‘ওর বাবা মারা যান ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট। তখন আমার মেয়ের বয়স ৪ বছর। তখন থেকে আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাচ্ছি। গেলবারও খুব কষ্ট করে কোনো ধরনের টিউশনি ছাড়াই এসএসসি পাস করেছে মেয়েটা। এরপর ভর্তি করাইলাম কলেজে। ভর্তি করানোর সময় কিছু টাকা দিয়ে দুজন সাহায্য করেছিল। বই কেনার টাকা নাই। একজনের কাছে পুরান কিছু গাইড হাওলাত করে আনছি। এখনো ক্লাসে যেতে পারে না, কারণ বই নেই। বইগুলো কিনে দেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। আমি চাই, তারা সবসময় আমার মতো অসহায় মানুষের পাশে থাকুক।’
কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কবিরাজপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোছা. নিলুফা ইয়াসমিন। নিলুফার ঘরে এক মেয়ে। তার মেয়ের নাম শামসা বেগম শামা। তিনি এখন নিলারাম স্কুল অ্যান্ড কলেজ পড়েন। শামার পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ।
গতকাল শুক্রবার কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নিজ বাড়িতে সংগঠনের সদস্যরা তার হাতে তুলে দেন বই ও শিক্ষাসামগ্রী কেনার নগদ অর্থ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি খন্দকার খায়রুল আনম, স্বাধীন বাংলা টিউটরিয়াল হোমসের স্বত্বাধিকারী জাহিদ হাসান বাবু, আনন্দবাজার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আব্দুল কাদের, সমাজসেবক আব্দুল লতিফ, কালের কণ্ঠ’র উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি তামজিদ হাসান তুরাগ প্রমুখ।
বসুন্ধরা শুভসংঘ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ সবসময় ভালো কাজের পাশে থাকে। শুভ কাজের পাশে থাকে এটি তার একটি উদাগহরণ। তাকে সাহায্য করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি, একটি জাতিকে পরিবর্তনের মূল হাতিয়ার শিক্ষা। তাই আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি।’
শিক্ষা সহায়তা পেয়ে শামসা বেগম শামা বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি ভবিষ্যৎ জীবনের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা তুলে ধরে জানান, নিজেকে একজন সফল ব্যক্তিত্বে পরিণত করে মানবিক মানুষ হয়ে উঠতে চান। বসুন্ধরা শুভসংঘের মতো শুভ কাজে সবার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ