শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬ আপডেট:

বিচার হবেই হবে

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিচার হবেই হবে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের জাসদ সম্পর্কে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় সতর্ক বাণীর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয়েছে ব্যাপক। সৈয়দ আশরাফকে ধন্যবাদ দিয়ে সাধুবাদ পেয়েছি বেশি, নিন্দা খুবই কম। তারও কারণ আছে। আমি যে কোনো মতেই নিরপেক্ষ নই— কট্টর বঙ্গবন্ধু পক্ষ এ ব্যাপারে এখন আর কারও কোনো সন্দেহ নেই। তাই অন্য পক্ষ খুব একটা যোগাযোগ করে না বা করতে চায় না। তবুও বেশ কিছু ফোন, চিঠিপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে দুকথা লিখছি।

নানা কারণে যাকে অনেকটা প্রকৃত রাজনৈতিক হিসেবে বিবেচনা করি, তিনি প্রিয় ওবায়দুল কাদের। লেখাটি ছিল মঙ্গলবার। তিনি আমায় ফোন করেছিলেন বুধবার বিকালের দিকে। আমি জানতাম ওবায়দুল কাদের যা কিছু পড়েন মন দিয়ে পড়েন। কিন্তু সেদিন হঠাৎই মনে হলো লেখাটি না পড়েই হয়তো অন্যের মুখে শুনে ফোন করেছেন। তার তেমন কিছু বলার ছিল না, বলেনওনি। আমায় অসম্ভব শ্রদ্ধা ভক্তি সম্মান করেন। যা হাজারো উথাল-পাথালের মধ্যেও কখনো নষ্ট হয়নি, সেদিনও না। এটাই একজন প্রকৃত রাজনীতিকের গুণ। তিনি ফোন করেই বলেছিলেন, ‘কাদের ভাই, শেষ পর্যন্ত আপনিও আমাকে জাসদ বানিয়ে দিলেন? আমি জাসদে যাব কেন? আমি তো মনিরুল হক চৌধুরীর কমিটিতে ছিলাম।’ আমি বলেছিলাম লেখাটা হয়তো আপনি পড়েননি। আমি আপনাকে মোটেও জাসদ বানাইনি, আর আপনাকে গুরুত্বহীনও করিনি। আপনাকে পছন্দ করি ভালোবাসি। আর আমার ভালোবাসা সম্পর্কে আপনি তো জানেন। তিনি বলেছিলেন তাহলে কীভাবে চোখ এড়িয়ে গেল?

বিশ্বব্যাংকের এত তোলপাড়ের পরও সেতুমন্ত্রী যেভাবে পদ্মা সেতু নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অপাত্রে দায়িত্ব দেননি এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়। পদ্মা সেতু এক দিন আমাদের আত্মমর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেখানে ওবায়দুল কাদেরের নামও কোথাও কোথাও স্থান পাবে।

তাহের পরিবার নিয়ে কিছু কথা ছিল। ঘুম থেকে উঠেই ওয়ারেসাত হাসান বেলালের মেসেজ পেয়েছিলাম। কীভাবে কীভাবে দিন কেটে যাওয়ায় তাকে আর রিং করা হয়নি। করার ইচ্ছেও ছিল না। কি কারণে আর কেন করব? কারও কথা শুনতে কাউকে ব্যাখ্যা দিতে লিখিনি। যা ঘটেছে তাই লিখেছি। বরং কাগজ কলম সময়ের অভাবে কম লিখেছি। ভারতীয় হাইকমিশন আক্রমণে ৩-৪ জন রক্ষী নিহত হয়েছিল। আক্রমণকারীরা কয়েক জন ধরা পড়ে জেলে ছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর তাদের ছেড়ে দেয়। তখন অধ্যাপক আনোয়ার ঢাকা মহানগর গণবাহিনীর প্রধান কমান্ডার ছিলেন। তিনিই আক্রমণের মূল নেতা। এটা আমার কথা নয়, এটা গণবাহিনীর কমিটির কথা। পরে জনাব আনোয়ার আওয়ামী লীগের আনুকূল্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হয়েছিলেন। এখন হাসানুল হক ইনুর জাসদে যোগ দিয়েছেন। যে কারণে কর্নেল তাহের বীরউত্তমের স্ত্রী লুত্ফা তাহের মঈন উদ্দীন খান বাদলদের জাসদে গেছেন। এই অতি সত্য কথাটা লিখতে কষ্ট হবে কেন?

জাসদের গণবাহিনী তার মুখ্য কাজই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরকারকে উত্খাত করে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েম করা। সে জন্য যা করা দরকার তা তারা করতে পিছপা হননি। বাড়িঘরে, পাটের গুদামে, পোস্ট অফিসে, থানায় আগুন দেওয়া, সরকারি অস্ত্র লুট করা, প্রকাশ্য ঈদের জামায়াতে এমপি হত্যা কোনো কিছু বাদ যায়নি। মুক্তিযুদ্ধে কাদেরীয়া বাহিনী এক বিস্ময়কর ভূমিকা পালন করেছে। ’৭২-এর ২৪ জানুয়ারি বিন্দুবাসিনী স্কুলমাঠে বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে আমরা আমাদের অস্ত্র বিছিয়ে দিয়েছিলাম তারপর শুরু হয় অঘটন। পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর রাজাকার আলবদররা স্বাধীনতার পর ক’জন মুক্তিযোদ্ধাকেও হত্যা বা বিপদে ফেলেছে বলতে পারব না। কিন্তু জাসদ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিহত হতে থাকে। দেওপাড়ার রিয়াজ কমান্ডার মুক্তিযুদ্ধে যার ভূমিকা যত বলা যাবে কম হবে। স্বাধীনতার পরপরই গাঙ্গাইরের রহিমাকে বিয়ে করেছিল। স্ত্রীর পেটে বাচ্চা। এমন একদিন ঘাটাইলের ধলাপাড়া হাটে প্রকাশ্যে জাসদের গণবাহিনী তাকে হত্যা করে। লেখাটা পড়ে ব্যাংকের এক প্রাক্তন এমডি নুরুল আলম ফোন করেছিল, ‘স্যার, জাসদের গণবাহিনীর জন্য জামান আর আমি কত পালিয়ে বেরিয়েছি! কাদেরীয়া বাহিনীর দুর্ধর্ষ যোদ্ধা দুরমুজ খাঁকে গণবাহিনী হত্যা করেছিল। যুদ্ধের সফল সংবাদ সরবরাহকারী গৌরাঙ্গির হায়দার গণবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। গণবাহিনীর কয়েকজন হায়দারকে দিনদুপুরে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গুলি করে মেরে ফেলে। অপরাধ সে গণবাহিনী করে না। সে আওয়ামী লীগের সমর্থক বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাসাইলের ফুলকী ইউনিয়নের জশিহাটী মাদ্রাসায় প্রকাশ্য দিবালোকে গণবাহিনীর হুরমুজ বিএসসি ১৫ জন সাধারণ মানুষকে শুধু আওয়ামী লীগ সমর্থন করার কারণে গুলি করে মেরেছিল। বাসাইল কাউলজানীর কলিবুর রহমান বাঙালীকে হত্যা করেছিল গণবাহিনী। পাইকরার গোলড়ার দুর্দান্ত সফল কমান্ডার সৈয়দ গোলাম মোস্তফা বীরপ্রতীক এবং হুমায়ুনকে রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মেরে ফেলেছিল। এ সবই ছিল গণবাহিনীর কাজ।

বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী মাঝে সাঝে টাঙ্গাইল ক্লাবে যেতেন। এক দিন গণবাহিনীর কয়েকজন একেবারে কাছে থেকে তাকে গুলি করেছিল। ওভাবে তার মৃত্যু ছিল না তাই হয়তো আল্লাহ রক্ষা করেছিলেন। সামান্য আঘাত পেয়ে এখনো বেঁচে আছেন। সেই গণবাহিনীর খন্দকার বাতেন, হুরমুজ বিএসসি এবং কাকরাজানের রাজাকার গণ শামছুর এখন আওয়ামী লীগ।

চরফ্যাশনের অধ্যাপক নজরুল মারা গেলে সেখানে এক উপনির্বাচনে গিয়েছিলাম। ’৬৯-এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদের পরম যত্নে দুই সপ্তাহ ছিলাম। আমাকে নিয়ে যদিও তাদের কোনো সমস্যা ছিল না। ১০-১৫ জন সহকর্মী নিয়ে আমি থাকতাম গ্রামে গ্রামে। ছাত্রনেতা ইসহাক আলী পান্নাও তখন আমার সঙ্গে কয়েক দিন ছিল। বড় ভালো ছেলে ইসহাক আলী পান্না। এখন তো আর সে ছেলে নেই, সন্তানের বাবা হয়েছে। তার স্ত্রী আইরিন পারভীন বাঁধন কয়েক দিন আগে মারা গেছে। সে জন্য মনটা খুবই খারাপ। এখন সেই অধ্যাপক নজরুল ইসলামের ছেলে জ্যাকব এমপি, প্রতিমন্ত্রী। দিন কীভাবে যায়। সেই সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন মাছ ব্যবসায়ী জাফর উল্লাহ। সরকারি প্রার্থী ছিলেন শহীদ মালিতা। চরফ্যাশনে মালিতা একটা বেশ বড় গোষ্ঠী। সে সময় ক’দিন ভোলার লালমোহনের চমৎকার রেস্টহাউসে ছিলাম। সেখান থেকে চরফ্যাশন যাওয়ার পথে গজারিয়া ইউনিয়ন। গজারিয়া হাইস্কুলের জনপ্রিয় প্রধান শিক্ষক মাস্টার বাড়ির মোতাহার হোসেন মাস্টারের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেই কবে ’৭৪-এর ১০ জানুয়ারি গণবাহিনী মোতাহার হোসেন মাস্টার এমপিকে হত্যা করেছিল। আমি গিয়েছিলাম ’৯০-এর পরে। মনে হচ্ছিল মোতাহার হোসেনের হত্যার সেই বেদনা বাড়িময় তখনো ছড়িয়ে ছিল। যতক্ষণ ছিলাম শ্বাস নিতে পারছিলাম না। কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসছিল। ঠিক জানি না যার জন্য নির্বাচনে গিয়েছিলাম সেই জাফরও জাসদের ছিল কি না। নরসিংদীর অ্যাডভোকেট গাজী ফজলুর রহমান এমপিকে ১৬ মার্চ ’৭৪ গণবাহিনী হত্যা করে। বড় ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। ’৭০-এ ন্যাশনাল এসেম্বলি এবং ’৭৩-এ বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। অনেকেই অনেক কারচুপি করেন, কিন্তু অ্যাডভোকেট গাজী ফজলুর রহমানের তেমন কিছু করতে হয়নি। তাকে তার এলাকার জনগণ বুকে আগলে নিয়েছিল। কুষ্টিয়া খোকসার এমপি জনাব গোলাম কিবরিয়া যাকে প্রকাশ্যে ঈদের জামায়াতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। আমি যেদিন খোকসায় গিয়েছিলাম কিবরিয়া ভাইয়ের হত্যার যে করুণ কাহিনী তার বাড়িতে শুনেছিলাম আজও তা মনে হলে বুকের ভিতর আপনজন হারানোর ব্যথায় রক্ত ঝরে। এতকিছুর পরও যদি গণবাহিনীর নেতারা বুকে তুড়ি দিয়ে চলে, কোনো বিচার না হয় জগৎ থাকবে? থাকবে না। যারা আজ বেগম খালেদা জিয়াকে গালাগাল করে চ্যাম্পিয়ন হতে চায় তারা যে আগামীকাল জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গালি দিয়ে বিশ্ব রেকর্ডের চিন্তা করে না তা কি বলা যায়?

২৩ তারিখ ১৭ রমজান সৌদি অ্যাম্বাসির এক ইফতার পার্টিতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা। আমার পাশে বসেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। ডানে ছিলেন মাগুরা নির্বাচনের সময়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ময়মনসিংহ দাপুনিয়ার সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফ। টেবিল থেকে উঠে গিয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদ, রওশন এরশাদ, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এবং তোফায়েল ভাইর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছিলাম। এক ফাঁকে বলেছিলেন আমার লেখা তিনি পড়েন। গণবাহিনীর হাতে নিহত সংসদ সদস্যদের কথা লিখতে গিয়ে লালমোহনের মোতাহার মাস্টার এমপির নাম মনে আসছিল না। সে জন্য তোফায়েল ভাইকে ফোন করেছিলাম। বহুদিন পর কথা বলে খুব ভালো লাগল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মোতাহার মাস্টারের তথ্য দিয়েছিলেন। নরসিংদীর এমপি গাজী ফজলুর রহমানের তথ্য দিতে পারছিলেন না। একটু পর আবার ফোন করে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের নাম ধাম দিলেন। তারপর আবার ফোন পেলাম। বললেন, কাদের তোমাকে সব তথ্য দিচ্ছি। ১০ জানুয়ারি ’৭৪ মোতাহার হোসেন মাস্টার গণবাহিনীর হাতে নিহত হন। ১৬ মার্চ ’৭৪ নরসিংদীর অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ২৭ ডিসেম্বর ’৭৪ কুষ্টিয়ার খোকসায় গোলাম কিবরিয়া ঈদের মাঠে নিহত হন। কী নিদারুণ সে সময়ের সেই ভয়াবহ অবস্থা। দুই-দুইবার ফোন করে মাননীয় মন্ত্রী তোফায়েল ভাই তথ্য দেওয়ায় অভিভূত হয়েছি। আগের এমন সহমর্মিতা এখনো যদি সবার মধ্যে থাকত তাহলে কতই না ভালো হতো। বেঁচে থাকতে আবার কি কোনো দিন এমন সহমর্মিতার মধুময় বাতাবরণ সৃষ্টি হবে! বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী কি তা করতে পারবেন!

সেদিনের সেই ভয়াবহ দিনগুলোর কথা মনে হলে এখনো শরীর শিউরে ওঠে। কি দুর্দিনই না কাটাতে হয়েছে দেশকে, দেশের নেতা বঙ্গবন্ধুকে। পাকিস্তানের সহযোগিতায় মা-বোনের ইজ্জত হরণ, খুন-খারাবি, হত্যা-লুণ্ঠনের বিচার হবে। আর বাংলাদেশকে ধ্বংস করার সবকিছু করেও কেউ বিচারের সম্মুখীন হবে না বরং পুরস্কার পাবেন এটা হতে পারে না। তাই একদিন আগে হোক আর পরে হোক অপরাধীদের বিচার হবেই হবে।

প্রশ্ন সেটা কখন হবে। হ্যাঁ, এখন বিচার হওয়ায় কম বেশি জটিলতা আছে। কারণ যাদের বিচারের কথা তারাই অনেকে বিচারক। সরকারি প্রশাসনে বর্তমানে কোনো প্রকৃত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী আওয়ামী লীগার নেই। নিরাসক্তভাবে প্রশাসনের দিকে তাকালে দেখা যাবে বামপন্থি, ডানপন্থি, জাসদ, জামায়াতে ভরা। আর কিছু সংখ্যালঘু। প্রকৃত দেশপ্রেমিক আওয়ামী লীগ তেমন নেই। এক্ষেত্রে বামপন্থি, জাসদ, জামায়াত আর বিএনপিকে শুধু দোষ দিলে চলবে না। যদি কোনো স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের ছেলে লেখাপড়া করে এসপি ডিসি হয় তাহলে ফেরাবে কে? মুক্তিযোদ্ধারা তো লেখাপড়া জানত না, তাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করবে না। আওয়ামীপন্থিদের লেখাপড়ার দরকার নেই। তারা হাট-বাজারের চাঁদা পেলেই খুশি। তাই প্রকৃত দেশ প্রেমিকের সন্তানেরা আজ অনেকটাই পিছিয়ে। মাননীয় নেত্রীর ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করেছে এটা সত্যিই তার জন্য একটা মস্ত বড় গৌরব। মেয়ে পুতুলের কথা বলার দরকার নেই। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে তার কাজ বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে। আমাদেরও অন্তরাত্মা দখল করে নিয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথা বেশি ভাবি। তার চারদিকে শত্রু। অমন চিহ্নিত হয়ে ভালো কাজ করা খুব কঠিন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় তার নাকি প্রচণ্ড ভূমিকা আছে। মায়ের ছায়ায় যথার্থ ভূমিকা থাকলেও কখনো ছায়াহীন হলে সেকি মাথা ঠিক রেখে থাকতে পারবে? আমরা মামাদের তো বুকে আগলে রাখার তেমন সুযোগ নেই। যে কঠিন রাজনীতি ছেলেটি যখন একা হবে তখন মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে তো? বড় বেশি ভয় হয়। শঙ্কিত মন নিয়ে দুর্বার বেগে বেশি এগুনো যায় না।

বলেছিলাম সরকার এবং দলে কোথাও প্রকৃত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী নেই। তারা একেবারে কোণঠাসা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপাংক্তেয়। ধড়িবাজদের হাতেই সব। প্রথমেই আসা যাক বামপন্থিদের অবস্থান। অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, বিমানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী— যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই বামপন্থি। জাসদ এবং গণবাহিনী প্রশাসনের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে নেই। তবে একটা আশার কথা, গণবাহিনীর জাসদের চেয়ে প্রকৃত রাজনৈতিক জাসদ প্রশাসনের অনেক বেশি জায়গা জুড়ে আছে। সেক্রেটারি, জয়েন্ট সেক্রেটারি, করপোরেশন, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, অধ্যাপক কোনো জায়গা নেই, যেখানে জাসদ নেই। রাজনৈতিকভাবে মাঠে ময়দানে জাসদের অবস্থান তেমন ভালো না হলেও ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি সব জায়গায় তারা। তাদের থাকারই কথা। কারণ একটা সময় তাদের দলে মেধার কোনো অভাব ছিল না। রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তারা পিছিয়ে পড়েছে। ভারত পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই শিক্ষা-দীক্ষা, ত্যাগ-তিতিক্ষায় অহংকার করার মতো কমিউনিস্ট পার্টি সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের সিদ্ধান্ত নিয়ে যেমন ভুল করেছিল, জাসদও ঠিক তেমনটাই করেছিল। তাই প্রশাসনের দিকে তাকালে দেখা যাবে সবখানে জাসদ।

এবার আসা যাক জামায়াত নিয়ে। বাংলাদেশের সবচেয়ে কঠিন বিরোধী জামায়াত। কত হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, গৃহ হারা করেছে, সেই জামায়াত ফেলনা নয়। শিক্ষা-দীক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি— যেখানে হাত দেওয়া যাবে সেখানেই জামায়াতের উত্থান। এত রক্ত দিয়ে যে দেশ স্বাধীন করেছি সেই দেশে জামায়াতের প্রধান গোলাম আযমের ছেলে ফাতেমী ব্রিগেডিয়ার হয়ে সেনাবাহিনী ছেড়েছে। গোলাম আযমের ছেলেই যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার হতে পারে, তাহলে মনে মনে জামায়াত রাজাকার কতই না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ঘাপটি মেরে আছে। আজকাল অনেকেই সুখের ঢেঁকুর তুললেও আমাদের কোনো বাহিনীকেই উপযুক্ত পেশাদার করে গড়ে তোলা হয়নি। সবকিছু করা হয়েছে বা হচ্ছে জি হুজুরি মনোভাব নিয়ে। সেদিন পুলিশের এক নেতা বলেছেন প্রয়োজনে গুলি করা হবে। তা তো হবেই। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিজের ইচ্ছায় গুলি করার ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। পুলিশ বাহিনী কতটা দেউলিয়া সে সম্পর্কে সেদিন রাশেদ খান মেনন যথার্থ বলেছেন, ক্রসফায়ার পুলিশের কোনো সফলতা নয়, দুর্বলতার লক্ষণ। আইনশৃঙ্খলায় সাধারণ মানুষকে সক্রিয় করতে পুলিশ বাহিনী ইদানীং পছন্দমতো লোকজনের হাতে লাঠি দিচ্ছে। যেভাবে বিলে-বাদাড়ে, ডোবা-নালায় অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখছি, বাঁশের লাঠি, রিভলবার, পিস্তল, একে-৪৭ হতে কতক্ষণ। তাই সাবধানে পা বাড়ানো উচিত।

এরশাদের পতনের পর যেভাবেই হোক অনেক বছর বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তার আগে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ছিলেন। এরা উভয়েই মাসতুতো পিসতুতো ভাই। আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তাই এত বছর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলের পছন্দের লোকেরা নব্য আওয়ামী লীগার হতেই পারে কিন্তু মোটেই প্রকৃত আওয়ামী লীগ না, বঙ্গবন্ধুপ্রেমী না।

লেখক : রাজনীতিক।

এই বিভাগের আরও খবর
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
মব সন্ত্রাস থামান
মব সন্ত্রাস থামান
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
নিশায় আঁকা ছবি প্রভাতে চুরমার
নিশায় আঁকা ছবি প্রভাতে চুরমার
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি
পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইলম ও আমলের পথ ধরে ৬৬ বছর
ইলম ও আমলের পথ ধরে ৬৬ বছর

২১ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ঢাকাসহ ৪ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের শঙ্কা
ঢাকাসহ ৪ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের শঙ্কা

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

হিজরি সনের আগে আরবের বর্ষপঞ্জি যেমন ছিল
হিজরি সনের আগে আরবের বর্ষপঞ্জি যেমন ছিল

২৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

মাদারীপুরে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত
মাদারীপুরে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা

৩৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নতুন ঘোষণার পর মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নতুন ঘোষণার পর মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু,  নিখোঁজ ২
হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু,  নিখোঁজ ২

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের গাছের চারা বিতরণ
শিক্ষার্থীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের গাছের চারা বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতের হামলায় আহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতের হামলায় আহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্দশা শহীদ হাসিবের পরিবারে, পায়নি সরকারি ভাতা
দুর্দশা শহীদ হাসিবের পরিবারে, পায়নি সরকারি ভাতা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে
সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বগুড়ায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের
নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা
বগুড়ায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজর খাওয়ার ৫ উপকারিতা
গাজর খাওয়ার ৫ উপকারিতা

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আফতাবনগরে দেয়াল ধসে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
আফতাবনগরে দেয়াল ধসে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কক্সবাজার সীমান্তে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
কক্সবাজার সীমান্তে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যাত্রাবাড়ীতে গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে হত্যা
যাত্রাবাড়ীতে গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হেরে যাওয়ার সেই ধারা ভাঙতে পারলেন জোকোভিচ
হেরে যাওয়ার সেই ধারা ভাঙতে পারলেন জোকোভিচ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার
সোনারগাঁয়ে ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্লাব বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার
ক্লাব বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৪ বছর পর নতুন করে ফিরছে আজম খানের 'উচ্চারণ'
১৪ বছর পর নতুন করে ফিরছে আজম খানের 'উচ্চারণ'

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...
প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টানা ৯ ঘণ্টা ঘুম, পুরস্কার ৯ লাখ! জিতলেন যে নারী
টানা ৯ ঘণ্টা ঘুম, পুরস্কার ৯ লাখ! জিতলেন যে নারী

২৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী
ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন হানিফ পরিবহনের মালিক
দুদকের মামলায় খালাস পেলেন হানিফ পরিবহনের মালিক

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য
শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল
ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি
ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে
কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি
এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক
১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার
১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা
ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক
নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক

১২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত
ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!
সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা
প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া

শিল্প বাণিজ্য

জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে
জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি
তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ
জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ

নগর জীবন

তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া
তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা
পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়
প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

পেছনের পৃষ্ঠা

মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল
মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল

নগর জীবন

সবাই রাজি, তবু আটকা
সবাই রাজি, তবু আটকা

পেছনের পৃষ্ঠা

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!
৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!

শিল্প বাণিজ্য

বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ
বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

মবে জড়িতদের ছাড় নয়
মবে জড়িতদের ছাড় নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে
মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক
সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

প্রথম পৃষ্ঠা

হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু
পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে
পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে

খবর

অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য
অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে
ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে

নগর জীবন

তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি
২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি

নগর জীবন

ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!
ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!

দেশগ্রাম

খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি
খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি

নগর জীবন

ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত
ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত

মাঠে ময়দানে

কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলা, চার ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলা, চার ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

দেশগ্রাম