২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:২১
শরৎ উৎসব

বকুলতলায় শুভ্র শরৎ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

বকুলতলায় শুভ্র শরৎ

কংক্রিটের এ শহরে হয়তো শুভ্র কাশবন নেই। কিন্তু তাতে কী? শরৎ এলে শুভ্রতার আবেশে ছেয়ে যায় নাগরিক মন। তাই তো শরতের গান, কবিতা আর নৃত্যে উদযাপিত হলো ‘শরৎ উৎসব-১৮২৯’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় শারদীয় পসরা সাজিয়েছিলো ‘সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী’। 

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ষড়ঋতুর বাংলাদেশ থেকে শরৎ প্রায় বিদায়ই নিয়েছে। তাই তো উৎসবে আসা অতিথি কিংবা দর্শক, সবার মুখেই ছিলো প্রকৃতিকে রক্ষার তাড়না। 

এই আয়োজনে ‘শরৎ কথন’ পর্বে অংশ নেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, শরৎ উৎসবসহ বাঙালি সংস্কৃতির সকল উৎসব এদেশের মানুষ ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষ উদ্যাপন করে। এ ধরণের উৎসবের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধন আরও জোরালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উৎসবে যোগ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এই শরৎ উৎসব। কবিতা, নাচ, গান, নৃত্য ও আনন্দের মাধ্যমে শরৎ উৎসবকে উদ্যাপন করা হয়ে থাকে। আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চর্চার মধ্যে দিয়ে মানুষের মনের উদারতা ও গভীরতা আরও প্রসারিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উৎসবে একক আবৃত্তি পর্বে নির্মলেন্দু গুণের ‘কাঁশফুলের কাব্য’, মো. নাসির উদ্দিনের ‘শরৎকাল’ এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছিন্নপত্র’ থেকে কবিতা শোনান আবৃত্তিশিল্পীরা। এছাড়াও একক রবীন্দ্র সংগীত, লোকসংগীত ও আধুনিক গান পরিবেশন করা হয়।
 
রবীন্দ্রসংগীত ‘ওগো শেফালী ওগো শেফালী’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য সংগঠন ভাবনার শিল্পীরা। ‘আজ শরতে আলোর বাঁশি বাজলো’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনায় ছিল নৃত্যাক্ষ। এছাড়াও নৃত্যজন, বাফা, এবং স্পন্দনের শিল্পীরাও নিজেদের নৃত্য পরিবেশন করেন।  

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর