শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬ আপডেট:

বিচার হবেই হবে

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিচার হবেই হবে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের জাসদ সম্পর্কে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় সতর্ক বাণীর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয়েছে ব্যাপক। সৈয়দ আশরাফকে ধন্যবাদ দিয়ে সাধুবাদ পেয়েছি বেশি, নিন্দা খুবই কম। তারও কারণ আছে। আমি যে কোনো মতেই নিরপেক্ষ নই— কট্টর বঙ্গবন্ধু পক্ষ এ ব্যাপারে এখন আর কারও কোনো সন্দেহ নেই। তাই অন্য পক্ষ খুব একটা যোগাযোগ করে না বা করতে চায় না। তবুও বেশ কিছু ফোন, চিঠিপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে দুকথা লিখছি।

নানা কারণে যাকে অনেকটা প্রকৃত রাজনৈতিক হিসেবে বিবেচনা করি, তিনি প্রিয় ওবায়দুল কাদের। লেখাটি ছিল মঙ্গলবার। তিনি আমায় ফোন করেছিলেন বুধবার বিকালের দিকে। আমি জানতাম ওবায়দুল কাদের যা কিছু পড়েন মন দিয়ে পড়েন। কিন্তু সেদিন হঠাৎই মনে হলো লেখাটি না পড়েই হয়তো অন্যের মুখে শুনে ফোন করেছেন। তার তেমন কিছু বলার ছিল না, বলেনওনি। আমায় অসম্ভব শ্রদ্ধা ভক্তি সম্মান করেন। যা হাজারো উথাল-পাথালের মধ্যেও কখনো নষ্ট হয়নি, সেদিনও না। এটাই একজন প্রকৃত রাজনীতিকের গুণ। তিনি ফোন করেই বলেছিলেন, ‘কাদের ভাই, শেষ পর্যন্ত আপনিও আমাকে জাসদ বানিয়ে দিলেন? আমি জাসদে যাব কেন? আমি তো মনিরুল হক চৌধুরীর কমিটিতে ছিলাম।’ আমি বলেছিলাম লেখাটা হয়তো আপনি পড়েননি। আমি আপনাকে মোটেও জাসদ বানাইনি, আর আপনাকে গুরুত্বহীনও করিনি। আপনাকে পছন্দ করি ভালোবাসি। আর আমার ভালোবাসা সম্পর্কে আপনি তো জানেন। তিনি বলেছিলেন তাহলে কীভাবে চোখ এড়িয়ে গেল?

বিশ্বব্যাংকের এত তোলপাড়ের পরও সেতুমন্ত্রী যেভাবে পদ্মা সেতু নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অপাত্রে দায়িত্ব দেননি এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়। পদ্মা সেতু এক দিন আমাদের আত্মমর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেখানে ওবায়দুল কাদেরের নামও কোথাও কোথাও স্থান পাবে।

তাহের পরিবার নিয়ে কিছু কথা ছিল। ঘুম থেকে উঠেই ওয়ারেসাত হাসান বেলালের মেসেজ পেয়েছিলাম। কীভাবে কীভাবে দিন কেটে যাওয়ায় তাকে আর রিং করা হয়নি। করার ইচ্ছেও ছিল না। কি কারণে আর কেন করব? কারও কথা শুনতে কাউকে ব্যাখ্যা দিতে লিখিনি। যা ঘটেছে তাই লিখেছি। বরং কাগজ কলম সময়ের অভাবে কম লিখেছি। ভারতীয় হাইকমিশন আক্রমণে ৩-৪ জন রক্ষী নিহত হয়েছিল। আক্রমণকারীরা কয়েক জন ধরা পড়ে জেলে ছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর তাদের ছেড়ে দেয়। তখন অধ্যাপক আনোয়ার ঢাকা মহানগর গণবাহিনীর প্রধান কমান্ডার ছিলেন। তিনিই আক্রমণের মূল নেতা। এটা আমার কথা নয়, এটা গণবাহিনীর কমিটির কথা। পরে জনাব আনোয়ার আওয়ামী লীগের আনুকূল্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হয়েছিলেন। এখন হাসানুল হক ইনুর জাসদে যোগ দিয়েছেন। যে কারণে কর্নেল তাহের বীরউত্তমের স্ত্রী লুত্ফা তাহের মঈন উদ্দীন খান বাদলদের জাসদে গেছেন। এই অতি সত্য কথাটা লিখতে কষ্ট হবে কেন?

জাসদের গণবাহিনী তার মুখ্য কাজই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরকারকে উত্খাত করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েম করা। সে জন্য যা করা দরকার তা তারা করতে পিছপা হননি। বাড়িঘরে, পাটের গুদামে, পোস্ট অফিসে, থানায় আগুন দেওয়া, সরকারি অস্ত্র লুট করা, প্রকাশ্য ঈদের জামায়াতে এমপি হত্যা কোনো কিছু বাদ যায়নি। মুক্তিযুদ্ধে কাদেরীয়া বাহিনী এক বিস্ময়কর ভূমিকা পালন করেছে। ’৭২-এর ২৪ জানুয়ারি বিন্দুবাসিনী স্কুলমাঠে বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে আমরা আমাদের অস্ত্র বিছিয়ে দিয়েছিলাম তারপর শুরু হয় অঘটন। পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর রাজাকার আলবদররা স্বাধীনতার পর ক’জন মুক্তিযোদ্ধাকেও হত্যা বা বিপদে ফেলেছে বলতে পারব না। কিন্তু জাসদ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিহত হতে থাকে। দেওপাড়ার রিয়াজ কমান্ডার মুক্তিযুদ্ধে যার ভূমিকা যত বলা যাবে কম হবে। স্বাধীনতার পরপরই গাঙ্গাইরের রহিমাকে বিয়ে করেছিল। স্ত্রীর পেটে বাচ্চা। এমন একদিন ঘাটাইলের ধলাপাড়া হাটে প্রকাশ্যে জাসদের গণবাহিনী তাকে হত্যা করে। লেখাটা পড়ে ব্যাংকের এক প্রাক্তন এমডি নুরুল আলম ফোন করেছিল, ‘স্যার, জাসদের গণবাহিনীর জন্য জামান আর আমি কত পালিয়ে বেরিয়েছি! কাদেরীয়া বাহিনীর দুর্ধর্ষ যোদ্ধা দুরমুজ খাঁকে গণবাহিনী হত্যা করেছিল। যুদ্ধের সফল সংবাদ সরবরাহকারী গৌরাঙ্গির হায়দার গণবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। গণবাহিনীর কয়েকজন হায়দারকে দিনদুপুরে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গুলি করে মেরে ফেলে। অপরাধ সে গণবাহিনী করে না। সে আওয়ামী লীগের সমর্থক বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাসাইলের ফুলকী ইউনিয়নের জশিহাটী মাদ্রাসায় প্রকাশ্য দিবালোকে গণবাহিনীর হুরমুজ বিএসসি ১৫ জন সাধারণ মানুষকে শুধু আওয়ামী লীগ সমর্থন করার কারণে গুলি করে মেরেছিল। বাসাইল কাউলজানীর কলিবুর রহমান বাঙালীকে হত্যা করেছিল গণবাহিনী। পাইকরার গোলড়ার দুর্দান্ত সফল কমান্ডার সৈয়দ গোলাম মোস্তফা বীরপ্রতীক এবং হুমায়ুনকে রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মেরে ফেলেছিল। এ সবই ছিল গণবাহিনীর কাজ।

বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী মাঝে সাঝে টাঙ্গাইল ক্লাবে যেতেন। এক দিন গণবাহিনীর কয়েকজন একেবারে কাছে থেকে তাকে গুলি করেছিল। ওভাবে তার মৃত্যু ছিল না তাই হয়তো আল্লাহ রক্ষা করেছিলেন। সামান্য আঘাত পেয়ে এখনো বেঁচে আছেন। সেই গণবাহিনীর খন্দকার বাতেন, হুরমুজ বিএসসি এবং কাকরাজানের রাজাকার গণ শামছুর এখন আওয়ামী লীগ।

চরফ্যাশনের অধ্যাপক নজরুল মারা গেলে সেখানে এক উপনির্বাচনে গিয়েছিলাম। ’৬৯-এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদের পরম যত্নে দুই সপ্তাহ ছিলাম। আমাকে নিয়ে যদিও তাদের কোনো সমস্যা ছিল না। ১০-১৫ জন সহকর্মী নিয়ে আমি থাকতাম গ্রামে গ্রামে। ছাত্রনেতা ইসহাক আলী পান্নাও তখন আমার সঙ্গে কয়েক দিন ছিল। বড় ভালো ছেলে ইসহাক আলী পান্না। এখন তো আর সে ছেলে নেই, সন্তানের বাবা হয়েছে। তার স্ত্রী আইরিন পারভীন বাঁধন কয়েক দিন আগে মারা গেছে। সে জন্য মনটা খুবই খারাপ। এখন সেই অধ্যাপক নজরুল ইসলামের ছেলে জ্যাকব এমপি, প্রতিমন্ত্রী। দিন কীভাবে যায়। সেই সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন মাছ ব্যবসায়ী জাফর উল্লাহ। সরকারি প্রার্থী ছিলেন শহীদ মালিতা। চরফ্যাশনে মালিতা একটা বেশ বড় গোষ্ঠী। সে সময় ক’দিন ভোলার লালমোহনের চমৎকার রেস্টহাউসে ছিলাম। সেখান থেকে চরফ্যাশন যাওয়ার পথে গজারিয়া ইউনিয়ন। গজারিয়া হাইস্কুলের জনপ্রিয় প্রধান শিক্ষক মাস্টার বাড়ির মোতাহার হোসেন মাস্টারের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেই কবে ’৭৪-এর ১০ জানুয়ারি গণবাহিনী মোতাহার হোসেন মাস্টার এমপিকে হত্যা করেছিল। আমি গিয়েছিলাম ’৯০-এর পরে। মনে হচ্ছিল মোতাহার হোসেনের হত্যার সেই বেদনা বাড়িময় তখনো ছড়িয়ে ছিল। যতক্ষণ ছিলাম শ্বাস নিতে পারছিলাম না। কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসছিল। ঠিক জানি না যার জন্য নির্বাচনে গিয়েছিলাম সেই জাফরও জাসদের ছিল কি না। নরসিংদীর অ্যাডভোকেট গাজী ফজলুর রহমান এমপিকে ১৬ মার্চ ’৭৪ গণবাহিনী হত্যা করে। বড় ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। ’৭০-এ ন্যাশনাল এসেম্বলি এবং ’৭৩-এ বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। অনেকেই অনেক কারচুপি করেন, কিন্তু অ্যাডভোকেট গাজী ফজলুর রহমানের তেমন কিছু করতে হয়নি। তাকে তার এলাকার জনগণ বুকে আগলে নিয়েছিল। কুষ্টিয়া খোকসার এমপি জনাব গোলাম কিবরিয়া যাকে প্রকাশ্যে ঈদের জামায়াতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। আমি যেদিন খোকসায় গিয়েছিলাম কিবরিয়া ভাইয়ের হত্যার যে করুণ কাহিনী তার বাড়িতে শুনেছিলাম আজও তা মনে হলে বুকের ভিতর আপনজন হারানোর ব্যথায় রক্ত ঝরে। এতকিছুর পরও যদি গণবাহিনীর নেতারা বুকে তুড়ি দিয়ে চলে, কোনো বিচার না হয় জগৎ থাকবে? থাকবে না। যারা আজ বেগম খালেদা জিয়াকে গালাগাল করে চ্যাম্পিয়ন হতে চায় তারা যে আগামীকাল জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গালি দিয়ে বিশ্ব রেকর্ডের চিন্তা করে না তা কি বলা যায়?

২৩ তারিখ ১৭ রমজান সৌদি অ্যাম্বাসির এক ইফতার পার্টিতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা। আমার পাশে বসেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। ডানে ছিলেন মাগুরা নির্বাচনের সময়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ময়মনসিংহ দাপুনিয়ার সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফ। টেবিল থেকে উঠে গিয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদ, রওশন এরশাদ, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এবং তোফায়েল ভাইর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছিলাম। এক ফাঁকে বলেছিলেন আমার লেখা তিনি পড়েন। গণবাহিনীর হাতে নিহত সংসদ সদস্যদের কথা লিখতে গিয়ে লালমোহনের মোতাহার মাস্টার এমপির নাম মনে আসছিল না। সে জন্য তোফায়েল ভাইকে ফোন করেছিলাম। বহুদিন পর কথা বলে খুব ভালো লাগল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মোতাহার মাস্টারের তথ্য দিয়েছিলেন। নরসিংদীর এমপি গাজী ফজলুর রহমানের তথ্য দিতে পারছিলেন না। একটু পর আবার ফোন করে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের নাম ধাম দিলেন। তারপর আবার ফোন পেলাম। বললেন, কাদের তোমাকে সব তথ্য দিচ্ছি। ১০ জানুয়ারি ’৭৪ মোতাহার হোসেন মাস্টার গণবাহিনীর হাতে নিহত হন। ১৬ মার্চ ’৭৪ নরসিংদীর অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ২৭ ডিসেম্বর ’৭৪ কুষ্টিয়ার খোকসায় গোলাম কিবরিয়া ঈদের মাঠে নিহত হন। কী নিদারুণ সে সময়ের সেই ভয়াবহ অবস্থা। দুই-দুইবার ফোন করে মাননীয় মন্ত্রী তোফায়েল ভাই তথ্য দেওয়ায় অভিভূত হয়েছি। আগের এমন সহমর্মিতা এখনো যদি সবার মধ্যে থাকত তাহলে কতই না ভালো হতো। বেঁচে থাকতে আবার কি কোনো দিন এমন সহমর্মিতার মধুময় বাতাবরণ সৃষ্টি হবে! বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী কি তা করতে পারবেন!

সেদিনের সেই ভয়াবহ দিনগুলোর কথা মনে হলে এখনো শরীর শিউরে ওঠে। কি দুর্দিনই না কাটাতে হয়েছে দেশকে, দেশের নেতা বঙ্গবন্ধুকে। পাকিস্তানের সহযোগিতায় মা-বোনের ইজ্জত হরণ, খুন-খারাবি, হত্যা-লুণ্ঠনের বিচার হবে। আর বাংলাদেশকে ধ্বংস করার সবকিছু করেও কেউ বিচারের সম্মুখীন হবে না বরং পুরস্কার পাবেন এটা হতে পারে না। তাই একদিন আগে হোক আর পরে হোক অপরাধীদের বিচার হবেই হবে।

প্রশ্ন সেটা কখন হবে। হ্যাঁ, এখন বিচার হওয়ায় কম বেশি জটিলতা আছে। কারণ যাদের বিচারের কথা তারাই অনেকে বিচারক। সরকারি প্রশাসনে বর্তমানে কোনো প্রকৃত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী আওয়ামী লীগার নেই। নিরাসক্তভাবে প্রশাসনের দিকে তাকালে দেখা যাবে বামপন্থি, ডানপন্থি, জাসদ, জামায়াতে ভরা। আর কিছু সংখ্যালঘু। প্রকৃত দেশপ্রেমিক আওয়ামী লীগ তেমন নেই। এক্ষেত্রে বামপন্থি, জাসদ, জামায়াত আর বিএনপিকে শুধু দোষ দিলে চলবে না। যদি কোনো স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের ছেলে লেখাপড়া করে এসপি ডিসি হয় তাহলে ফেরাবে কে? মুক্তিযোদ্ধারা তো লেখাপড়া জানত না, তাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করবে না। আওয়ামীপন্থিদের লেখাপড়ার দরকার নেই। তারা হাট-বাজারের চাঁদা পেলেই খুশি। তাই প্রকৃত দেশ প্রেমিকের সন্তানেরা আজ অনেকটাই পিছিয়ে। মাননীয় নেত্রীর ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করেছে এটা সত্যিই তার জন্য একটা মস্ত বড় গৌরব। মেয়ে পুতুলের কথা বলার দরকার নেই। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে তার কাজ বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে। আমাদেরও অন্তরাত্মা দখল করে নিয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথা বেশি ভাবি। তার চারদিকে শত্রু। অমন চিহ্নিত হয়ে ভালো কাজ করা খুব কঠিন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় তার নাকি প্রচণ্ড ভূমিকা আছে। মায়ের ছায়ায় যথার্থ ভূমিকা থাকলেও কখনো ছায়াহীন হলে সেকি মাথা ঠিক রেখে থাকতে পারবে? আমরা মামাদের তো বুকে আগলে রাখার তেমন সুযোগ নেই। যে কঠিন রাজনীতি ছেলেটি যখন একা হবে তখন মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে তো? বড় বেশি ভয় হয়। শঙ্কিত মন নিয়ে দুর্বার বেগে বেশি এগুনো যায় না।

বলেছিলাম সরকার এবং দলে কোথাও প্রকৃত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী নেই। তারা একেবারে কোণঠাসা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপাংক্তেয়। ধড়িবাজদের হাতেই সব। প্রথমেই আসা যাক বামপন্থিদের অবস্থান। অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, বিমানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী— যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই বামপন্থি। জাসদ এবং গণবাহিনী প্রশাসনের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে নেই। তবে একটা আশার কথা, গণবাহিনীর জাসদের চেয়ে প্রকৃত রাজনৈতিক জাসদ প্রশাসনের অনেক বেশি জায়গা জুড়ে আছে। সেক্রেটারি, জয়েন্ট সেক্রেটারি, করপোরেশন, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, অধ্যাপক কোনো জায়গা নেই, যেখানে জাসদ নেই। রাজনৈতিকভাবে মাঠে ময়দানে জাসদের অবস্থান তেমন ভালো না হলেও ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি সব জায়গায় তারা। তাদের থাকারই কথা। কারণ একটা সময় তাদের দলে মেধার কোনো অভাব ছিল না। রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তারা পিছিয়ে পড়েছে। ভারত পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই শিক্ষা-দীক্ষা, ত্যাগ-তিতিক্ষায় অহংকার করার মতো কমিউনিস্ট পার্টি সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের সিদ্ধান্ত নিয়ে যেমন ভুল করেছিল, জাসদও ঠিক তেমনটাই করেছিল। তাই প্রশাসনের দিকে তাকালে দেখা যাবে সবখানে জাসদ।

এবার আসা যাক জামায়াত নিয়ে। বাংলাদেশের সবচেয়ে কঠিন বিরোধী জামায়াত। কত হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, গৃহ হারা করেছে, সেই জামায়াত ফেলনা নয়। শিক্ষা-দীক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি— যেখানে হাত দেওয়া যাবে সেখানেই জামায়াতের উত্থান। এত রক্ত দিয়ে যে দেশ স্বাধীন করেছি সেই দেশে জামায়াতের প্রধান গোলাম আযমের ছেলে ফাতেমী ব্রিগেডিয়ার হয়ে সেনাবাহিনী ছেড়েছে। গোলাম আযমের ছেলেই যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার হতে পারে, তাহলে মনে মনে জামায়াত রাজাকার কতই না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ঘাপটি মেরে আছে। আজকাল অনেকেই সুখের ঢেঁকুর তুললেও আমাদের কোনো বাহিনীকেই উপযুক্ত পেশাদার করে গড়ে তোলা হয়নি। সবকিছু করা হয়েছে বা হচ্ছে জি হুজুরি মনোভাব নিয়ে। সেদিন পুলিশের এক নেতা বলেছেন প্রয়োজনে গুলি করা হবে। তা তো হবেই। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিজের ইচ্ছায় গুলি করার ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। পুলিশ বাহিনী কতটা দেউলিয়া সে সম্পর্কে সেদিন রাশেদ খান মেনন যথার্থ বলেছেন, ক্রসফায়ার পুলিশের কোনো সফলতা নয়, দুর্বলতার লক্ষণ। আইনশৃঙ্খলায় সাধারণ মানুষকে সক্রিয় করতে পুলিশ বাহিনী ইদানীং পছন্দমতো লোকজনের হাতে লাঠি দিচ্ছে। যেভাবে বিলে-বাদাড়ে, ডোবা-নালায় অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখছি, বাঁশের লাঠি, রিভলবার, পিস্তল, একে-৪৭ হতে কতক্ষণ। তাই সাবধানে পা বাড়ানো উচিত।

এরশাদের পতনের পর যেভাবেই হোক অনেক বছর বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তার আগে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ছিলেন। এরা উভয়েই মাসতুতো পিসতুতো ভাই। আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তাই এত বছর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলের পছন্দের লোকেরা নব্য আওয়ামী লীগার হতেই পারে কিন্তু মোটেই প্রকৃত আওয়ামী লীগ না, বঙ্গবন্ধুপ্রেমী না।

লেখক : রাজনীতিক।

এই বিভাগের আরও খবর
সৌরবিদ্যুৎ
সৌরবিদ্যুৎ
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
আহা, আমাদের ভৈরব!
আহা, আমাদের ভৈরব!
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
প্লাবনের শঙ্কা
প্লাবনের শঙ্কা
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
কর্মজীবী নারী
কর্মজীবী নারী
ঐকমত্যে অনৈক্য
ঐকমত্যে অনৈক্য
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা