২৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:৫২

ভূমিকম্পের পূর্ব সর্তকতা বার্তা সম্প্রচার পদ্ধতিতে জাতীয় সম্পদ রক্ষা সম্ভব

অনলাইন ডেস্ক

ভূমিকম্পের পূর্ব সর্তকতা বার্তা সম্প্রচার পদ্ধতিতে জাতীয় সম্পদ রক্ষা সম্ভব

ভূমিকম্পের পূর্ব সর্তকতা বার্তা সম্প্রচার পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষ ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বুয়েট-জিডপাস গত ১২-১৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে ২ দিন ব্যাপী International Symposium on Disaster Risk Reduction : Towards a disaster Resilient Bangladesh through integrated Cooperation শীর্ষক সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে। সিম্পোজিয়াম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ১০০ এর অধিক অংশ গ্রহণকারী অনলাইন প্ল্যাটর্ফম জুম এর মাধ্যমে যোগদান করেন।

বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান, ভূমিকম্পের ঝুঁকি ও আপদকালীন প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে, উপস্থিত বক্তাগন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস প্রদানের পদ্ধতি স্থাপনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

সিম্পোজিয়ামের প্রারম্ভেই ভূমিকম্পের পূর্বাভাস প্রদানে জাপানের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। এর পরে, অধ্যাপক ড. আ. ফ. ম. সাইফুল আমিন বাংলাদেশে এই পদ্ধতি চালুকরনের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন ও পাশাপাশি বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই সংক্রান্ত সমক্ষমতার কথাও প্রকাশ করা হয়। ভূমিকম্প আঘাত হানা ও পূর্বসর্তকতার সংকেত প্রচারের মধ্যকার সময় কম হলেও বক্তাগন ভুমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসকরণে এ পদ্ধতির অবদানের প্রতি গুরুত্ব দেন।

জাপান ও বাংলাদেশ পারস্পারিক চেষ্টা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশে এই পদ্ধতি তথা Earthquake Early Warning System (EEWS) চালু করা সম্ভব হলে দেশের ভূমিকম্প সহনীয় হবার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই প্রারম্ভকালে ডিজিটাল প্ল্যাটর্ফম সমুহের সুরক্ষা নিশ্চিত করনের জন্য ভৌত স্থাপনাসমূহ, যা এই ডিজিটাল জগৎ কে ধারন করে আছে, তার সুরক্ষা প্রয়োজন। EEWS এর মাধ্যমে এই সুরক্ষা নিশ্চিত করন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। মানুষ ও স্থাপনার সুরক্ষার মাধ্যমে দেশকে দুর্যোগ মোকাবেলায় রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।

এর পাশাপাশি সিম্পোজিয়ামে বিভিন্ন সেশন এ বিদ্যুৎ সেক্টর, মেট্রো রেল ও ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম এর বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলা বিষয়ক পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ ও জাপানের  যৌথভাবে পরিচালিত TSUIB ও SATREPS প্রজেক্টের ফলাফলও প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও পদ্মা রেল লিংক প্রজেক্ট, জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমিধসের পূর্বাভাস, হলরুম ও থিয়েটারে বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে স্ট্রাকচারের ব্যবহার ও বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড ২০২০ নিয়ে আলোচনা করা  হয়। এগুলোর মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনার পূর্নাঙ্গ চিত্র প্রকাশ পায়।

অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এর মাননীয় উপাচার্য উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দুর্যোগ মোকাবেলা, বিশেষ করে EEWS স্থাপনের লক্ষ্যে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে শিক্ষাবিদ ও স্টেকহোল্ডারদের যৌথ উদ্যোগ কামনা করেন। বুয়েটের মাননীয উপ-উপাচার্য, অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান, অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং এরুপ অনুষ্ঠানে নিতীনির্ধারক গনের অংশগ্রহন কামনা করেন, তিনি এই আয়োজনের পদক্ষেপকে সাধুবাদও জানান।

সিম্পোজিয়ামে গবেষক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী, সরকারী ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন পরিলক্ষিত হয়। বুয়েট-জিডপাসকে ভবিষ্যতে দুর্যোগ মোকাবেলায় একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্থাপনের লক্ষ্য অর্জনে এই সিম্পোজিয়াম অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। এটি বুয়েটের সার্বিক লক্ষ্য অর্জনের সম্পূরক হিসাবে কাজ করবে, যার দ্বারা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পথ তরান্বিত হবে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর