শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯

বঙ্গবন্ধু হত্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার হত্যার অপপ্রয়াস

এ কে এম শহীদুল হক
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধু হত্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার হত্যার অপপ্রয়াস

১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য একটি বিভীষিকাময় ও কলঙ্কের দিন। এ দিন একদল বিপথগামী সেনা অফিসার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির মুক্তির কান্ডারি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন। আমি তখন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ঢাকাতেই একটি সরকারি কলেজে পড়ি। ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ ঢাকাতেই ছিলাম। সকালে লোকমুখে বঙ্গবন্ধুর হত্যার কথা শুনে মোটেই বিশ্বাস করিনি। সঙ্গে সঙ্গে বসতস্থলে এসে রেডিও চালু করা মাত্রই মেজর ডালিমের কণ্ঠ শুনতে পাই। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমি মেজর ডালিম বলছি। স্বৈরাচার শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।’ ক্ষণ ক্ষণ বিরতি দিয়ে ঘোষণা বার বার দেওয়া হচ্ছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কী করব, কী হবে, কোথায় যাব। বুকটা ভার হয়ে গেল। কান্না আসছিল। রাস্তায় বেরিয়ে দেখি থমথমে অবস্থা। আমি তখন পুরান ঢাকায় থাকতাম। লোকজন সবাই রেডিও শুনতেছিল। অধিকাংশ লোকের মধ্যে আতঙ্ক। কেউ কেউ উৎফুল্লও ছিল। বুঝতে বাকি ছিল না যে, এরা পাকিস্তানপন্থি। স্বাধীনতাবিরোধী। তখন মোবাইল ফোন ছিল না। ল্যান্ডফোনও শহরকেন্দ্রিক সীমিত লোকের ছিল। আমাদের বাড়ি তৎকালীন মাদারীপুর মহকুমার নড়িয়া থানার এক নিভৃত পল্লীতে। বাবা-মা নিশ্চয়ই উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। পরের দিন অর্থাৎ ১৬ আগস্ট লঞ্চযোগে গ্রামের বাড়ি যাই। আমাকে পেয়ে মা জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘বাবা এসেছিস, আমরা তো খুব চিন্তার মধ্যে ছিলাম। রেডিওতে শেখ সাহেবের মৃত্যুর কথা শুনে তো আমরা প্রথমে বিশ্বাস করি নাই। পড়ে জানলাম এটা সত্য। কেন তাঁকে মারা হলো। কে মারল। শেখ সাহেবের জন্য এত রোজা রেখেছি যাতে পশ্চিম পাকিস্তানিরা তাঁর কোনো ক্ষতি করতে না পারে। আজ বাঙালিরাই তাঁকে মেরে ফেলল।’ বাবা বলতেছিলেন, শেখ সাহেব আমাদের স্বাধীনতা দিলেন। সারাটা জীবন জেল খেটেছেন বাঙালির জন্য। আর সেই বাঙালিরা তাঁকে হত্যা করল। যে ব্যক্তি গুলি করল তার হাত কি কাঁপেনি? এই মহান ব্যক্তিকে কীভাবে গুলি করল। পাকিস্তানিরা ১৯৭১ সালে তাঁকে মারলে হয়তো আমরা এত কষ্ট পেতাম না। বাঙালিরা কীভাবে এ জঘন্য কাজ করল’। কথাগুলো বলতে বলতে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন। ব্যথায় বুকটা ভারি হয়ে যাচ্ছিল।

এতবড় একটা ঘটনা। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা। দেশব্যাপী একটা প্রতিবাদের ঝড় ওঠা উচিত ছিল। কিন্তু তেমন কোনো জনবিস্ফোরণ হলো না। সবাই দুঃখ করতেছিল। কষ্ট পাচ্ছিল। কিন্তু প্রতিবাদের বিক্ষোভে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। ভয়, আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও মাঠে নেমে আসেননি।

বঙ্গবন্ধুকে কারা হত্যা করল? কেন হত্যা করল? এই প্রশ্নের উত্তর কঠিন নয়। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা পাকিস্তানের ভাবধারায় ছিল, পাকিস্তানের মোহ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি, বাংলদেশের অভ্যুদয় যাদের ভালো লাগেনি তারাই মোশতাক-জিয়ার মতো বেইমান ও নব্য রাজাকারদের সমর্থন নিয়ে এ জঘন্য ও নির্মম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তাদের সঙ্গে ছিল বহিঃশক্তির ষড়যন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর অপরাধ কী? বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। জীবনে অনেক ত্যাগ, কষ্ট ও অত্যাচার সহ্য করে, যৌবনের স্বর্ণালি দিনগুলো কারা প্রকোষ্ঠে কাটিয়ে আপসহীন সংগ্রামের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বাঙালিদের একটি স্বাধীন ভূখন্ড উপহার দিয়েছিলেন। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের একটি পতাকা দিয়েছিলেন। এটাই কি তার অপরাধ? হ্যাঁ, পাকিস্তানপন্থিরা পাকিস্তান হারিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সহ্য করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এ দেশের কিছুসংখ্যক বিশ্বাসঘাতক ও কুলাঙ্গারের সহায়তায় ইতিহাসের এই নির্মম, বর্বর, অমানবিক ও জঘন্য হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। হায়েনাদের কবল থেকে রেহাই পায়নি রাসেলের মতো ছোট শিশুও। মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু দানবেরা বুলেট দিয়ে তার বুক ঝাঁজরা করে দিয়েছিল। রেহাই পায়নি নববধূ, রেহাই পায়নি অন্তঃসত্ত্বা মা, রেহাই পায়নি বঙ্গমাতা যিনি আন্দোলন-সংগ্রামে সারাটা জীবন জাতির পিতাকে সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন এবং ব্যক্তিগত সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্ন থেকেই মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের অস্বচ্ছ ও উচ্চাভিলাষী আচরণ পরিলক্ষিত হয়েছিল। মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক আলোচনায় বলেছিলেন ২৬ মার্চ ১৯৭১ মেজর জিয়া চট্টগ্রাম সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র নামাতে চেয়েছিলেন। তাদের বাধায় তিনি তা পারেননি। বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম যায় চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতারা মাইকে তা প্রচারের ব্যবস্থা নেন। একটি সাক্ষাৎকারে চট্টগ্রামের এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি আবদুল হান্নান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেন। তিনি মেজর জিয়াকে ওই ঘোষণা পাঠ করার জন্য অনুরোধ করেন যাতে সেনা সদস্যরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে না থেকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মেজর জিয়া ঘোষণাপত্রটি তার নিজের স্টাইলে পাঠ করলেন যা নিয়ে এখন বিতর্ক চলছে। এম আর আক্তার মুকুল যিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে চরমপত্র পাঠ করতেন, তিনি একবার চাঁদপুরে বিজয়মেলায় আলোচনা সভায় বলেছিলেন, মেজর জিয়া মুজিবনগর সরকারের এক সভায় প্রস্তাব করেন যে, War council করে যুদ্ধ পরিচালনা করা হোক। তখন সবাই তার বিরোধিতা করেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার যুদ্ধ পরিচালনা করছে। War council এর কি প্রয়োজনীয়তা আছে?’ মুক্তিযুদ্ধের সূচনালঘ্ন থেকেই মেজর জিয়া বিতর্কিত ও রহস্যজনক আচরণ করতেন এবং খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। মোশতাকের আচরণও রহস্যাবৃত ছিল। অনেকেই বিশ্বাস করতেন মোশতাক আমেরিকার সিআইএ’-এর এজেন্ট। বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে মোশতাক ও জিয়ার আসল রূপ জাতির কাছে উন্মোচিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দেয়নি। তারা প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন ও সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালিদের নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন করছিল। বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তানিদের নির্যাতনে ১ কোটি লোক দেশত্যাগ করে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিল। বাংলার স্বাধীনতাকামী জনতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে প্রতিরোধ করছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলছিল। তা জেনেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তথা বাংলার স্বাধীনতাকামী জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। বাঙালির বিজয় তারা মেনে নিতে পারেনি। তারা এদেশের কিছু স্বার্থান্বেষী মহলকে অর্থের বিনিময়ে তাদের তথাকথিত সমাজতন্ত্রের তত্ত্বে উদ্ধুদ্ধ করে পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি, পূর্ব পাকিস্তানের সর্বহারা পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নামে উগ্র রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করে। বিদেশিদের হাতের পুতুল হয়ে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এসব উগ্রগোষ্ঠী একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত নতুন শিশু রাষ্ট্রের সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। গেরিলা যুদ্ধের আদলে তারা পুুলিশ হত্যা, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যা, থানা লুট, ফাঁড়ি লুট, অস্ত্র লুট ইত্যাদি নাশকতার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়ায়। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুরা গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের অবাধ স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা সংবাদ এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে সরকারের জনপ্রিয়তার হ্রাস করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। মোটকথা মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত দেশি-বিদেশি শত্রুরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। আওয়ামী লীগের কিছু নেতার দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারও শত্রুদের ষড়যন্ত্রের জালকে কিছুটা হলেও শক্তিশালী করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি এবং দেশি-বিদেশি স্বার্থন্বেষী মহল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের মধ্যে যে অরাজকতা চালাচ্ছিল তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এবং দেশের উন্নয়ন ও শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এবং শিল্প ও ক্ষেতখামারে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দি¦তীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল সমগ্র জাতিকে একত্রিত করে দেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন, শান্তি এবং দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত অসাম্প্রদারিক বাংলাদেশ গঠনের জন্য এক প্লাটফর্মে (বাকশাল) কাজ করার পরিবেশ তৈরি করা। তিনি ধনিক শ্রেণির গণতন্ত্রের পরিবর্তে শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের ভাগ্যোন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে ঐক্যবদ্ধ জাতিসত্তার উন্মেষ এবং দেশের অগ্রযাত্রাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যেই জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী মহল নানাভাবে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচার চালিয়েছে। খলনায়ককে আসল নায়কের চরিত্রে বসানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু এদেশের মানুষ তা মেনে নেয়নি। এটাই ইতিহাসের বাস্তবতা। ইতিহাস তার আপন মহিমায় ইতিহাসের নায়কদের মূল্যায়ন করে থাকে। আজ বঙ্গবন্ধু তার আপন মহিমায় বাঙালিদের মধ্যে বেঁচে আছেন। তিনি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল যতদিন এ দেশ ও বাঙালি জাতি টিকে থাকবে এ ভূখন্ডে। তাই অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেন-

‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান

ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।

দিকে দিকে আজ অশ্রুমালা রক্তগঙ্গা বহমান,

তবু নাই ভয় হবে হবে জয়, জয় মুজিবুর রহমান।’

বঙ্গবন্ধুর এ জয় বাঙালির জয়। এ জয় চিরঞ্জীব, চির বহমান। এ জয় ইতিহাসে আভা ছড়াবে চিরদিন। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতিসত্তাকে নস্যাৎ করে এ দেশের সমাজ- সংস্কৃতিকে পাকিস্তানি ভাবধারায় রূপান্তর করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ তা মেনে নেয়নি। তাদের পরাজয় হয়েছে। কিন্তু তারা দেশের অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দিয়েছে অনেক অনেক বছর। পুনর্বাসিত করেছে রাজাকারদের। ভূলুণ্ঠিত করেছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে। পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা লেখক নিরঞ্জন মজুমদার ১৯৭১ সালে ‘বঙ্গবন্ধু ও রক্তাক্ত বাংলা’ শীর্ষক এক নিবন্ধে লিখেছিলেন, ‘দেশে দেশে নেতা অনেকেই জন্মান, কেউ ইতিহাসের একটি পঙ্ক্তি, কেউ একটি পাতা, কেউ বা এক অধ্যায়। কিন্তু কেউ আবার সমগ্র ইতিহাস। শেখ মুজিব এই সমগ্র ইতিহাস। সারা বাংলার ইতিহাস। বাংলার ইতিহাসের পলিমাটিতে তাঁর জন্ম। ধ্বংস, বিভীষিকা, বিরাট বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে সেই পলিমাটিকে সাড়ে সাত কোটি মানুষের চেতনায় শক্ত ও জমাট করে এক ভূখন্ডকে শুধু তাদের মানসে নয়, অস্তিত্বের বাস্ততায় সত্য করে তোলা এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব। মুজিব মৃত্যু ভয় উপেক্ষা করে মৃত্যুঞ্জয় নেতার মতো ঐতিহাসিক ভূমিকা গ্রহণ করেছেন, দায়িত্ব পালন করেছেন।’

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর দেশে ও বিদেশে বিশিষ্টজনরা নানাভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।’ হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এর মতো তেজী এবং গতিশীল নেতা আগামী বিশ বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবে না।’ নোবেল বিজয়ী উইলিবান্ড বলেন, ‘মুজিব হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।’ ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘আপসহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।’

বঙ্গবন্ধুকে চতুর্দশ লুইয়ের সঙ্গে তুলনা করে পশ্চিম জার্মানির এক পত্রিকা লিখেছিল, জনগণ তাঁর কাছে এত প্রিয় ছিল যে লুইয়ের মতো তিনি এ দাবি করতে পারেন ‘আমিই রাষ্ট্র’। আরও অনেক বিশ্বনন্দিত ব্যক্তিবর্গ বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে অনেক মন্তব্য করেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতাই ছিলেন না, দেশের সীমানা পেরিয়ে বহিঃবিশ্বে তার একটি মহান ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল। তিনি হয়েছিলেন বিশ্ববরেণ্য নেতা। বিশিষ্টজনের মন্তব্যে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অথচ একদল বিশ্বাসঘাতক বাঙালি এ মহান ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এ শোক, এ দুঃখ, এ গ্লানি, এ কলঙ্ক কোনো দিনও মুছবে না। এ লজ্জা লুকাবার কোনো পথ নেই। এ শোকে বাঙালি কাঁদবে, আরও কাঁদবে, অনন্তকাল কাঁদবে।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাঙালিদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তাঁর সে বাণী বাস্তবে প্রমাণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা যতদিন বেঁচে থাকবে, যতদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে, ততদিন এদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ হবে বিশ্বের একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধশালী, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ। এভাবেই বাস্তবায়ন হবে জাতির পিতার স্বপ্ন। শোকের মাসে গভীর শ্রদ্ধা জানাই মহাকালের মহাপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙালিদের ললাটে যে কলঙ্কের কালিমা লেপন করা হয়েছিল তা মুছে ফেলা সম্ভব না হলেও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা তৈরি করে তাঁর আত্মাকে শান্তি দেওয়া যায়- যা তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা করছেন। আমাদের সবারই অঙ্গীকার হোক সোনার মানুষ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরির।

 

লেখক : সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জয় পেল ইংল্যান্ড-ইতালি
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জয় পেল ইংল্যান্ড-ইতালি

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

কোমর ও গোড়ালির তীব্র যন্ত্রণা? ওষুধ নয়, মুক্তি মিলবে একটি যোগব্যায়ামে
কোমর ও গোড়ালির তীব্র যন্ত্রণা? ওষুধ নয়, মুক্তি মিলবে একটি যোগব্যায়ামে

৪ মিনিট আগে | জীবন ধারা

তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করল চীন
তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করল চীন

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ৮ দলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ৮ দলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

১৬ মিনিট আগে | পরবাস

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের ৩৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের ৩৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন

১৮ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

যুদ্ধবিরতির পরেও লেবাননে ১১৪ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ
যুদ্ধবিরতির পরেও লেবাননে ১১৪ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অর্থনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সফরের পরিকল্পনা ট্রাম্পের
অর্থনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সফরের পরিকল্পনা ট্রাম্পের

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে হাজারের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু
চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে হাজারের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ২ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত
ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ২ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিখোঁজ ২১
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিখোঁজ ২১

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যাটরিনার সঙ্গে পরিচয়ের গোপন কথা ফাঁস করলেন ভিকি
ক্যাটরিনার সঙ্গে পরিচয়ের গোপন কথা ফাঁস করলেন ভিকি

৪২ মিনিট আগে | শোবিজ

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

৪২ মিনিট আগে | নগর জীবন

হাম্প্রেসকে সাজঘরে পাঠালেন তাইজুল, জয়ের আরও কাছে টাইগাররা
হাম্প্রেসকে সাজঘরে পাঠালেন তাইজুল, জয়ের আরও কাছে টাইগাররা

৪৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ

৫১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বিশ্বকাপে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে রোনালদো
বিশ্বকাপে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে রোনালদো

৫৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ
শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ

৫৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আবুধাবিতে বসছে আইপিএলের নিলাম
আবুধাবিতে বসছে আইপিএলের নিলাম

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন নামে রিয়াল মাদ্রিদের হোম ভেন্যু
নতুন নামে রিয়াল মাদ্রিদের হোম ভেন্যু

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানিকগঞ্জে স্কুলবাসে অগুন, ঘুমন্ত চালক দগ্ধ
মানিকগঞ্জে স্কুলবাসে অগুন, ঘুমন্ত চালক দগ্ধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিজেদের তৈরি বিদ্যুৎচালিত বিমান উদ্বোধন করল আমিরাত
নিজেদের তৈরি বিদ্যুৎচালিত বিমান উদ্বোধন করল আমিরাত

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

দেশজুড়ে নাশকতা প্রতিরোধে যুব মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল
দেশজুড়ে নাশকতা প্রতিরোধে যুব মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বায়ুদূষণে বিশ্বে আজ ঢাকা দ্বিতীয়
বায়ুদূষণে বিশ্বে আজ ঢাকা দ্বিতীয়

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তেঁতুলিয়ায় হিমেল হাওয়ার দাপট, তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি
তেঁতুলিয়ায় হিমেল হাওয়ার দাপট, তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

কুমিল্লায় চার হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ
কুমিল্লায় চার হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

উন্নয়ন বাজেট কমছে ৩০ হাজার কোটি টাকা
উন্নয়ন বাজেট কমছে ৩০ হাজার কোটি টাকা

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট
সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন
গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা
চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি
যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি
বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার
৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী
ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কানাডায় ইমিগ্রেশন ব্যবস্থায় পরিবর্তন, চ্যালেঞ্জের মুখে অভিবাসীরা
কানাডায় ইমিগ্রেশন ব্যবস্থায় পরিবর্তন, চ্যালেঞ্জের মুখে অভিবাসীরা

২২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ, এরপরেই প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ
বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ, এরপরেই প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’
যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’

শোবিজ

তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন
তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন

শোবিজ

টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা
টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া
হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া

মাঠে ময়দানে

রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই
রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

সমুদ্রবিলাসে প্রভা
সমুদ্রবিলাসে প্রভা

শোবিজ

রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ
রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ

নগর জীবন

জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’
জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’

শোবিজ

চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা
চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান
পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান

মাঠে ময়দানে

ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়
ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি
নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়
উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন
ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন

দেশগ্রাম

নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি
নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি

নগর জীবন

আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের
আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে
নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে

নগর জীবন

একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ
বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

পেছনের পৃষ্ঠা

সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট
সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ
হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু
বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু

নগর জীবন

বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল বিশ্ববিখ্যাত আইসক্রিম ব্র্যান্ড বাসকিন-রবিনস
বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল বিশ্ববিখ্যাত আইসক্রিম ব্র্যান্ড বাসকিন-রবিনস

নগর জীবন

ডিপজলের বিরুদ্ধে এবার হত্যাচেষ্টা মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে এবার হত্যাচেষ্টা মামলা

নগর জীবন