শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬ আপডেট:

বিচার হবেই হবে

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিচার হবেই হবে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের জাসদ সম্পর্কে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় সতর্ক বাণীর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয়েছে ব্যাপক। সৈয়দ আশরাফকে ধন্যবাদ দিয়ে সাধুবাদ পেয়েছি বেশি, নিন্দা খুবই কম। তারও কারণ আছে। আমি যে কোনো মতেই নিরপেক্ষ নই— কট্টর বঙ্গবন্ধু পক্ষ এ ব্যাপারে এখন আর কারও কোনো সন্দেহ নেই। তাই অন্য পক্ষ খুব একটা যোগাযোগ করে না বা করতে চায় না। তবুও বেশ কিছু ফোন, চিঠিপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে দুকথা লিখছি।

নানা কারণে যাকে অনেকটা প্রকৃত রাজনৈতিক হিসেবে বিবেচনা করি, তিনি প্রিয় ওবায়দুল কাদের। লেখাটি ছিল মঙ্গলবার। তিনি আমায় ফোন করেছিলেন বুধবার বিকালের দিকে। আমি জানতাম ওবায়দুল কাদের যা কিছু পড়েন মন দিয়ে পড়েন। কিন্তু সেদিন হঠাৎই মনে হলো লেখাটি না পড়েই হয়তো অন্যের মুখে শুনে ফোন করেছেন। তার তেমন কিছু বলার ছিল না, বলেনওনি। আমায় অসম্ভব শ্রদ্ধা ভক্তি সম্মান করেন। যা হাজারো উথাল-পাথালের মধ্যেও কখনো নষ্ট হয়নি, সেদিনও না। এটাই একজন প্রকৃত রাজনীতিকের গুণ। তিনি ফোন করেই বলেছিলেন, ‘কাদের ভাই, শেষ পর্যন্ত আপনিও আমাকে জাসদ বানিয়ে দিলেন? আমি জাসদে যাব কেন? আমি তো মনিরুল হক চৌধুরীর কমিটিতে ছিলাম।’ আমি বলেছিলাম লেখাটা হয়তো আপনি পড়েননি। আমি আপনাকে মোটেও জাসদ বানাইনি, আর আপনাকে গুরুত্বহীনও করিনি। আপনাকে পছন্দ করি ভালোবাসি। আর আমার ভালোবাসা সম্পর্কে আপনি তো জানেন। তিনি বলেছিলেন তাহলে কীভাবে চোখ এড়িয়ে গেল?

বিশ্বব্যাংকের এত তোলপাড়ের পরও সেতুমন্ত্রী যেভাবে পদ্মা সেতু নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অপাত্রে দায়িত্ব দেননি এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়। পদ্মা সেতু এক দিন আমাদের আত্মমর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেখানে ওবায়দুল কাদেরের নামও কোথাও কোথাও স্থান পাবে।

তাহের পরিবার নিয়ে কিছু কথা ছিল। ঘুম থেকে উঠেই ওয়ারেসাত হাসান বেলালের মেসেজ পেয়েছিলাম। কীভাবে কীভাবে দিন কেটে যাওয়ায় তাকে আর রিং করা হয়নি। করার ইচ্ছেও ছিল না। কি কারণে আর কেন করব? কারও কথা শুনতে কাউকে ব্যাখ্যা দিতে লিখিনি। যা ঘটেছে তাই লিখেছি। বরং কাগজ কলম সময়ের অভাবে কম লিখেছি। ভারতীয় হাইকমিশন আক্রমণে ৩-৪ জন রক্ষী নিহত হয়েছিল। আক্রমণকারীরা কয়েক জন ধরা পড়ে জেলে ছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর তাদের ছেড়ে দেয়। তখন অধ্যাপক আনোয়ার ঢাকা মহানগর গণবাহিনীর প্রধান কমান্ডার ছিলেন। তিনিই আক্রমণের মূল নেতা। এটা আমার কথা নয়, এটা গণবাহিনীর কমিটির কথা। পরে জনাব আনোয়ার আওয়ামী লীগের আনুকূল্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হয়েছিলেন। এখন হাসানুল হক ইনুর জাসদে যোগ দিয়েছেন। যে কারণে কর্নেল তাহের বীরউত্তমের স্ত্রী লুত্ফা তাহের মঈন উদ্দীন খান বাদলদের জাসদে গেছেন। এই অতি সত্য কথাটা লিখতে কষ্ট হবে কেন?

জাসদের গণবাহিনী তার মুখ্য কাজই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরকারকে উত্খাত করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েম করা। সে জন্য যা করা দরকার তা তারা করতে পিছপা হননি। বাড়িঘরে, পাটের গুদামে, পোস্ট অফিসে, থানায় আগুন দেওয়া, সরকারি অস্ত্র লুট করা, প্রকাশ্য ঈদের জামায়াতে এমপি হত্যা কোনো কিছু বাদ যায়নি। মুক্তিযুদ্ধে কাদেরীয়া বাহিনী এক বিস্ময়কর ভূমিকা পালন করেছে। ’৭২-এর ২৪ জানুয়ারি বিন্দুবাসিনী স্কুলমাঠে বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে আমরা আমাদের অস্ত্র বিছিয়ে দিয়েছিলাম তারপর শুরু হয় অঘটন। পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর রাজাকার আলবদররা স্বাধীনতার পর ক’জন মুক্তিযোদ্ধাকেও হত্যা বা বিপদে ফেলেছে বলতে পারব না। কিন্তু জাসদ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিহত হতে থাকে। দেওপাড়ার রিয়াজ কমান্ডার মুক্তিযুদ্ধে যার ভূমিকা যত বলা যাবে কম হবে। স্বাধীনতার পরপরই গাঙ্গাইরের রহিমাকে বিয়ে করেছিল। স্ত্রীর পেটে বাচ্চা। এমন একদিন ঘাটাইলের ধলাপাড়া হাটে প্রকাশ্যে জাসদের গণবাহিনী তাকে হত্যা করে। লেখাটা পড়ে ব্যাংকের এক প্রাক্তন এমডি নুরুল আলম ফোন করেছিল, ‘স্যার, জাসদের গণবাহিনীর জন্য জামান আর আমি কত পালিয়ে বেরিয়েছি! কাদেরীয়া বাহিনীর দুর্ধর্ষ যোদ্ধা দুরমুজ খাঁকে গণবাহিনী হত্যা করেছিল। যুদ্ধের সফল সংবাদ সরবরাহকারী গৌরাঙ্গির হায়দার গণবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। গণবাহিনীর কয়েকজন হায়দারকে দিনদুপুরে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গুলি করে মেরে ফেলে। অপরাধ সে গণবাহিনী করে না। সে আওয়ামী লীগের সমর্থক বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাসাইলের ফুলকী ইউনিয়নের জশিহাটী মাদ্রাসায় প্রকাশ্য দিবালোকে গণবাহিনীর হুরমুজ বিএসসি ১৫ জন সাধারণ মানুষকে শুধু আওয়ামী লীগ সমর্থন করার কারণে গুলি করে মেরেছিল। বাসাইল কাউলজানীর কলিবুর রহমান বাঙালীকে হত্যা করেছিল গণবাহিনী। পাইকরার গোলড়ার দুর্দান্ত সফল কমান্ডার সৈয়দ গোলাম মোস্তফা বীরপ্রতীক এবং হুমায়ুনকে রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মেরে ফেলেছিল। এ সবই ছিল গণবাহিনীর কাজ।

বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী মাঝে সাঝে টাঙ্গাইল ক্লাবে যেতেন। এক দিন গণবাহিনীর কয়েকজন একেবারে কাছে থেকে তাকে গুলি করেছিল। ওভাবে তার মৃত্যু ছিল না তাই হয়তো আল্লাহ রক্ষা করেছিলেন। সামান্য আঘাত পেয়ে এখনো বেঁচে আছেন। সেই গণবাহিনীর খন্দকার বাতেন, হুরমুজ বিএসসি এবং কাকরাজানের রাজাকার গণ শামছুর এখন আওয়ামী লীগ।

চরফ্যাশনের অধ্যাপক নজরুল মারা গেলে সেখানে এক উপনির্বাচনে গিয়েছিলাম। ’৬৯-এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদের পরম যত্নে দুই সপ্তাহ ছিলাম। আমাকে নিয়ে যদিও তাদের কোনো সমস্যা ছিল না। ১০-১৫ জন সহকর্মী নিয়ে আমি থাকতাম গ্রামে গ্রামে। ছাত্রনেতা ইসহাক আলী পান্নাও তখন আমার সঙ্গে কয়েক দিন ছিল। বড় ভালো ছেলে ইসহাক আলী পান্না। এখন তো আর সে ছেলে নেই, সন্তানের বাবা হয়েছে। তার স্ত্রী আইরিন পারভীন বাঁধন কয়েক দিন আগে মারা গেছে। সে জন্য মনটা খুবই খারাপ। এখন সেই অধ্যাপক নজরুল ইসলামের ছেলে জ্যাকব এমপি, প্রতিমন্ত্রী। দিন কীভাবে যায়। সেই সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন মাছ ব্যবসায়ী জাফর উল্লাহ। সরকারি প্রার্থী ছিলেন শহীদ মালিতা। চরফ্যাশনে মালিতা একটা বেশ বড় গোষ্ঠী। সে সময় ক’দিন ভোলার লালমোহনের চমৎকার রেস্টহাউসে ছিলাম। সেখান থেকে চরফ্যাশন যাওয়ার পথে গজারিয়া ইউনিয়ন। গজারিয়া হাইস্কুলের জনপ্রিয় প্রধান শিক্ষক মাস্টার বাড়ির মোতাহার হোসেন মাস্টারের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেই কবে ’৭৪-এর ১০ জানুয়ারি গণবাহিনী মোতাহার হোসেন মাস্টার এমপিকে হত্যা করেছিল। আমি গিয়েছিলাম ’৯০-এর পরে। মনে হচ্ছিল মোতাহার হোসেনের হত্যার সেই বেদনা বাড়িময় তখনো ছড়িয়ে ছিল। যতক্ষণ ছিলাম শ্বাস নিতে পারছিলাম না। কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসছিল। ঠিক জানি না যার জন্য নির্বাচনে গিয়েছিলাম সেই জাফরও জাসদের ছিল কি না। নরসিংদীর অ্যাডভোকেট গাজী ফজলুর রহমান এমপিকে ১৬ মার্চ ’৭৪ গণবাহিনী হত্যা করে। বড় ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। ’৭০-এ ন্যাশনাল এসেম্বলি এবং ’৭৩-এ বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। অনেকেই অনেক কারচুপি করেন, কিন্তু অ্যাডভোকেট গাজী ফজলুর রহমানের তেমন কিছু করতে হয়নি। তাকে তার এলাকার জনগণ বুকে আগলে নিয়েছিল। কুষ্টিয়া খোকসার এমপি জনাব গোলাম কিবরিয়া যাকে প্রকাশ্যে ঈদের জামায়াতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। আমি যেদিন খোকসায় গিয়েছিলাম কিবরিয়া ভাইয়ের হত্যার যে করুণ কাহিনী তার বাড়িতে শুনেছিলাম আজও তা মনে হলে বুকের ভিতর আপনজন হারানোর ব্যথায় রক্ত ঝরে। এতকিছুর পরও যদি গণবাহিনীর নেতারা বুকে তুড়ি দিয়ে চলে, কোনো বিচার না হয় জগৎ থাকবে? থাকবে না। যারা আজ বেগম খালেদা জিয়াকে গালাগাল করে চ্যাম্পিয়ন হতে চায় তারা যে আগামীকাল জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গালি দিয়ে বিশ্ব রেকর্ডের চিন্তা করে না তা কি বলা যায়?

২৩ তারিখ ১৭ রমজান সৌদি অ্যাম্বাসির এক ইফতার পার্টিতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা। আমার পাশে বসেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। ডানে ছিলেন মাগুরা নির্বাচনের সময়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ময়মনসিংহ দাপুনিয়ার সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফ। টেবিল থেকে উঠে গিয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদ, রওশন এরশাদ, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এবং তোফায়েল ভাইর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছিলাম। এক ফাঁকে বলেছিলেন আমার লেখা তিনি পড়েন। গণবাহিনীর হাতে নিহত সংসদ সদস্যদের কথা লিখতে গিয়ে লালমোহনের মোতাহার মাস্টার এমপির নাম মনে আসছিল না। সে জন্য তোফায়েল ভাইকে ফোন করেছিলাম। বহুদিন পর কথা বলে খুব ভালো লাগল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মোতাহার মাস্টারের তথ্য দিয়েছিলেন। নরসিংদীর এমপি গাজী ফজলুর রহমানের তথ্য দিতে পারছিলেন না। একটু পর আবার ফোন করে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের নাম ধাম দিলেন। তারপর আবার ফোন পেলাম। বললেন, কাদের তোমাকে সব তথ্য দিচ্ছি। ১০ জানুয়ারি ’৭৪ মোতাহার হোসেন মাস্টার গণবাহিনীর হাতে নিহত হন। ১৬ মার্চ ’৭৪ নরসিংদীর অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ২৭ ডিসেম্বর ’৭৪ কুষ্টিয়ার খোকসায় গোলাম কিবরিয়া ঈদের মাঠে নিহত হন। কী নিদারুণ সে সময়ের সেই ভয়াবহ অবস্থা। দুই-দুইবার ফোন করে মাননীয় মন্ত্রী তোফায়েল ভাই তথ্য দেওয়ায় অভিভূত হয়েছি। আগের এমন সহমর্মিতা এখনো যদি সবার মধ্যে থাকত তাহলে কতই না ভালো হতো। বেঁচে থাকতে আবার কি কোনো দিন এমন সহমর্মিতার মধুময় বাতাবরণ সৃষ্টি হবে! বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী কি তা করতে পারবেন!

সেদিনের সেই ভয়াবহ দিনগুলোর কথা মনে হলে এখনো শরীর শিউরে ওঠে। কি দুর্দিনই না কাটাতে হয়েছে দেশকে, দেশের নেতা বঙ্গবন্ধুকে। পাকিস্তানের সহযোগিতায় মা-বোনের ইজ্জত হরণ, খুন-খারাবি, হত্যা-লুণ্ঠনের বিচার হবে। আর বাংলাদেশকে ধ্বংস করার সবকিছু করেও কেউ বিচারের সম্মুখীন হবে না বরং পুরস্কার পাবেন এটা হতে পারে না। তাই একদিন আগে হোক আর পরে হোক অপরাধীদের বিচার হবেই হবে।

প্রশ্ন সেটা কখন হবে। হ্যাঁ, এখন বিচার হওয়ায় কম বেশি জটিলতা আছে। কারণ যাদের বিচারের কথা তারাই অনেকে বিচারক। সরকারি প্রশাসনে বর্তমানে কোনো প্রকৃত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী আওয়ামী লীগার নেই। নিরাসক্তভাবে প্রশাসনের দিকে তাকালে দেখা যাবে বামপন্থি, ডানপন্থি, জাসদ, জামায়াতে ভরা। আর কিছু সংখ্যালঘু। প্রকৃত দেশপ্রেমিক আওয়ামী লীগ তেমন নেই। এক্ষেত্রে বামপন্থি, জাসদ, জামায়াত আর বিএনপিকে শুধু দোষ দিলে চলবে না। যদি কোনো স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের ছেলে লেখাপড়া করে এসপি ডিসি হয় তাহলে ফেরাবে কে? মুক্তিযোদ্ধারা তো লেখাপড়া জানত না, তাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করবে না। আওয়ামীপন্থিদের লেখাপড়ার দরকার নেই। তারা হাট-বাজারের চাঁদা পেলেই খুশি। তাই প্রকৃত দেশ প্রেমিকের সন্তানেরা আজ অনেকটাই পিছিয়ে। মাননীয় নেত্রীর ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করেছে এটা সত্যিই তার জন্য একটা মস্ত বড় গৌরব। মেয়ে পুতুলের কথা বলার দরকার নেই। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে তার কাজ বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে। আমাদেরও অন্তরাত্মা দখল করে নিয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথা বেশি ভাবি। তার চারদিকে শত্রু। অমন চিহ্নিত হয়ে ভালো কাজ করা খুব কঠিন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় তার নাকি প্রচণ্ড ভূমিকা আছে। মায়ের ছায়ায় যথার্থ ভূমিকা থাকলেও কখনো ছায়াহীন হলে সেকি মাথা ঠিক রেখে থাকতে পারবে? আমরা মামাদের তো বুকে আগলে রাখার তেমন সুযোগ নেই। যে কঠিন রাজনীতি ছেলেটি যখন একা হবে তখন মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে তো? বড় বেশি ভয় হয়। শঙ্কিত মন নিয়ে দুর্বার বেগে বেশি এগুনো যায় না।

বলেছিলাম সরকার এবং দলে কোথাও প্রকৃত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী নেই। তারা একেবারে কোণঠাসা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপাংক্তেয়। ধড়িবাজদের হাতেই সব। প্রথমেই আসা যাক বামপন্থিদের অবস্থান। অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, বিমানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী— যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই বামপন্থি। জাসদ এবং গণবাহিনী প্রশাসনের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে নেই। তবে একটা আশার কথা, গণবাহিনীর জাসদের চেয়ে প্রকৃত রাজনৈতিক জাসদ প্রশাসনের অনেক বেশি জায়গা জুড়ে আছে। সেক্রেটারি, জয়েন্ট সেক্রেটারি, করপোরেশন, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, অধ্যাপক কোনো জায়গা নেই, যেখানে জাসদ নেই। রাজনৈতিকভাবে মাঠে ময়দানে জাসদের অবস্থান তেমন ভালো না হলেও ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি সব জায়গায় তারা। তাদের থাকারই কথা। কারণ একটা সময় তাদের দলে মেধার কোনো অভাব ছিল না। রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তারা পিছিয়ে পড়েছে। ভারত পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই শিক্ষা-দীক্ষা, ত্যাগ-তিতিক্ষায় অহংকার করার মতো কমিউনিস্ট পার্টি সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের সিদ্ধান্ত নিয়ে যেমন ভুল করেছিল, জাসদও ঠিক তেমনটাই করেছিল। তাই প্রশাসনের দিকে তাকালে দেখা যাবে সবখানে জাসদ।

এবার আসা যাক জামায়াত নিয়ে। বাংলাদেশের সবচেয়ে কঠিন বিরোধী জামায়াত। কত হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, গৃহ হারা করেছে, সেই জামায়াত ফেলনা নয়। শিক্ষা-দীক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি— যেখানে হাত দেওয়া যাবে সেখানেই জামায়াতের উত্থান। এত রক্ত দিয়ে যে দেশ স্বাধীন করেছি সেই দেশে জামায়াতের প্রধান গোলাম আযমের ছেলে ফাতেমী ব্রিগেডিয়ার হয়ে সেনাবাহিনী ছেড়েছে। গোলাম আযমের ছেলেই যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার হতে পারে, তাহলে মনে মনে জামায়াত রাজাকার কতই না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ঘাপটি মেরে আছে। আজকাল অনেকেই সুখের ঢেঁকুর তুললেও আমাদের কোনো বাহিনীকেই উপযুক্ত পেশাদার করে গড়ে তোলা হয়নি। সবকিছু করা হয়েছে বা হচ্ছে জি হুজুরি মনোভাব নিয়ে। সেদিন পুলিশের এক নেতা বলেছেন প্রয়োজনে গুলি করা হবে। তা তো হবেই। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিজের ইচ্ছায় গুলি করার ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। পুলিশ বাহিনী কতটা দেউলিয়া সে সম্পর্কে সেদিন রাশেদ খান মেনন যথার্থ বলেছেন, ক্রসফায়ার পুলিশের কোনো সফলতা নয়, দুর্বলতার লক্ষণ। আইনশৃঙ্খলায় সাধারণ মানুষকে সক্রিয় করতে পুলিশ বাহিনী ইদানীং পছন্দমতো লোকজনের হাতে লাঠি দিচ্ছে। যেভাবে বিলে-বাদাড়ে, ডোবা-নালায় অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখছি, বাঁশের লাঠি, রিভলবার, পিস্তল, একে-৪৭ হতে কতক্ষণ। তাই সাবধানে পা বাড়ানো উচিত।

এরশাদের পতনের পর যেভাবেই হোক অনেক বছর বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তার আগে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ছিলেন। এরা উভয়েই মাসতুতো পিসতুতো ভাই। আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তাই এত বছর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলের পছন্দের লোকেরা নব্য আওয়ামী লীগার হতেই পারে কিন্তু মোটেই প্রকৃত আওয়ামী লীগ না, বঙ্গবন্ধুপ্রেমী না।

লেখক : রাজনীতিক।

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
কেরানীগঞ্জে ডাম্পিং এলাকায় অগ্নিসংযোগ
কেরানীগঞ্জে ডাম্পিং এলাকায় অগ্নিসংযোগ

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেসির চোখ এখনও বিশ্বকাপে!
মেসির চোখ এখনও বিশ্বকাপে!

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ধামরাইয়ে পার্কিং করা বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন
ধামরাইয়ে পার্কিং করা বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই কারানির্যাতিত খাদিজা
জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই কারানির্যাতিত খাদিজা

৪৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

৫৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ
টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তুরস্ক গাজার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: হাকান ফিদান
তুরস্ক গাজার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: হাকান ফিদান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ মোদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে!
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ মোদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুলনায় যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মধ্য বাড্ডায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ
মধ্য বাড্ডায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট  অনুষ্ঠিত
ঢাকায় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট  অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক
শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিইউপিতে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
বিইউপিতে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বাংলাদেশ পেনাং রোডশোর মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ সেমিকন্ডাক্টর সেতুবন্ধন গড়ে তুলছে
বাংলাদেশ পেনাং রোডশোর মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ সেমিকন্ডাক্টর সেতুবন্ধন গড়ে তুলছে

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আর্মেনিয়াকে ৯ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপে পর্তুগাল, নেভেস ও ফার্নান্দেসের হ্যাটট্রিক
আর্মেনিয়াকে ৯ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপে পর্তুগাল, নেভেস ও ফার্নান্দেসের হ্যাটট্রিক

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিআরটিএ শিশু ও তরুণদের রক্ষায় কাজ করছে: চেয়ারম্যান
বিআরটিএ শিশু ও তরুণদের রক্ষায় কাজ করছে: চেয়ারম্যান

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কমওয়ার্ড’র সেরার স্বীকৃতি পেল মাস্টহেড পিআর
কমওয়ার্ড’র সেরার স্বীকৃতি পেল মাস্টহেড পিআর

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ
জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ছাত্রশক্তির মশাল মিছিল
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ছাত্রশক্তির মশাল মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাঙামাটিতে বন্যহাতির আক্রমণে নারী নিহত
রাঙামাটিতে বন্যহাতির আক্রমণে নারী নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে প্রতি ১০ শিশুর চারজনের রক্তে ‘উদ্বেগজনক’ মাত্রায় সিসা
দেশে প্রতি ১০ শিশুর চারজনের রক্তে ‘উদ্বেগজনক’ মাত্রায় সিসা

৩ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলার সুযোগে উচ্ছ্বসিত সাইফ
আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলার সুযোগে উচ্ছ্বসিত সাইফ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চায়ের আড্ডায় টুকুর গণসংযোগ
চায়ের আড্ডায় টুকুর গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ফের ইসরায়েলি গুলি
লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ফের ইসরায়েলি গুলি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বান্দরবানে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
বান্দরবানে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রবাসী কর্মীদের সন্তানদের শিক্ষায় ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকার সহায়তা দিয়েছে সরকার
প্রবাসী কর্মীদের সন্তানদের শিক্ষায় ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকার সহায়তা দিয়েছে সরকার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

২০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

১৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

১৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি
গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার
১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর

প্রথম পৃষ্ঠা

দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার
দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলবে
সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলবে

নগর জীবন

নগদ-ডিআরইউ সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার জিতলেন ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক
নগদ-ডিআরইউ সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার জিতলেন ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক

নগর জীবন

লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি
লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ
গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ

নগর জীবন

বার অ্যাসোসিয়েশনের বিক্ষোভ
বার অ্যাসোসিয়েশনের বিক্ষোভ

দেশগ্রাম

বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা
বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

তিন মাসে পাঁচ বার চুরি
তিন মাসে পাঁচ বার চুরি

দেশগ্রাম

বেওয়ারিশ জুলাই শহীদদের শনাক্তে বিদেশি ফরেনসিক টিম
বেওয়ারিশ জুলাই শহীদদের শনাক্তে বিদেশি ফরেনসিক টিম

নগর জীবন

অবহিতকরণ সভা
অবহিতকরণ সভা

দেশগ্রাম

লোকসানের বোঝা নিয়েই আবার আলু আবাদ
লোকসানের বোঝা নিয়েই আবার আলু আবাদ

দেশগ্রাম

চিলির নির্বাচনে ডানপন্থিদের প্রভাব বাড়ছে
চিলির নির্বাচনে ডানপন্থিদের প্রভাব বাড়ছে

পূর্ব-পশ্চিম

আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য
আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য

পূর্ব-পশ্চিম

জলবায়ু অর্থায়ন দয়া বা ঋণ হিসেবে চাই না
জলবায়ু অর্থায়ন দয়া বা ঋণ হিসেবে চাই না

নগর জীবন

তথ্যনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা
তথ্যনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা

দেশগ্রাম

ব্যবসায়ীরা বন্ডের অপব্যবহারকারীদের শাস্তি চান
ব্যবসায়ীরা বন্ডের অপব্যবহারকারীদের শাস্তি চান

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রবীণ ও অসহায় গণি জমাদ্দার দম্পতির পাশে তারেক রহমান
প্রবীণ ও অসহায় গণি জমাদ্দার দম্পতির পাশে তারেক রহমান

নগর জীবন