শিরোনাম
- রিয়াদ যে নাহিদ ইসলামের শেল্টারে ছিল সেটা আমি জানতাম : জুলকারনাইন
- জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, মিয়ানমারে ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি
- জুলাই সনদে ব্যক্তি নয়, দলীয় স্বাক্ষর নিশ্চিত করতে হবে : রাশেদ প্রধান
- যাত্রাবাড়ীতে কয়েলের আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
- ১৮৫ বছরের বন মহিষের করোটি জমা হলো পাহাড়পুর যাদুঘরে
- নিশ্চিত থাকেন নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন, একদিনও দেরি হবে না : প্রেস সচিব
- নেইমারদের খেলা সরাসরি দেখা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন ব্রাজিলীয় সমর্থকরা
- এনার্জি ড্রিংকের ক্যানে ভদকা, সতর্ক করল মার্কিন কর্তৃপক্ষ
- মাঝআকাশে তীব্র ঝাঁকুনি: জরুরি অবতরণ, ডেল্টা ফ্লাইটে আহত ২৫
- মেহেরপুরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা ও মানববন্ধন
- চাঁদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত
- ভোলায় দলিত জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচনে পরিচিতি সভা
- সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৩৮৪
- বান্দরবানে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- ফরিদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
- মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামলে সুদহার কমানোর ইঙ্গিত
- ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসির আদেশ
- চাঁদপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে জরিমানা
- ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করলো বিএসএফ
- মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জান্তা সরকার
নোবিপ্রবির শিক্ষার্থী বহিষ্কার, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
অনলাইন ভার্সন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঘটনার অভিযোগে ১২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, ২ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানো ও একজনকে সতর্ক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার নার্গিস আক্তার হেলালী কতৃক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এ আদেশ দেয়ার পর বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে সামনের সড়ক অবরোধ করে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে। এর আগে, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে খবর পেয়ে সুধারাম থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
বিক্ষোভে অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তুচ্ছ ঘটনায় বেশি শাস্তি দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের। এ কারণে শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার পথে। তাই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও একাধিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ নভেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলে দুই দল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনায় শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থীকে সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া তিনজন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সতর্ক করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বহিষ্কারসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে নোটিশ জারি করার পর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও তাদের সহপাঠীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বহিষ্কারাদেশ প্রতিবাদে ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিকেল চারটার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ সব ফটক তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে বিকেল পাঁচটার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনের সোনাপুর-চর জব্বর সড়কেও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রয়েসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর জানান, গত ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে মঙ্গলবার বিকেলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার ও শাস্তির আদেশ দেন কতৃপক্ষ। এ আদেশ দেয়ার পর বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে সামনের সড়ক অবরোধ করে। প্রায় এক ঘন্টা অবরোধের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, মারামারি, বিশৃঙ্খলার ঘটনায় ৬ মাস থেকে ৩ বছর মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার, কারণ দর্শানো ও একজনকে সতর্ক করা হয়। শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলো- মারুফ আহমেদ মিরাজ, মৃনাল কৃষ্ণ সাহা, মিজানুর রহমান, আবদুর রহমান রিয়ন, মো. শাকিল মোস্তফা, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মো. আবদুল্যাহ আল নাহিদ, রোকেয়া ফেরদৌসী, মো. শওকত হোসেন, হৃদয় কাজী সজীব, ফজলে চিশতি হিমেল, শাহ পরান শিপন, ফাহাদ ইবনে আলম ও মানিক চন্দ্র দেবনাথ।
বিডি প্রতিদিন/এএম
এই বিভাগের আরও খবর