২১ অক্টোবর, ২০২০ ১২:৩১

বয়সসীমা শিথিল করে রাবি উপাচার্য পত্নীর ভাগ্নে বউকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

বয়সসীমা শিথিল করে রাবি উপাচার্য পত্নীর ভাগ্নে বউকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ!

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বয়স সীমা শিথিল করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পত্নীর ভাগ্নে বউকে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠানো এক তথ্য-উপাত্তে এই অভিযোগের বিষয়ে তথ্য প্রমাণ সরবরাহ করেছেন তারা।

গত ৪ অক্টোবর ইউজিসিতে পাঠানো সেই তথ্য-প্রমাণে বলা হয়েছে, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মিজান উদ্দিনের মেয়াদকালে ৪-৯-২০১৬ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর আবেদনের বয়স অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর এবং মুক্তিযােদ্ধার সন্তান ও শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ প্রার্থীদের জন্য বয়সসীমা অনূর্ধ্ব ৪০ উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ০২-০৮-২০১৮ তারিখে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক পদে নিয়ােগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর আবেদনের বয়সসীমা অনূর্ধ্ব ৩৮ উল্লেখ করা হয় তবে মুক্তিযােদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযােদ্ধার সন্তানদের জন্য বয়সসীমা একই রাখা হয়। আর অভ্যন্তরীণ ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযােগ্য উল্লেখ করা হলেও কোনো বয়সসীমা উল্লেখ করা হয়নি। ২-৮-২০১৮ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত ৪৮৬ নং সিন্ডিকেটের ৪৯ নং সিদ্ধান্তে উপাচার্য তার পত্নীর নিজ ভাইয়ের স্ত্রী মােছা. শিউলি খাতুনকে রাবি স্কুলে বিজ্ঞপিত গার্হস্থ্য বিজ্ঞান পদের বিপরীতে স্থায়ী ভিত্তিতে প্রভাষক পদে নিয়ােগ দেন। একই সিন্ডিকেটে রাবির সদ্য সাবেক পরিবহণ প্রশাসক এ এফ এম আলী হায়দারবে স্ত্রী মােছা. রুনা লায়লাকে রাবি স্কুলে বিজ্ঞাপিত অর্থনীতি পদের বিপরীতে স্থায়ী ভিত্তিতে প্রভাষক পদে নিয়ােগ দেন। মােছা. শিউলি খাতুন ও মােছা. রুনা লায়লা উভয়ের বয়স ৩৫ এর উপরে হওয়ায় উপাচার্য রাবি স্কুলের শিক্ষক নিয়ােগের বয়সসীমা সংক্রান্ত শর্ত শিথিল করেন।

এ বিষয়ে তথ্য প্রমাণ সরবরাহকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক সোলায়মান চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমান উপাচার্য নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে যে অনিয়ম ও দুর্নীতিগুলো করছে, সেই বিষয়ে আমরা ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগপত্র দিয়েছে। অভিযোগপত্রের কিছু বিষয়ে তথ্য প্রমাণ আমরা সরবরাহ আগে করতে পারিনি। গত ৪ তারিখে সব প্রমাণ আমরা সরবরাহ করছি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর