্বাধীনতার পরপরই গাঙ্গাইরের রহিমাকে বিয়ে করেছিল। স্ত্রীর পেটে বাচ্চা। এমন একদিন ঘাটাইলের ধলাপাড়া হাটে প্রকাশ্যে জাসদের গণবাহিনী তাকে হত্যা করে। লেখাটা পড়ে ব্যাংকের এক প্রাক্তন এমডি নুরুল আলম ফোন করেছিল, ‘স্যার, জাসদের গণবাহিনীর জন্য জামান আর আমি কত পালিয়ে বেরিয়েছি! কাদেরীয়া বাহিনীর দুর্ধর্ষ যোদ্ধা দুরমুজ খাঁকে গণবাহিনী হত্যা করেছিল। যুদ্ধের সফল সংবাদ সরবরাহকারী গৌরাঙ্গির হায়দার গণবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। গণবাহিনীর কয়েকজন হায়দারকে দিনদুপুরে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গুলি করে মেরে ফেলে। অপরাধ সে গণবাহিনী করে না। সে আওয়ামী লীগের সমর্থক বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাসাইলের ফুলকী ইউনিয়নের জশিহাটী মাদ্রাসায় প্রকাশ্য দিবালোকে গণবাহিনীর হুরমুজ বিএসসি ১৫ জন সাধারণ মানুষকে শুধু আওয়ামী লীগ সমর্থন করার কারণে গুলি করে মেরেছিল। বাসাইল কাউলজানীর কলিবুর রহমান বাঙালীকে হত্যা করেছিল গণবাহিনী। পাইকরার গোলড়ার দুর্দান্ত সফল কমান্ডার সৈয়দ গোলাম মোস্তফা বীরপ্রতীক এবং হুমায়ুনকে রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মেরে ফেলেছিল। এ সবই ছিল গণবাহিনীর কাজ।

বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী মাঝে সাঝে টাঙ্গাইল ক্লাবে যেতেন। এক দিন গণবাহিনীর কয়েকজন একেবারে কাছে থেকে তাকে গুলি করেছিল। ওভাবে তার মৃত্যু ছিল না তাই হয়তো আল্লাহ রক্ষা করেছিলেন। সামান্য আঘাত পেয়ে এখনো বেঁচে আছেন। সেই গণবাহিনীর খন্দকার বাতেন, হুরমুজ বিএসসি এবং কাকরাজানের রাজাকার গণ শামছুর এখন আওয়ামী লীগ।

চরফ্যাশনের অধ্যাপক নজরুল মারা গেলে সেখানে এক উপনির্বাচনে গিয়েছিলাম। ’৬৯-এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদের পরম যত্নে দুই সপ্তাহ ছিলাম। আমাকে নিয়ে যদিও তাদের কোনো সমস্যা ছিল না। ১০-১৫ জন সহকর্মী নিয়ে আমি থাকতাম গ্রামে গ্রামে। ছাত্রনেতা ইসহাক আলী পান্নাও তখন আমার সঙ্গে কয়েক দিন ছিল। বড় ভালো ছেলে ইসহাক আলী পান্না। এখন তো আর সে ছেলে নেই, সন্তানের বাবা হয়েছে। তার স্ত্রী আইরিন পারভীন বাঁধন কয়েক দিন আগে মারা গেছে। সে জন্য মনটা খুবই খারাপ। এখন সেই অধ্যাপক নজরুল ইসলামের ছেলে জ্যাকব এমপি, প্রতিমন্ত্রী। দিন কীভাবে যায়। সেই সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন মাছ ব্যবসায়ী জাফর উল্লাহ। সরকারি প্রার্থী ছিলেন শহীদ মালিতা। চরফ্যাশনে মালিতা একটা বেশ বড় গোষ্ঠী। সে সময় ক’দিন ভোলার লালমোহনের চমৎকার রেস্টহাউসে ছিলাম। সেখান থেকে চরফ্যাশন যাওয়ার পথে গজারিয়া ইউনিয়ন। গজারিয়া হাইস্কুলের জনপ্রিয় প্রধান শিক্ষক মাস্টার বাড়ির মোতাহার হোসেন মাস্টারের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেই কবে ’৭৪-এর ১০ জানুয়ারি গণবাহিনী মোতাহার হোসেন মাস্টার এমপিকে হত্যা করেছিল। আমি গিয়েছিলাম ’৯০-এর পরে। মনে হচ্ছিল মোতাহার হোসেনের হত্যার সেই বেদনা বাড়িময় তখনো ছড়িয়ে ছিল। যতক্ষণ ছিলাম শ্বাস নিতে পারছিলাম না। কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসছিল। ঠিক জানি না যার জন্য নির্বাচনে গিয়েছিলাম সেই জাফরও জাসদের ছিল কি না। নরসিংদীর অ্যাডভোকেট গাজী ফজলুর রহমান এমপিকে ১৬ মার্চ ’৭৪ গণবাহিনী হত্যা করে। বড় ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। ’৭০-এ ন্যাশনাল এসেম্বলি এবং ’৭৩-এ বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। অনেকেই অনেক কারচুপি করেন, কিন্তু অ্যাডভোকেট গাজী ফজলুর রহমানের তেমন কিছু করতে হয়নি। তাকে তার এলাকার জনগণ বুকে আগলে নিয়েছিল। কুষ্টিয়া খোকসার এমপি জনাব গোলাম কিবরিয়া যাকে প্রকাশ্যে ঈদের জামায়াতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। আমি যেদিন খোকসায় গিয়েছিলাম কিবরিয়া ভাইয়ের হত্যার যে করুণ কাহিনী তার বাড়িতে শুনেছিলাম আজও তা মনে হলে বুকের ভিতর আপনজন হারানোর ব্যথায় রক্ত ঝরে। এতকিছুর পরও যদি গণবাহিনীর নেতারা বুকে তুড়ি দিয়ে চলে, কোনো বিচার না হয় জগৎ থাকবে? থাকবে না। যারা আজ বেগম খালেদা জিয়াকে গালাগাল করে চ্যাম্পিয়ন হতে চায় তারা যে আগামীকাল জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গালি দিয়ে বিশ্ব রেকর্ডের চিন্তা করে না তা কি বলা যায়?

২৩ তারিখ ১৭ রমজান সৌদি অ্যাম্বাসির এক ইফতার পার্টিতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা। আমার পাশে বসেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। ডানে ছিলেন মাগুরা নির্বাচনের সময়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ময়মনসিংহ দাপুনিয়ার সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফ। টেবিল থেকে উঠে গিয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদ, রওশন এরশাদ, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এবং তোফায়েল ভাইর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছিলাম। এক ফাঁকে বলেছিলেন আমার লেখা তিনি পড়েন। গণবাহিনীর হাতে নিহত সংসদ সদস্যদের কথা লিখতে গিয়ে লালমোহনের মোতাহার মাস্টার এমপির নাম মনে আসছিল না। সে জন্য তোফায়েল ভাইকে ফোন করেছিলাম। বহুদিন পর কথা বলে খুব ভালো লাগল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মোতাহার মাস্টারের তথ্য দিয়েছিলেন। নরসিংদীর এমপি গাজী ফজলুর রহমানের তথ্য দিতে পারছিলেন না। একটু পর আবার ফোন করে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের নাম ধাম দিলেন। তারপর আবার ফোন পেলাম। বললেন, কাদের তোমাকে সব তথ্য দিচ্ছি। ১০ জানুয়ারি ’৭৪ মোতাহার হোসেন মাস্টার গণবাহিনীর হাতে নিহত হন। ১৬ মার্চ ’৭৪ নরসিংদীর অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ২৭ ডিসেম্বর ’৭৪ কুষ্টিয়ার খোকসায় গোলাম কিবরিয়া ঈদের মাঠে নিহত হন। কী নিদারুণ সে সময়ের সেই ভয়াবহ অবস্থা। দুই-দুইবার ফোন করে মাননীয় মন্ত্রী তোফায়েল ভাই তথ্য দেওয়ায় অভিভূত হয়েছি। আগের এমন সহমর্মিতা এখনো যদি সবার মধ্যে থাকত তাহলে কতই না ভালো হতো। বেঁচে থাকতে আবার কি কোনো দিন এমন সহমর্মিতার মধুময় বাতাবরণ সৃষ্টি হবে! বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী কি তা করতে পারবেন!

সেদিনের সেই ভয়াবহ দিনগুলোর কথা মনে হলে এখনো শরীর শিউরে ওঠে। কি দুর্দিনই না কাটাতে হয়েছে দেশকে, দেশের নেতা বঙ্গবন্ধুকে। পাকিস্তানের সহযোগিতায় মা-বোনের ইজ্জত হরণ, খুন-খারাবি, হত্যা-লুণ্ঠনের বিচার হবে। আর বাংলাদেশকে ধ্বংস করার সবকিছু করেও কেউ বিচারের সম্মুখীন হবে না বরং পুরস্কার পাবেন এটা হতে পারে না। তাই একদিন আগে হোক আর পরে হোক অপরাধীদের বিচার হবেই হবে।

প্রশ্ন সেটা কখন হবে। হ্যাঁ, এখন বিচার হওয়ায় কম বেশি জটিলতা আছে। কারণ যাদের বিচারের কথা তারাই অনেকে বিচারক। সরকারি প্রশাসনে বর্তমানে কোনো প্রকৃত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী আওয়ামী লীগার নেই। নিরাসক্তভাবে প্রশাসনের দিকে তাকালে দেখা যাবে বামপন্থি, ডানপন্থি, জাসদ, জামায়াতে ভরা। আর কিছু সংখ্যালঘু। প্রকৃত দেশপ্রেমিক আওয়ামী লীগ তেমন নেই। এক্ষেত্রে বামপন্থি, জাসদ, জামায়াত আর বিএনপিকে শুধু দোষ দিলে চলবে না। যদি কোনো স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের ছেলে লেখাপড়া করে এসপি ডিসি হয় তাহলে ফেরাবে কে? মুক্তিযোদ্ধারা তো লেখাপড়া জানত না, তাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করবে না। আওয়ামীপন্থিদের লেখাপড়ার দরকার নেই। তারা হাট-বাজারের চাঁদা পেলেই খুশি। তাই প্রকৃত দেশ প্রেমিকের সন্তানেরা আজ অনেকটাই পিছিয়ে। মাননীয় নেত্রীর ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করেছে এটা সত্যিই তার জন্য একটা মস্ত বড় গৌরব। মেয়ে পুতুলের কথা বলার দরকার নেই। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে তার কাজ বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে। আমাদেরও অন্তরাত্মা দখল করে নিয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথা বেশি ভাবি। তার চারদিকে শত্রু। অমন চিহ্নিত হয়ে ভালো কাজ করা খুব কঠিন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় তার নাকি প্রচণ্ড ভূমিকা আছে। মায়ের ছায়ায় যথার্থ ভূমিকা থাকলেও কখনো ছায়াহীন হলে সেকি মাথা ঠিক রেখে থাকতে পারবে? আমরা মামাদের তো বুকে আগলে রাখার তেমন সুযোগ নেই। যে কঠিন রাজনীতি ছেলেটি যখন একা হবে তখন মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে তো? বড় বেশি ভয় হয়। শঙ্কিত মন নিয়ে দুর্বার বেগে বেশি এগুনো যায় না।

বলেছিলাম সরকার এবং দলে কোথাও প্রকৃত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী নেই। তারা একেবারে কোণঠাসা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপাংক্তেয়। ধড়িবাজদের হাতেই সব। প্রথমেই আসা যাক বামপন্থিদের অবস্থান। অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, বিমানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী— যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই বামপন্থি। জাসদ এবং গণবাহিনী প্রশাসনের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে নেই। তবে একটা আশার কথা, গণবাহিনীর জাসদের চেয়ে প্রকৃত রাজনৈতিক জাসদ প্রশাসনের অনেক বেশি জায়গা জুড়ে আছে। সেক্রেটারি, জয়েন্ট সেক্রেটারি, করপোরেশন, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, অধ্যাপক কোনো জায়গা নেই, যেখানে জাসদ নেই। রাজনৈতিকভাবে মাঠে ময়দানে জাসদের অবস্থান তেমন ভালো না হলেও ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি সব জায়গায় তারা। তাদের থাকারই কথা। কারণ একটা সময় তাদের দলে মেধার কোনো অভাব ছিল না। রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তারা পিছিয়ে পড়েছে। ভারত পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই শিক্ষা-দীক্ষা, ত্যাগ-তিতিক্ষায় অহংকার করার মতো কমিউনিস্ট পার্টি সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের সিদ্ধান্ত নিয়ে যেমন ভুল করেছিল, জাসদও ঠিক তেমনটাই করেছিল। তাই প্রশাসনের দিকে তাকালে দেখা যাবে সবখানে জাসদ।

এবার আসা যাক জামায়াত নিয়ে। বাংলাদেশের সবচেয়ে কঠিন বিরোধী জামায়াত। কত হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, গৃহ হারা করেছে, সেই জামায়াত ফেলনা নয়। শিক্ষা-দীক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি— যেখানে হাত দেওয়া যাবে সেখানেই জামায়াতের উত্থান। এত রক্ত দিয়ে যে দেশ স্বাধীন করেছি সেই দেশে জামায়াতের প্রধান গোলাম আযমের ছেলে ফাতেমী ব্রিগেডিয়ার হয়ে সেনাবাহিনী ছেড়েছে। গোলাম আযমের ছেলেই যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার হতে পারে, তাহলে মনে মনে জামায়াত রাজাকার কতই না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ঘাপটি মেরে আছে। আজকাল অনেকেই সুখের ঢেঁকুর তুললেও আমাদের কোনো বাহিনীকেই উপযুক্ত পেশাদার করে গড়ে তোলা হয়নি। সবকিছু করা হয়েছে বা হচ্ছে জি হুজুরি মনোভাব নিয়ে। সেদিন পুলিশের এক নেতা বলেছেন প্রয়োজনে গুলি করা হবে। তা তো হবেই। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিজের ইচ্ছায় গুলি করার ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। পুলিশ বাহিনী কতটা দেউলিয়া সে সম্পর্কে সেদিন রাশেদ খান মেনন যথার্থ বলেছেন, ক্রসফায়ার পুলিশের কোনো সফলতা নয়, দুর্বলতার লক্ষণ। আইনশৃঙ্খলায় সাধারণ মানুষকে সক্রিয় করতে পুলিশ বাহিনী ইদানীং পছন্দমতো লোকজনের হাতে লাঠি দিচ্ছে। যেভাবে বিলে-বাদাড়ে, ডোবা-নালায় অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখছি, বাঁশের লাঠি, রিভলবার, পিস্তল, একে-৪৭ হতে কতক্ষণ। তাই সাবধানে পা বাড়ানো উচিত।

এরশাদের পতনের পর যেভাবেই হোক অনেক বছর বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তার আগে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ছিলেন। এরা উভয়েই মাসতুতো পিসতুতো ভাই। আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তাই এত বছর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলের পছন্দের লোকেরা নব্য আওয়ামী লীগার হতেই পারে কিন্তু মোটেই প্রকৃত আওয়ামী লীগ না, বঙ্গবন্ধুপ্রেমী না।

লেখক : রাজনীতিক।

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

১১ মিনিট আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

২৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

৩১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৪০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৫০ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত
নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

১৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা
বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা

মাঠে ময়দানে

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প
শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প

পূর্ব-পশ্চিম

ভিয়েতনামে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৯০ নিখোঁজ ১২
ভিয়েতনামে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৯০ নিখোঁজ ১২

পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি
টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি

পূর্ব-পশ্চিম

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

সিটি লিভারপুলের হারের রাতে চেলসির স্বস্তি
সিটি লিভারপুলের হারের রাতে চেলসির স্বস্তি

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে