ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
রবিবার একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন আহ্বান জানান ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনের নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠান জাঁকজমকভাবে পালন করার জন্য নানান অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রশাসনের কোনো পরিকল্পনা নেই। যে ডাকসু নেতৃবৃন্দের ভূমিকার ফলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে ডাকসু থাকবে না, এটা হতে পারে না। ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন করে তারপর শতবর্ষের অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন নুর। শতবর্ষ উদযাপনে ডাকসু না থাকাটাও একটি অপূর্ণতা বলে মনে করেন তিনি।
শীঘ্রই ডাকসুর সাবেক ভিপি-জিএস’দের নিয়ে ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের পরিকল্পনার কথা জানান নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন করোনার কারণে থমকে গেলেও এখন থেকে আবার নিয়মিত ডাকসুর দাবি জানাবো আমরা।
ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে সরকারের অনিচ্ছা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনীহাকে দায়ী করেন নুর। ‘ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সর্বমহলের সহযোগিতা প্রয়োজন’- সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, উনারা সবসময় সুশীল টাইপের বক্তব্য দেন। নিরপেক্ষ থাকার ভাব ধরেন, বস্তুত উনারা নিরপেক্ষ নন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক। তারা যদি নির্বাচন দিতে চায়, বাধা দেবে কে? সমস্যা হচ্ছে তাদের যারা বসিয়েছে, তাদের অনেক আদেশ-নিষেধ মানতে হয়।
নুর বলেন, যেহেতু দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই, নির্বাচন প্রক্রিয়া সেটা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, যে কারণে সরকার চায় না, ডাকসু নির্বাচন হোক। ২৮ বছর পর যে নির্বাচন হয়েছে সেটাও আন্দোলন-সংগ্রাম ও নানান প্রেক্ষাপটে হয়েছিল। এই প্রশাসনই কিন্তু সে নির্বাচন আয়োজন করেছিল। বর্তমান প্রশাসন যদি চায় তাহলে গত নির্বাচনের ত্রুটি কাটিয়ে সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করতে পারে। কিন্তু তারা সেটা না করে বিভিন্ন সুশীল বক্তব্য দিচ্ছেন, সেটা খুবই দুঃখজনক।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন