‘চাঁদা না পেয়ে’ গত বুধবার শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল মোল্ল্যার বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নিজের অবস্থান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জুয়েল মোল্ল্যা। এতে আওয়ামী ঘরানার কিছু নেতা তাকে ফাঁসিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে করে এই দাবি করেন তিনি।
এর আগে, শামীম আহমেদ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল মোল্লার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ আনেন। তিনি দাবি করেন, চাঁদা না পেয়ে জুয়েল মোল্লা তাকে ‘বিএনপি’ কর্মী আখ্যা দিয়ে মারধর করেছেন।
তিনি আরও জানান, গত কিছুদিন ধরে ওই ছাত্রলীগ নেতা ঈদের বকশিশ দাবি করে আসছিলেন। ব্যবসার অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে তিনি জুয়েলকে চাঁদা দিতে অসম্মতি জানান। তবে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিনামূল্যে ফুল সরবরাহ করতে সম্মতি জানান। তারপরও কয়েকদিন ধরে চাঁদার জন্য শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামাল মিয়া ও শামীম আহমেদকে কল দিয়ে আসছিলেন। এক পর্যায়ে গতকাল বিকেলে জুয়েল মোল্লা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-ক্রীড়া সম্পাদক বায়েজিদ কোতোয়ালসহ ছয়জন নেতাকর্মী নিয়ে শামীমের দোকানে যান। সেখানে গিয়ে তাকে ‘বিএনপি-জামায়াতের কর্মী’ আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিনামূল্যে ফুল সরবরাহের অভিযোগ করেন। শামীম অভিযোগ অস্বীকার করলে জুয়েল তাকে চড় থাপ্পর মারতে শুরু করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরাও মারধরে অংশ নেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জুয়েল মোল্ল্যা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ আমি পুরোপুরি অস্বীকার করছি। আমার সাথে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার দিন সেখানে যাওয়ার কারণ সর্ম্পকে তিনি বলেন, আমার কাছে সেখানকার কিছু দোকান সর্ম্পকে অভিযোগ ছিল যে, তারা বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতা করে এবং বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে তারা বিনামূল্যে ফুল সরবরাহ করে। এমনকি তাদের আর্থিক সহায়তাও করে। এ নিয়ে কথা বলতেই আমি তাদের কাছে গিয়েছিলাম। আমি সেখানে কাউকে মারধর করিনি। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ ঘরানার কিছু নেতা তাকে ফাসাঁতে চেয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার