শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

রাখাল বালক এবং রাজভাণ্ডার চুরির গুপ্ত কথা!

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রাখাল বালক এবং রাজভাণ্ডার চুরির গুপ্ত কথা!

তার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল ধানমন্ডি লেকের পাড়ে বহু বছর আগে। তিনি তখনো বিখ্যাত ছিলেন। তবে এখনকার মতো আলোচিত এবং পরিচিত মুখের মানুষ ছিলেন না। অন্যদিকে একজন উদীয়মান তরুণ ব্যবসায়ী এবং ভবিষ্যতে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজনৈতিক কর্মীর বাইরে আমার উল্লেখ করার মতো কোনো পরিচয়ই ছিল না। তার সঙ্গে আমার দেখা হতো কোনো কোনো দিন সকালে আবার কখনোবা বিকালে। তিনি ধানমন্ডি লেকের পাড়ে নিয়মিত শরীরচর্চার জন্য হাঁটতেন, তার হাঁটার ভঙ্গি, গতি এবং প্রকৃতি ছিল অদ্ভুত রকম সুন্দর। তিনি খুব জোরে হাঁটতেন এবং হাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাত দুখানা ঝোলাতেন। সাধারণত মাথা নিচু করে হাঁটতেন এবং মুখে মুচকি জাতীয় সুন্দর একটি হাসি ধরে রাখতেন। তার মাথার সামনের অংশে বর্তমান কালের মতো তখনো চুল কম ছিল। ঘামের কারণে কিছু চুল ভিজে অবিন্যস্ত হয়ে তার মাথার টাকের অংশ খালি করে ললাটের ওপর ঝুলে পড়ত। তিনি তার এক হাতে থাকা রুমালটি দিয়ে ললাটের ঘাম মুছে অবিন্যস্ত চুলগুলোকে যথাস্থানে সরিয়ে দিতেন এবং মাথাটি ঈষৎ উঁচু করে হাসিমুখে আশপাশে তাকাতেন।

ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার দেখা হতো সুধাসদনের কাছাকাছি স্থানে। তিনি লেকটিকে বামদিকে রেখে হাঁটতেন। অন্যদিকে, আমি আসতাম বিপরীত দিক থেকে। চলতি পথে তাকে কেউ সালাম দিলে তিনি হাসি মুখে উচ্চস্বরে ওয়ালাইকুম সালাম বলে উত্তর দিতেন। তার এই সালাম দেওয়া এবং নেওয়ার ভঙ্গিটিও আমার ভালো লাগত। আর তাই আমিও সময়-সুযোগ পেলে তার সঙ্গে আনন্দচিত্তে সালাম বিনিময় করতাম। তিনি যখন গভর্নর হলেন তখন তার সঙ্গে কেবল সালাম বিনিময়ের সম্পর্কের কারণে আমি খুব খুশি হলাম। পরবর্তীতে তার শৈশব ও কৈশোরের সফল সংগ্রাম এবং মা-মাটি মানুষের সঙ্গে আত্মিক বন্ধনের খবর প্রচারিত হয়ে পড়লে আমি স্বভাবত তার প্রতি এক ধরনের প্রগাঢ় শ্রদ্ধা পোষণ আরম্ভ করলাম। আমাদের দেশের মিডিয়াগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে সসম্মানে রাখাল বালক বলে সম্বোধন শুরু করল। মিডিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের আমজনতার মতো আমিও রাখাল বালকের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করতে থাকলাম।

২০১০ সালের দিকে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় অনেকেই বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়ী করে বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে থাকেন। কেউ কেউ আবার সরাসরি ড. আতিউরকে দায়ী করে বলতে থাকেন যে, তিনি বিভিন্ন রকম উল্টাপাল্টা সিদ্ধান্ত প্রদানের মাধ্যমে শেয়ার মার্কেট সংক্রান্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে জটিল বানিয়ে ফেলেছেন, যার কারণে শেয়ারের অস্বাভাবিক দরপতন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে যেদিন সবচেয়ে বড় দরপতনটি হয়েছিল সেদিন গভর্নর আতিউর পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি আদা চাষ সংক্রান্ত উপজাতীয়দের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গিয়েছিলেন। ঢাকায় তার সমালোচকরা এ ঘটনাকে রোমনগরী পুড়ে যাওয়ার সময় সম্রাট নিরোর বাঁশি বাজানোর ঘটনার সঙ্গে তুলনা করে আকাশ-বাতাস কাঁপাতে লাগলেন। ঘটনার রাতে একুশে টিভির একটি টকশোতে আমি নিজেও অন্য সমালোচকদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে জনাব আতিউর সম্পর্কে নির্মম সমালোচনা করলাম এবং তার জন্য প্রযোজ্য নয় এমন কতগুলো মন্তব্য করলাম।

উপরোক্ত ঘটনার কয়েক মাস পরে দৈবচক্রে ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে আমার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কার্যালয়ে। এটা ছিল তার সঙ্গে আমার জীবনের প্রথম বৈঠক এবং সরাসরি কথা বলা। বৈঠকের আগে আমি কিছুটা হলেও বিব্রতবোধ করতে থাকলাম অতীতে তাকে নিয়ে টেলিভিশন টকশোতে বিরূপ মন্তব্য করার কারণে। কিন্তু বৈঠকের শুরুতেই তিনি এতটা আন্তরিকতা এবং সহৃদয়তা দেখালেন যে, আমি আমার বিব্রতবোধ ত্যাগ করতে বাধ্য হলাম বটে কিন্তু মনের কোণে এক ধরনের অস্বস্তি কাটিয়ে উঠতে পারলাম না। আমাকে স্বাভাবিক করার জন্য তিনি জানালেন, তিনি নিয়মিত আমার লেখা পড়েন এবং টকশোও দেখেন। তারপর তিনি  অত্যন্ত সাবলীলভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব-কর্তব্য দেশের ব্যাংকিং অবস্থার হাল-হকিকত এবং তার আমলে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে বললেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটরিং ডিজিটালাইজেশন এবং ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের কিছু নমুনা তার রুমে স্থাপিত বড় পর্দার টেলিভিশন মনিটরের মাধ্যমে আমাকে দেখালেন। আমি সুদৃষ্টিতে তার দিকে তাকাতেই তিনি বললেন— যেহেতু তুমি নিয়মিত কলাম লেখ এবং টেলিভিশনের টকশোতে অংশগ্রহণ কর, সেহেতু তোমার এগুলো জানা দরকার।

ড. আতিউরের সঙ্গে বৈঠকের পর আমি মোটামুটি বুঝতে পারলাম যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, দেশের মুদ্রাবাজার, শেয়ারবাজার, আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন আমদানি-রপ্তানি, রেমিট্যান্স ইত্যাদি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে একটি অপরটির সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অতীতে কী করেছে এবং আগামী দিনে কী করতে চায় তা যেমন আমি জানতে পারলাম তেমনি দেশের কয়েকটি আর্থিক কেলেঙ্কারি সম্পর্কে গভর্নরের ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি জানার পর তার সম্পর্কে আমার পূর্বেকার কটূক্তি সবার অজান্তে আপন মনে প্রত্যাহার করে নিলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের বহুল আলোচিত ৮০০ কোটি টাকার রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ড. আতিউর কিছুটা অসহায়, কিছুটা অভিমান, মহল বিশেষের চক্রান্ত এবং উদ্ভূত বিরূপ পরিস্থিতির কারণে পদত্যাগ করেন।

ড. আতিউরের সঙ্গে কোনো কালে আমার স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় ছিল না—তার সঙ্গে আমার জীবনে একবারই মাত্র কথা হয়েছে এবং সামাজিক-পারিবারিক অথবা পেশাদারিত্বের দিক থেকে আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক বা সংযোগ নেই। তারপরও তার পদত্যাগ আমাকে বেদনাহত করেছে। তার বিপদের দিনে কথিত শুভার্থীদের নিষ্ক্রিয়তা, প্রতিদ্বন্দ্বীদের নারকীয় উল্লাস এবং হুজুগে আমজনতার উল্লম্ফন দেখে যারপরনাই বিস্মিত এবং হতবাক হয়েছি। পবিত্র বাইবেলে বর্ণিত সুন্দরী সুসানা এবং হজরত দানিয়েল (আ.)-এর ঘটনার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট জানার পর মনে হয়েছে—আর কেউ না বললেও আমার বলা উচিত ‘ড. আতিউরের ওপর আমরা সবাই মিলে জুলুম করেছি—তার মানবিক ব্যাংকিংয়ের ধারণাকে আমরা অমানবিক এবং নিষ্ঠুর আচরণ দ্বারা অপমানিত করেছি এবং দেশ-জাতির জন্য তিনি যে ভালো কাজ করেছেন আমরা সেগুলোর প্রতিদান খুব মন্দভাবে দিয়েছি।’

সম্মানিত পাঠক, হয়তো ভাবতে পারেন কেন আমি এতকাল পর ড. আতিউরকে নিয়ে লিখতে উদ্যোগী হলাম এবং তার ঘটনার সঙ্গে বাইবেলে বর্ণিত দানিয়েল নবী এবং সুসানার কাহিনীর কী সম্পর্ক থাকতে পারে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার আগে ভারতীয় রাজনীতি এবং আইন-আদালতের জীবন্ত কিংবদন্তি রাম জেঠ মালানীর একটি সুবিখ্যাত উক্তির কথা বলে নিই। তিনি বলেন, জাতীয় জীবনে ভুল এবং অন্যায় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র যেমন ভুল করে তেমনি কখনো সখনো পুরো জাতি ভুল করে বসে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় তখন যখন কোনো ভুল বা অন্যায় সম্পর্কে প্রতিবাদ করার মতো একটি লোকও থাকে না। কোনো ব্যক্তি, পরিবার, রাষ্ট্র অথবা জাতির ভুল সম্পর্কে কোনো প্রতিবাদকারী পাওয়া না গেলে ধরে নেওয়া যায় যে, ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে অন্যায়কারী ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে বাধ্য। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত একজন প্রতিবাদকারী জীবিত থাকেন ততদিন পর্যন্ত ধ্বংসপ্রাপ্ত অথবা বিলুপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়া থেকে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এবং জাতি রক্ষা পায়। বাইবেলে বর্ণিত সুসানার কাহিনীতে এই ঐতিহাসিক চিরসত্যটির প্রমাণ রয়েছে। ঘটনাটি বেশ দীর্ঘ হওয়ার কারণে বিস্তারিত বর্ণনা বাদ দিলাম। সময় ও সুযোগ হলে অন্য কোনো দিন হয়তো বলব।

এবার ড. আতিউর প্রসঙ্গে আসি। নিতান্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে সফলতার স্বর্ণশিখরে পৌঁছার পরও তার মন ও মননশীলতায় কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ অর্থনীতি, সবুজ বিপ্লব এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার দুরন্ত এবং দুর্দান্ত সব পরিকল্পনা ছিল। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব লাভের পর তিনি এমন কতগুলো বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যার সফল বাস্তবায়নের ফলে আমাদের দেশের সার্বিক অর্থনীতি, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, আমানত সংগ্রহ, বিনিয়োগ এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধিত হয়েছিল। তিনি যখন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের জন্য স্কুল ব্যাংকিং চালু করলেন তখন কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি যে, গ্রামগঞ্জের দরিদ্র শিশুরা মিলে সাড়ে আটশ’ কোটি টাকা জমা করবে। তার উদ্ভাবিত পথশিশুদের ব্যাংক হিসাবে ১৯ লাখ টাকা জমা পড়েছে।

১০ টাকার অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে এক কোটি ৫৯ লাখ হতদরিদ্র মানুষকে সরাসরি ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা যে কত বড় বিস্ময়কর ঘটনা তা আমরা টের না পেলেও জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক আইএমএফসহ উন্নতবিশ্ব ঠিকই টের পেয়েছে। ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রেও ড. আতিউর তার উদ্ভাবনী শক্তির অনন্য স্বাক্ষর রেখেছেন যা বাংলাদেশ তো নয়ই—দুনিয়ার কোনো দেশে এর আগে ঘটেনি। তার সময়কালে তিনি বর্গাচাষিদের মোট ২ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেন। বাংলাদেশে উৎপাদন সম্ভব অথচ বিদেশ থেকে ব্যাপক হারে আমদানি করতে হয় এমন কয়েকটি ফসলকে বিশেষ ফসল আখ্যা দিয়ে তিনি মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ৪৪৬ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেন। ফলে আদা, রসুন, পিয়াজ, মরিচ এবং হলুদ উৎপাদনে বিস্ময়কর সফলতা অর্জিত হয়। ঠিক একই কায়দায় তিনি গাভী পালনে ২০০ কোটি টাকার তহবিল চালু করেন।

নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদান, নতুন উদ্যোক্তাদের এসএমই ঋণ প্রদান, মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং, গ্রিন ব্যাংকিং ইত্যাদি চালুর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেবার পরিধি বিশাল এবং ব্যাপকতর পর্যায়ে উন্নীত করেন। সর্বোপরি ব্যাপকভাবে কৃষিঋণ বিতরণের মাধ্যমে দেশে সবুজবিপ্লব ঘটানোর অন্যতম নিয়ামকশক্তি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন। তার এসব কর্মের ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংকগুলো প্রায় আড়াই হাজার নতুন শাখা খোলে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কারণে সারা দেশে প্রায় ছয় লাখ এজেন্ট ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছে এবং প্রায় সোয়া ৩ কোটি লোক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা গ্রহণ করছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রেও কর্মসংস্থান ও সেবা প্রাপ্তির এক অনন্য নজির স্থাপিত হয়েছে।

ব্যাংকিং খাতের অর্জিত মুনাফার একটি অংশ জনকল্যাণে ব্যয় করার ক্ষেত্রে গভর্নর আতিউরের কড়াকড়ির কারণে তার আমলে এই খাতে ব্যয় দশগুণ বৃদ্ধি পায়। মানবকল্যাণ ও আর্তমানবতার সেবায় ২০১৫ সালে ব্যাংকগুলো মোট ৫১১ কোটি টাকা ব্যয় করে। তার কার্যকালে দেশের মোট বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি, রেমিট্যান্স দ্বিগুণ হয়ে যায়। অন্যদিকে মোট আমানতের পরিমাণ বেড়ে যায় প্রায় তিনগুণ। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ে প্রায় সাড়ে চারগুণ। গত সাত বছরে পৃথিবীর অর্থনীতির দুটো মারাত্মক সমস্যা অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি এবং স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন ইউরোপ, আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তানসহ অনেক দেশকে বিপদের মধ্যে ফেললেও বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশ বেঁচে যায়। বাংলাদেশের জিডিপি, মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামগ্রিক আর্থিক উন্নয়ন তাবৎ দুনিয়াকে এক নতুন অধ্যায় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তুলেছে। তারা সব রাগ-অভিমান, খেদ ইত্যাদি ভুলে বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে কণ্ঠ মেলাতে বাধ্য হয়েছে।

ড. আতিউরের গৃহীত আরও অনেক অভিনব এবং সফল পদক্ষেপ নিয়ে বলতে গেলে নিবন্ধের পরিধি বড় হয়ে যাবে। কাজেই ওদিকে না গিয়ে বরং বহুল আলোচিত রিজার্ভ চুরি নিয়ে কিছু বলি। দেশি-বিদেশি নানামুখী তদন্তে এ কথা প্রমাণিত যে, একটি আন্তর্জাতিক জুয়াড়ি চক্র অপকর্মটি করেছে। কোনো তদন্ত দলই বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, মহল বিশেষ বা ব্যক্তি বিশেষের সংশ্লিষ্টতার ন্যূনতম ইঙ্গিত খুঁজে পায়নি। গভর্নরের দায়িত্বে অবহেলারও কোনো প্রমাণ নেই। সময়ের ব্যবধানে চুরিকৃত রিজার্ভের একটি বিরাট অংশ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা মিলেছে— বাকি অর্থও ফেরত আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনাটি ঘটার পর ড. আতিউর চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন আজ অবধি কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সরকার সে পথেই হাঁটছে—তাহলে ড. আতিউরকে কেন বিদায় নিতে হলো?

ড. আতিউরের সবচেয়ে বড় বিপত্তি ছিল তার প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগাধ আস্থা এবং প্রগাঢ় স্নেহ। এই বিপত্তিকে হজম করার জন্য যে রাজনৈতিক ছলচাতুরি, বহুমুখী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং মোনাফেকির দরকার ছিল তা ড. আতিউর করতে পারেননি। ড. আতিউর কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। কিন্তু রাজনীতির সব গুণাবলি তার মধ্যে রয়েছে। ফলে পদ-পদবি প্রাপ্তির পর তার সহজাত নেতৃত্বগুণ, গণমুখী চরিত্র এবং জনসংযোগের কারণে তিনি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেন এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ, আন্তর্জাতিক ব্যাংকিংয়ের নীতি-নির্ধারণী ব্যক্তিবর্গ এবং জাতিসংঘের অর্থ বিভাগের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলেন যা তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের হৃদয়-মন ও মস্তিষ্কে প্রতিহিংসার আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ড. আতিউরের নিঃশর্ত সততা, পেশাদারিত্ব এবং প্রশাসনিক গুণাবলিও তার জন্য অন্যতম বিপত্তির কারণ ছিল। তার সততা শর্তযুক্ত ছিল না। অর্থাৎ তিনি কেবল নিজে সৎ ছিলেন না— বরং তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং শুভানুধ্যায়ীদের ব্যাপারে ছিলেন অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে। ফলে তার কার্যকালে ড. আতিউরের নাম ব্যবহার করে কেউ বাংলাদেশ ব্যাংক তো দূরের কথা—বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রভাব বিস্তার, দালালি, ঘুষ-দুর্নীতি ইত্যাদি করেছে এমন বদনাম তার ঘোরতর শত্রুরাও দিতে পারেনি।

অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের বেশির ভাগই অভিযুক্ত এবং শীর্ষ দুর্নীতিবাজ বলে স্বীকৃত। কেউ কেউ অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে সৎ কিন্তু তাদের সন্তান, ভাই ও অন্য আত্মীয়বর্গের অপকর্ম, দুর্নীতি এবং দুর্বৃত্তপনার কারণে দেশের পুরো আর্থিক অঙ্গনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা নৈতিকভাবে তার মুখোমুখি হওয়ার সাহস পেত না। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কারণে ড. আতিউরের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বিরোধিতার সুযোগও ছিল না। ফলে তারা বড় বড় চক্রান্তের জাল তৈরি করে দৈব দুর্ঘটনার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিল।

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ড. আতিউরের বিরুদ্ধে দুটো অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। প্রথমটি হলো—তিনি বিষয়টি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কেবল প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে জানানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন। কেন তিনি হলমার্কের ঘটনার মতো প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনাটি ফাঁস করলেন না?

দ্বিতীয়ত, এ ঘটনা নিয়ে যখন তোলপাড় চলছিল তখন তিনি কেন ভারতে একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন। প্রথম অভিযোগের ব্যাপারে ড. আতিউরের বক্তব্য অর্থাৎ ফিলিপাইন সরকারের অনুরোধ, অর্থ ফেরতের প্রতিশ্রুতি এবং জুয়াড়িদের নির্বিঘ্ন গ্রেফতার নিরাপদ করার জন্য গোপনীয়তা আবশ্যক ছিল যা সময়ের বিবর্তনে সত্য ও নির্ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে।

আর দ্বিতীয়টি সম্পর্কে মন্তব্য করার মতো রুচি আমার নেই। আমার শুধু একটাই প্রশ্ন— যে জাতি তার সুসন্তানকে সম্মান করে না, সুকাজকে মূল্যায়ন করে না এবং যোগ্যতমকে ধারণ করতে পারে না সেই জাতির ভবিষ্যৎ কী হতে পারে?

     লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
সর্বশেষ খবর
সংবিধান সংশোধন করে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়ালো পাকিস্তান
সংবিধান সংশোধন করে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়ালো পাকিস্তান

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেত্রকোনায় হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে হিমু উৎসব
নেত্রকোনায় হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে হিমু উৎসব

৫৭ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের সব ব্যানার-ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ
জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের সব ব্যানার-ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ

১৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কুড়িগ্রামে বায়ু ‍দূষণ রোধে জেলা প্রশাসনের অভিযানে জরিমানা
কুড়িগ্রামে বায়ু ‍দূষণ রোধে জেলা প্রশাসনের অভিযানে জরিমানা

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

২১ মিনিট আগে | নগর জীবন

ভাঙ্গায় মহাসড়কের পাশ থেকে ৩২টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার
ভাঙ্গায় মহাসড়কের পাশ থেকে ৩২টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যাত্রাবাড়ীতে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ রবিবার
এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ রবিবার

৩১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ
পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ

৩৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে প্রভাব নেই লকডাউনের
সিলেটে প্রভাব নেই লকডাউনের

৩৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

বগুড়ায় রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে নাশকতার চেষ্টা
বগুড়ায় রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে নাশকতার চেষ্টা

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মতভিন্নতা সত্ত্বেও প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত ও ভাষণকে স্বাগত জানাল এবি পার্টি
মতভিন্নতা সত্ত্বেও প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত ও ভাষণকে স্বাগত জানাল এবি পার্টি

৩৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

আইরিশদের বিপক্ষে ইনিংস জয়ের পথে টাইগাররা
আইরিশদের বিপক্ষে ইনিংস জয়ের পথে টাইগাররা

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চিরিরবন্দরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ৭৭ পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরণ
চিরিরবন্দরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ৭৭ পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরণ

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক দশক পূর্তিতে হবে সমাবেশ ও মাথাল র‍্যালি করবে গণসংহতি আন্দোলন
এক দশক পূর্তিতে হবে সমাবেশ ও মাথাল র‍্যালি করবে গণসংহতি আন্দোলন

৫১ মিনিট আগে | রাজনীতি

নোয়াখালীতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, বিক্ষোভ
নোয়াখালীতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, বিক্ষোভ

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিবচরে হত দরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে গাভী বিতরণ
শিবচরে হত দরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে গাভী বিতরণ

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরুর দিনে ৪ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ
জকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরুর দিনে ৪ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ

৫৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের লকডাউনে নেই উত্তাপ
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের লকডাউনে নেই উত্তাপ

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাবির ফটকে তালার ঘটনায় ৫ প্রহরী বরখাস্ত
ঢাবির ফটকে তালার ঘটনায় ৫ প্রহরী বরখাস্ত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মীর মশাররফ হোসেনের জন্মবার্ষিকীতে রাজবাড়ীতে নানা আয়োজন
মীর মশাররফ হোসেনের জন্মবার্ষিকীতে রাজবাড়ীতে নানা আয়োজন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হামজাকে নিয়ে রোমাঞ্চে নেপাল, প্রস্তুত বাংলাদেশও
হামজাকে নিয়ে রোমাঞ্চে নেপাল, প্রস্তুত বাংলাদেশও

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রংপুরে সরকারি সেবা নিয়ে অবহিতকরণ সভা
রংপুরে সরকারি সেবা নিয়ে অবহিতকরণ সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের লকডাউনের বিরুদ্ধে বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের লকডাউনের বিরুদ্ধে বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষ নেই, এআই দিয়ে লকডাউন পালন করছে আওয়ামী লীগ : এ্যানি
মানুষ নেই, এআই দিয়ে লকডাউন পালন করছে আওয়ামী লীগ : এ্যানি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র টোটন গ্রেফতার
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র টোটন গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্ষমতায় গেলে ইনসাফের বাংলাদেশ গড়বে জামায়াত: অ্যাডভোকেট আব্দুর রব
ক্ষমতায় গেলে ইনসাফের বাংলাদেশ গড়বে জামায়াত: অ্যাডভোকেট আব্দুর রব

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে পৃথক অভিযানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ ৮ জন গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে পৃথক অভিযানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান
বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন
গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ
এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান
ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান
উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও
পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম
ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিএনপির কাছে বগুড়া-২ আসন থেকেই নির্বাচন করার দাবি করবো: মান্না
বিএনপির কাছে বগুড়া-২ আসন থেকেই নির্বাচন করার দাবি করবো: মান্না

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা
শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবাহবিচ্ছেদের পর সানিয়া মির্জার প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল?
বিবাহবিচ্ছেদের পর সানিয়া মির্জার প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল?

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘রাজপথের সঙ্গীদের প্রতি আহ্বান, দয়া করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করবেন না’
‘রাজপথের সঙ্গীদের প্রতি আহ্বান, দয়া করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করবেন না’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২
সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার
পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প
নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক
আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট
জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য

সম্পাদকীয়

নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়
নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না
একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে
অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে

পেছনের পৃষ্ঠা

সংঘাতের পথে রাজনীতি
সংঘাতের পথে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক
ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত

দেশগ্রাম

দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা
দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসন্তোষ
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসন্তোষ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি
বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি

মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ
শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে
রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে

পেছনের পৃষ্ঠা

আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস
আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে
আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগে এবারও বিতর্ক
ডিসি নিয়োগে এবারও বিতর্ক

নগর জীবন

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক
পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক

নগর জীবন

ইলিশের জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ
ইলিশের জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

এক উইকেটে ৩৩৮ রান বাংলাদেশের
এক উইকেটে ৩৩৮ রান বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা

সম্পাদকীয়

প্রথম দিনে আজ ডাক পেয়েছে ১২টি দল
প্রথম দিনে আজ ডাক পেয়েছে ১২টি দল

প্রথম পৃষ্ঠা

কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত
কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত

দেশগ্রাম

ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য

সম্পাদকীয়

এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি
এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি

মাঠে ময়দানে