চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হল দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এ সময় দু'পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দের জেরে রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী চবি ক্যাম্পাসে কোন ট্রেন পৌঁছায়নি ক্যাম্পাসে। সংঘর্ষে জড়ানো দু’গ্রুপ হলো- শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয় ও সিএফসি।
এর আগে শনিবার রাত পৌনে বারোটার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয়ের নেতাকর্মীরা এই সংঘর্ষে জড়ান।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মো. ইলিয়াছ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ওবায়দুর রহমান লিমন, লোক প্রশাসন বিভাগের নিলয় হাসান, মাহফুজুর রহমান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের প্রিয়ম রায় ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সোহরাওয়ার্দী হল দখল কেন্দ্র করে মূলত মারামারির সৃষ্টি হয়। সিএফসি গ্রুপের কয়েককজন নেতাকর্মী সোহরাওয়ার্দী হল দখল করতে গেলে বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা। পরবর্তীতে সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে ও বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা আলাওল ও এফ রহমান হলে অবস্থান নেয়।
এদিকে, শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধের বিষয়ে রেলওয়ে থানার ওসি মোস্তাফিজ ভূঁইয়া বলেন, ‘সকালে কে বা কারা কদমতলী থেকে শাটল ট্রেনের এক চালককে তুলে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় সকাল থেকে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।’
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর বলেন প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘শাটল ট্রেনের চালককে অপহরণ করা হয়েছে। সে জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছ। আশা করি দ্রুত চলাচল স্বাভাবিক হবে। এর আগে শনিবার মধ্যরাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়।
বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ