শিরোনাম
- জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, মিয়ানমারে ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি
- জুলাই সনদে ব্যক্তি নয়, দলীয় স্বাক্ষর নিশ্চিত করতে হবে : রাশেদ প্রধান
- যাত্রাবাড়ীতে কয়েলের আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
- ১৮৫ বছরের বন মহিষের করোটি জমা হলো পাহাড়পুর যাদুঘরে
- নিশ্চিত থাকেন নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন, একদিনও দেরি হবে না : প্রেস সচিব
- নেইমারদের খেলা সরাসরি দেখা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন ব্রাজিলীয় সমর্থকরা
- এনার্জি ড্রিংকের ক্যানে ভদকা, সতর্ক করল মার্কিন কর্তৃপক্ষ
- মাঝআকাশে তীব্র ঝাঁকুনি: জরুরি অবতরণ, ডেল্টা ফ্লাইটে আহত ২৫
- মেহেরপুরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা ও মানববন্ধন
- চাঁদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত
- ভোলায় দলিত জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচনে পরিচিতি সভা
- সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৩৮৪
- বান্দরবানে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- ফরিদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
- মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামলে সুদহার কমানোর ইঙ্গিত
- ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসির আদেশ
- চাঁদপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে জরিমানা
- ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করলো বিএসএফ
- মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জান্তা সরকার
- বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র পেল আরও তিনজন
একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন

১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার চিত্র তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, এই ন্যাক্কারজনক গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করা প্রয়োজন। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এদেশের বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা ও বর্বর গণহত্যার চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। তারা সকল অন্যায়, অপকর্ম ও বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। নিজ নিজ পেশায় তারা ছিলেন প্রথিতযশা। জাতিকে মেধাশূন্য করতেই পরিকল্পিতভাবে দেশের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করা হয় উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল গণহত্যার মূলকেন্দ্র। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের নৃশংস গণহত্যার নজির নেই। দেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা এই গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল। নতুন প্রজন্মের মাঝে ইতিহাস সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।
উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত যে সব কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এ কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শনের আলোকে উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণস্থ স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়ের বাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর