নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। এই সরকারের সাফল্য কামনা করে তিনি বলেছেন, এই সরকার যত দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারবে, দেশ ও জাতির জন্য ততই মঙ্গল। এজন্য উপযুক্ত সময়ে একটি ‘ফ্রি ফেয়ার ন্যাশনাল ইলেকশনের’ ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, সব সংকটের অবসান হয়েছে। এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে হবে। সবার আগে এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী আ স ম রব বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ১৬ বছরের এক ভয়ানক স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটেছে। সেই পতনের মাধ্যমে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ছাত্র-জনতার এ আন্দোলনের বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পরাজিত অপশক্তি। বিভিন্ন স্থানে ‘ছিনতাই-ডাকাতির’ নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করছে। এ সম্পর্কে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনসহ ছাত্র-জনতাকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সদ্য গণ আন্দোলনের মুখে পতিত আওয়ামী সরকার বিগত ১৬ বছরে দেশব্যাপী যে লুটপাট, দুর্নীতি ও অরাজকতা তৈরি করে গেছে, তার অবসান ঘটিয়ে পুনরায় নতুন করে দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনা সরকার শুধু শত শত ছাত্র-জনতাকে হত্যাই করেনি। তারা দেশের প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অর্থনীতি ও ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন করতে হবে। এ জন্য যতটুকু সময় দরকার, ঠিক ততটুকু সময়ের মধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই কাজগুলোর সমাধান করতে হবে। জেএসডি সভাপতি বলেন, শহীদ আবু সাঈদ থেকে শুরু করে এই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রত্যেকটি হত্যাকাে র সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। যারা এ হত্যাকাে র নির্দেশদাতা, তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করতে হবে। প্রয়োজনে সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতেও সংস্কার আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনে প্রতিটি হত্যার দায় চিহ্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণসহ হতাহতদের পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে রাষ্ট্রকে।