বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা ও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে চাকরি হারানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাসা খালি করার জন্য নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে, এ নোটিশ প্রত্যাহারের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং সিনেট সদস্যবৃন্দ উপাচার্যের কার্যালয়ে সাক্ষাত করে স্মারকলিপিটি তার কাছে হস্তান্তর করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসা তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার জন্য ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই বিষয়টি এখনো আদালতের বিচারাধীন। বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পূর্বেই হঠাৎ করে তাকে বাসা ছাড়ার নোটিশ প্রদানের বিষয়টিতে সাদা দল বিস্ময় প্রকাশ করে এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
মোর্শেদ হাসানের ক্যান্সার আক্রান্ত অসুস্থ স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে নিয়ে বাসা ত্যাগের নোটিশের বিষয়টিকে অমানবিক বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। তাই মোর্শেদ হাসান খানের নামে ইস্যুকৃত বাসা ছাড়ার নোটিশটি প্রত্যাহার করার জন্য স্মারকলিপিতে জোর দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার, দেবাশীষ পাল প্রমুখ।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লেখেন অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান। সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ এনে পরদিন বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেটের এক সিদ্ধান্তে অধ্যাপক মোর্শেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর