শিক্ষার্থীরা নেচে গেয়ে উল্লাস প্রকাশ করে ও ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
১৯৯৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম-এর উদ্যোগে এবারই আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হলো।
দিবস পালন উপলক্ষে সকাল সাড়ে নয়টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম। পতাকা উত্তোলনের পর শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দেন তিনি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের সার্বিক মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে ক্যাম্পাস ও সামনের মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা নেচে গেয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।
শোভাযাত্রা শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আজকের দিনে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা সকলেই তার কাছে কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, তেভাগা আন্দোলনের জনক হাজী মোহাম্মদ দানেশ-এর নামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে, আজকের দিনে তাকেও আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭৫ পাউন্ডের একটি কেক কাটা হয় এবং পরে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আরও দুটিসহ মোট ৪টি কেক কাটেন ভাইস-চ্যান্সেলর।
কেক কাটা শেষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গরীব শিশুদের মাঝে ফলদ বৃক্ষ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখা আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও দানেশ ব্লাড ব্যাংকের আয়োজনে বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপিং এর উদ্বোধন করেন।
এদিকে আজ দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ তলা ছাত্রী হলের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়। হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, পাশাপাশি ১০ তলা বিশিষ্ট আরও দুটি ছাত্র ও একটি ছাত্রী হল তৈরি করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা