শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯

বঙ্গবন্ধু হত্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার হত্যার অপপ্রয়াস

এ কে এম শহীদুল হক
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধু হত্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার হত্যার অপপ্রয়াস

১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য একটি বিভীষিকাময় ও কলঙ্কের দিন। এ দিন একদল বিপথগামী সেনা অফিসার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির মুক্তির কান্ডারি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন। আমি তখন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ঢাকাতেই একটি সরকারি কলেজে পড়ি। ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ ঢাকাতেই ছিলাম। সকালে লোকমুখে বঙ্গবন্ধুর হত্যার কথা শুনে মোটেই বিশ্বাস করিনি। সঙ্গে সঙ্গে বসতস্থলে এসে রেডিও চালু করা মাত্রই মেজর ডালিমের কণ্ঠ শুনতে পাই। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমি মেজর ডালিম বলছি। স্বৈরাচার শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।’ ক্ষণ ক্ষণ বিরতি দিয়ে ঘোষণা বার বার দেওয়া হচ্ছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কী করব, কী হবে, কোথায় যাব। বুকটা ভার হয়ে গেল। কান্না আসছিল। রাস্তায় বেরিয়ে দেখি থমথমে অবস্থা। আমি তখন পুরান ঢাকায় থাকতাম। লোকজন সবাই রেডিও শুনতেছিল। অধিকাংশ লোকের মধ্যে আতঙ্ক। কেউ কেউ উৎফুল্লও ছিল। বুঝতে বাকি ছিল না যে, এরা পাকিস্তানপন্থি। স্বাধীনতাবিরোধী। তখন মোবাইল ফোন ছিল না। ল্যান্ডফোনও শহরকেন্দ্রিক সীমিত লোকের ছিল। আমাদের বাড়ি তৎকালীন মাদারীপুর মহকুমার নড়িয়া থানার এক নিভৃত পল্লীতে। বাবা-মা নিশ্চয়ই উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। পরের দিন অর্থাৎ ১৬ আগস্ট লঞ্চযোগে গ্রামের বাড়ি যাই। আমাকে পেয়ে মা জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘বাবা এসেছিস, আমরা তো খুব চিন্তার মধ্যে ছিলাম। রেডিওতে শেখ সাহেবের মৃত্যুর কথা শুনে তো আমরা প্রথমে বিশ্বাস করি নাই। পড়ে জানলাম এটা সত্য। কেন তাঁকে মারা হলো। কে মারল। শেখ সাহেবের জন্য এত রোজা রেখেছি যাতে পশ্চিম পাকিস্তানিরা তাঁর কোনো ক্ষতি করতে না পারে। আজ বাঙালিরাই তাঁকে মেরে ফেলল।’ বাবা বলতেছিলেন, শেখ সাহেব আমাদের স্বাধীনতা দিলেন। সারাটা জীবন জেল খেটেছেন বাঙালির জন্য। আর সেই বাঙালিরা তাঁকে হত্যা করল। যে ব্যক্তি গুলি করল তার হাত কি কাঁপেনি? এই মহান ব্যক্তিকে কীভাবে গুলি করল। পাকিস্তানিরা ১৯৭১ সালে তাঁকে মারলে হয়তো আমরা এত কষ্ট পেতাম না। বাঙালিরা কীভাবে এ জঘন্য কাজ করল’। কথাগুলো বলতে বলতে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন। ব্যথায় বুকটা ভারি হয়ে যাচ্ছিল।

এতবড় একটা ঘটনা। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা। দেশব্যাপী একটা প্রতিবাদের ঝড় ওঠা উচিত ছিল। কিন্তু তেমন কোনো জনবিস্ফোরণ হলো না। সবাই দুঃখ করতেছিল। কষ্ট পাচ্ছিল। কিন্তু প্রতিবাদের বিক্ষোভে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। ভয়, আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও মাঠে নেমে আসেননি।

বঙ্গবন্ধুকে কারা হত্যা করল? কেন হত্যা করল? এই প্রশ্নের উত্তর কঠিন নয়। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা পাকিস্তানের ভাবধারায় ছিল, পাকিস্তানের মোহ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি, বাংলদেশের অভ্যুদয় যাদের ভালো লাগেনি তারাই মোশতাক-জিয়ার মতো বেইমান ও নব্য রাজাকারদের সমর্থন নিয়ে এ জঘন্য ও নির্মম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তাদের সঙ্গে ছিল বহিঃশক্তির ষড়যন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর অপরাধ কী? বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। জীবনে অনেক ত্যাগ, কষ্ট ও অত্যাচার সহ্য করে, যৌবনের স্বর্ণালি দিনগুলো কারা প্রকোষ্ঠে কাটিয়ে আপসহীন সংগ্রামের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বাঙালিদের একটি স্বাধীন ভূখন্ড উপহার দিয়েছিলেন। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের একটি পতাকা দিয়েছিলেন। এটাই কি তার অপরাধ? হ্যাঁ, পাকিস্তানপন্থিরা পাকিস্তান হারিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সহ্য করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এ দেশের কিছুসংখ্যক বিশ্বাসঘাতক ও কুলাঙ্গারের সহায়তায় ইতিহাসের এই নির্মম, বর্বর, অমানবিক ও জঘন্য হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। হায়েনাদের কবল থেকে রেহাই পায়নি রাসেলের মতো ছোট শিশুও। মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু দানবেরা বুলেট দিয়ে তার বুক ঝাঁজরা করে দিয়েছিল। রেহাই পায়নি নববধূ, রেহাই পায়নি অন্তঃসত্ত্বা মা, রেহাই পায়নি বঙ্গমাতা যিনি আন্দোলন-সংগ্রামে সারাটা জীবন জাতির পিতাকে সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন এবং ব্যক্তিগত সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্ন থেকেই মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের অস্বচ্ছ ও উচ্চাভিলাষী আচরণ পরিলক্ষিত হয়েছিল। মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক আলোচনায় বলেছিলেন ২৬ মার্চ ১৯৭১ মেজর জিয়া চট্টগ্রাম সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র নামাতে চেয়েছিলেন। তাদের বাধায় তিনি তা পারেননি। বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম যায় চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতারা মাইকে তা প্রচারের ব্যবস্থা নেন। একটি সাক্ষাৎকারে চট্টগ্রামের এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি আবদুল হান্নান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেন। তিনি মেজর জিয়াকে ওই ঘোষণা পাঠ করার জন্য অনুরোধ করেন যাতে সেনা সদস্যরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে না থেকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মেজর জিয়া ঘোষণাপত্রটি তার নিজের স্টাইলে পাঠ করলেন যা নিয়ে এখন বিতর্ক চলছে। এম আর আক্তার মুকুল যিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে চরমপত্র পাঠ করতেন, তিনি একবার চাঁদপুরে বিজয়মেলায় আলোচনা সভায় বলেছিলেন, মেজর জিয়া মুজিবনগর সরকারের এক সভায় প্রস্তাব করেন যে, War council করে যুদ্ধ পরিচালনা করা হোক। তখন সবাই তার বিরোধিতা করেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার যুদ্ধ পরিচালনা করছে। War council এর কি প্রয়োজনীয়তা আছে?’ মুক্তিযুদ্ধের সূচনালঘ্ন থেকেই মেজর জিয়া বিতর্কিত ও রহস্যজনক আচরণ করতেন এবং খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। মোশতাকের আচরণও রহস্যাবৃত ছিল। অনেকেই বিশ্বাস করতেন মোশতাক আমেরিকার সিআইএ’-এর এজেন্ট। বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে মোশতাক ও জিয়ার আসল রূপ জাতির কাছে উন্মোচিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দেয়নি। তারা প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন ও সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালিদের নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন করছিল। বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তানিদের নির্যাতনে ১ কোটি লোক দেশত্যাগ করে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিল। বাংলার স্বাধীনতাকামী জনতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে প্রতিরোধ করছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলছিল। তা জেনেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তথা বাংলার স্বাধীনতাকামী জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। বাঙালির বিজয় তারা মেনে নিতে পারেনি। তারা এদেশের কিছু স্বার্থান্বেষী মহলকে অর্থের বিনিময়ে তাদের তথাকথিত সমাজতন্ত্রের তত্ত্বে উদ্ধুদ্ধ করে পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি, পূর্ব পাকিস্তানের সর্বহারা পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নামে উগ্র রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করে। বিদেশিদের হাতের পুতুল হয়ে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এসব উগ্রগোষ্ঠী একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত নতুন শিশু রাষ্ট্রের সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। গেরিলা যুদ্ধের আদলে তারা পুুলিশ হত্যা, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যা, থানা লুট, ফাঁড়ি লুট, অস্ত্র লুট ইত্যাদি নাশকতার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়ায়। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুরা গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের অবাধ স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা সংবাদ এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে সরকারের জনপ্রিয়তার হ্রাস করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। মোটকথা মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত দেশি-বিদেশি শত্রুরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। আওয়ামী লীগের কিছু নেতার দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারও শত্রুদের ষড়যন্ত্রের জালকে কিছুটা হলেও শক্তিশালী করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি এবং দেশি-বিদেশি স্বার্থন্বেষী মহল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের মধ্যে যে অরাজকতা চালাচ্ছিল তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এবং দেশের উন্নয়ন ও শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এবং শিল্প ও ক্ষেতখামারে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দি¦তীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল সমগ্র জাতিকে একত্রিত করে দেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন, শান্তি এবং দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত অসাম্প্রদারিক বাংলাদেশ গঠনের জন্য এক প্লাটফর্মে (বাকশাল) কাজ করার পরিবেশ তৈরি করা। তিনি ধনিক শ্রেণির গণতন্ত্রের পরিবর্তে শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের ভাগ্যোন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে ঐক্যবদ্ধ জাতিসত্তার উন্মেষ এবং দেশের অগ্রযাত্রাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যেই জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী মহল নানাভাবে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচার চালিয়েছে। খলনায়ককে আসল নায়কের চরিত্রে বসানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু এদেশের মানুষ তা মেনে নেয়নি। এটাই ইতিহাসের বাস্তবতা। ইতিহাস তার আপন মহিমায় ইতিহাসের নায়কদের মূল্যায়ন করে থাকে। আজ বঙ্গবন্ধু তার আপন মহিমায় বাঙালিদের মধ্যে বেঁচে আছেন। তিনি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল যতদিন এ দেশ ও বাঙালি জাতি টিকে থাকবে এ ভূখন্ডে। তাই অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেন-

‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান

ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।

দিকে দিকে আজ অশ্রুমালা রক্তগঙ্গা বহমান,

তবু নাই ভয় হবে হবে জয়, জয় মুজিবুর রহমান।’

বঙ্গবন্ধুর এ জয় বাঙালির জয়। এ জয় চিরঞ্জীব, চির বহমান। এ জয় ইতিহাসে আভা ছড়াবে চিরদিন। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতিসত্তাকে নস্যাৎ করে এ দেশের সমাজ- সংস্কৃতিকে পাকিস্তানি ভাবধারায় রূপান্তর করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ তা মেনে নেয়নি। তাদের পরাজয় হয়েছে। কিন্তু তারা দেশের অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দিয়েছে অনেক অনেক বছর। পুনর্বাসিত করেছে রাজাকারদের। ভূলুণ্ঠিত করেছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে। পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা লেখক নিরঞ্জন মজুমদার ১৯৭১ সালে ‘বঙ্গবন্ধু ও রক্তাক্ত বাংলা’ শীর্ষক এক নিবন্ধে লিখেছিলেন, ‘দেশে দেশে নেতা অনেকেই জন্মান, কেউ ইতিহাসের একটি পঙ্ক্তি, কেউ একটি পাতা, কেউ বা এক অধ্যায়। কিন্তু কেউ আবার সমগ্র ইতিহাস। শেখ মুজিব এই সমগ্র ইতিহাস। সারা বাংলার ইতিহাস। বাংলার ইতিহাসের পলিমাটিতে তাঁর জন্ম। ধ্বংস, বিভীষিকা, বিরাট বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে সেই পলিমাটিকে সাড়ে সাত কোটি মানুষের চেতনায় শক্ত ও জমাট করে এক ভূখন্ডকে শুধু তাদের মানসে নয়, অস্তিত্বের বাস্ততায় সত্য করে তোলা এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব। মুজিব মৃত্যু ভয় উপেক্ষা করে মৃত্যুঞ্জয় নেতার মতো ঐতিহাসিক ভূমিকা গ্রহণ করেছেন, দায়িত্ব পালন করেছেন।’

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর দেশে ও বিদেশে বিশিষ্টজনরা নানাভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।’ হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এর মতো তেজী এবং গতিশীল নেতা আগামী বিশ বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবে না।’ নোবেল বিজয়ী উইলিবান্ড বলেন, ‘মুজিব হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।’ ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘আপসহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।’

বঙ্গবন্ধুকে চতুর্দশ লুইয়ের সঙ্গে তুলনা করে পশ্চিম জার্মানির এক পত্রিকা লিখেছিল, জনগণ তাঁর কাছে এত প্রিয় ছিল যে লুইয়ের মতো তিনি এ দাবি করতে পারেন ‘আমিই রাষ্ট্র’। আরও অনেক বিশ্বনন্দিত ব্যক্তিবর্গ বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে অনেক মন্তব্য করেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতাই ছিলেন না, দেশের সীমানা পেরিয়ে বহিঃবিশ্বে তার একটি মহান ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল। তিনি হয়েছিলেন বিশ্ববরেণ্য নেতা। বিশিষ্টজনের মন্তব্যে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অথচ একদল বিশ্বাসঘাতক বাঙালি এ মহান ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এ শোক, এ দুঃখ, এ গ্লানি, এ কলঙ্ক কোনো দিনও মুছবে না। এ লজ্জা লুকাবার কোনো পথ নেই। এ শোকে বাঙালি কাঁদবে, আরও কাঁদবে, অনন্তকাল কাঁদবে।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাঙালিদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তাঁর সে বাণী বাস্তবে প্রমাণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা যতদিন বেঁচে থাকবে, যতদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে, ততদিন এদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ হবে বিশ্বের একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধশালী, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ। এভাবেই বাস্তবায়ন হবে জাতির পিতার স্বপ্ন। শোকের মাসে গভীর শ্রদ্ধা জানাই মহাকালের মহাপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙালিদের ললাটে যে কলঙ্কের কালিমা লেপন করা হয়েছিল তা মুছে ফেলা সম্ভব না হলেও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা তৈরি করে তাঁর আত্মাকে শান্তি দেওয়া যায়- যা তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা করছেন। আমাদের সবারই অঙ্গীকার হোক সোনার মানুষ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরির।

 

লেখক : সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

২৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৩৪ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

৫৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৫৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক
বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন
৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন
সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!
চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী
ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

সম্পাদকীয়

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা