মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গত বছরের অক্টোবরে বড় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে দেশের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, যার ফলে সেনাবাহিনী প্রচ- চাপে রয়েছে। এ অবস্থায় মিয়ানমারের সামরিক জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ‘অস্ত্র রেখে’ সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। তবে বিরোধী পক্ষগুলো এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে বলে আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে ভয়াবহ সংঘাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার। ২০২১ সালে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই ভয়াবহ সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে উভয় পক্ষ। এ সংঘাতের মধ্যে এবারই প্রথম শান্তি প্রস্তাব করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। গতকাল মিয়ানমার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের একটি প্রতিবেদনে এসএসি বলেছে, জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইরত পিডিএফ সন্ত্রাসীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে যে, তারা রাজনৈতিক ইস্যুগুলোকে দলীয় রাজনীতি বা নির্বাচনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করুক। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। নির্বাসিত জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) বলেছে, জান্তার প্রস্তাবটি বিবেচনা করার মতো নয়। কেননা তারা মনে করে জান্তার নির্বাচন করার কোনো অধিকার নেই। ইতোমধ্যেই জান্তার দুর্বলতা প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।