আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা এখন কানাডায় অবস্থান করছেন। সেখানে পুত্র অনীককে নিয়ে বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছেন বলে জানান তিনি। এ ছাড়াও চলচ্চিত্র জগতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তাঁর বলা কথা তুলে ধরা হলো এখানে-
গত মাসে আবার কানাডা গেলেন, সময় কীভাবে কাটছে?
আমি তো সময়সুযোগ পেলেই কানাডায় আমার আদরের পুত্র অনীকের কাছে ছুটে যাই, ওকে রান্না করে খাওয়াই। আমেরিকায় ভাইদের কাছে যাই। এবারও তাই। অনীককে নিয়ে আমার সুন্দর সময় কেটে যাচ্ছে। ওকে রান্না করে খাওয়াই। সারা দিন চাকরি করে বাসায় এসে ওর রান্না করে খেতে খুব কষ্ট হয়। আর এখানে তো কাজের মানুষ বলে কিছু নেই। নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয়। ওর উইক অ্যান্ডে ওকে নিয়ে বেড়াতে বের হই। দর্শনীয় স্থানে ঘুরিফিরি, শপিং করি। ওর সঙ্গে গল্প করে সময় কাটাই। এভাবে বেশ সুন্দর সময় কেটে যাচ্ছে আমাদের মা ও ছেলের। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ডিসিআইআইয়ের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বিশ্বব্যাপী সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি ২০১২ সাল থেকে। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রে যাব। ওখানে ডিসিআইআই নিয়ে কাজ করব ও আমার ভাইদের সঙ্গে দেখা করব। এরপর আবার কানাডায় যাব।
দেশে ফিরছেন কখন?
এবার দেশে ফিরতে একটু দেরি হবে। কারণ এখানে অনেক কাজ আছে। তাই ঠিক কবে ফিরব, বলতে পারছি না।
সম্প্রতি সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হয়েছে, কী বলবেন?
এটি তো চলচ্চিত্রকারদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। কারণ পৃথিবীর কোথাও সেন্সর বোর্ড বলে কিছু নেই। দেশের যে কোনো সেক্টরের উন্নয়ন চাইলে সময়ের পথে হাঁটতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমি আশা করব, এই বোর্ডে সদস্য হিসেবে এমন মানুষ নিয়োগ দিতে হবে, যারা সত্যিকার অর্থে চলচ্চিত্র সম্পর্কে জ্ঞান রাখে। না হলে একটি প্রতিষ্ঠানের শুধু নাম পাল্টানো হবে, এর বেশি কিছু নয়। এটি চলচ্চিত্রের মানুষ কখনো প্রত্যাশা করে না।
অভিনয়ে আর ফিরবেন না?
আমি তো বরাবরই বলে আসছি ভালো গল্প ও চরিত্রের অভাবে অভিনয় ছেড়েছি। এ দুটি যদি মনের মতো করে পাই তাহলে অভিনয়ে ফিরতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আর নির্মাণের চিন্তা আপাতত বাদ দিয়েছি। কারণ সিনেমা হল আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে, দর্শক সিনেমা হলে যায় না। এতে বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত আসবে কোথা থেকে। লোকসান গুনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাব কেন।
চলচ্চিত্রের দুর্দশার মধ্যেও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ছবি কিন্তু দর্শক দেখেছে?
হ্যাঁ অনেক ভালো ছবি নির্মাণ হয়েছে এবং কিছু ছবি দর্শক দেখছে। এটি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য সত্যিই আশার কথা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দর্শক সিনেমা হলে যায় না। মানসম্মত ছবি নির্মাণ হয় না। সিনেমা হলের পরিবেশও ভালো না। এ অবস্থায় মুক্তি পাওয়া কিছু ছবি দর্শক সাড়া জাগাতে পারছে। এটি দেশি চলচ্চিত্রের জন্য সত্যিই সুখের কথা। এ সফলতা ধরে রাখতে হবে। আর এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দর্শক আসলে কী চায় সেদিকে নজর দিতে হবে।