শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯

বঙ্গবন্ধু হত্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার হত্যার অপপ্রয়াস

এ কে এম শহীদুল হক
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধু হত্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার হত্যার অপপ্রয়াস

১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য একটি বিভীষিকাময় ও কলঙ্কের দিন। এ দিন একদল বিপথগামী সেনা অফিসার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির মুক্তির কান্ডারি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন। আমি তখন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ঢাকাতেই একটি সরকারি কলেজে পড়ি। ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ ঢাকাতেই ছিলাম। সকালে লোকমুখে বঙ্গবন্ধুর হত্যার কথা শুনে মোটেই বিশ্বাস করিনি। সঙ্গে সঙ্গে বসতস্থলে এসে রেডিও চালু করা মাত্রই মেজর ডালিমের কণ্ঠ শুনতে পাই। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমি মেজর ডালিম বলছি। স্বৈরাচার শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।’ ক্ষণ ক্ষণ বিরতি দিয়ে ঘোষণা বার বার দেওয়া হচ্ছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কী করব, কী হবে, কোথায় যাব। বুকটা ভার হয়ে গেল। কান্না আসছিল। রাস্তায় বেরিয়ে দেখি থমথমে অবস্থা। আমি তখন পুরান ঢাকায় থাকতাম। লোকজন সবাই রেডিও শুনতেছিল। অধিকাংশ লোকের মধ্যে আতঙ্ক। কেউ কেউ উৎফুল্লও ছিল। বুঝতে বাকি ছিল না যে, এরা পাকিস্তানপন্থি। স্বাধীনতাবিরোধী। তখন মোবাইল ফোন ছিল না। ল্যান্ডফোনও শহরকেন্দ্রিক সীমিত লোকের ছিল। আমাদের বাড়ি তৎকালীন মাদারীপুর মহকুমার নড়িয়া থানার এক নিভৃত পল্লীতে। বাবা-মা নিশ্চয়ই উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। পরের দিন অর্থাৎ ১৬ আগস্ট লঞ্চযোগে গ্রামের বাড়ি যাই। আমাকে পেয়ে মা জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘বাবা এসেছিস, আমরা তো খুব চিন্তার মধ্যে ছিলাম। রেডিওতে শেখ সাহেবের মৃত্যুর কথা শুনে তো আমরা প্রথমে বিশ্বাস করি নাই। পড়ে জানলাম এটা সত্য। কেন তাঁকে মারা হলো। কে মারল। শেখ সাহেবের জন্য এত রোজা রেখেছি যাতে পশ্চিম পাকিস্তানিরা তাঁর কোনো ক্ষতি করতে না পারে। আজ বাঙালিরাই তাঁকে মেরে ফেলল।’ বাবা বলতেছিলেন, শেখ সাহেব আমাদের স্বাধীনতা দিলেন। সারাটা জীবন জেল খেটেছেন বাঙালির জন্য। আর সেই বাঙালিরা তাঁকে হত্যা করল। যে ব্যক্তি গুলি করল তার হাত কি কাঁপেনি? এই মহান ব্যক্তিকে কীভাবে গুলি করল। পাকিস্তানিরা ১৯৭১ সালে তাঁকে মারলে হয়তো আমরা এত কষ্ট পেতাম না। বাঙালিরা কীভাবে এ জঘন্য কাজ করল’। কথাগুলো বলতে বলতে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন। ব্যথায় বুকটা ভারি হয়ে যাচ্ছিল।

এতবড় একটা ঘটনা। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা। দেশব্যাপী একটা প্রতিবাদের ঝড় ওঠা উচিত ছিল। কিন্তু তেমন কোনো জনবিস্ফোরণ হলো না। সবাই দুঃখ করতেছিল। কষ্ট পাচ্ছিল। কিন্তু প্রতিবাদের বিক্ষোভে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। ভয়, আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও মাঠে নেমে আসেননি।

বঙ্গবন্ধুকে কারা হত্যা করল? কেন হত্যা করল? এই প্রশ্নের উত্তর কঠিন নয়। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা পাকিস্তানের ভাবধারায় ছিল, পাকিস্তানের মোহ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি, বাংলদেশের অভ্যুদয় যাদের ভালো লাগেনি তারাই মোশতাক-জিয়ার মতো বেইমান ও নব্য রাজাকারদের সমর্থন নিয়ে এ জঘন্য ও নির্মম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তাদের সঙ্গে ছিল বহিঃশক্তির ষড়যন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর অপরাধ কী? বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। জীবনে অনেক ত্যাগ, কষ্ট ও অত্যাচার সহ্য করে, যৌবনের স্বর্ণালি দিনগুলো কারা প্রকোষ্ঠে কাটিয়ে আপসহীন সংগ্রামের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বাঙালিদের একটি স্বাধীন ভূখন্ড উপহার দিয়েছিলেন। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের একটি পতাকা দিয়েছিলেন। এটাই কি তার অপরাধ? হ্যাঁ, পাকিস্তানপন্থিরা পাকিস্তান হারিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সহ্য করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এ দেশের কিছুসংখ্যক বিশ্বাসঘাতক ও কুলাঙ্গারের সহায়তায় ইতিহাসের এই নির্মম, বর্বর, অমানবিক ও জঘন্য হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। হায়েনাদের কবল থেকে রেহাই পায়নি রাসেলের মতো ছোট শিশুও। মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু দানবেরা বুলেট দিয়ে তার বুক ঝাঁজরা করে দিয়েছিল। রেহাই পায়নি নববধূ, রেহাই পায়নি অন্তঃসত্ত্বা মা, রেহাই পায়নি বঙ্গমাতা যিনি আন্দোলন-সংগ্রামে সারাটা জীবন জাতির পিতাকে সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন এবং ব্যক্তিগত সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্ন থেকেই মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের অস্বচ্ছ ও উচ্চাভিলাষী আচরণ পরিলক্ষিত হয়েছিল। মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক আলোচনায় বলেছিলেন ২৬ মার্চ ১৯৭১ মেজর জিয়া চট্টগ্রাম সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র নামাতে চেয়েছিলেন। তাদের বাধায় তিনি তা পারেননি। বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম যায় চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতারা মাইকে তা প্রচারের ব্যবস্থা নেন। একটি সাক্ষাৎকারে চট্টগ্রামের এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি আবদুল হান্নান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেন। তিনি মেজর জিয়াকে ওই ঘোষণা পাঠ করার জন্য অনুরোধ করেন যাতে সেনা সদস্যরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে না থেকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মেজর জিয়া ঘোষণাপত্রটি তার নিজের স্টাইলে পাঠ করলেন যা নিয়ে এখন বিতর্ক চলছে। এম আর আক্তার মুকুল যিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে চরমপত্র পাঠ করতেন, তিনি একবার চাঁদপুরে বিজয়মেলায় আলোচনা সভায় বলেছিলেন, মেজর জিয়া মুজিবনগর সরকারের এক সভায় প্রস্তাব করেন যে, War council করে যুদ্ধ পরিচালনা করা হোক। তখন সবাই তার বিরোধিতা করেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার যুদ্ধ পরিচালনা করছে। War council এর কি প্রয়োজনীয়তা আছে?’ মুক্তিযুদ্ধের সূচনালঘ্ন থেকেই মেজর জিয়া বিতর্কিত ও রহস্যজনক আচরণ করতেন এবং খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। মোশতাকের আচরণও রহস্যাবৃত ছিল। অনেকেই বিশ্বাস করতেন মোশতাক আমেরিকার সিআইএ’-এর এজেন্ট। বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে মোশতাক ও জিয়ার আসল রূপ জাতির কাছে উন্মোচিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দেয়নি। তারা প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন ও সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালিদের নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন করছিল। বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তানিদের নির্যাতনে ১ কোটি লোক দেশত্যাগ করে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিল। বাংলার স্বাধীনতাকামী জনতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে প্রতিরোধ করছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলছিল। তা জেনেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তথা বাংলার স্বাধীনতাকামী জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। বাঙালির বিজয় তারা মেনে নিতে পারেনি। তারা এদেশের কিছু স্বার্থান্বেষী মহলকে অর্থের বিনিময়ে তাদের তথাকথিত সমাজতন্ত্রের তত্ত্বে উদ্ধুদ্ধ করে পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি, পূর্ব পাকিস্তানের সর্বহারা পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নামে উগ্র রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করে। বিদেশিদের হাতের পুতুল হয়ে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এসব উগ্রগোষ্ঠী একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত নতুন শিশু রাষ্ট্রের সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। গেরিলা যুদ্ধের আদলে তারা পুুলিশ হত্যা, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যা, থানা লুট, ফাঁড়ি লুট, অস্ত্র লুট ইত্যাদি নাশকতার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়ায়। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুরা গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের অবাধ স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা সংবাদ এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে সরকারের জনপ্রিয়তার হ্রাস করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। মোটকথা মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত দেশি-বিদেশি শত্রুরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। আওয়ামী লীগের কিছু নেতার দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারও শত্রুদের ষড়যন্ত্রের জালকে কিছুটা হলেও শক্তিশালী করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি এবং দেশি-বিদেশি স্বার্থন্বেষী মহল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের মধ্যে যে অরাজকতা চালাচ্ছিল তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এবং দেশের উন্নয়ন ও শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এবং শিল্প ও ক্ষেতখামারে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দি¦তীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল সমগ্র জাতিকে একত্রিত করে দেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন, শান্তি এবং দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত অসাম্প্রদারিক বাংলাদেশ গঠনের জন্য এক প্লাটফর্মে (বাকশাল) কাজ করার পরিবেশ তৈরি করা। তিনি ধনিক শ্রেণির গণতন্ত্রের পরিবর্তে শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের ভাগ্যোন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে ঐক্যবদ্ধ জাতিসত্তার উন্মেষ এবং দেশের অগ্রযাত্রাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যেই জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী মহল নানাভাবে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচার চালিয়েছে। খলনায়ককে আসল নায়কের চরিত্রে বসানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু এদেশের মানুষ তা মেনে নেয়নি। এটাই ইতিহাসের বাস্তবতা। ইতিহাস তার আপন মহিমায় ইতিহাসের নায়কদের মূল্যায়ন করে থাকে। আজ বঙ্গবন্ধু তার আপন মহিমায় বাঙালিদের মধ্যে বেঁচে আছেন। তিনি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল যতদিন এ দেশ ও বাঙালি জাতি টিকে থাকবে এ ভূখন্ডে। তাই অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেন-

‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান

ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।

দিকে দিকে আজ অশ্রুমালা রক্তগঙ্গা বহমান,

তবু নাই ভয় হবে হবে জয়, জয় মুজিবুর রহমান।’

বঙ্গবন্ধুর এ জয় বাঙালির জয়। এ জয় চিরঞ্জীব, চির বহমান। এ জয় ইতিহাসে আভা ছড়াবে চিরদিন। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতিসত্তাকে নস্যাৎ করে এ দেশের সমাজ- সংস্কৃতিকে পাকিস্তানি ভাবধারায় রূপান্তর করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ তা মেনে নেয়নি। তাদের পরাজয় হয়েছে। কিন্তু তারা দেশের অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দিয়েছে অনেক অনেক বছর। পুনর্বাসিত করেছে রাজাকারদের। ভূলুণ্ঠিত করেছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে। পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা লেখক নিরঞ্জন মজুমদার ১৯৭১ সালে ‘বঙ্গবন্ধু ও রক্তাক্ত বাংলা’ শীর্ষক এক নিবন্ধে লিখেছিলেন, ‘দেশে দেশে নেতা অনেকেই জন্মান, কেউ ইতিহাসের একটি পঙ্ক্তি, কেউ একটি পাতা, কেউ বা এক অধ্যায়। কিন্তু কেউ আবার সমগ্র ইতিহাস। শেখ মুজিব এই সমগ্র ইতিহাস। সারা বাংলার ইতিহাস। বাংলার ইতিহাসের পলিমাটিতে তাঁর জন্ম। ধ্বংস, বিভীষিকা, বিরাট বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে সেই পলিমাটিকে সাড়ে সাত কোটি মানুষের চেতনায় শক্ত ও জমাট করে এক ভূখন্ডকে শুধু তাদের মানসে নয়, অস্তিত্বের বাস্ততায় সত্য করে তোলা এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব। মুজিব মৃত্যু ভয় উপেক্ষা করে মৃত্যুঞ্জয় নেতার মতো ঐতিহাসিক ভূমিকা গ্রহণ করেছেন, দায়িত্ব পালন করেছেন।’

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর দেশে ও বিদেশে বিশিষ্টজনরা নানাভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।’ হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এর মতো তেজী এবং গতিশীল নেতা আগামী বিশ বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবে না।’ নোবেল বিজয়ী উইলিবান্ড বলেন, ‘মুজিব হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।’ ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘আপসহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।’

বঙ্গবন্ধুকে চতুর্দশ লুইয়ের সঙ্গে তুলনা করে পশ্চিম জার্মানির এক পত্রিকা লিখেছিল, জনগণ তাঁর কাছে এত প্রিয় ছিল যে লুইয়ের মতো তিনি এ দাবি করতে পারেন ‘আমিই রাষ্ট্র’। আরও অনেক বিশ্বনন্দিত ব্যক্তিবর্গ বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে অনেক মন্তব্য করেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতাই ছিলেন না, দেশের সীমানা পেরিয়ে বহিঃবিশ্বে তার একটি মহান ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল। তিনি হয়েছিলেন বিশ্ববরেণ্য নেতা। বিশিষ্টজনের মন্তব্যে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অথচ একদল বিশ্বাসঘাতক বাঙালি এ মহান ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এ শোক, এ দুঃখ, এ গ্লানি, এ কলঙ্ক কোনো দিনও মুছবে না। এ লজ্জা লুকাবার কোনো পথ নেই। এ শোকে বাঙালি কাঁদবে, আরও কাঁদবে, অনন্তকাল কাঁদবে।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাঙালিদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তাঁর সে বাণী বাস্তবে প্রমাণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা যতদিন বেঁচে থাকবে, যতদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে, ততদিন এদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ হবে বিশ্বের একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধশালী, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ। এভাবেই বাস্তবায়ন হবে জাতির পিতার স্বপ্ন। শোকের মাসে গভীর শ্রদ্ধা জানাই মহাকালের মহাপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙালিদের ললাটে যে কলঙ্কের কালিমা লেপন করা হয়েছিল তা মুছে ফেলা সম্ভব না হলেও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা তৈরি করে তাঁর আত্মাকে শান্তি দেওয়া যায়- যা তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা করছেন। আমাদের সবারই অঙ্গীকার হোক সোনার মানুষ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরির।

 

লেখক : সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’
‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা
ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত
রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

৮ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

২০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান
বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম

বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ
বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন