নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম আলু ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রায় ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে নতুন আলু বাজারে তোলা যাবে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, এ বছর উপজেলায় আগাম জাতের আলুর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৮০ হেক্টর। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন আলু গাছের সবুজ পাতার রঙে মুখরিত। কৃষাণ-কৃষাণীর ব্যস্ততা এখন ক্ষেত পরিচর্যায়। এর মধ্যে কেউ কেউ আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ, সেচ, ছত্রাক রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক স্প্রে সহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের দক্ষিণ দুরাকুটি এলাকার আগাম আলু চাষি একরামুল হক জানান, আগাম আলুর বাজার ধরার আশায় আগাম আলু রোপণে মাঠে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আলুর বাম্পার ফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে বাজার দর ঠিক থাকলে খরচ পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে জানান তারা।
ওই গ্রামের কৃষক আবু হানিফা বলেন, এ বছর আগাম আলু চাষ করতে গিয়ে বিড়ম্বনার পড়তে হয়েছে। বীজ আলু ও সারের দাম এবার বেশি হওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে ব্যয় হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। তবে সঠিক বাজার মূল্য না পেলে এবার কৃষকরা লোকশানের মুখে পড়বে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ভালো ফলনের আশাবাদী কৃষক। বাজারে ভালো দাম পেলে ভালো লাভবান হতে পারবে কৃষকরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল