দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির-মণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাস্তার ওপর বসে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে শাহবাগ থেকে পল্টন, সায়েন্স ল্যাব, বাংলামোটর ও টিএসসি অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অবরোধ কর্মসূচিতে ইসকনের পক্ষ থেকে ১৪ দফা দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো—বিশেষ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে সমস্ত সহিংসতার বিচার করতে হবে এবং নির্বিকার স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা; অনতিবিলম্বে ইসকন মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির, পূজামণ্ডপ, ঘরবাড়ি, দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ভক্তদের হত্যাকারী এবং নারীদের শ্লীলতাহানিকারীদের জনসমক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান; দেশব্যাপী সংঘটিত সহিংস ও নারকীয় ঘটনায় আহত সমস্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীকে সরকারের পক্ষ থেকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা; ইসকন মন্দিরসহ অন্যান্য মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় আহত-নিহতদের পরিবার প্রতি এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ; প্রতি পরিবার থেকে একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া; ক্ষতিগ্রস্ত গৃহ, প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা করা।
অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে- নারীদের শ্লীলতাহানির ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেককে এক কোটি টাকা প্রদান; ধর্ম অবমাননার বানোয়াট, কল্পিত, বায়বীয়, মিথ্যা অভিযোগে কোনো হিন্দুকে হয়রানি করা, ক্ষতিগ্রস্ত করা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা বন্ধ করতে হবে; এসব অভিযোগে আটক সব হিন্দুকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে; তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ও বৈষয়িক ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করা; ধর্মের অপব্যবহার করে হিংস্র উসকানিমূলক ঘটনা রোধে আন্তঃধর্মীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে মনিটরিং সেল বা কমিটি গঠন করে তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা; সোশ্যাল মিডিয়ায় বা অন্য কোথাও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান ও তার ভিডিও ভাইরাল করা বন্ধ করা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল