২২ মে, ২০১৯ ১৩:৩৮

চবিতে হাই-টেক পার্ক নির্মাণ এখন আর স্বপ্ন নয়!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

চবিতে হাই-টেক পার্ক নির্মাণ এখন আর স্বপ্ন নয়!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধন। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, নতুন দুয়ার উন্মোচনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত হচ্ছে হাইটেক পার্ক, এটি এখন আর স্বপ্ন নয়!

বুধবার (২২ মে) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ একর জায়গার উপর হাইটেক পার্কের স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান প্রজেক্টের লিয়াজু অফিসার প্রফেসর ড. হানিফ সিদ্দিকী।

রাজধানীর আগারগাঁও এর আইসিটি টাওয়ারে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্তাবিত হাই-টেক পার্ক স্থাপনের জন্য প্রকল্প পরিদর্শনও করে গেছেন বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। 

গত ১৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন। পরে প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ভৌত বিজ্ঞান সংলগ্ন হাই-টেক পার্ক নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরাদ্দকৃত জায়গা পরিদর্শন করেন।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৮তম বিশেষ সিন্ডিকেটে প্রশাসনের পক্ষ  থেকে প্রাথমিকভাবে ১০০ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জায়গাটি শুক্রবার  ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী পরিদর্শনে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত জায়গাটি হাই-টেক পার্ক তৈরি করার পরিবেশ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এবং প্রজেক্টের লিয়াজু অফিসার প্রফেসর ড. হানিফ সিদ্দিকী টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে হাই-টেক পার্ক নিয়ে কথা বলেন। পরে ১৮ জানুয়ারি ( শুক্রবার) মন্ত্রী সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ১০০ একর জায়গাটি পরিদর্শন করেন। জায়গাটি পছন্দে হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, গাজীপুর কালিয়াকৈরে হাই-টেক পার্কের আদলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্থানে একটি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হবে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান নির্ভর এ প্রযুক্তিতে স্থানের পাশাপাশি জনসম্পদের যোগান দিতে সক্ষম হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তথা এই হাই-টেক পার্কটি নিরাপত্তার জন্য একটি পুলিশের নিরাপত্তা ব্যারাক স্থাপিত হবে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

হাই-টেক পার্কটিতে সিলিকন ভেলির আদলে দেশ বিদেশের বহু নামিদামি প্রতিষ্ঠান তাদের কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন। যেখানে ব্যাপক কর্মস্থানের সুযোগ হবে সাথে বাংলাদেশ বৈদেশিক বিনিয়োগ পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি ভৌত ও কাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হবে। কালিয়াকৈরে এক লক্ষ লোকের কর্মস্থানের সুযোগ হবে।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর