১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৩:৩৬

তেঁতুলিয়ায় ফুটছে টিউলিপ : পর্যটনে নতুন সম্ভাবনা

সরকার হায়দার, পঞ্চগড়

তেঁতুলিয়ায় ফুটছে টিউলিপ : পর্যটনে নতুন সম্ভাবনা

উত্তরের হিমালয় কন্যা খ্যাত শীত প্রধান জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এবারও ফুটতে শুরু করেছে টিউলিপ। নানা রঙের এই ফুল আর টিউলিপ বাগান দেখতে ছুটছে হাজারো মানুষ। এই ফুল চাষ করছেন স্থানীয় নারী টিউলিপ চাষিরা। 

ফুল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত তিন বছর ধরে টিউলিপ ফুটিয়ে বাংলাদেশে পর্যটনের নতুন মাত্রা যোগ করেছে নারীরা। পরিবার পরিজন নিয়ে টিউলিপের মনোরম সৌন্দর্য্য উপভোগ করে ভ্রমণ পিপাসুরা বলছেন, উপভোগ্য আবহাওয়া আর টিউলিপের বাহারী রঙে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে তাদের। তেঁতুলিয়ায় নানা অনুসঙ্গের সাথে টিউলিপ বাগান ভ্রমণ আনন্দকে আরও আকর্ষণীয় ও মুগ্ধকর করে তুলেছে। 

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়ার দর্জীপাড়া গ্রামে তৃতীয়বারের মতো এই টিউলিপ ফুল ফুটতে শুরু করেছে। তেঁতুলিয়ার এই গ্রামে ২০২২ সালে ৪০ হাজার টিউলিপের বাল্ব পরীক্ষামূলক রোপণ করে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে টিউলিপ চাষের উদ্যোগ নেয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ইএসডিও। নারীদেরকে স্বাবলম্বি গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় ২০ জন নারীকে টিউলিপ চাষের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। গত তিন বছর ধরে এই নারীরাই টিউলিপ চাষ করে সফল হয়েছে। এই এলাকার ১৬ জন নারী এবার চাষ করছেন টিউলিপ ফুল। গত তিন বছর ধরে টিউলিপ চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন তারা। 

টিউলিপের বাগান দেখতে ভিড় করে দেশ বিদেশের হাজারো পর্যটক। শীতকালে বাংলাদেশে এই ফুলের চাষের সম্ভাবনার কথা আগে জানা গেলেও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় শুরু হয় ২০২২ সালে। টিউলিপ চাষের এই প্রকল্পটিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন। 

ইএসডিওর পরিচালক (প্রশাসন) ড. সেলিমা আকতার জানান, নারীদের স্বাবলম্বি করার জন্যই মূলত: এই উদ্যোগ। নারীরা ফুল চাষ করে পর্যটন শিল্পকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এবছর ১৯ প্রজাতির টিউলিপ ১৯ রঙে রাঙিয়েছে দর্জিপাড়া গ্রাম। জন প্রতি ৫০ টাকা এবং শিশুরা বিনামূল্যে টিকেট কেটে ঢুকছেন টিউলিপ বাগানে।  
 
টিউলিপের পাশাপাশি তেঁতুলিয়ায় ইকোট্যুরিজমের গড়ে তোলার উদ্যোগের কথা জানালেন ইকোস্যোসাল ডেভলেপমেন্ট অর্গানাইজেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. শহীদু- উজ- জামান। তিনি জানান, তেঁতুলিয়ার মাটি অত্যন্ত উর্বর। এখানে সবধরনের ফল, ফুল, ফসল চাষ করা যায়। শুধু শীতকালীন ফুল নয় সারা বছর ফোটে এমন ফুল এবং নানা ধরনের ফলের চাষের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর