নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিসার্স ফ্যামিলি ডে-২০১৬ উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার দিনব্যাপী বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির আয়োজনে এ ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মিলনমেলায় পরিনত হয়।
সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেনের সঞ্চালনা ও সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম জোহার সভাপতিত্বে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য ড. অধ্যাপক শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা ও রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারি, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারি বলেন, 'বিজয়ের মাসে অফিসার্স এসোসিয়েশন এই আনন্দঘন অফিসার্স ফ্যামিলি ডে উৎসবের আয়োজন করেছে, এতে আমি অবিভূর্ত। এখানে লাল নীল সবুজ তারার মেলা এবং আমাদের ছোট সোনামনিরা তাদের পরিবার বর্গ যেভাবে আনন্দঘন মহুর্তে যে আনন্দ উপভোগ করছে তা আমার মনে প্রবলভাবে সঞ্চারিত হয়েছে। আনন্দঘন মহুর্তে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান অডিটোরিয়াম একটি ফ্যান্টাসি কিংডমে পরিণত হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা নতুনভাবে সাজিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় আদি-ঐতিহ্য ফিরে পেতে শুরু করেছে। মৃত গৌবর ও ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে বদ্ধপরিকর হয়েছে আমাদের এই অভিযাত্রায় অফিসার্স সমিতি তা সর্বমহলে অত্যন্ত প্রসংশিত।'
ফ্যামিলি ডে উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ক্যাম্পাসে আগমন করে। তাদের আগমনে ক্যাম্পাস মিলনমেলায় পরিনত হয়। এক কর্মকর্তার পরিবার আরেক পরিবারের সাথে গল্প-গুজব, হৈ-হুল্লোড়সহ আনন্দে মেতে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯৫ জন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ৮০০ জন ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
পরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে এক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতা শেষে বিকালে পুরষ্কার বিতরণী ও এক মনোঞ্জ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে ২০১৬ সালে এইচএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় যে সব কর্মকর্তার সন্তান জিপিএ-৫ পেয়েছে তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/২৩ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল